অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (১৯৫১ – ২০২৫) ছিলেন শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক, সাহিত্য-সমালোচক, শিল্প-আলোচক, অনুবাদক। তিনি কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সহ-সভ
মুখবন্ধ হচ্ছে-হবে। হচ্ছে এবং হবে, হচ্ছে ও হবে, হচ্ছে কিংবা হবে। চমৎকার দ্বন্দ সমাস। আমার অভিমত শুনে ব্যাকরণবিদ ভ্রƒকুঞ্চন করলেন। আমি বাধ্য হয়ে বললাম, ‘তাহলে তোমাদের এখনকার কালের ভঙ্গিতে বল
অশরীরী : মাহমুদুল হক সাহিত্যপ্রকাশ, ঢাকা, ২০০৪ দাম : ৬০.০০ মাহমুদুল হক বাংলাদেশের উপ-ন্যাসের গুটিকয় শিল্পসফল ঔপন্যাসিক-দের মধ্যে অন্যতম। স্বভাবজাত জনপ্রিয়তার মোহকে দূরে ঠেলে যাঁরা সাহিত্
যতীন স্যারের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের দিনটি এখনো স্পষ্ট মনে আছে। ১৯৯৫ সাল। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আমি। দৈনিক পত্রিকায় গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে চিঠি লিখি, এখানে-ওখানে বিতর্ক
আধুনিক যুগ শ্রমবিভাজনের যুগ। যে-শ্রমিক কারখানায় জুতার তলা নিয়ে কাজ করেন, তিনি অন্য অংশের খোঁজ রাখেন না; দরকার পড়ে না। কারণ, তার কাজের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন
যতীন সরকারের (১৯৩৬-২০২৫) পরিচয় বহুবিধ। তিনি শিক্ষাবিদ, সমাজচিন্তক, সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিমান। রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন কিছুকাল। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়
তাকে এখন খিদিরপুরের দিকে যেতে হবে। যেজন্য এসেছে এ-ঘটনার শুরু হয়েছে অনেক অনেক বছর আগে। একটা হ্যাপা। বলতে গেলে বড় হ্যাপাই আজ পোহাতে হচ্ছে দীপ্তকে। এটা সে ইচ্ছা করেই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছ
চলমান এক অশরীরী, রহস্যময় এক প্রাণ, কখনো ছায়া, কখনো কায়া, হঠাৎ চমকে দেওয়া প্রাগৈতিহাসিক যুগের পাথরে খোদাই মুখচ্ছবি কালের ওপারে জেগে থাকা মহাকালের বাতিঘর, অযুত আলোকবর্ষ পাড়ি দিয়ে আসা কো
৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫। নদীর মধ্য দিয়ে আমরা ছুটে চলেছি। ঘণ্টা তিনেক হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টায় রওনা দিয়েছি। একটানা ট্রলার ইঞ্জিনের শব্দ বেজেই চলেছে। চিত্রা নদী দিয়ে ছুটে চলা। নড়াইল শহরের প
দর্শনের ইতিহাস কম-বেশি প্রায় তিন হাজার বছরের। এই দীর্ঘ সময়কালে ফ্রিডরিশ নীৎশের মতো এত বিপরীত চিন্তাধারার দ্বন্দ্বসংকুল উজান স্রোতে খুব কম দার্শনিককে তরী ভাসাতে দেখা গেছে। এত অশ্রুতপূর
আমার বাবার মোট ভাইবোন ছিল আটজন। বড় পিসি বা ফুপু আনোয়ারা। তিনি বিবাহিত জীবনে বাইশ বছর বয়সে মারা যান। বাবা ছিলেন দাদা শেখ মোহম্মদ এহিয়া ও দাদি গুলেজান বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। পুত্রসন্তা
তুমি যাবেই? বিছানার পাশে বসে সুপ্তি রাতের প্রসাধন সারছে। শরীরে হালকা লাল নাইটি। ভেতরে সাদা ব্রা। পুতুলের মতো সাজানো শরীর সুপ্তির। রাতের এই প্রসাধনের মুহূর্তে শাকিল যেখানেই থাকুক, সুপ্তির
ঢাকা টু লন্ডনের ফ্লাইটগুলি সব সময়ই যাত্রীবোঝাই থাকে। আজ পর্যন্ত যতবার এই ফ্লাইটে উঠেছি, ততবারই সেই একই চিত্র – ফ্লাইট কানায় কানায় পূর্ণ। তাই আশ্চর্য হলাম যখন দেখলাম ফ্লাইট ছাড়ার আগমুহ
রায়েরবাজারে একসময় যখন ঘরে ঘরে পাল বংশের কুমার শিল্পীরা মাটি নিয়ে কাজ করেছে, তখন এরা কাদামাটির মধ্যে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকত। সে হিসাবে এদের গায়ে, ঘামে ও রক্তে কাদামাটি মিশে গিয়েছিল। এখন
সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন জনগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার নিদর্শন হলো পুরাকীর্তি। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় অতীতের ইতিহাস ও ঐত
আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে কবিতা নিয়ে এক নতুন ধরনের কর্মযজ্ঞ হলো ঢাকায়। কবিতার আনুষ্ঠানিক আবৃত্তি যেমন হয়, ঠিক তেমন কোনো আয়োজন নয়, আবার কবিতা পাঠেরই অনুষ্ঠান। কিন্তু কবিতা পাঠে নতুন যে-ম
হৃদয় এক আশ্চর্য দহ বলেছি যেই খিলখিল, শ্যামা বউদির হাসি উল্লোল; হিল্লোল থামলে ঘোমটা নামিয়ে চোখের গহন কাজল তুলে টিপ আঁকলেন কপালে শরাহত পথিক সে-জন, বোঝে এক নয় – ভুবন, আঁচলে সামান্যই ঢাকে। তোলপ
খোঁপায় বাগান সুন্দর হইল রঙ্গন ফুলের রংটা লাল সংযম ধইরা রাখতে কষ্ট মন কী ব্যাকুল হয় বেহাল। ছোঁয়া যায় না সেই ফুলে রে রই বেচইন কোন ভুলে রে দুঃখের নিশি কাটতে চায় না কিচ্ছুতে আর শান্তি পায় ন
পরিণাম যে নির্মম হবেই আগে থাকতেই জানা চারপাশে খুব কড়াকড়ি বিঘ্ন বিপদ নানা জাইনা-শুইনাই বিষ খাইয়াছি বিষের বর্ণ নীল দংশন ছোবল জান পেরেশান মৌচাকে দ্যায় ঢিল পরানপঙ্খি আমি তোমার খুলবা কবে খা
যখন নিজের ছায়াকে আর দেখা যায় না চিত্ররূপ মনের ভেতরে থেকে প্রখর দুপুরবেলায় পারম্পর্য রেখে যে-ছবি ভেসে ওঠে চোখের সমুখে চোখের পেছনে ঠিক অন্যরূপ। মধ্যদুপুরে বদলে যায় ছায়া-প্রচ্ছায়া কখন
সিন্দুকের চাবি (পরিমার্জিত সংস্করণ) মঞ্জু সরকার – আগামী প্রকাশনী ঢাকা, ২০২০ – ২৫০ টাকা দু হাজার সালে যেবার আমরা কয়েকজন লেখক-বন্ধু প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যাই, একদিন সন্ধের পর ঢাকায় আমাদে
ঊষর দিন ধূসর রাতপাপড়ি রহমান – বেঙ্গল পাবলিকেশন্সঢাকা, ২০২৫ – ৫৬০ টাকা নব্বইয়ের দশকের আলোচিত কথাকার পাপড়ি রহমান। চলতি বছর (২০২৫ সাল) বেরিয়েছে তাঁর নতুন উপন্যাস ঊষর দিন ধূসর রাত, প্রকাশক ব
তবু না ফুরায় মতিয়ার রহমান পাটোয়ারী বাংলাপ্রকাশ – ঢাকা, ২০২৫ – ৩০০ টাকা সাহিত্য আমাদের মনোজগতে এক বিশেষ আলো ফলে। যেখানে আবেগ, ভাবনা ও আত্মজিজ্ঞাসা মিলেমিশে সৃষ্টি করে এক অন্তর্জাগতিক বাস