বাংলাদেশে ভাস্কর্য চর্চার ক্ষেত্রে হামিদুজ্জামান খান বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। দেশে ও বিদেশে তাঁর বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভাস্কর্য চর্চার মধ্য দিয়ে এদে
যদি আকবর ও আবুল ফজলের পতাকা সম্মুখে বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর দুই প্রজন্ম পাওয়া যেত, তাহলে ভারতে হিন্দু-মুসলমান সমস্যা থাকত না, পাকিস্তানও তৈরি হতো না। – রাহুল সাংকৃত্যায়ন শেখ আবুল ফজল আল
সাহিত্যের বাস্তবতা আর জীবনের বাস্তবতা এক নয়, আলাদা। মানুষ কেন সাহিত্য পড়ে? জীবনের নির্মম বাস্তবতা থেকে, একঘেয়ে বাস্তবতা থেকে একটু এসকেপ নেওয়ার জন্য, একটু মুক্তির জন্য। কিন্তু সাহিত্য য
সৃষ্টির শুরুতে মানুষ ছিল যাযাবর। জীবিকা ও আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষকে নিরন্তর ছুটে বেড়াতে হয়েছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। এভাবেই মানুষ ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর সর্বত্র। আর মানুষের প্রকাশ ও ব
আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা। – লৌকিক ছড়া বাংলা কাব্যসাহিত্যে চাঁদ-ফুল-পাখি-নদী – এই চারটি প্রকৃতিসঞ্জাত বিষয় উপমা হিসেবে প্রাচীন। কবির চোখে এই বিষয়গুলো
শিরোনামের শব্দগুলো প্রায় সমার্থক হলেও এদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার গতিপথ আলাদা। একা বা একাকী কিংবা একাকিত্ব হচ্ছে ছায়া-দানব। সেই ছায়া-দানব কোটি কোটি বছরের মহাবিশে^র সৃষ্টিলগ্নের আদিম ত
মানুষের, বিশেষত হোমো স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের, পরিব্রাজন শুরু হয়েছিল প্রায় সত্তর হাজার বছর আগে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে। তারা জীবনধারণের প্রয়োজনে পৃথিবীর নানা জায়গা থেকে নানা কিছু শ
এই যে আমরা বলি নারীর শাশ্বত রূপ, তা আসলে কী? প্রেমে, স্নেহে, দ্রোহে, শক্তিতে, জ্ঞানে, দাক্ষিণ্যে, দয়ায় ইত্যাদি প্রায় সকল রূপেই নারীকে খুঁজে পাই। ‘একই অঙ্গে অনেক রূপে’ রূপিণী নারী কখনো প্রেম
ছয় দশকেরও আগে একষট্টিতে কবি সুফিয়া কামালের স্নেহচ্ছায়ায় সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক, সঙ্গে আরো কয়েক সাহসী বাঙালি ‘ছায়ানট’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁরা প্রতিকূল পরিবেশে সদ্য পালন কর
পু কুরে ঘাট হয়, ঘর হয় – এই কথা বোধহয় নতুন। বাপের ভিটায় জায়গা হয়নি কিনুর। তাই শাহজাহানদের পুকুরপাড়ে ঘর বেঁধেছে। রাস্তার পাশ দিয়ে লোকজন যাওয়ার সময় তাদের আর ঘাটের কথা মনে হয় না। কারণ
ভোঁতা এবড়োখেবড়ো একটা রাস্তা হাজীগঞ্জের কাপড়িয়াপট্টি ধরে চলে গেছে ব্যাংকপাড়ার দিকে। যাওয়ার সময় ঝাপসা স্মৃতির মতো কুমোরবাড়ি ছুঁয়ে যায়। ব্যাংকপাড়ার পাশেই একটা খাল। বিকেল হলে স
মায়ের সঙ্গে হাঁটছি। মায়ের এক হাতে শক্ত করে আমার হাতটা ধরা। এভাবে হাঁটতে ভালোই লাগে, ঘুরে বেড়াতে। কত নতুন পথ। কত নতুন ঠিকানায় ঘোরাফেরা। অথচ হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। আবার যদি হারাইও – মা ত
‘আহা, এ-জায়গাটা একদম ক্ষয়ে গেছে আপনার। শুকিয়ে চিমসে গেছে, ভেতরে রসটস নেই তেমন।’ খুবই মোলায়েম কণ্ঠে বলছিলেন ডাক্তার সাহেব, কিন্তু আয়েশা বেগমের চোখমুখ শুকিয়ে যেতে শুরু করল; আর যেটুকু রস
আমি বন্দি সেন্টাওরের অতল পাতালে মুক্ত হতে চাই উদ্ধার হই যদি আরিয়েদনের মতো তোমার দেখা পাই আমার সাধন-ভজন সবই তাই বেহুলা তোমায় ঘিরে জানি কোনো শিউলীভোরে পাব তোমায় গাঙুর নদীর তীরে তাই জলের কি
জুলাই, তোমার কাছে বহু দেনা ঋণ শহিদের রক্তে পুষ্পে হয়েছো রঙিন। মানতার স্পর্শ থেকে তোমাকে সরিয়ে হৃৎপিণ্ডের কোষে কোষে রেখেছি জড়িয়ে হঠিয়েছি অন্ধকার, পাশবতা কালো লাখো প্রাণ তোমাতেই আছে লী
মাঝিয়াইল বলে কোনো এক গ্রামের নাম জেনে – গ্রাম খুঁজি দেশসুদ্ধ পাড়াগাঁয়ে কখনো সারিবদ্ধ কলাগাছের সন্ধানী দৃশ্যে শাদা বলদে হাল জুড়ে দেওয়ার আগপাছে দাড়িম্ব ফলের ক্রমপ্রসারমাণ সামাজিক ফ
কাকটি দুপুরবেলা রোদে ভিজে-ভিজে উড়ছিল স্নানশেষে ডানা ঝেড়ে ফেলে যায় ছায়ার ফসিল দেখল না শস্যহীন মাঠের কৃষক সে কেবল আগাছাই ফেলে গেল রোদের ধাঁধায় এভাবেই দিনে-দিনে বড় হয় ছায়াবৃক্ষ নিজের
তবুও যদি দুরন্ত বালিকা সরল চাঞ্চল্য হারিয়ে ফেলে দিন-মাস বছর পেরিয়ে প্রিয়মুখ ঝাপসা হয়ে এলে শহুরে কোলাহলে হাঁটতে হাঁটতে পরিপূর্ণ নারী হয়ে ওঠে! হঠাৎ যদি রাধাচূড়ার-ঋতুতে কৃত্রিম বিভ্রম
জৌলুসের উন্মত্ত ঢেউয়ে কাঁপছে এ কোন ভূখণ্ডের নাভীমূল, আচ্ছন্ন উৎসবে আছড়ে পড়ছে মাতাল রাতের ছবি বেভুল। রঙিন চোখে উড়ছে ডানা মেলা প্রজাপতি রাত, সুডৌল অস্তিত্বের দেহ কাটে অস্থির দেহের করাত।
আলোক দীপে শিহরিত চোখ গাছের ভাঙল ঘুম লজ্জায় মায়া, উষ্ণ স্রোতে ডুবেছে ঠোঁট হৃৎপিণ্ডে ধক্ ধক্ আঙুলের করোটিতে উঠে আসে – স্ফীত স্তনের হাসি জল ভেঙে প্রজাপতি উড়ে যায় কপালে ঘামবিন্দু লাঙলের ফল
সে ছিল তোমারই রাত, চন্দ্রাবলী, কেবলই তোমার ছায়ায় শুধু জেগে থাকা, পুষ্পিত সৌরভ আর বায়ুঘন নিবিড় ছায়ায় চন্দ্রালোকে সিক্ত এক নিরুপমা নিমগ্না রজনী আর সেই রাত্রির শরীর ঘিরে রহস্যের কালো যব
অনুবাদ : সম্পদ বড়ুয়া সে দিন শনিবার বিকেলে খামারের মালিক তার শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ করছিল। সূর্যটা তখন পশ্চিমে হেলে পড়েছে। এ-কাজ করতে করতে অন্ধকার ঘনিয়ে এলো। রান্নাঘরের দরজায়
শিল্পী সনজীব দাস অপু কয়েক বছর ধরে আবার নিয়মিত ছবি আঁকছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে তাঁর কতক চিত্রকর্ম আমরা দেখেছি। এবার ঢাকার গ্যালারি চিত্রকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে হওয়া তাঁর ত
২০১৫ সালের ৬ই আগস্ট আমি দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছালাম। দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত গিয়াংগি প্রদেশের গোয়াংজু শহরের মানবাধিকারবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানে এক বছরের ফেলোশিপ নিয়ে
পৃথিবীতে শিল্প-বিপ্লব শুরু হওয়ার পর কয়েকটি শতাব্দী ধরে আধুনিক বিজ্ঞানের নানা শাখার অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হওয়ার ফলে আমাদের চিন্তা-চেতনায় নানা পরিবর্তন এসেছে। আমরা বুঝতে সমর্থ হয়ে
যুদ্ধ মানেই ভয়ংকর মানবিক বিপন্নতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ফ্যাসিবাদী ন্যাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের পর জার্মানিতে উদ্ভূত সামাজিক সংকটের কথা কতজনই বা জানে। যুদ্ধফেরত সৈনিকদের মনোবৈ
চিত্রকরের তুলি, রং আর ক্যানভাসের সমন্বয়ে আঁকা শেষে তা হয়ে ওঠে মূর্ত এক চিত্র। দর্শকের কাছে তা কখনো কখনো সেরা এক ছবি মনে হয়। আবার না হলেও কিছু বলার নেই; কিন্তু আলোকচিত্রীর কাজটা ঠিক উল্টো, এ
মহি মুহাম্মদ সমসাময়িককালের প্রতিশ্রুতিশীল কথাসাহিত্যিকদের একজন। দলিত-নিষ্পেষিত, অস্পৃশ্য মানুষের নিত্যদিনের দুঃখ-কষ্ট, শোষণ-বঞ্চনা, তাদের কাম ও কামনা, স্বার্থ ও সংকীর্ণতা, অশিক্ষা ও কুস
The Diary of Frida Kahlo Abradale Press Harry N. Abrams, Inc. New York. First edition : 1999 Second edition : 2001 US. $ 1997 নেই চাঁদ, সূর্য, হীরক, হাত আঙুল ডগা, বিন্দু, রশ্মি, অতি সূক্ষ্ম জাল, সমুদ্র পাইন সবুজ, গোলাপী কাঁচ, চোখ আমার, ইরেজার…অথবা শাখা প্রশাখা, সমুদ্র, চলে
ঃ তে দুঃখ শাহাদুজ্জামান প্রকাশক : শ্রাবণ প্রকাশনী মূল্য : ৮০ টাকা। না উপন্যাস, না প্রবন্ধ, না ছোটগল্পের বই- শাহাদুজ্জামানের ্লঃ তে দুঃখশ্কে নিয়ে এমন ভাবনা জাগে। প্রচ্ছদে বিজ্ঞাপিত হয়েছে এই
প্রায় একশ বছর হয়ে এলো রজনীকান্ত সেনের দেহাবসান হয়েছে। তাঁর জীবৎকাল (১৮৬৫-১৯১০) মাত্র পঁয়তাল্লিশ বছর বিস্তৃত। বয়সের বিবেচনায় তিনি পরিণত জীবনে উপনীত হতে পারেননি, যদিও তাঁর কাছ থেকে আমর
রাজধানী ঢাকা শহর আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যাবতীয় কর্মকা-ের কেন্দ্রবিন্দু। ১৬০৮ সালে সুবেদার ইসলাম খান সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাদেশিক রাজধানী রাজমহল
১৯৭১ সালে আমি ঢাকার বাইরে গিয়েছি মাত্র দুবার । গিয়েছি আমার জন্মজেলা পাবনায় । জন্ম শহরতলিতেই; ফলে গ্রাম-গ্রামান্তরে গিয়ে গ্রামবাসীদের নির্যাতিত অত্যাচারিত হওয়ার কোনো ঘটনাই আমি প্রত্
আগস্টের শেষ দিকে কমান্ডার সদরুদ্দীনের কাছ থেকে নির্দেশ আসে । প্রচুর জলকাদা ভেঙে হাতে-লেখা চিরকুটে সেই নির্দেশ নিয়ে এসেছে লোকটি । পড়ন্ত বিকেল তখন। আকাশে গুমোট মেঘ । কদিন ধরে বরষার মাতামাত
বাংলাদেশে জাতিরাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া হাজার বছরের পুরনো বলে বিবেচনা করা হয়। বাস্তবে কিন্তু এটি রূপলাভ করে মাত্র বিংশ শতাব্দীতে। ব্রিটিশ ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের জন্যে যে র
॥ ২ ॥ রদিন সকালেই ডাকাতি হলো আমাদের ফ্ল্যাটে। প্রতিদিন সকাল ঠিক সাতটার সময় উৎপল এসে দরজার বেল দেয়। আমি কিংবা স্বাতী যে কোনো একজন উঠে গিয়ে খুলে দিয়ে আসি দরজা। আসলে বেল শোনার পরই স্বাতীর স
‘কিন্তু তুমি নিজে চলো না, অন্যকে চালাতে বাধ্য করো। এটাই তো বিড়ম্বনা। অথচ জগৎসংসার তোমাকেই তপস্বী আর সাধক বলবে, আমার পিতাকে দানশীল বলবে, আর আমাকে? চঞ্চলমতি এক নারী, যাকে বিশ্বাস পর্যন্ত করা য
স্বপ্নবাজ – এই শব্দের সঙ্গে কি আগে কখনো পরিচয় ছিল আমাদের? বাংলাভাষী আমরা স্বপ্নদেখা মানুষদের এতদিন চিনতাম স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বপ্নাবিষ্ট, স্বপ্নময়ী, স্বাপ্নিক – এরকম শব্দের রকমফেরে। কিন্ত