গত শতকের ষাটের দশক ছিল আমাদের প্রজন্মের জেগে ওঠার কাল। রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের মন্ত্রোপম কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’র আলোকে বলতে চাই, কৈশোর পেরুতে পেরুতে আমরা জেনেছি এ-জগৎ স্বপ্ন নয়, আন্দোল
সাহিত্যসৃষ্টি আর সাহিত্যসমালোচনার মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠভাবে পরিব্যাপ্ত। বোধকরি সে-কারণেই নিজের সাহিত্যসৃষ্টির আদর্শের কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে তাঁর সমালোচনাসাহিত্যের ধরন বিষয়েও
যে জন দিবসে মনের হরষে, জালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না আর, নিশীথে প্রদীপ ভাতি। কিংবা, কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে। কবিতার এই পঙ্ক্তিগুলি ছাত্রজীব
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবনে ইউনেস্কো অবিমিশ্র হিতকারী ভূমিকায় ছিল না; এক পর্বে তা লেখক হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বেলায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করলেও তাঁর জীবনের অন্
কে এই অথৈ পরমানন্দ? তাঁকে নাকি দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায় না। আসলে তিনি কে? তবে কি তাঁর চোখ আকাশের মতো নীল? তাঁর কেশ কি ঝুরিবটের মতো কাঁধ পর্যন্ত নামানো? তাঁর গায়ের র
কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক জীবনানন্দ দাশের ৫৫ বছরের জীবনের (১৮৯৯-১৯৫৪) উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে ১৯
প্রায়ই এমন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন রাত্রিগুলি হাঁটতে থাকে। বড় বড় পাইপ … সড়ক থেকে অদূরে তার পাশেই ছাতাহীন জীর্ণ ঘর, এঁদো আঁশটে নর্দমার পাশেই শতছিন্ন কাপড় খাবলা খাওয়া মেঝেতে, তার ওপরই চিৎপাত প
খাড়া! খাড়া! কেডা? কেডায় আমারে খাড়াইতে কয়? থপথপ করে হাঁটে ইসমাইল শেখ। মোটা থলথলে শরীরে হাঁটলে পথের ওপর পায়ের পদাঘাতে এক ধরনের বেঢপ শব্দ তৈরি হয়। মাঝবয়েসি ইসমাইল শেখ হাঁটছে আর আপনমনে ব
এক। ভূমিকা ১৯৪০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা তিরোহিত হতে দেখে স্পেন-পর্তুগাল সীমান্তে এক হোটেলে আত্মহত্যা করার সময় জার্মান বুদ্ধিজীবী ওয়াল্টার
শরতের শিউলি ঝরে পড়ে রোজ শিশুকালের আলো-আঁধারের স্মৃতি কত চেনা অচেনা ফুলের বাগান আর সব ভুতুড়ে বাড়িতে ফেরার গল্প। কত কান্না ঝরে যায় চোখের পাপড়ি বেয়ে কাঠ চেরাইয়ের কলের নিচে নিজেকে শুইয়
প্রকৃতি দিনরাত চেষ্টা করে চলেছে মানুষে মানুষে ভালোবাসা সৃষ্টি হোক, তার মতো সান্ত্বনা হয়ে নির্জনে নিজেকে মেলে ধরুক … সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের গোধূলি শিখুক; শৈলশিখরে দৃশ্যমান সূর্যের উ
মানুষ একটি জাদুকরী সুতীক্ষ সুচের শক্তিসৌন্দর্য নিয়েই পৃথিবীতে আসে যা যে-কোনো কঠিন বস্তুকে ভেদ করে যায় – ওই সুচের ডগায় কোন হাইপার মারণাস্ত্রের আয়ু কয়েক মুহূর্ত! এই সুচের সংবাদ জানাটাই
মস্কো নদীর সেতুর উপর হঠাৎ হলো সাক্ষাৎকার নদী তখন সূর্য-তেজে গলন্ত এক দীপ্ত ধাতু ফাল্গুন না চৈত্র মাস ঠিক মনে নেই এখন আমার উরালদেশি আধো আধো মিষ্টি রুশি উচ্চারণে মনের ভিতর কুয়াশানীল, চোখেও কী
চোখের উপর হাত চাপা দিয়ে জেগে ঘুমাও কেন? খোলা জানালার মতো তোমার শরীর মনের সবগুলো জানালা খুলে দাও। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তোমারও সব কিছু হাসে ঘুমের পাহারায় না থেকে কারো শরীরের পাহারায় থাকো তুম
মানুষ সহজে মরে না। আত্মা ধ্যানঋষি। পিকাসোর পোর্ট্রেট থেকে খসে পড়ে নাগরিক চাঁদ। বাতাস নির্ঘুম রাতে আকাশ ধুয়ে যায় মেঘ কাশফুল কফিনে। আর্ট গ্যালারি থেকে শত শত মৃত মানুষ উঠে আসে আয়ু শীতের শ
দাও তোমার অগ্রন্থিত সমস্ত কবিতা – জোনাকির ম্লান আলোয় পড়ে ফেলি আমাকে লেখা তোমার যাবতীয় বসন্তবাসনা – আমাকে শোনাও তোমার অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র – যার প্রতিটি পঙ্ক্তি তোমারই হৃদয়ের যথার্থ অ
তুমি বাউল হলে ফাঁকা থাকে চৌকাঠ, সুখেনের ঘর বড় একা একা লাগে। সবাই পর পর ভাবে। উৎসুক মুখ মলিন হলে – হেমন্তের হাওয়ায় আরো উত্তাপ বাড়ে মনের ভেতর কেমন ধুকপুক করে তুমি বাউল হলে সন্ধানে নামে কেউ ক
রাত্রির সাদা ফুল প্রেম – শিথানে সুঘ্রাণ – বেভুল বাতাসে দোল খায়। পরান উথলায় – নয়া পানির মাছের মতো উজানি হৃদয়, এখনো সময় কাটে রাজপথে – আওয়াজে। অনাহারি মুখ রাতের রুগ্ণ চাঁদ, তিলে তিলে ক্ষয
তুমি চলে যাওয়ার পর আমাদের দীর্ঘদিনের টেলিভিশনটা নষ্ট হয়ে গেল। ওটা আর কোনোদিনই চালু হবে না। কোনোদিন পর্দা হবে না সবুজ-সুনীল। এখন চোখে চোখে নিদ্রাহীন নুহের প্লাবন। অন্য চোখে উল্লাস প্রবল ফ
গাছের পরিধি বেড়েছে অনেকদূর অথচ সময়োপযোগী সদিচ্ছার কাছে আমরা হেরে গেছি। সূর্যের আলো নিয়ে আমার অনেক ভাবনা, আলো সম্বন্ধীয় সেমিনার করার সক্ষমতা নিয়ে অন্ধকারে ঘুরে বেড়াই। ইমেজভর্তি লোক
হরিণচোখে খেলা করে স্নিগ্ধ আলো দিগন্তের পানে রংধনু রং ওড়ে ও-পাড়ার ফর্সা মেয়েটির গালে হাসির টোল চিত্রল রেখা মনে করিয়ে দেয় বৃষ্টিভেজা দিনের খুনসুটি গাঙের এপারে জীবনবাবুর কুটিরে তালপাতা
রাত্রির ঝাঁকে ভরসাই নিয়তি আমার … সিথানের কালঘুম করে কিলবিল ধারালো আঁধারে সারিনের ফণায় ঘোমটা দিয়েছে প্রসন্নতা। পা রেখে চলে গেছে পথ ভিটেছাড়া সমুদ্র লুকোচুরি খেলে ফুলে ফুলে রটে গেছে বিক
ভাঙা পুকুর ঘাটটায় শ্যাওলা পড়ে গেছে। অর্ধেক তো নেবে গিয়েছিল গেল বর্ষাতেই। সমস্ত ঘরদোর ভেঙে আসছে। সামনের বর্ষাতে যা আছে তাও বোধহয় মিশে যাবে পুকুরপাড়ের সঙ্গে। সাত সকালে কিংবা মধ্য দুপু
একা ঘরে কিংবা বাইরের নিরিবিলি পরিবেশে কে যেন প্রায়ই আমার সঙ্গে চুপিচুপি কথা বলে। বেশ মায়াজাগা কণ্ঠ, যদিও পুরোটাই বিভ্রম। যেমন আজো চুপ করে ঘরে বসে আছি। জানালা দিয়ে একফালি আলোয় অজস্র ধূল
অনুবাদ : আলম খোরশেদ তুমি যখন আমাকে বলো, এত দূর অতীতের কথা আমি মনে করতে পারব না, সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ তা পারেও না, এবং এখন আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে এরকম বোকার মতো কথাবার্তা বলে সময় নষ্ট না করার জ
কানন পুরকায়স্থ বিজ্ঞানের ইতিহাসে যে-সমস্ত তত্ত্ব মৌলিকতা, গুরুত্ব এবং গভীরতায় বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে বোস সংখ্যায়ন সেগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী সত্যে
মৃত্যু একটি ধ্রুব সত্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বার্ধক্য এক অনিবার্য যাত্রা। প্রতিটি জীবন্ত প্রাণী জন্মের পর জীবনের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে। যৌবনের উচ্ছ্বাস থেকে বার্ধক্যের প্রশান্তি পর্যন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে দেশে গ্রাফিতির এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সংঘাত-সংঘর্ষে জুলাইয়ের প্রায় প্রতিটি দিনই ছিল বিবর্ণ। সেদিন ছিল ২৮শে জুলাই। এটাও ছিল বিষণ্ন একটি দিন। এই দিনেই
ওয়াকিলুর রহমান, আমি ও আমরা একই সময় ও পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছি। জগৎকে দেখার ও বোঝার ক্ষেত্রে ভাবনার যে-আদিকল্প আমাদের মধ্যে কাজ করেছিল, তার ধরন প্রায় এক। ফলে আমাদের চিন্তা, উপলব্ধি ও বিশ্লেষণ
কালি ও কলমের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আবুল হাসনাত স্মরণে গত ১লা নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘আবুল হাসনাত স্মারক বক্তৃতা’। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বেঙ্গল শিল্পালয়ে বিকেল ৫টায় আয়োজিত এবারের বক্ত
১৯৭১ গণহত্যা : যশোর উপশহর পারভীনা খাতুন – আর্য পাবলিকেশন লি. – ঢাকা, ২০২৩ ষ ৫২০ টাকা স্বাধীনতার ওই সময়ে একদিন আমি আমার বাবার সঙ্গে আসছি, একটি ভ্যানগাড়িতে অনেকগুলো মানুষের পা ঝুলতে দেখা যাচ্
নেমে এসো বৃষ্টি ফোঁটার অনিবার্যতায় মুজিব রাহমান – তৃতীয় চোখ, চট্টগ্রাম – ঢাকা, ২০২৪ ষ ২৫০ টাকা ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক মুজিব রাহমান কবিতা রচনার পাশাপাশি একজন অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক হিসেব