মাথার দাম ছিল ৩৬ লক্ষ! ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ নকশাল নেতা
বাংলা হান্ট ডেস্ক : ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) রাজ্য থেকে বড় খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে সেখানে থাকা নকশালরা (Naxal) বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে। মঙ্গলবারই নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে এনকাউন্টারে নিহত হয় চার নকশাল। এদের মাথার ওপর ৩৬ লক্ষ টাকার পুরস্কার রাখা ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে নকশালদের এনকাউন্টার হয় ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকায়। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, C৬০ কমান্ডোরা নকশালদের গতিবিধির খবর পায়। এরপর তাদের আশেপাশে অবরোধ করা হয় এবং নকশালদের ঘিরে ফেলে। তারপর উভয় পক্ষ থেকে গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৪ নকশালবাদী। নিহত নকশালদের নাম ভার্গেশ, মাঙ্গাতু, কুরসাম রাজু এবং ভেঙ্কটেশ। এনকাউন্টার এলাকা থেকে উদ্ধার হয় একটি AK47, একটি কারবাইন, দুটি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য। চলতি মাসে বাহিনীর সেকেন্ড অ্যাটাক ছিল এটি। বাহিনীর তরফে প্রথমবারের জন্য আক্রমণ শুরু হয় গত ৪ মার্চ। সেসময় কাঙ্কেরে এক নকশালকে হত্যা করে ছত্তিশগড় পুলিশ। এনকাউন্টারে শহীদ হন এক পুলিশও। আরও পড়ুন : ভারতের এই রাজ্যগুলি থেকে উধাও হবে বসন্ত! বিপদের মুখে গোটা দেশ, প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুরো এলাকায় অভিযান শুরু হয়। কাঙ্কের জেলার ছোটবেথিয়া থানা এলাকায় অবস্থিত হিদুর গ্রামের কাছে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি যৌথ দলের হাতে একজন নকশাল নিহত হয়। কিন্তু অপারেশন পুলিশের বস্তার ফাইটারস-এর কনস্টেবল রমেশ কুরেঠি শহীদ হয়ে যান এই এনকাউন্টারে। ঘটনাস্থল থেকে একটি AK-47 রাইফেলও উদ্ধার হয়েছে। আরও পড়ুন : ভদ্রশ্বরের জুটমিলে তালা! বাংলায় ফের বন্ধ আরেকটি কারখানা! কর্মহীন 3 হাজার শ্রমিক এর আগেও কাঙ্কের জেলায় নকশালদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। সেসময় এনকাউন্টারে নিরাপত্তাকর্মীরা তিন নকশালকে হত্যা করা হয়। উল্লেখ্য যে, গত বছরের মার্চে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ছত্তিশগড়ে নকশাল হামলার পরিসংখ্যান পেশ করে। সেখানে জানা যায়, ২০২২ সালে মোট ৩০৫ বার নকশালরা হামলা চালায়। গত ১০ বছরে এই অংক দাঁড়ায় ৩৪৪৭ টি এবং এই হামলায় মোট ৪১৮ জন সৈন্য শহীদ হন এবং ৬৬৩ জন নকশালের মৃত্যু হয়েছে।
মাধ্যমিক পাশের প্রচুর কর্মী নিয়োগ খাদ্য দপ্তরে! ডেটা এন্ট্রি অপারেটরসহ একাধিক পদে নেওয়া হবে লোক
বাংলাহান্ট ডেস্ক : নির্বাচনের আগে বড় সুখবর রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য। ফের একবার নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে। সমস্ত জেলার পুরুষ ও মহিলা সবাই আবেদনের যোগ্য। এই নিয়োগের বিস্তারিত আলোচনা করা হল প্রতিবেদনে। ✓ বিজ্ঞপ্তি নম্বর : BECIL/Project-III(HRMS)F.No.113/FSSAI-NR/Cr No.773/2024/Adv. 440 আরোও পড়ুন : সিবিল স্কোর বাড়াতে চান? FD থাকলেই পেয়ে যাবেন এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ১. পদের নাম : Data Entry Operator • মোট শূন্য পদের সংখ্যা : প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গেছে খাদ্য দপ্তরে চারটি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ করা হবে। • শিক্ষাগত যোগ্যতা : আবেদনকারীকে যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভাগীয় বিষয়গুলির মধ্যে যেকোনো একটিতে স্নাতক উত্তীর্ণ হতে হবে। এমএস অফিসের বিভিন্ন সফটওয়্যারে কাজ করার দক্ষতাও থাকতে হবে প্রার্থীর। এছাড়াও টাইপিং স্পিড হতে হবে 35wpm। • বেতন : ২৫,৭৯২/- টাকা মাসিক বেতন প্রদান করা হবে। • বয়সসীমা : এই পদে সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়সী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আরোও পড়ুন : এগিয়ে আসছে সময়! হু হু করে নামবে পৃথিবীর জনসংখ্যা, প্রকাশ্যে এল চমকে দেওয়া তথ্য ২. পদের নাম : Multi Tasking Staff • মোট শূন্য পদের সংখ্যা : এই পদে চারজনকে নিয়োগ করা হবে। • শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলে আবেদন করা যাবে এই পদে। • বেতন : মাসিক বেতন প্রদান করা হবে ২১,৬৩২/- টাকা। • বয়সসীমা : এই পদে সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়সীরা আবেদন করতে পারেন। ✓ আবেদন পদ্ধতি : সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এই দুটি পদের জন্য। নিচের লিংকে ক্লিক করে প্রার্থীরা অনলাইন আবেদন জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করে প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। ✓ আবেদনের শেষ তারিখ : ২৫/০৩/২০২৪
চোর আর শিক্ষক কখনও একসঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের পাল্টা সুকান্ত
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে ক্রমাগত সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দিন কয়েক আগে বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার শ্বেতপত্র প্রকাশের পাশাপাশি মুখোমুখি তর্কে বসার আহ্বান জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এবার এই নিয়ে পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার ‘সুকান্ত গড়’ বালুরঘাটে সভা করেন অভিষেক। সেখান থেকে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে কথা বলেন তিনি। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, ‘আপনার লোকসভা কেন্দ্রে এসে আমি আরেকবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে গেলাম। আমি সুকান্তবাবু বলব, আপনি জায়গা, সময়, সঞ্চালক ঠিক করুন। আপনি একদিকে থাকবেন, আরেকদিকে আমি’। এখানেই অবশ্য থামেননি তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত তিন বছরে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বিজেপি ১০ পয়সার হিসেব দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও দাবি করেন অভিষেক। এবার তাঁর এই খোলা চ্যালেঞ্জের পাল্টা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। আরও পড়ুনঃ শাহজাহানকে বাঁচাতে কী কী করেছিল রাজ্য পুলিশ? সন্দেশখালি কাণ্ডে বিরাট তথ্য ফাঁস করল CBI মঙ্গলবার তৃণমূল ‘সেনাপতি’র চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। চোর এবং শিক্ষক কখনও একসঙ্গে তর্ক করতে পারে না, এহেন মন্তব্য করে সুকান্ত বলেন, ‘বসা তো যায়। তবে আমাদের সংস্কৃতিতে বলা হয়, যুক্তি এবং শ্রাস্তার্ধের লড়াই সর্বদা সমকক্ষ লোকের সঙ্গে হওয়া উচিত। চোর এবং শিক্ষক কখনও একসঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না। এমনটা হলে শিক্ষকদের সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে’। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আবহে জেলায় জেলায় ঘুরে সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের শ্বেতপত্র প্রকাশের পাশাপাশি মুখোমুখি তর্কে বসার কথা বলেন। পদ্ম-শিবির সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে প্রতিনিধি পাঠানোর কথা বললেও শেষ অবধি পাঠায়নি! এরপর গতকাল এই নিয়ে সুর চড়ান অভিষেক। এবার তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের সেই চ্যালেঞ্জকে প্রত্যাখ্যান করলেন সুকান্ত।
গার্ডেনরিচ ঘটনায় ফিরহাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! নির্বাচন কমিশনকে চিঠি BJP-র
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্মীয়মাণ বহুতল (Garden Reach Building Collapse) ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এরপর থেকে ফের শিরোনামে বেআইনি নির্মাণ। এই ঘটনার জেরে এবার ক্ষমা চাইলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বহুতল ভাঙার পর বামেদের দিকে দায় ঠেললেও, এবার এই ঘটনায় ‘ভুল স্বীকার’ করলেন তিনি। রবিবার রাতে আচমকাই গার্ডেন রিচে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে। বিল্ডিংয়ের সেই ভেঙে পড়া অংশগুলি পড়ে আশেপাশের ছোট ছোট বাড়িগুলির ওপর। এখনও অবধি এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। সংখ্যাটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ফিরহাদ এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠালেন নন্দীগ্রামের সাংসদ। সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, গার্ডেনরিচে যে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। এরপর স্থানীয় বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র (KMC Mayor) ঘটনাস্থলে যান এবং আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধিকে উপেক্ষা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহতদের জন্য ৫ লাখ এবং আহতদের জন্য ১ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। আরও পড়ুনঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জের! বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার বিরাট পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের এই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা নিয়ে বিজেপির (BJP) আপত্তি নেই। তবে পদ্ম-শিবিরের বক্তব্য, ফিরহাদ হাকিম না করে এই ঘোষণা রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা করতে পারতেন। কারণ ফিরহাদ হাকিম তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতা হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়কও। তিনি কীভাবে এই ঘোষণা করলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে চিঠি পাঠায় বিজেপি। অন্যদিকে নিজ এলাকায় এমন ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনা ঘটার পর আক্ষেপের সুর শোনা যায় ফিরহাদের গলায়। জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক আমরা এখনও ১০০% অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে পারছি না। অতীতেও কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আমার সময়েও এমনটা হল এটা দুর্ভাগ্যজনক’। একই সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, এমন কিছু কাউন্সিলর রয়েছেন যারা রঙ করতে গেলে কিংবা পাঁচিল তুলতে গেলেও টাকা নেন। তবে সবাই এমন নন, এটাও জানান তিনি। একইসঙ্গে বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে ফের বাম আমলের দিকেই আঙুল তোলেন ফিরহাদ। পাশাপাশি দাবি করেন, কলকাতার পুরসভার এক-একজন কাউন্সিলরের অধীনে বিরাট এলাকা থাকে। কোন এলাকায় আলো নেই, কোথায় জল নেই, কোথায় ড্রেনেজ সিস্টেম বেহাল সেগুলো দেখা কাউন্সিলরের কাজ। তবে অবৈধ নির্মাণ দেখাটা তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। কোন নির্মাণ বৈধ আর কোনটা অবৈধ সেটা দেখাটা প্রশাসনিক কাজ বলে জানান মেয়র।
ভারতের এই রাজ্যগুলি থেকে উধাও হবে বসন্ত! বিপদের মুখে গোটা দেশ, প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট
বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্তমানে সারাবিশ্বই বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) করালগ্রাসে পড়েছে। বিগত বেশ কিছু সময়ে তাই বিভিন্ন ঋতুতেও পরিবর্তন (Climate Change) দেখা গিয়েছে। গত 1970 সাল থেকে তাপমাত্রার তথ্য অর্থাৎ রেকর্ড ঘাঁটলে দেখা যায় যে, উত্তর ভারতে শীতের পরপরই দ্রুত শুরু হয়েছে গ্রীষ্ম। আর এর ফলে হারিয়েছে বসন্ত ঋতুর (Spring) প্রভাব। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রাদুর্ভাবের সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। US-ভিত্তিক বিজ্ঞানীদের একটি স্বাধীন গ্রুপ ক্লাইমেট সেন্ট্রালের গবেষকরা লক্ষ্য করেন যে, ভারতে শীতের মাসগুলিতে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রায় বড় পরিবর্তন এসেছে। সেখানেই লক্ষ্য করা যায় শীতের শেষে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জানুয়ারি মাসেই পারদ বেশ ওপরের দিকে উঠছে এবং এরপর ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপ। শীতের পরই তীব্র তাপের কারণে বেশ সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনার ফলে বসন্ত হারিয়ে যাচ্ছে। যেখানে মার্চের পর থেকে পারদ ওপরে ওঠার কথা ছিল সেখানে এই ঘটনা ঘটছে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই। উষ্ণতার পরিবর্তন দেখানোর জন্য গবেষক দল জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিত মাসের তাপমাত্রার তালিকা প্রকাশ করে। আরও পড়ুন : ভদ্রশ্বরের জুটমিলে তালা! বাংলায় ফের বন্ধ আরেকটি কারখানা! কর্মহীন 3 হাজার শ্রমিক লেটেস্ট রিপোর্ট দুই মাসের উষ্ণায়নের হারের মধ্যে পার্থক্য গণনা দেখাচ্ছে, যা 1970 সাল থেকে গড় তাপমাত্রার পরিবর্তন হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এই হারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লাফ দেখা গিয়েছে রাজস্থানে। সেখানে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারির গড় তাপমাত্রা প্রায় 2.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এছাড়া আরও জানা যাচ্ছে যে, সারাভারতে শীতকালও সামগ্রিকভাবে উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হচ্ছে। মণিপুর 1970 সাল থেকে আজ অবধি শীতের গড় তাপমাত্রায় (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখেছে। সেখানে মোট 2.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস পার্থক্য এসেছে। সবচেয়ে কম পার্থক্য এসেছে দিল্লিতে, 0.2 ডিগ্রি সেলসিয়াসের ফারাক এসেছে সেখানে। আরও পড়ুন : আম জনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ! প্যারাসিটামল সহ ৮০০ ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে সরকার ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে যথাক্রমে বড় পরিবর্তন আসে সিকিম এবং মণিপুরে। সিকিমে তাপমাত্রার ফারাক ছিল 2.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মণিপুরে এই অংক ছিল 2.1 ডিগ্রি সেলসিয়াসের। বিষয়টি সম্পর্কে ক্লাইমেট সেন্ট্রালের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু পার্সিং জানান যে, জানুয়ারিতে মধ্য ও উত্তর ভারতীয় রাজ্যে ঠান্ডা, এরপর ফেব্রুয়ারিতে প্রচণ্ড তাপ, শীতের পরে হঠাৎ বসন্তের মতো অবস্থার সম্ভাবনা তৈরি করে।
শাহজাহানকে বাঁচাতে কী কী করেছিল রাজ্য পুলিশ? সন্দেশখালি কাণ্ডে বিরাট তথ্য ফাঁস করল CBI
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর (Sandeshkhali ED Attack) ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই মামলা আসার পর থেকেই ‘ফাঁস’ হচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরীহদের গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ, গোয়েন্দারা এবার এমনটাই অনুমান করছেন বলে খবর। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে উপস্থিত হন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে প্রহৃত হন তাঁরা। এই ঘটনার ৭ দিনের মাথায় ৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাদের পর সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের অনুমান, ইডি (ED) পেটানোর ঘটনার সঙ্গে তাঁদের অনেকেরই কোনও যোগ নেই! সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের (State Police) হাতে গ্রেফতার ৭ ব্যক্তিকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায়, অনেকেই ইডি পেটানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এরপর ধৃতদের মধ্যে ২ জনকে সঙ্গে নিয়ে গত রবিবার সন্দেশখালি উপস্থিত হন গোয়েন্দারা। সেখানে তাঁরা পুলিশের হাতে গ্রেফতারির ঘটনা অভিনয় করে দেখান বলে খবর। আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানো হল বিবেককে! রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ধৃতদের দাবি, সন্দেশখালি কাণ্ডের কিছুদিন পর সরবেড়িয়ার পঞ্চায়েত প্রধান তথা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লা তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখেন। এরপর সেখান থেকে তাঁদের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। তবে ধৃতদের বয়ানের পর তদন্তকারীদের অনুমান, আসল অভিযুক্তদের আড়াল করার জন্যই এই কাজ করেছে বসিরহাট জেলা পুলিশ। আদালতের চোখে ধুলো দিতেই এমনটা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে একথা ফাঁস হওয়ার পর সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘সন্দেশখালিতে তৃণমূল এবং পুলিশ হাত মিলতে বহুদিন ধরে মানুষের ওপর অত্যাচার করছিল। ইডির ওপর হামলার পরেও সেই আঁতাত বজায় ছিল। শাহজাহানকে পালানোয় সাহায্যই শুধু নয়, তদন্তের ক্ষেত্রেও যে রাজ্য পুলিশের প্রহসন এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার’।
বাংলা হান্ট ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় (India) নারীরা ছিলেন অন্তঃপুরচারিণী। কর্মজগতে ব্যতিক্রমী হিসেবে গুটিকতক উচ্চশিক্ষিতা ভারতীয় তরুণী সেকালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এদিকে, স্বাধীন ভারতে নারী-পুরুষের সমানাধিকার সংবিধান স্বীকৃত। বর্তমানে ভারতে কাজের বাজারের হাল করুণ। চাকরিবাকরি প্রায় নেই বললেই চলে। সরকারি শূন্যপদগুলি পূরণ করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায়, ভারতে কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদানের হার সম্পর্কে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক যৌথভাবে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভের পেশ করা তথ্যানুসারে, গত ৭ বছরে সারা দেশে কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদানের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-২০১৮ সালে কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদানের হার ছিল ২৩.৩ শতাংশ। ২০২২-২০২৩ সালে সর্বশেষ যে তথ্য মিলেছে সেই অনুযায়ী, কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদানের হার প্রায় ১৪ শতাংশের কাছাকাছি বেড়ে ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক এই তথ্য প্রকাশ করে কার্যত দাবি করেছে, ভারতীয় মহিলারা কাজের বাজারে প্রমাণ করেছেন “যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে”। দেশের উন্নতির জন্যে কাজের বাজারে আরও বেশি সংখ্যক মহিলার যোগদান গুরুত্বপূর্ণ একথা বলাবাহুল্য। তবে, এনডিএ আমলে কেন্দ্রীয় সরকার কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদান সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্কের পেশ করা তথ্য এর সঙ্গে মিলছে না। ভারতে কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদান সম্পর্কে বিশ্বব্যাঙ্কের পেশ করা সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতে কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদানের হার ৪ শতাংশ কমেছে। এই সময়সীমায় মহিলাদের কাজের বাজারে যোগদানের হার ২৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২৪ শতাংশে এসে ঠেকেছে।ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবির সঙ্গে মিলছে না বিশ্বব্যাঙ্কের পেশ করা তথ্য। ফলে সত্যাসত্য নিয়ে খানিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আরও পড়ুন: শুরু হলনা IPL, তার আগেই KKR থেকে বিদায়ের কথা! বড় প্রতিক্রিয়া গৌতম গম্ভীরের যদিও, কেবল ভারত নয়, কাজের বাজারে গোটা বিশ্বজুড়েই মহিলারা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার। এসম্পর্কে বিশ্বব্যাঙ্ক সর্বশেষ যে তথ্য পেশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদানের হার ৪৭.৩ শতাংশ। এই ব্যাপারে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন গবেষণা চালিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সারা বিশ্বে মহিলারা কাজের বাজারে লিঙ্গবৈষম্যের শিকার”। উল্লেখ্য যে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ক্লডিয়া অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত তৃতীয় মহিলা। ক্লডিয়া নোবেল পেয়েছেন কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদান সম্পর্কে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে। আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তানের খেলা শেষ! প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনীর STEAG ইউনিট, যুদ্ধক্ষেত্রে হবে ধামাকা ভারতীয় সমাজ স্বাধীনতার সাড়ে সাত দশক পেরিয়েও পুরুষতান্ত্রিক। ফলে মহিলারা অনেকক্ষেত্রে কাজের বাজারে সুযোগ থেকে বঞ্চিত। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, কাজের বাজারে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের যোগদানের সুযোগ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই দাবি সত্ত্বেও বহু ভারতীয় নারী-পুরুষ নাগরিক কর্মহীন। এদিকে কেন্দ্রের দাবি, এনডিএ জমানায় ২০১৭-২০১৮ সালে কাজের বাজারে ১৫ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়স্ক নাগরিকের অংশগ্রহণের হার ছিল ৫১.৫ শতাংশ। এরপর ২০২২-২০২৩ সালে সেই হার বেড়ে ৫৮.৩ শতাংশে এসে ঠেকেছে। এমতাবস্থায়, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কাজের বাজারে মহিলাদের যোগদানের প্রসঙ্গ শাসকপক্ষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির হাতিয়ার হয়ে উঠবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
সিবিল স্কোর বাড়াতে চান? FD থাকলেই পেয়ে যাবেন এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে সময় ক্রেডিট কার্ড অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভারতে। মূলত দুই ধরনের ক্রেডিট কার্ড বিভিন্ন ব্যাংক অফার করে থাকে। একটি সিকিওর, অন্যটি ইনসিকিওর। মূলত যাদের ক্রেডিট স্কোর ভালো ও সংগতিপূর্ণ আয় রয়েছে তাদের ইনসিকিওর ক্রেডিট কার্ড অফার করা হয়ে থাকে। তবে সেই অর্থে যাদের ক্রেডিট স্কোর নেই তারাও কিন্তু ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকে একটি ফিক্সড ডিপোজিট থাকতে হবে। এই ফিক্সড ডিপোজিটের প্রেক্ষিতে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড অফার করবে ব্যাংক। আজ আমরা মূলত আলোচনা করছি সিকিওর বা এফডি-ব্যাকড ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপারে। এই ধরনের ক্রেডিট কার্ডে রয়েছে একাধিক সুবিধা। আরোও পড়ুন : ‘আল্লাহ দয়া করো …’ ডিভোর্সের পর ফের ভাঙল মন! সানিয়ার পোস্ট দেখে চোখে জল নেটিজেনদের এছাড়াও খুব সহজেই এফডি-ব্যাকড ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন গ্রাহক। শুধুমাত্র ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট থাকলেই আপনারা এই ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার মাসিক আয়ের প্রয়োজন হবে না এই ধরনের ক্রেডিট কার্ডের জন্য। এছাড়াও ক্রেডিট স্কোরের দরকার পড়ে না এফডি-ব্যাকড ক্রেডিট কার্ডের জন্য। পাশাপাশি এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে আপনারা সহজেই নিজেদের ক্রেডিট স্কোর বৃদ্ধি করতে পারেন। ক্রেডিট স্কোর বৃদ্ধি পেলে পরবর্তীকালে ইনসিকিউর ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার পথ আরো প্রশস্ত হয়। FD-ব্যাকড ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা এছাড়া বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই ধরনের কার্ড ব্যবহার করলে ব্যাংকের তরফ থেকে বিভিন্ন ডিসকাউন্ট ও রিওয়ার্ড পয়েন্ট অফার করা হয়।
ভদ্রশ্বরের জুটমিলে তালা! বাংলায় ফের বন্ধ আরেকটি কারখানা! কর্মহীন 3 হাজার শ্রমিক
বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে পাট শিল্পও কি তবে ব্যাপক সংকটের মুখে? একের পর এক জুট মিল বন্ধের হওয়ায় তেমনটাই আশঙ্কা করছে আমি জনতা। শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল ভদ্রেশ্বর জুটমিল (Bhadreshwar Jute Mill)। কারখানার দরজায় ঝোলানো হল সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস। এক ধাক্কায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। বিগত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল জুটমিলের শ্রমিকরা। যে কারণে কয়েকদিন কারখানার কাজ বন্ধও ছিল। শ্রমিকদের অভিযোগ ছিল, চুক্তির বাইরে কাজের চাপ বাড়ানো হচ্ছে তাদের উপর। এছাড়াও আরও নানাবিধ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় ১৫ জন শ্রমিককে বহিষ্কারও করে মালিক পক্ষ। আর তারপরেই শুরু হয় আরেক প্রস্থ বিক্ষোভ। বহিষ্কৃত হওয়া ১৫ জন শ্রমিককে যাতে কাজে ফেরানো হয় এবং তাদের উপর থেকে কাজের বোঝাও যাতে কমানো হয় সেই দাবি নিয়ে একটি ধর্ণা মঞ্চের ডাক দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। এরপরেই তাদের সাথে কথা বলতে মধ্যস্ততা করেন ভদ্রেশ্বর জুটমিলের চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী। তবে সেই সময় শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া সম্ভব হয়নি। আরও পড়ুন : ৪৮ ঘন্টার বিরাট অভিযান, নৌসেনার ভয়ে ধরা দিল ৩৫ জলদস্যু! ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বুলগেরিয়া এরপরেই কারখানার দরজায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস টাঙিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। এবার কীভাবে দিন চলবে সেই চিন্তায় কার্যত দিশেহারা ভদ্রেশ্বর জুটমিলের ৩ হাজার শ্রমিক। চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাদের পরিবার পরিজনদেরও। এক শ্রমিকের কথায়, ‘সামনেই দোল, বাংলা নববর্ষ। তার আগে কাজ চলে গেলে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হবে।’
শুরু হলনা IPL, তার আগেই KKR থেকে বিদায়ের কথা! বড় প্রতিক্রিয়া গৌতম গম্ভীরের
বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরে আগামী ২২ মার্চ শুরু হতে চলেছে IPL (Indian Premier League)-এর ১৭ তম মরশুম। এদিকে, এই টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ২৬ মে পর্যন্ত। এমতাবস্থায়, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রত্যেকটি দল। সেই রেশ বজায় রেখেই KKR (Kolkata Knight Riders)-ও নেমে পড়েছে মাঠে। এদিকে চলতি বছরে KKR-এর বাড়তি পাওনা হল গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গম্ভীরের অধিনায়কত্বেই ২০১২ এবং ২০১৪ সালে IPL চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল KKR। তবে, এবার KKR-এর সাথে নতুন ভূমিকায় যুক্ত হলেন গম্ভীর। মূলত, এবার তিনি মেন্টরের ভূমিকা পালন করবেন। এদিকে, গৌতমকে KKR-এ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অবাক করা তথ্য সামনে আসছে। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, KKR-এর মালিক শাহরুখ খান নিজে চেয়েছিলেন গৌতম গম্ভীরকে আনতে। শুধু তাই নয়, সেজন্য তিনি নাকি গম্ভীরের উদ্দেশ্যে ব্ল্যাঙ্ক চেক পর্যন্ত অফার করেছিলেন। যদিও, সেটি গম্ভীর গ্রহণ করেছিলেন কিনা এই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, KKR-এর তরফে গত সোমবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে দলের খেলোয়াড়রা উপস্থিত থাকার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গম্ভীরও। আর সেখানেই তিনি একটি বড় মন্তব্য করেছেন। যেটি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। Gautam Gambhir talks how important Shah Rukh Khan has been as an owner for KKR, what he learnt from him and the trust he shows @KKRiders pic.twitter.com/mVE4TIkHXt — sohom (@AwaaraHoon) March 18, 2024 মূলত, ওই অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেন যে, তিনি যখন KKR থেকে চলে যাবেন তার আগে তিনি KKR-কে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেবেন। পাশাপাশি, তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, KKR-এর জন্যই তিনি নেতা হতে পেরেছেন। এদিকে, ওই অনুষ্ঠানে দলের মালিক শাহরুখ খানের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি সেখানে জানান যে, “আমি এই বিষয়টা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমি KKR-কে সফল করিনি। বরং, KKR আমায় সফল করেছে। আমাকে KKR-ই নেতা বানিয়েছে।” আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তানের খেলা শেষ! প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনীর STEAG ইউনিট, যুদ্ধক্ষেত্রে হবে ধামাকা উল্লেখ্য যে, আবেগের ব্যাপারে গম্ভীর বাকিদের থেকে বরাবরই এগিয়ে থাকেন। ওই অনুষ্ঠানেও সেই বিষয়টি ভালোভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি KKR-এ যে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখবেন সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে গম্ভীর জানান, “আমাকে সামলে রাখা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। এত বছর ধরে আমার অত্যাচার সহ্য করার জন্য SRK এবং বেঙ্কি মাইসোরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আসলে আমি সত্যির বিরুদ্ধে লড়াই করতে জানি। পাশাপাশি জিততেও জানি।” আরও পড়ুন: Jio-Airtel-এর উড়বে ঘুম! এবার 5G ইন্টারনেট আনছেন আদানি? সামনে এল রিপোর্ট এর পাশাপাশি শাহরুখের প্রশংসা করে তিনি জানান, “আমি যখন KKR-এ যোগ দিয়েছিলাম তখন শাহরুখ যা বলেছিল, এবারও আমায় সেটাই জানিয়েছেন। SRK বলেছে, দেখো, এটা তোমার ফ্র্যাঞ্চাইজি। তুমি নিজের মতো করেই এটাকে তৈরি করে নাও। আমি জানি না এই মরশুমে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত করে দিতে চাই, আমি যখন KKR ছাড়ব, তখন দলটা আরও ওপরের দিকে থাকবে।” এছাড়াও, গম্ভীর এটাও জানান যে, “কলকাতা আমার দ্বিতীয় বাড়ির মতো এবং KKR হল আমার কাছে অনুভূতি।”
৪৮ ঘন্টার বিরাট অভিযান, নৌসেনার ভয়ে ধরা দিল ৩৫ জলদস্যু! ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বুলগেরিয়া
বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার ভারতীয় নৌবাহিনীর জয়জয়কার। এমভি রুয়েনকে সফলভাবে উদ্ধার করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভ। উল্লেখ্য, এই জাহাজে জলদস্যুদের হাতে বন্দি হওয়া ১৭ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে ৭ জন ছিলেন বুলগেরিয়ান নাগরিক। সম্প্রতি বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার) থেকে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। পাল্টা জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলদস্যু এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাল্টা জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, আমরা খুশি যে ওই জাহাজের সাত বুলগেরিয়ান নাগরিক এখন নিরাপদ এবং শিগগিরই বাড়ি ফিরছেন।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিন আরব সাগরে প্রায় ৪০ ঘন্টা ধরে চলা একটি উদ্ধার অভিযান চালায় ভারতীয় নৌবাহিনী। লড়াই শেষে প্রায় ৩৫ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। জলদস্যু ছাড়াও জাহাজ রুয়েনের ১৭ জন ক্রু সদস্যকেও উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌ সেনা। রবিবার এই প্রসঙ্গে নৌবাহিনী জানিয়েছে, এই অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা জাহাজের উপর নজর থাকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের। তবে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে ইতিমধ্যেই আইএনএস কলকাতা মোতায়েন করা হয়েছে আরব সাগরে। নৌবাহিনী সূত্রে খবর, ‘মার্চেন্ট জাহাজ রুয়েনকে ১৫ মার্চ আইএনএস কলকাতা উদ্ধার করেছিল। রুয়েনকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাইজ্যাক করা হয়েছিল এবং এতদিন সেটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
CAA Law: আপাতত CAA-তে স্থগিতাদেশ নয়, সরকারের কাছে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের
এখনই সিএএ-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সিএএ বিরোধিতায় জমা পড়া একগুচ্ছ মামলায় কেন্দ্রের জবাব জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দেশে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিধি। সেই বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সরকার ও বিরোধী পক্ষের আইনজীবীর তরফে কী কী যুক্তি? জানুন বিস্তারিত।
‘আল্লাহ দয়া করো …’ ডিভোর্সের পর ফের ভাঙল মন! সানিয়ার পোস্ট দেখে চোখে জল নেটিজেনদের
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা বিভিন্ন কারণে থাকেন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করেছেন। এই পোস্টে তিনি গাজার একটি পরিবারের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। বিবাহ বিচ্ছেদের নতুনভাবে জীবন শুরু করেছেন সানিয়া। কয়েক মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ও পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের। বিবাহবিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জা ব্যাপক পরিমাণ সমর্থন পেয়েছেন তাঁর ভক্তদের কাছ থেকে। প্রতিটা মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুগামীরা সানিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। আরোও পড়ুন : এগিয়ে আসছে সময়! হু হু করে নামবে পৃথিবীর জনসংখ্যা, প্রকাশ্যে এল চমকে দেওয়া তথ্য একমাত্র ছেলেকে নিয়ে জীবন গোছাতে ব্যস্ত তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাকটিভ সানিয়া মির্জা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে তিনি গাজার একটি পরিবারের গল্প তুলে ধরেছেন। ইনস্টাগ্রামে সানিয়া লিখেছে, ‘১৪ ঘণ্টা উপবাসের পর গাজার একটি পরিবার শুধু লেবু আর রান্না করা ঘাস খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেছেন। হ্যাঁ, শুধু ঘাস!’ এর সাথে সানিয়া মির্জা একটি হার্ট ব্রোকেন ইমোজিও দিয়েছেন পোস্টে। গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে রমজান মাস। এই সময় ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রমজানের রোজা রাখেন। গাজার একটি পরিবার এতটাই হতদরিদ্র যে তারা রমজানের উপবাস ভঙ্গ করেছেন লেবু আর ঘাস খেয়ে। এই করুণ অবস্থার কথা সানিয়া তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চিন-পাকিস্তানের খেলা শেষ! প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনীর STEAG ইউনিট, যুদ্ধক্ষেত্রে হবে ধামাকা
বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভবিষ্যতের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে ফিউচার আর্মির প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী সিগন্যাল টেকনোলজি ইভালুয়েশন অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন গ্রুপ (STEAG) নামে একটি এলিট ইউনিট তৈরি করেছে। এই ইউনিটটি ভবিষ্যতের কমিউনিকেশন টেকনোলজি যেমন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), 5G এবং 6G, মেশিন লার্নিং, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ইত্যাদির গবেষণা ও মূল্যায়ন করবে। এদিকে, এইসব প্রযুক্তি সামরিক কাজেও ব্যবহার করা হবে। কমিউনিকেশন বদলে দেবে যুদ্ধের গতিপথ: এই প্রসঙ্গে গত সোমবার একজন উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, মিলিট্রি অপারেশনের জন্য কমিউনিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য যে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, যে সেনাবাহিনীর কমিউনিকেশন উন্নত এবং বিভিন্ন সৈন্যের মধ্যে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে সক্ষম, তারাই শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হবে। কর্নেল পদমর্যাদার আধিকারিক STEAG-র নেতৃত্ব দেবেন: আধুনিক যুদ্ধে সামরিক অভিযানের সময়ে বিভিন্ন ইউনিট এবং বাহিনীকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। এই প্রসঙ্গে একজন সিনিয়ার আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই প্রয়োজন পূরণের জন্য STEAG গঠন করা হয়েছে। এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে সহায়তা করবে। যেটি দেশের ১২ লক্ষ সৈন্যের ডিজিটাল যুদ্ধের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে। একজন কর্নেল পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে, STEAG সবধরণের তারযুক্ত এবং ওয়ারলেস যোগাযোগ সরঞ্জামের ওপর কাজ করবে। এর মধ্যে রয়েছে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, মোবাইল যোগাযোগ, বিশেষ সফ্টওয়্যার সহ রেডিও, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, 5G এবং 6G নেটওয়ার্ক, আধুনিক কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং। আরও পড়ুন: ঊর্ধসীমা ৩,০০০ টাকা! National Common Mobility Card ইস্যুতে লাগবে না KYC, নিয়ম পরিবর্তন RBI-এর ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য বড় পরিকল্পনা: ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এটি প্রথম ইউনিট হবে যা বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা এবং নতুন আবিষ্কারের সুবিধা নিতে ও প্রতিরক্ষা খাতে এই প্রযুক্তিগুলি ব্যবহারের উপায় খুঁজে বের করার ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত হবে। শিক্ষা এবং শিল্পের সহযোগিতায় এই কাজটি করা হবে। আরও পড়ুন: Jio-Airtel-এর উড়বে ঘুম! এবার 5G ইন্টারনেট আনছেন আদানি? সামনে এল রিপোর্ট উল্লেখ্য যে, STEAG যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ প্রযুক্তি আবিষ্কার, পরীক্ষা, বিকাশ এবং পরিচালনা করবে। এটি বিদ্যমান প্রযুক্তি রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেড করে ব্যবহারকারীদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা প্রদানেও সহায়তা করবে। এই প্রসঙ্গে একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই উদ্যোগ সেনাবাহিনী, শিল্প এবং শিক্ষাজগতের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে সাহায্য করবে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানো হল বিবেককে! রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’বার বদলাল রাজ্য পুলিশের ডিজি (West Bengal DGP)! সোমবার রাজীব কুমারকে অপসারণের পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বিবেক সহায়কে বেছে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এবার তাঁকে সেই পদ থেকে সরানো হল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজি হলেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় (Sanjay Mukherjee)। গতকালই রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সেখানে বলা হয়েছিল, অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে সরাতে হবে রাজীব কুমারকে। সেই সঙ্গেই পরবর্তী ডিজি কে হবেন সেই জন্য তিনটি নামও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনটি নাম পাঠায় রাজ্য। তাঁদের মধ্যে থেকে বিবেক সহায়কে বেছে নেওয়া হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিবেককে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। রাজ্য পুলিশের নয়া ডিজিপি হিসেবে এবার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নামেই শিলমোহর দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার নির্বাচনের কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের নয়া ডিজিপির পদে আসীন করা হচ্ছে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁকে রাজ্য পুলিশের ডিজির দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আরও পড়ুনঃ গর্ভবতীকে ফেলে পেটে লাথি! ‘কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল কর্মীদের মারে মৃত গর্ভস্থ সন্তান প্রসঙ্গত, গতকাল রাজীব কুমারকে সরানোর পর পরবর্তী ডিজিপি হিসেবে রাজ্যের তরফ থেকে যে তিনটি নাম পাঠানো হয়েছিল তাঁর মধ্যে একটি নাম ছিল ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের। তবে গতকাল বিবেক সহায়কে রাজ্যের নতুন ডিজিপি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে সরিয়ে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের হাতে দায়িত্ব তুলে দিল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দমকলের ডিজির দায়িত্বে আছেন সঞ্জয়। এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন বিবেক সহায়কে ডিজিপির পদ থেকে সরানো হল এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। আগামী ৩১ মে অবসর গ্রহণ করছেন বিবেক। এদিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ৪ জুন। সেই কারণেই কি রাজ্য পুলিশের ডিজির দায়িত্ব সঞ্জয়ের হাতে তুলে দেওয়া হল? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন।
Mathura Banke Bihari Mandir : বৃন্দাবনে হোলি উৎসবের জনজোয়ারে পদপিষ্ট! মৃত পুণ্যার্থী
মথুরার বাঁকে বিহারী মন্দিরে হোলি উৎসবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পুণ্যার্থীদের ঢল নামে, উপচে পড়ে ভিড়ে। জানা যাচ্ছে,তার মধ্যেই বৃন্দাবনের এই মন্দিরে হোলি উৎসবে অংশ নিতে মুম্বই থেকে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন এক পুণ্যার্থী। কিন্তু, আনন্দের উৎসব মুহূর্তেই পরিণত হয় বিষাদে। উপচে পড়া ভিড়ের মাঝে কার্যত পদপিষ্ট হয়ে যান ওই ভক্ত। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জের! বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার বিরাট পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আগেও কড়া কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। আর গার্ডেনরিচের (Garden Reach) নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনার পর এবার বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বেআইনিভাবে নির্মাণ হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশের ওপর কোনো হস্তক্ষেপই নয়। স্পষ্ট জানালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার এই বিষয়ে জাস্টিস সিনহা বলেন, ‘বাড়ি ভাঙার নির্দেশ সংক্রান্ত কোনও মামলাই শুনব না। যে আদালতই যেই নির্দেশ দিক না কেন সেটাই বহাল থাকবে।’ বিচারপতির মন্তব্য, ‘আগে মানুষের জীবন, মানুষের জীবন সুরক্ষিত ঠাক, আদালত এই ধরনের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপই করবে না। এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে এই সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন আসে। তবে কোনো মামলাই গৃহীত হয়নি। বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতি নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার জাস্টিস সিনহার এজলাসে ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আগেই বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওদিকে আদালতের কাছে ৩০ দিন সময় চায় পুরসভা। এই ইস্যুতেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। ‘একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে?’ মন্তব্য বিচারপতির। পাশাপাশি ওই নির্মাণ ভাঙার জন্য পুরসভায় কাছে আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে কি না সেই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশিত করেন বিচারপতি। এরপরই পুরকমিশনারের এই বিষয়ে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আরও পড়ুন: গর্ভবতীকে ফেলে পেটে লাথি! ‘কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল কর্মীদের মারে মৃত গর্ভস্থ সন্তান উল্লেখ্য, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গার্ডেনরিচের নির্মিয়মান বহুতল ভেঙে এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে থাকার আশঙ্কা আরও কিছুজনের। ওই বহুতল যে বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছিল ইতিমধ্যেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘ফেসবুক-টুইটার থাকলেই লাল দাগ’! বাংলার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বার্তা ঘিরে তোলপাড়
বাংলা হান্ট ডেস্ক : হালফিলের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) কোনও রঙ্গমঞ্চের চেয়ে কম নয়। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু করে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টায় মত্ত। টাকাও রোজগার হয় দেদার। বিশেষ করে দিনদিন বেড়েই চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন খারাপ দিকও রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্করা এই খারাপ ভালোর মাঝে থাকা সূক্ষ্ম পার্থক্যটা ধরতে পারলেও কিশোর-কিশোরীরা সেই পার্থক্য বুঝবেনা সেটাই স্বাভাবিক। যে কারণে অনেকেই ভুলভাল পদক্ষেপও নিয়ে ফেলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বোঝানোর জন্য অনেকেই একটু কড়া হাতে শাসন করে থাকেন। তবে তাই বলে, একজন ছাত্রীর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটে ‘লাল দাগ’ দেওয়ার হুমকি কতটা গ্রহণযোগ্য? সম্প্রতি একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মূলত কোনও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সেটি। যেখানে একজন শিক্ষিকা তার স্কুলের (School) ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তা ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভাইরাল এই স্ক্রিনশট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত কালিকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (Barasat Kali Krishna Uchha Balika Vidyalaya)। আরও পড়ুন : ‘বিরোধীরাই BJP কে জেতাবে’! বাংলায় লোকসভার ফল নিয়ে বিষ্ফোরক PK, দিলেন ৭ যুক্তি প্রধান শিক্ষিকা বেশ কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, তার স্কুলে পাঠরত এমন কোনও ছাত্রীর যদি কোনও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সে আর স্কুলে পড়তে পারবেনা। এমনকি সেই ছাত্রীর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট পেতেও সমস্যা হবে বলে লিখেছেন তিনি। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, তারাও যেন তাদের মোবাইল ফোন ছাত্রীদের হাতে না দেয়। আরও পড়ুন : আম জনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ! প্যারাসিটামল সহ ৮০০ ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে সরকার আপাতদৃষ্টিতে শিক্ষিকার বার্তাটি সঠিক মনে করলেও গোল বেঁধেছে তার বাচনভঙ্গিতে। একজন ছাত্রী, যে সবে সবে বাইরের জগত চিনতে শিখেছে তার কাছে এসব হাতছানি এড়িয়ে যাওয়া এতটাও সহজ নয়। এমন আবহে তাকে যুক্তি দিয়ে না বুঝিয়ে সোজা ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নিয়ে ভয় দেখানো কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আম জনতা। কমেন্ট বক্সে নিন্দার ঝড় উঠেছে যেন। নেটিজনদের মতে, এতে শিশুরা ঠিক ভুল তো শিখবেইনা উল্টে আরও বেশি বিপথেই এগিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, বাংলা হান্টের পক্ষ থেকে ভাইরাল এই স্ক্রিনশটটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গর্ভবতীকে ফেলে পেটে লাথি! ‘কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল কর্মীদের মারে মৃত গর্ভস্থ সন্তান
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উঠোনে ফেলে গর্ভবতী মহিলাকে বেধড়ক মার। পেটে ও পিঠে ক্রমাগত লাথি! ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ায়। অভিযোগের তীর তৃণমূল কর্মীদের (TMC Workers) দিকে। ঘটনার পর ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর গর্ভের সন্তানের। বেলঘরিয়া থানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন বেলঘরিয়া (Belgharia) টেক্সম্যাকো এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে তাঁরই চার প্রতিবেশী বেধড়ক মারধর করেন। বাড়ির উঠোনে ফেলে গর্ভবতী মহিলাকে (Pregnant Woman) মারতে থাকেন চার অভিযুক্ত। তাঁরা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়াফুল কাউন্সিলর নির্মলা রাইয়ের ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ। তবে নির্মলা জানিয়েছেন, আইন আইনের পথে চলবে। ইতিমধ্যে বেলঘরিয়া থানায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে অভিযোগ, সম্পূর্ণ ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। চার তৃণমূল কর্মীর মারধরের জেরে গর্ভবতী মহিলা তাঁর সন্তানকে হারালেও অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আতঙ্কের জেরে এখন গৃহবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন প্রহৃত মহিলা। আরও পড়ুনঃ মাদক কেসে ধরেছিল! আদালতে সেই দুষ্কৃতীদেরই চিনতে পারল না পুলিশ! কড়া নির্দেশ ‘ক্ষুব্ধ’ হাইকোর্টের অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক! এই দাবি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি তাঁদের শাস্তির দাবিও তুলেছে গেরুয়া শিবির। চার অভিযুক্তের গ্রেফতারির দিকেই আপাতত তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহিলা সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দোষীদের শাস্তি হোক এটাই চান তাঁরা। এদিকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মলা রাই জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে তাঁরা তৃণমূল কর্মী। স্থানীয় কাউন্সিলর স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত আশা বাল্মীকি, বাবলি বাল্মীকি এবং রাজু বাল্মীকি প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পাশাপাশি নির্মলা এও বলেন, এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক ঘটনা। আইন আইনের পথেই চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এবার মিলবে বকেয়া DA? মামলার শুনানি পিছোতেই বিরাট কাণ্ড ঘটাতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৫ ফেব্রুয়ারির পর ১৮ মার্চ, ফের পিছিয়েছে ডিএ মামলার (DA Arrear Case) শুনানি। সোমবারও সময়ের অভাবে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়নি। ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত ছিল এই মামলা। তবে সময়ের অভাবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি হতে পারেনি। এই আবহে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ভাবনা শুরু করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বর্তমানে শীর্ষ আদালতে পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যে মামলা চলছে তার সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের (WB Government Employees) সংশ্লিষ্ট সংগঠন যুক্ত নেই। তবে গতকাল ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তারা, সম্প্রতি একথা জানান সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক নেতা। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতামত চাওয়া হয়েছে বলে খবর। যদি তাঁদের তরফ থেকে ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যায়, তাহলে শীর্ষ আদালতে চলতে থাকা ডিএ (Dearness Allowance) মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ওই নেতা। আরও পড়ুনঃ ‘মমতার সঙ্গে…’, কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন? এবার সবটা ‘ফাঁস’ করলেন কবীর সুমন প্রসঙ্গত, সোমবারের আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলার শুনানি ছিল। তবে সেদিন সময়ের অভাবে শুনানি হয়নি। সোমবার সুপ্রিম-শুনানির আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তবে গতকালও এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। সেই ২০১৬ সাল থেকে ডিএ (DA) নিয়ে চলছে টানাপোড়েন! প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এরপর হাই কোর্ট হয়ে বর্তমানে সেই মামলা এসেছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিকে গত ১৪ মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ১১% মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে তাতে খুশি নয় সরকারি কর্মীদের একাংশ! তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। বর্তমানে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন ৫০% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। অপরদিকে আগামী মে মাসে ৪% ডিএ বৃদ্ধির পর রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দাঁড়াবে ১৪ শতাংশে। কেন্দ্রের মতো রাজ্যেও সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক, এটাই দাবি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের।
এগিয়ে আসছে সময়! হু হু করে নামবে পৃথিবীর জনসংখ্যা, প্রকাশ্যে এল চমকে দেওয়া তথ্য
বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা পৃথিবীতেই জনসংখ্যার হার ক্রমবর্ধমান। কিছু দেশ ছাড় প্রায় সব দেশেই হু হু করে বাড়ছে জনসংখ্যা। ভারত ও চীনের জনসংখ্যা চিন্তা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তবে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি চলবে আর কতদিন? একটি গবেষণার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি চলবে ৫৬ বছর পর্যন্ত। তারপর ধীরে ধীরে জনসংখ্যার হার নিম্নমুখী হবে। গবেষকরা মনে করছেন পৃথিবীতে জনসংখ্যার হার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাবে ২০৮০ সালে। পৃথিবীর জনসংখ্যা ২০৮০ সালে গিয়ে পৌঁছাবে প্রায় ১০.১৩ বিলিয়নে (১ হাজার ১৩ কোটি)। তবে তারপর থেকে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। গবেষকরা সেই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছেন। আরোও পড়ুন : মেট্রোর পর এবার আন্ডারগ্রাউন্ড হবে ধর্মতলা বাস টার্মিনাসও! শীঘ্রই শুরু হবে সমীক্ষা অস্ট্রিয়ার গবেষণা সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লাইড সিস্টেমস অ্যানালাইসিস (IIASA) এবং উইটজেনস্টাইন সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড গ্লোবাল হিউম্যান ক্যাপিটাল দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার তথ্যগুলি। এর আগে কিছু গবেষক বলেছিলেন পৃথিবীর জনসংখ্যা সর্বোচ্চ হারে স্পর্শ করবে ২০৭০ সালে। এরপর ২০৮০ সালে ১০.১৩ বিলিয়নের শিখরে পৌঁছানোর পর জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে ধীরে ধীরে। ২১০০ সালের মধ্যে তা ৯.৮৮ বিলিয়নে (৯৮০ কোটি) নেমে আসবে। গবেষকরা বলছেন যে আগামী ৩০ বছরে, জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষা পাবে। IIASA-এর মতে, আগামী বছরগুলিতে বেশির ভাগ মানুষই বর্তমান সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষিত হবে।
পড়াশোনা ছেড়ে বাধ্য হয়ে শিশুশ্রমিক! স্কুলছুটের তালিকায় ভয়াবহ পরিসংখ্যান বাংলায়
বাংলা হান্ট ডেস্ক: শিক্ষা (Education) জীবনের ভিত্তি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সারা দেশে (India) বহু নাবালক-নাবালিকা স্কুল জীবনের মাঝপথে লেখাপড়া ছেড়ে দিচ্ছে। এদিকে, সারা দেশের যে রাজ্যগুলিতে পড়ুয়ারা দশম শ্রেণির আগে লেখাপড়া ছেড়ে দিচ্ছে সেই রাজ্যগুলির তালিকায় ওপরের দিকে থাকা রাজ্যর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। কেন্দ্রীয় সরকারের পিএবি বা প্রোজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের পেশ করা তথ্যানুসারে, সারা দেশে মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ড্রপ আউটের হার ১৪.৫ শতাংশ। আর পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ড্রপ আউটের জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। সেটি হল ১৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের পিএবি বা প্রোজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের পেশ করা তথ্যানুসারে, এছাড়াও দেশের যে পাঁচটি রাজ্যে স্কুল আউটের হার বেশি সেই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, গুজরাট এবং অসম। উল্লেখ্য যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূল পরিচালিত সরকারের আমলে বাংলার পড়ুয়ারা বাম আমলের তুলনায় বেশি নম্বর পাচ্ছে। তা সত্ত্বেও বাস্তব পরিস্থিতি করুণ। দেখা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির পরে বাংলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কেননা কিশোর-কিশোরীরা মাঝপথে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক বনে যাচ্ছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের পেশ করা তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ১০,৯৮,৭৭৫ জন পরীক্ষার্থী। এরপর ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬,৯৮,০২৮জন। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের পেশ করা তথ্যানুসারে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়ার হার বেশি। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে মাধ্যমিক স্তরে নাম নথিভুক্ত করার পর ২ লক্ষ পড়ুয়া লেখাপড়া ছেড়ে দিযেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে করোনা পরিস্থিতির পরবর্তী সময়ে। আরও পড়ুন: ঊর্ধসীমা ৩,০০০ টাকা! National Common Mobility Card ইস্যুতে লাগবে না KYC, নিয়ম পরিবর্তন RBI-এর এখন এটাই দেখার যে, চলতি বছরে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা এবিটিএ জানিয়েছে, বাংলায় বহু স্কুলে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। উল্লেখ্য যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে রাজ্য রাজনীতিতে ঐতিহাসিক পালাবদল ঘটিয়ে হরেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জঙ্গলমহল হাসছে। কেননা বামদের অবিচারের অবসান ঘটছে। আরও পড়ুন: আম্বানি, মাস্ককে টক্কর দেবে Airtel! স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ডের যুদ্ধে সামিল হলেন সুনীল মিত্তলও এদিকে সূত্রের খবর, জঙ্গলমহলের স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকার হার যথেষ্ট কম। স্কুল পড়ুয়াদের লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়ার কারণ অপরিসীম দারিদ্র। কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানিয়েছে, সারা দেশে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা ব্যাপক হারে লেখাপড়া ছেড়ে দিচ্ছে দেশের যে ৫টি রাজ্যে সেগুলি হল, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়াণা, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এই ৫ রাজ্যে সর্বমোট ৯,৩০,৫৩১ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। সূত্রের খবর, এই ৫ রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন ছেড়েছে ৫,০২,৭৭১ জন ছাত্র। আর ছাত্রীর সংখ্যা হল ৪,২৭,৭২৮ জন।
মাদক কেসে ধরেছিল! আদালতে সেই দুষ্কৃতীদেরই চিনতে পারল না পুলিশ! কড়া নির্দেশ ‘ক্ষুব্ধ’হাইকোর্টের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েক মাস আগেই শিরোনামে উঠে এসেছিল মাদক মামলায় অভিযুক্তদের জামিন করে দেওয়ার একটি চক্রের কথা। এবার ফের তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। কিছুদিন আগেই যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, ট্রায়ালের (Trial) সময় তাঁদের কীভাবে চিনতে পারছে না পুলিশ? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন। সত্যিই কি অভিযুক্তদের চিনতে ব্যর্থ নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও ‘গল্প’? তা নিয়ে ধন্দে আদালত! গত বছর নভেম্বর মাস নাগাদ মাদক মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের এই চক্রের কথা আদালতের নজরে আসে। জাস্টিস দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের একটি নির্দেশ কারণেই এই বিষয়ে আলোকপাত হয়। বর্তমানে জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। এবার কলকাতা হাই কোর্টেও (Calcutta High Court) দেখা গেল একই চিত্র। মাদক মামলায় অভিযুক্তদের চিনতে না পারার যে প্রবণতা পুলিশের (Police) মধ্যে দেখা দিয়েছে, তাতে ‘চক্রান্তের গন্ধ’ পাচ্ছেন অনেকেই। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে হাই কোর্টে কমপক্ষে ৭টি মাদক মামলায় জামিন কিংবা আগাম জামিনের ক্ষেত্রে পুলিশের এই ‘স্মরণশক্তি হ্রাসে’র বিষয়টি সামনে এসেছে। ধৃতদের চিনতে ব্যর্থ হওয়ার যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে তাতে পুলিশকর্তারাই (Police Officer) চক্রান্তের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বলে খবর। আরও পড়ুনঃ ব্রিগেড যাবে বলে ৪০০ টাকা নিয়েছে! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ শ্রমিকদের মার্চ মাসেই যেমন বিচারপতি বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে নদিয়ার একটি মাদক মামলায় জামিনের আবেদনের শুনানির সময় আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, তল্লাশি দলে যে পুলিশ আধিকারিকরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই অভিযুক্তকে চিনতে ব্যর্থ। এরপর আদালতের তরফ থেকে চিনতে ‘অক্ষম’ দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। দলবল নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মাদক সহ যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হল, তাঁদের নাম-পরিচয় জানার পরেও চিনতে ব্যর্থ পুলিশ, এটা বিস্ময়সূচক! পর্যবেক্ষণ আদালতের। তাঁদের এই আচরণের নেপথ্যে যেমন কোনও অসৎ উদ্দেশ থাকতে পারে। তেমনই স্মৃতিশক্তি এতখানি হ্রাস পেলে তাঁরা পুলিশের চাকরির যোগ্যও নয়! আগামী শুনানিতে সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের নিজ বক্তব্য জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ২৮ মার্চের শুনানিতে নদিয়ার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে শুধু নদিয়াই নয়, গত জানুয়ারি মাসে মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানাতেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ধৃতদের চিনতে ব্যর্থ পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে, ট্রায়ালের সময় মাদক মামলায় অভিযুক্তদের চিনতে না পারার যে প্রবণতা পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তা সত্যিই চেনার ব্যর্থতা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ‘গল্প’ আছে তা নিয়ে সন্দিহান আদালত। এমতাবস্থায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জাস্টিস বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ট্রায়ালের সময় অভিযুক্তদের চিনতে ব্যর্থ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত, শৃঙ্খলাভঙ্গ সহ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
মেট্রোর পর এবার আন্ডারগ্রাউন্ড হবে ধর্মতলা বাস টার্মিনাসও! শীঘ্রই শুরু হবে সমীক্ষা
বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টে ২০০৭ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংলগ্ন এলাকা দূষণমুক্ত রাখার জন্য একটি মামলা করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ছয় মাসের মধ্যে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে বাস টার্মিনাস। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টও কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ বহাল রাখে। তবে আদালতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি এর জন্য। দুই আদালতের নির্দেশের পর কেটে গেছে বহু বছর। আগের জায়গাতেই রয়ে গেছে ধর্মতলার বাস টার্মিনাস। মামলাকারী পরিবেশকর্মী এই আবহে ফের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের। শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরানো হবে ধর্মতলার বাস টার্মিনাস। আরোও পড়ুন : আম জনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ! প্যারাসিটামল সহ ৮০০ ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে সরকার এমনকি রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের পরিকল্পনা রয়েছে ভূগর্ভস্থ ‘বহুতল’ বাস টার্মিনাল করার। আদালতে এই সংক্রান্ত একটি নীল নকশাও জমা দেওয়া হয়। পরিবহণ সচিবকে এই মামলার শুনানির সময়ে বলা হয় গঙ্গার ফেরি ঘাট এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রোতে যাতে সহজে যাওয়া যায় সেরকম যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখতে হবে। আরোও পড়ুন : আর মাত্র কয়েক মাস! মেট্রো চলবে হাওড়া ময়দান টু সেক্টর ফাইভ! এল বড় আপডেট এর প্রেক্ষিতে রাজ্য বলে যে তার জন্য সমীক্ষা করতে হবে। হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ তার জবাবে বলে এই সমীক্ষা চালাতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘রাইটস’-কে দিয়ে। ইতিমধ্যেই রাইটসের পক্ষ থেকে তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাইটসকে দিয়ে ভূগর্ভস্থ বাস টার্মিনাল সংক্রান্ত সমীক্ষা করানোর সময়সীমা চার মাস বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভূগর্ভস্থ মাল্টি লেভেল বাস টার্মিনাল তৈরির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর। জানা গেছে, পরিবহণ দপ্তরের সাথে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে সেনাবাহিনী, পূর্ত দফতর, পুরসভা, কলকাতা মেট্রোসহ একাধিক দফতরের।
রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা, চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য, দাঁড়িভিট কাণ্ডে নয়া মোড়!
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দাঁড়িভিট কাণ্ডে নয়া মোড়! এর আগে এই মামলায় আদালত অবমাননার জেরে রুল জারি করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-র বিরুদ্ধে রুল জারি হয়েছিল রুল। আর এবার আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। দাঁড়িভিটে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় (Darivit Case) হাই কোর্ট এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ১০ মাস পরও তা কার্যকর হয়নি। গত শুক্রবার সেই ঘটনায় রুল জারি করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajashekhar Mantha) একক বেঞ্চ। বিচারপতির সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। রাজ্যকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গত শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, আগামী ৫ এপ্রিল তাদের সকলকে আদালতে হাজিরা দিয়ে জানাতে হবে কেন আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। বিচারপতির নির্দেশের পরই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উর্দুর বদলে বাংলা ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) দাড়িভিটে বিক্ষোভে নামে ছাত্ররা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল ক্যাম্পাস। সেখানেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ২ ছাত্রের। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। যদিও প্রথম থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন: ‘মমতার সঙ্গে…’, কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন? এবার সবটা ‘ফাঁস’ করলেন কবীর সুমন এরপর আদালতে মামালা হলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। এদিকে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় মৃত ছাত্রদের পরিবার। এরপর ২০২৩ সালে এই মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর নির্দেশও দেয় আদালত। তবে ১১ মাস কেটে গেলেও আদালতের কোনোও নির্দেশই মানা হয়নি। আদালত অবমাননার সেই ঘটনাতেই রুল জারি করেছিলেন জাস্টিস মান্থা। এই নিয়েই এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য।
‘মমতার সঙ্গে…’, কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন? এবার সবটা ‘ফাঁস’করলেন কবীর সুমন
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সঙ্গীত থেকে শুরু করে রাজনীতি, দুই দুনিয়ারই পরিচিত মুখ কবীর সুমন (Kabir Suman)। একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সহযোদ্ধা’ ছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদও হন। এখন অবশ্য তাঁর কাছে গানই সব! সম্প্রতি ৭৫ বছরে পা দিয়েছেন এই খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী। এমতাবস্থায় তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সম্প্রতি জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেন কবীর সুমন। সেখানেই নিজের একদা ‘সহযোদ্ধা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিয়ে কথা বলেন তিনি। উঠে আসে তাঁদের মতবিরোধের প্রসঙ্গও। এদিন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘বাংলায় খেয়াল নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে, এখনও কাজ হয়। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি নিজে এই বিষয়ে আবেদন করি। বাংলা খেয়ালের ৪টি ওয়ার্কশপ করার সুযোগ করে দেন উনি। এর মধ্যে ২টি হওয়ার পর করোনা চলে আসে’। এরপরেই কবীর সুমনের কথায় উঠে আসে তাঁদের মতবিরোধের প্রসঙ্গ। সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘আমি মমতার সহযোদ্ধা ছিলাম। কিন্তু অনেকবার মমতার সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে। ওঁকে নিয়ে আমি গান বানিয়েছিলাম। সেই গানে প্রতিবাদ-স্যাটায়ার সব ছিল। উনি কিন্তু সেটার প্রতিবাদ করেননি অথবা প্রতিশোধ নেননি’। আরও পড়ুনঃ দুধ ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটার! সামলাতেন TMC কাউন্সিলরের ব্যবসা, ধৃত ওয়াসিমকে নিয়ে তথ্য ‘ফাঁস’ এখানেই না থেমে কবীর সুমন বলেন, যদি আগের সরকার থাকতো তাহলে হয়তো তাঁকে এখানে থাকতে দিত না, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন। বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘আমি ওঁকে বলেছিলাম আমার পরীক্ষা নেওয়ার কথা। আমি জানি কিনা দেখো। তাও উনি আমাকে এই ওয়ার্কশপের সুযোগ করে দিয়েছিলেন’। এদিনের সাক্ষাৎকারে প্রেম নিয়েও কথা বলেন কবীর সুমন। সঙ্গীতশিল্পী স্পষ্ট জানান, প্রেম চলে গিয়েছে বলে তিনি মানেন না। তবে অভিব্যক্তির বদল ঘটেছে একথা স্বীকার করে নেন তিনি। কবীর সুমনের কথায়, ‘এখনও আমি নিয়মিত প্রেমে পড়ি। এমনকি অল্পবয়সীরাও হামেশাই এই বুড়োর প্রেমে পড়ে’।
আম জনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ! প্যারাসিটামল সহ ৮০০ ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে সরকার
বাংলা হান্ট ডেস্ক : আম জনতার মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলতে এই তথ্য যথেষ্ট। এমনিই মূল্যবৃদ্ধির (Inflation) জেরে জেরবার সাধারণ মানুষ। আর এবার সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ শীঘ্রই বাড়তে চলেছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের দাম (Medicine Price)। ব্যথার ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্রায় ৮০০টির মত হার্টের ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে বলে খবর। ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বার্ষিক পাইকারি মূল্য সূচকের পরিবর্তন অনুযায়ী সরকার ওষুধ কোম্পানিগুলোকে দাম বাড়ানোর অনুমতি দিতে প্রস্তুত। সূত্রের খবর, ০.০০৫৫% হারে বৃদ্ধি পেতে পারে ওষুধের দাম। এখানে বলে রাখা ভালো, গত ২০২২ এবং ২০২৩ সালে যথাক্রমে ১২% এবং ১০% হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল ওষুধের দাম। সেই তুলনায় চলতি বছরের অঙ্ক অনেকটাই কম। এই নিয়ে ফার্মা কোম্পানিগুলি দাবি করেছে, গত কয়েক বছরে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানের দাম ১৫ থেকে ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। যার মধ্যে প্যারাসিটামলের দাম বেড়েছিল ১৩০% এবং এক্সিপিয়েন্টের দাম বেড়েছে ১৮-২৬২%। অন্যদিকে গ্লিসারিন এবং প্রোপিলিন গ্লাইকোল, সিরাপ সহ দ্রাবকগুলির দাম যথাক্রমে ২৬৩% এবং ৮৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে মধ্যবর্তী পণ্যগুলিও ১১% থেকে ১৭৫%। পেনিসিলিন জি এর দাম বেড়েছে প্রায় ১৭২%। আরও পড়ুন : বাতিল হবে CAA? আজ বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট! একযোগে ২৩০ মামলা দায়ের বৃদ্ধি কি প্রয়োজনীয়? ইতিপূর্বেই ১০০০ টিরও বেশি ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। তাদের মতে, ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সাথে লড়াই করছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ কী কী? তালিকায় এমন অনেক ওষুধ রয়েছে মার্কেটে যাদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-অ্যানিমিয়া ওষুধ, ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে।
কাঙাল পাকিস্তানে বাড়ছে দারিদ্র! ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে বিদেশে গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে ৯০ শতাংশ পাক নাগরিক
বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan) থেকে বহু নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিক্ষাবৃত্তি করতে যাচ্ছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই বিদেশি রাষ্ট্রে ভিক্ষাবৃত্তি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হচ্ছেন। পাকিস্তানের সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে পাক নাগরিকদের দেশের বাইরে ভিক্ষাবৃত্তি করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশিত হচ্ছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানি নাগরিকরা যে দেশগুলিতে ভিক্ষা করতে যাচ্ছেন সেই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, ইরান, ইরাকের মতো দেশ। এই দেশগুলিতে পাকিস্তানি নাগরিকরা তীর্থযাত্রীর ভিসা নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তি করতে যাওয়া নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা গ্রেফতার হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি নাগরিক। এদিকে, অন্যের কাছে হাত পেতে জীবনধারণ করাটা যে অসম্মানজনক একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানি সেনেটর জুলফিকর হায়দর বলেছেন, “পাকিস্তানি নাগরিকদের একাংশ এখন ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্যে জাপানকেও বেছে নিয়েছেন”। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, যেসমস্ত পাকিস্তানি নাগরিক বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তি করতে যাচ্ছেন তাঁরা মানবপাচার চক্রের শিকার। পাশাপাশি, তাঁদের একাংশ শুধু ভিক্ষাবৃত্তিই করছেন না, পকেটমারির সঙ্গেও যুক্ত। পাকিস্তানের সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে আরও জানানো হয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের একাংশ দক্ষ ও অদক্ষ হিসেবে কাজ করার জন্যেও বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন। সূত্রের খবর, সৌদি আরবে বর্তমানে ৩০ লক্ষ পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ১০ লক্ষাধিক পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছে। আর কাতারে ০.২ মিলিয়ন পাকিস্তানি নাগরিক বসবাস করছেন। আরও পড়ুন: Jio-Airtel-এর উড়বে ঘুম! এবার 5G ইন্টারনেট আনছেন আদানি? সামনে এল রিপোর্ট উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ উঠল বিশ্বের নানা দেশে ভিক্ষাবৃত্তি করার। ইরাক ও সৌদি আরবের দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, সেদেশের কারাগারগুলি পাকিস্তানি বন্দিতে ভরে উঠেছে। আরও পড়ুন: ফের দুর্ধর্ষ নজির গড়ে ভারতকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাল Tata Group! জানলে আপনিও করবেন প্রশংসা সূত্রের খবর, পাকিস্তানের দারিদ্র ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্বব্যাঙ্কের পেশ করা তথ্যানুসারে, নতুন করে ১ কোটি ২০ লক্ষের বেশি নাগরিক পাকিস্তানে দারিদ্রের কবলে পড়েছেন। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, মোট ৯ কোটি ৫০ লক্ষ পাকিস্তানি দারিদ্র কবলিত। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে পাকিস্তানে আর্থিক সংস্কার করা প্রয়োজন। গত ১ বছরে পাকিস্তানের দারিদ্র্যের হার ৩৪.২ শতাংশ খেকে বেড়ে ৩৯.৪ শতাংশে এসে পৌঁছেছে।
ব্রিগেড যাবে বলে ৪০০ টাকা নিয়েছে! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ শ্রমিকদের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শ্রমিকদের কষ্টার্জিত টাকায় ‘ভাগ’ বসাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) নেতা! লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে INTTUC-র ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই অভিযোগ। সম্প্রতি এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন শ্রমিকরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতাকে নিশানা করেছেন দলেরই আর এক নেতা। যদিও সকল অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন অভিযুক্ত। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকে ১৫টি কোল্ড স্টোর রয়েছে। বছরের এই সময়টা হিমঘরে আলু মজুতের কাজ হয়। প্রচুর শ্রমিক সেই সময় আলু লোড/আনলোডের কাজ করেন। অভিযোগ উঠেছে সেই শ্রমিকদের (Labours) থেকেই নাকি টাকা নিচ্ছেন INTTUC-র ব্লক সভাপতি। অভিযোগের তীর অনুপম ঘোষ (Anupam Ghosh) ওরফে পিন্টুর দিকে। এই প্রসঙ্গে কার্তিক প্রামাণিক নামের এক শ্রমিক জানান, ব্রিগেড যাওয়ার জন্য তাঁদের ৪০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে ফের টাকা দিতে হবে। কার্তিকের কথায়, ‘তৃণমূল সভাপতি এসেছিল। কখনও নিরুপমদা আসেন। আপনারা কিছুই বোঝেন না শ্রমিক শ্রেণি। যেটা বলছি সেটা করুন। আগের বছরই দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বলছে ব্রিগেড যাওয়ার জন্য ৪০০ টাকা দিতে হবে। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে ফের টাকা চেয়েছেন’। আরও পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে তবেই CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক! প্রাক্তন রাজ্যপালের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় শ্রমিকদের এই সকল অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি অভিযুক্ত অনুপম। তাঁর দাবি, টাকা নেওয়া হয়নি। INTTUC-র ব্লক সভাপতির কথায়, ‘১ বছর হল আমি দায়িত্ব পেয়েছি। খোঁজ করে দেখলে বুঝতে পারবেন কোথাও টাকা নেওয়া হয়নি। ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্রমিকদের স্বার্থে একটা সম্মেলন হয়। টাউন হল ভাড়া করা হয়েছিল। তখন ব্লক সভাপতি হীরালালবাবুকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন। উনি যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। তখন আমি শ্রমিকদের মাছ ভাত খাইয়েছি। কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় ২-৫ টাকা দেয়, তাহলে সেটা কি অন্যায়?’ অন্যদিকে শ্রমিকদের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়িয়েছেন ব্লক সভাপতি হীরালাল ঘোষ। একটি নির্দেশিকা জারি করে তিনি বলেছেন, টাকা তোলা বন্ধ করতে হবে। হীরালালের কথায়, তাঁর কাছে প্রচুর শ্রমিক অভিযোগ করেছেন। শ্রমিকের সংখ্যাটা হাজারেরও বেশি। প্রত্যেকের থেকে যদি ১০০ টাকা করে নেওয়া হয় তাহলে কত টাকা হয়? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এখানেই না থেকে হীরালাল বলেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে জানাই এই টাকা নেওয়া যাবে না’।
DY Chandrachud : মেজাজ হারালেন চন্দ্রচূড়, সিনিয়র লইয়ারদের তুমুল ধমক
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মাঝে মধ্যেই মেজাজ হাড়িয়ে ফেলেন এজলাসে। তবে গত সোমবার আগের সমস্ত নজিরকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। নির্বাচনী বন্ড মামলার শুনানিতে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকায় তিন জন সিনিয়র আইনজীবীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সিনিয়র আইনজীবী বলে তাঁদের বাড়তি কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না।
দুধ ব্যবসায়ী থেকে প্রোমোটার! সামলাতেন TMC কাউন্সিলরের ব্যবসা, ধৃত ওয়াসিমকে নিয়ে তথ্য ‘ফাঁস’
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। (Garden Reach Building Collapse)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নির্মিয়মান বহুতল ভেঙে এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে থাকার আশঙ্কা আরও কিছুজনের। ওই বহুতল যে বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছিল ইতিমধ্যেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে। গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের প্রায় আট ঘণ্টা পর মহম্মদ ওয়াসিম ওরফে ওয়াসি-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রোমোটারের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, বাড়ি তৈরিতে গাফিলতি, স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কলকাতার মেয়র তথা স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ হাকিমকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। খাস কলকাতার মত জায়গায় কী করে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ? প্রশাসনের ভূমিকা কী? এমনই হাজার প্রশ্ন সামনে আসছে। প্রশ্ন উঠছে ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে নিয়েও। কে এই ওয়াসিম? অনুমোদন ছাড়াই এলাকায় বহুতল বানিয়ে ব্যবসা? কার হাত রয়েছে এই প্রোমোটারের মাথায়? সূত্রের খবর, রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ ওয়াসিম। প্রথম জীবনে নাকি তিনি দুধের ব্যবসা করতেন। তারপর হঠাৎই পরিবহণে যোগ। আর তারপর একলাফে গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্মাণের ব্যবসা শুরু। বেশ কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে রমরমিয়ে চলছিল তার নির্মাণের ব্যবসা। সামান্য দুধ ব্যবসায়ী থেকে এলাকার দাপুটে প্রোমোটার হয়ে ওঠেন এই ওয়াসিম। তবে ব্যবসায়ী ওয়াসিমের ব্যবসার পরিধি এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। শেয়ার মার্কেটে টাকা ঢালতেন তিনি। স্ত্রীর নামে জামাকাপড়ের ব্যবসাও খুলেছিলেন প্রোমোটার। আর এই ওয়াসিম শাসকদলের বেশ ঘনিষ্ঠ বলেও তথ্য সামনে আসছে। জানিয়ে রাখি, বর্তমানে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের ব্যবসা দেখভাল করতেন ওয়াসিম। শাসকদলের নেতাদের সঙ্গেই নাকি ওঠাবসা ছিল তার। টানা ন’বছর নাকি জেলেও ছিলেন এই প্রোমোটার। আরও পড়ুন: ক্লাস নেওয়ার সময় নো মোবাইল! শিক্ষকদের ছুটিতেও কড়াকড়ি, বিচারপতি বসুর ভিজিটেই অ্যাকশন গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে নিরপরাধ সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবালের গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রাম বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কোন প্রভাবশালীর মদতে ওয়াসিমের এত বাড়বাড়ন্ত উত্তর খুঁজছে পুলিশ। বেআইনি ভাবে নির্মাণের কথা কার্যতই স্বীকার করে নিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা মমতার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে বামেদের ওপর দোষ চাপিয়ে মেয়রের দাবি, সিপিএম জামানা থেকেই এখানে বেআইনি নির্মাণ চলছে। তবে তৃণমূল জামানায় এসে সব জেনেও ফিরহাদ কেন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন না সেই বিষয়ে অবশ্য কারও জানা নেই। উল্টে স্থানীয় কাউন্সিলরকে দোষ দিতে নারাজ ফিরহাদ। মেয়রের কথায়, ‘‘কোন গলিতে বেআইনি ভাবে কী তৈরি হচ্ছে, সেটা কাউন্সিলরের জানা সম্ভব নয়।” হ্যাঁ ঠিকই তো!
আর মাত্র কয়েক মাস! মেট্রো চলবে হাওড়া ময়দান টু সেক্টর ফাইভ! এল বড় আপডেট
বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত অংশে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে গঙ্গার নিচ দিয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে হাওড়াবাসী অপেক্ষায় ছিলেন এই মেট্রোর। এই মেট্রো লাইন শুরুর সাথে সাথে কলকাতা মেট্রোর মুকুটে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। ইতিহাস তৈরি করেছে কলকাতা মেট্রো। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো অংশটি দেশের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো সিস্টেম হয়ে উঠেছে। গত ১৫ই মার্চ থেকে বাণিজ্যিকভাবে মেট্রো চলাচল করছে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে। যদিও তার অনেক আগেই মেট্রো পরিষেবা শুরু হয় শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। এখন সকলের অপেক্ষা হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো চলাচলের। আরোও পড়ুন : মে মাসেই মিলবে বকেয়া DA, কত দিনের? হঠাৎই বিরাট ঘোষণা করে দিল রাজ্য সরকার এসপ্লানেড থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত রুট বন্ধ রাখা হয়েছে বউবাজারে টানেল বিপর্যয়ের জন্য। এবার রেলের পক্ষ থেকে সেই সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত টানেলের। আশা করা হচ্ছে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই। আরোও পড়ুন : পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে তবেই CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক! প্রাক্তন রাজ্যপালের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-হাওড়া ময়দান মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে যেতে পারে নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে। উত্তর ২৪ পরগনা-কলকাতা-হাওড়া সংযোগকারী মেট্রো করিডরে পরিষেবা শুরু হয়ে যেতে পারে বড়দিনের আগেই। আর এই মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গেলে আমজনতা যে কতটা উচ্ছ্বসিত হবে তা বলাই বাহুল্য। টানেল বোরিং মেশিনের (টিবিএম) মাধ্যমে মাটি কাটার সময় বউবাজার এলাকায় মাটিতে ধ্বস নামে। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় টানেল একটা বড় অংশ। এরপর সেখানে জল প্রবেশ করে বন্ধ হয়ে যায় মাটির নিচের কংক্রিটের রাস্তা। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ সংযোগকারী এই টানেল মেরামতি করার জন্য চলছে ‘রেট্রো ফিটিং’-এর কাজ।
Most Polluted City: কলিজা পুড়ছে বিষ বাতাসে! বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর তকমা দিল্লির গায়ে
বিষিয়ে উঠছে বাতাস। শ্বাস নেওয়াই দায় হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লির। বিষিয়ে উঠেছে রাজধানীর বাতাস। সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লিতে বাতাসের গুণমান অত্যন্ত ভয়ঙ্কর মাত্রায় রয়েছে। বাতাসের খারাপ গুণগত মানের দিকে থেকে ভারতের স্থান তিন নম্বরে। সবচেয়ে দূষিত মেট্রোপলিটন শহর কোনটি? নয়া রিপোর্টে চমকে ওঠার মতো তথ্য। জানুন বিস্তারিত।
‘বিরোধীরাই BJP কে জেতাবে’! বাংলায় লোকসভার ফল নিয়ে বিষ্ফোরক PK, দিলেন ৭ যুক্তি
বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচারে কোনও খামতি নেই। শাসক-বিরোধী তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এমন আবহে বাংলাকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলেছে বিজেপি (BJP)। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচনে বাংলার ফলাফল কী হবে? কী ভবিষ্যদ্বাণী করছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)? আসন্ন নির্বাচনে ৪০০ এর বেশি আসন দখলের লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই চারদফায় বাংলা ঘুরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কর্মীদের ভোকাল টনিক থেকে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা, খামতি রাখা হয়নি কোনও কিছুতেই। একই সাথে আম জনতার স্বার্থে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিল্যান্যাসও করে গেছেন তিনি। এমন আবহে বাংলায় বিজেপি ঝড়ের ভবিষ্যদ্বাণী ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের। যদিও প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির দাবি অনুযায়ী, ৩৭০ আসন জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বাংলা দেখবে গেরুয়ার দাপট। পশ্চিমবঙ্গে দারুণ ফল করবে বিজেপি। এমনটাই মনে করছেন ভোট প্রকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তার কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক অভাবনীয় ফল আসতে চলেছে, যেটা বিজেপির পক্ষে যাবে।’ একই সাথে দক্ষিণ ভারতেও মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন : ‘কে দিয়েছে জানিনা…’, কোটি কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটল TMC, JDU প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক মহলে প্রশান্ত কিশোরের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সকলেই। সে ২০১৪ সালে মোদীর উত্থান হোক কী ২০২১ এ বাংলায় তৃণমূলের ফিরে আসা, এই সবকিছুতেই প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে তার মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজনৈতিক কারবারিরা। আরও পড়ুন : ‘ওষুধ তৈরীই আছে’, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টাইট করার হুঁশিয়ারি, বেফাঁস তৃণমূলের প্রাক্তন IPS প্রার্থী প্রসূন ইতিমধ্যেই একাধিক ইন্টারভিউ দিয়েছেন তিনি। এবং প্রায় সব জায়গাতেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আসন্ন লোকসভায় বিজেপিকে ঠেকানোর ক্ষমতা কারোরই নেই। এমনকি বাংলাতেও যে জয়ের পাল্লা যে বিজেপির দিকেই ঝুঁকে রয়েছে, তা পিকে-র কথাতেই স্পষ্ট। তার মতে, বিরোধীরাই মোদীর জয়ের পথ আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে। বিজেপির জয়ের কারণ হিসেবে ৭টি কারণও দেখিয়েছেন ভোট প্রকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ১. ভোট প্রচারে মমতাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করে সমস্ত কিছুর জন্য গোটা তৃণমূলকে দায়ী করার কৌশলকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পিকে। কারণ গত নির্বাচনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি মোদীর ‘দিদি ও দিদি’ কথাটা যে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেয়নি গেরুয়া শিবির সেটা ভালোই বুঝে গেছে। ২. রাজবংশী ভোট টানতে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানোর অঙ্ক বিজেপির দিকেই যাবে। কারণ মতুয়ার পর এটি বাংলার দ্বিতীয় বৃহত্তম তফসিলি জাতি (SC) সম্প্রদায়। আরও পড়ুন : স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিরাট ‘চমক’! বড় উপহার নিয়ে এল রাজ্য সরকার ৩. বাংলায় কংগ্রেস- সিপিএম এবং তৃণমূলের পৃথক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত আখেরে বিজেপিকেই লাভবান করবে বলে মনে করছেন পিকে। এক তো এতে ভোট ভাগ হবে এবং কিছু ভোট বিজেপির দিকেও আসতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। ৪. সিএএ নীতি বাংলার রাজনীতিতে বিজেপিকে শক্তিশালী করবে। বাংলাদেশ থেকে আসা বহু শরণার্থী বিজেপির মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে তাদের একটা বড় অংশের ভোট পাবে বিজেপি। ৫. পূর্বে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম যেমন তৃণমূলের হাতের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছিল তেমন এবার সন্দেশখালি হয়ে উঠবে বিজেপির ব্রহ্মাস্ত্র। সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূল ব্যাকফুটে। আরও পড়ুন : প্রথম দিনেই ফাঁস ফুড SI এর প্রশ্নপত্র! বাতিল হবে পরীক্ষা? প্রকাশ্যে বড় আপডেট ৬. ইতিপূর্বেই আমরা দেখেছি যে, তৃণমূল হোক বা সিপিএম, সকলেই মুসলিম ভোটকে নিজের দিকে টানার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছে। মূলত বাংলার হিন্দু ভোটারদের কথা সেভাবে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। আর এবার সেটাকেই কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। পিকের মতে, বাংলার হিন্দু ভোটার বিজেপির জন্য একটা এক্স ফ্যাক্টর হতে চলেছে। ৭. হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা তফশিলি তারাও এবার বিজেপির হয়ে ভোট দেবে বলে মনে করছেন পিকে। রাজবংশী, মতুয়ার পাশাপাশি জঙ্গলমহলের আদিবাসী ভোটও এবার বিজেপি পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
Electoral Bond Case : পোস্টে, ড্রপ বক্সে, বেনামে..., দাতা লুকোতে গুচ্ছের যুক্তি
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত সমসিত তথ্য জমা করেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই রিপোর্টে রয়েছে সমস্ত দাতা সংস্থার এক দীর্ঘ তালিকা। এমনকী কোন দল কত টাকা পেয়েছে তাও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রকাশ পায়নি দাতাদের নাম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি দাতাদের নাম প্রকাশের চরম বিরোধী।
BJP Candidate List : বাকি বাংলার ২২, উত্তর প্রদেশের ২৫, শীঘ্রই BJP-র নয়া প্রার্থীতালিকা
লোকসভা ভোটে BJP-র নতুন প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতে পারে যে কোনও সময়। সোমবার BJP-র কোর কমিটির বৈঠক বসে। এরপর মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নির্বাচনী কমিটি বৈঠকে বসবে। সেখানে সিলমোহর পড়তে পারে বাদবাকি রাজ্যের আসনগুলির প্রার্থীদের নামে। বাকি রয়েছে বাংলার ২২ এবং উত্তর প্রদেশের ২৫ লোকসভা আসন।
ক্লাস নেওয়ার সময় নো মোবাইল! শিক্ষকদের ছুটিতেও কড়াকড়ি, বিচারপতি বসুর ভিজিটেই অ্যাকশন
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাই কোর্টের বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) সারপ্রাইজ় ভিজ়িটের পরই জোরদার অ্যাকশনে শিক্ষা দফতর। এবার থেকে স্কুলে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকদের (Teachers) ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস মারফত একাধিক স্কুলে ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির ক্ষেত্রেও এবার থেকে কড়াকড়ি। কী ঘটেছিল? গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার পথে হঠাৎই গাড়ি থামিয়ে জেলার অন্যতম প্রাচীন বিদ্যালয় ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশনের ভেতরে ঢুকে যান যান। আর সেখানে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ! বিদ্যালয়ের বাইরের নর্দমায় মিড ডে মিলের ভাত! এরপর সোজা প্রধান শিক্ষকের ঘরে চলে যান তিনি। প্রধান শিক্ষকের কাছে রেজিস্টার বুক দেখতে চান বিচারপতি। আর তখনই জানতে পারেন সেদিন বিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত! একদিনে এতজন শিক্ষক কেন আসেননি? এই বিষয়ে জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বসু। এরপরই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে বিদ্যালয় গুলির জন্য। জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে সেই কড়াকড়ির কথা জানিয়ে একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। আরও পড়ুন: পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা করে তবেই CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক! প্রাক্তন রাজ্যপালের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এবার থেকে প্রধান শিক্ষকের থেকে অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষক কোনওরকম ছুটি নিতে পারবেন না। ছুটি নিলেও কী কারণে ছুটি, সেই বিষয়েও যাবতীয় তথ্য ও কাগজপত্র জমা করতে। পাশাপাশি স্কুলের রেজিস্টার খাতা আপ টু ডেট রাখার নির্দেশও জারি হয়েছে।
Child Adoption: 'বেটি পরায়া ধন' ধারণা অতীত! সরকারি তথ্যে দত্তকের নয়া ট্রেন্ডে এগিয়ে 'লক্ষ্মীরাই'
দেশে শিশু দত্তক নেওয়ার সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। গত দুই বছরে দত্তক নেওয়ার সংখ্যা প্রবণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও মেয়েদের দত্তক নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। পঞ্জাবের মতো রাজ্য এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের দত্তক নেওয়ার সংখ্যা বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে কত পুত্র ও কত কন্যা সন্তান হিসেবে দত্তক নেওয়া হয়েছে জানুন।
Lok Sabha Election: দক্ষিণে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া মোদী, ৫ রাজ্যে ১২০ ঘণ্টার মেগা প্ল্যানিং নমোর
দক্ষিণ ভারতে সেভাবে দাপট নেই বিজেপির। গত বছরই তাদের হাতছাড়া হয়েছে কর্নাটকের বিধানসভা। তবে বছরের শেষে তেলেঙ্গানায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। দ্বিগুণ হয়েছে তাদের প্রাপ্ত ভোট। সেই হাওয়াকে কাজে লাগিয়েই লোকসভায় ফায়দা তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তামিলনাড়ু, কেরলে ভোট বাড়ানোর লক্ষ্যেই মোদির দক্ষিণ ভারত সফর। এবার দক্ষিণে বিরোধীদের গড়ে পদ্ম ফোটাতে সক্ষম হবেন নমো?
মে মাসেই মিলবে বকেয়া DA, কত দিনের? হঠাৎই বিরাট ঘোষণা করে দিল রাজ্য সরকার
বাংলা হান্ট ডেস্ক : নতুন বছরে একাধিক সুখবর পেয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএ (DA)। মিলেছে আরও নানান সুবিধা। আগেই হরিয়ানা রাজ্য সরকারের (Goverment of Haryana) পক্ষ থেকে ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী মে’তে মাসে ‘এরিয়ার’ বা বকেয়া ডিএয়ের টাকাও পাবেন বলে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, একই সাথে দু’মাসের বকেয়া ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। যা শুনে ভীষণ খুশি সে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা (Goverment Employee)। সরকার তরফে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া ভাতা আসন্ন মে মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। সে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ২০২৪ সালের মে মাসে বর্ধিত ডিএ মিলিয়ে বেতন পাবেন। মে-তেই দু’মাসের বকেয়া ডিএ-ও প্রদান করা হবে তাদের। অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাও এই ভাবে তাদের ডিআর পাবেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসেই সরকারি কর্মীদের ডিএ চার শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ দফতর। অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারী মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি করেছে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্তমানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। আরও পড়ুন: আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি কলকাতায়! দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় কালবৈশাখী? আবহাওয়ার খবর ২০২৪ সালের মে থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সেই বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। আপাতত তারা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। ওদিকে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। সম্প্রতি যা বেড়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি কলকাতায়! দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় কালবৈশাখী? আবহাওয়ার খবর
বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীত যেতে না যেতেই খেল দেখাতে শুরু করেছে আবহাওয়া। গত দুদিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া রাজ্যের একাধিক জেলায়। কোথাও বৃষ্টি, তো কোথাও দমকা হাওয়া। আবহাওয়া দপ্তর (Weather Department) জানিয়েছে, আজও উত্তর, দক্ষিণের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি জারি থাকবে। কোথাও কোথাও উঠবে কালবৈশাখী। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্ন ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে বিস্তৃত রয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত৷ আর সাইক্লোনের জেরেই দুর্যোগ৷ আজ থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি হবে। শুক্রবার থেকে স্বাভাবিক হতে পারে পরিস্থিতি। আজ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের কোনো জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহযোগে হাল্কা থেকে মাাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পাশাপাশি ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। ওদিকে আজ মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কালবৈশাখীও হতে পারে। আজ ও আগামীকাল জারি থাকবে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। মঙ্গল, বুধবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। বিদর্ভ থেকে কেরল পর্যন্ত অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে প্রতিটি জেলাতেই। হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। আজ ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি হতে দমকা হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুন: প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব! মোদীকে চ্যালেঞ্জ, তোলপাড় ফেলে দিলেন অভিষেক ওদিকে চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা কমারও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। একধাক্কায় ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। আজ কলকাতাতেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৯ ও ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভুলে যান একঘেয়ে ট্রেন জার্নির কথা! চলছে টিভি, দেখা যাচ্ছে কার্টুন; শৈশবে ফিরছেন অফিসযাত্রীরা
বাংলাহান্ট ডেস্ক : লোকাল ট্রেনের উপর আমাদের ভরসা অপরিসীম। কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানো থেকে শুরু করে ঘুরতে যাওয়া, লোকাল ট্রেন আমাদের সবার কাছে লাইফ লাইন। লোকাল ট্রেনের এক একটি কামরা নিত্যযাত্রীদের কাছে এক একটি সংসারের সমান। প্রতিদিন লোকাল ট্রেনের কামরাগুলি নিত্যযাত্রীদের গল্প-গুজবে গমগম করে ওঠে। তবে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে যাত্রীদের একঘেয়েমি কাটাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। আগের মতো দম বন্ধ করা লোকাল ট্রেনের কামরা এখন আর নেই। হাওড়া-ব্যান্ডেল, হাওড়া বর্ধমান শাখায় আগের থেকে লোকাল ট্রেনের কামরাগুলি এখন আরো বেশি চকচকে। লোকাল ট্রেনের কামরায় রয়েছে আধুনিক সিট। প্রতিটি কামরায় রয়েছে কাঁচের জানলা। আরোও পড়ুন : ২৬ বছরে ছুটি মাত্র ১ দিন! বেসরকারি সংস্থার এই কর্মী নাম তুললেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে এমনকি কাঁচের দরজা। যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য ট্রেনের কামরায় বসানো হয়েছে টেলিভিশন। টেলিভিশনে চোখ রেখে যাত্রা সময়টাতে কিছুটা হলেও মনোরঞ্জনের আনন্দ পাচ্ছেন অফিস ফেরত ক্লান্ত প্যাসেঞ্জার থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়ারা। লোকাল ট্রেনের কামরায় টিভি বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। সেই মতো বেশ কিছু ট্রেনে বসানো হয়েছে টিভি। প্রতিটি কামরায় চারটি করে টিভি লাগানো হয়েছে। ২৮ ইঞ্চির টেলিভিশনগুলিতে চলছে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। রেল কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে চুক্তি করে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরফলে যাত্রীদের মনোরঞ্জনের সুবিধা হয়েছে অনেকটা। এই টিভিতে কখনো দেখানো হচ্ছে টম অ্যান্ড জেরি, চার্লি চ্যাপলিনের সিনেমার খণ্ডচিত্র, আবার কখনো চলছে গান ও নাচ। আবার কখনো চালানো হচ্ছে সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন।
আজকের রাশিফল ১৯ মার্চ, আর্থিক দিক থেকে উন্নতি এই তিন রাশির
বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal)-এর ওপর চোখ রেখে শুরু করুন আপনার দিন। রাশিফল হল জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি অন্যতম অঙ্গ। বহু মানুষ রাশিফলের দিকে নজর রেখেই পদক্ষেপ নেন জীবনে। কারণ, রাশিফলই আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে গোটা দিনের এক সামগ্রিক ছবি। পাশাপাশি, জীবনে চলার প্রতিটি পদক্ষেপে আপনার ভাগ্যের চাকা কোন দিকে ঘুরছে সে সম্পর্কেও আঁচ পেতে পারেন আপনি। এছাড়াও, সতর্ক হওয়া যায় আসন্ন বিপদ থেকেও। তাই, জেনে নিন কেমন যাবে আপনার দিনটি: মেষ রাশি: শারীরিক দিক থেকে আজ আপনি সুস্থ থাকবেন। আপনি আজ আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। পাশাপাশি, এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বাবা অথবা অন্যান্য অভিভাবকদের কাছ থেকে পরামর্শ চাইতে পারেন। বাড়ির কাজ শেষ করার জন্য বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আজ কোনো ঘটনা আপনার সুনাম নষ্ট করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে দিনটি ভালোভাবে অতিবাহিত হবে। আজকে হঠাৎই আপনার কোথাও সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আপনার কাছে অবসর সময় থাকবে না। প্রতিকার: প্রেমের জীবন সুখকর করে তুলতে ভগবান কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে কর্পূর দিয়ে আরতি করুন। বৃষ রাশি: প্রতিটি কাজ আত্মবিশ্বাসের সাথে করলে আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জমি এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যাগুলির দিকে আজ আপনাকে নজর দিতে হবে। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলার সময়ে আজ চোখ-কান খোলা রাখুন। কারণ, তাঁদের প্রতিটি পরামর্শ আপনার কাজে আসবে। ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে আজ আপনি একটি উপহার পেতে পারেন। পরিবারের ছোট সদস্যদের সাথে আজ আপনি অনেকটা সময় কাটাবেন। আজকের দিনটি আপনার বিবাহিত জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিকার: কেরিয়ারে অগ্রগতির লক্ষ্যে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে সরষে, সূর্যমুখী তেল এবং কালো ডাল অথবা কলাইয়ের ব্যবহার করুন। মিথুন রাশি: আপনি আজ একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তির কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করবেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আজ থেকেই অযথা অর্থব্যয়ের বদভ্যাস পরিত্যাগ করে সঠিকভাবে অর্থ সঞ্চয়ের প্রতি মনোযোগী হন। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। কোনো অংশীদারিত্বে দায়বদ্ধ হওয়ার আগে আজ সমস্ত বিষয় ভালোভাবে জেনে নিন এবং প্রতিটি দিক বিবেচনা করুন। জীবনসঙ্গীর সাথে ভালো সময় অতিবাহিত হবে। প্রতিকার: প্রেমের জীবন সুখকর করে তুলতে ভালোবাসার মানুষটির সাথে দেখা করার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এর ফলে শুক্রের সন্তুষ্টি হবে। কর্কট রাশি: আপনার যদি আজ বন্ধুদের সাথে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে সেক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করে অর্থব্যয় করুন। নাহলে আপনি আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। মন ভালো করার জন্য আজ আত্মীয় অথবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে কথা বলুন। সামগ্রিকভাবে দিনটি অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে কাটবে। পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রে আজ আপনি আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগকে ভালোভাবে কাজে লাগাবেন। প্রেমের জন্য দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। বিবাহিত জীবন সুখের হবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির জন্য খাবারে বেশি পরিমাণে লাল লঙ্কার ব্যবহার করুন। সিংহ রাশি: মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। অতীতের অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের কারণে আজ এই রাশির কিছু জাতক-জাতিকা আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। বন্ধুদের সাথে দিনটি ভালোভাবে কাটবে। পাশাপাশি, তাঁরা আজ আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু পরিকল্পনা করে দিনটিকে উজ্জ্বল করে তুলবেন। প্রেমের জন্য দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। কোনো ইন্টারভিউতে উপস্থিত হওয়ার পক্ষে আজ ভালো দিন। বিবাহিত জীবনে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নিজেরাই তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে একমুখী রুদ্রাক্ষকে সাদা সুতোয় বেঁধে পরুন। কন্যা রাশি: আপনি আজ অত্যধিক উত্তেজনার সম্মুখীন হতে পারেন। পাশাপাশি, কোনো নেশা আপনার স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। তাই, এদিক থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। পাশাপাশি, পূর্বে আপনার কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়েছিলেন এমন একজন ব্যক্তি আজ সেই অর্থ আপনাকে ফেরত দিতে পারেন। এই রাশির কিছুজনের পরিবারে আজ নতুন সদস্যের আগমন ঘটতে পারে। যার ফলে খুশির আমেজ বজায় থাকবে। ভালোবাসার মানুষটিকে আজ হতাশ করবেন না। আপনার আজ কোথাও ভ্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্ধাঙ্গিনীর সাথে দিনটি ভালোভাবে অতিবাহিত হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে প্রতিদিন সাদা রঙের পোশাক পরিধান করুন। তুলা রাশি: কোনো কারণে আজ আপনার মানসিক শান্তির ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যদিও, আপনার একজন বন্ধু এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনাকে সাহায্য করবে। মন ভালো রাখতে আজ ভালো গান শুনুন। যাঁদের সাথে থাকলে আপনার সময় এবং অর্থ উভয়েই নষ্ট হয় তাঁদের সঙ্গ অবিলম্বে পরিত্যাগ করুন। ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে আজ আপনি একটি উপহার পেতে পারেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। আপনি আজ খুব সহজেই কিছু নতুন জিনিস শিখতে পারবেন। বিবাহিত জীবন নিঃসন্দেহে সুখের হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে যেকোনও ভাবে সোনা বা হলুদ সুতো পরিধান করুন। বৃশ্চিক রাশি: আপনার মধ্যে আজ ভরপুর আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। তাই, এই দিনটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান। অতীতের অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের কারণে আপনি আজ আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। সন্তান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছুটা সময় কাটান। আপনি আজ অর্থ উপার্জনের জন্য নতুন কিছু সুযোগ খুঁজতে পারেন। আপনি আজ প্রতিটি কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে পারবেন। বিবাহিত জীবনে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নিজেরাই তা মিটে ফেলার চেষ্টা করুন। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির জন্য “ওম গম গণপত্তায় নমঃ” এই মন্ত্রটি প্রতিদিন ১১ বার পাঠ করুন। ধনু রাশি: পরিবারের সদস্যদের সাথে আজকের দিনটি দুর্দান্তভাবে অতিবাহিত হবে। কোনো ধর্মীয় কাজের জন্য এই দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আপনার বদনাম হতে পারে। ভালোবাসার মানুষটির অনুভূতিকে আজ বোঝার চেষ্টা করুন। আজকে আপনার হঠাৎই কোথাও সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আপনি অবসর সময় পাবেন না। আজকের দিনটি আপনার বিবাহিত জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির জন্য বেল গাছের শিকড় লাল অথবা কমলা রঙের কাপড়ে মুড়ে পকেটে রাখুন। আরও পড়ুন: Chanakya Niti: এই ৫ টি কথা স্ত্রী-রা কখনও জানতে দেন না স্বামীদের! সবসময় লুকিয়ে রাখেন তাঁদের কাছ থেকে মকর রাশি: শিশুদের কাছ থেকে আজ আপনি একটি অবাক করা খবর জানতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি খুব একটা ভালো নয়। তাই, এদিক থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। প্রেমের জীবনে আজ আপনি একটি চমকের সম্মুখীন হবেন। আপনি আজ অফিস থেকে দ্রুত বাড়িতে ফিরতে চাইলেও রাস্তায় অত্যাধিক ভিড়ের কারণে তা সম্ভব হবে না। কোনো বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অর্ধাঙ্গিনীর সাথে মনোমালিন্যের সম্ভাবনা থাকলেও পরে তা ঠিক হয়ে যাবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে তামার পাত্রে জল রেখে পান করুন। আরও পড়ুন: এই অক্ষরগুলি দিয়ে নাম শুরু হলেই জীবনে মিলবে বড় সাফল্য! দু’হাতে আসবে টাকা, কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? কুম্ভ রাশি: বাড়িতে আজ কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজনের কারণে আপনার বিপুল অর্থব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। আপনার আজ কোথাও সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। যেটির মাধ্যমে আপনি কিছু নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। কর্মক্ষেত্র প্রতিটি কাজ সতর্কতার সাথে করুন। বন্ধুদের সাথে দিনটি খুব একটা খারাপ কাটবে না। জীবনসঙ্গীর সাথে দিনটি ভালোভাবে অতিবাহিত হবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে ভগবান গণেশের আরাধনা করুন। মীন রাশি: শারীরিক সমস্যাগুলি আজ অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে আপনার বিপুল অর্থব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয় করে আসা অর্থ আজ কাজে লাগতে পারে। আপনি আজ খুব সহজেই সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারবেন। ব্যবসায়িক মিটিংয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে আজ কোনো কথা বলবেন না। আপনি আজ কোনো ধর্মীয় স্থানে গিয়ে অবসর সময়টি অতিবাহিত করতে পারেন। এর ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার জন্য সারারাত জলে বার্লি ভিজিয়ে রেখে সকালে তা পশুপাখিদের মধ্যে বিতরণ করুন।
২৬ বছরে ছুটি মাত্র ১ দিন! বেসরকারি সংস্থার এই কর্মী নাম তুললেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে
বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই ব্যক্তির জীবনের একমাত্র লক্ষ্য কাজ করা। গত ২৬ বছরের কর্ম জীবনে ছুটি নিয়েছেন মাত্র ১ দিন। তেজপাল সিং নামের এই বেসরকারি সংস্থার কর্মী তৈরি করেছেন অনন্য নজির। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা তেজপাল গত ২৬ বছরের কর্ম জীবনে একদিন মাত্র ছুটি নিয়েছেন কাজ থেকে। এই অনন্য নজির সৃষ্টি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে ফেললেন তেজপাল সিং। দ্বারিকেশ সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ট্রেনি ক্লার্ক হিসাবে কর্ম জীবন শুরু করেন তেজপাল সিং। ২৬ বছর পর এসে তিনি যে এমন একটি রেকর্ড করবেন তা হয়ত তিনি নিজেও জানতেন না। তেজপাল সিং এই সংস্থায় ১৯৯৫ সালে কাজ শুরু করেন। আরোও পড়ুন : ৫ বছরের জন্য SBI থেকে ১০ লক্ষ টাকার লোন নিতে চান? কত টাকা EMI দিতে হবে জেনে নিন সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটিসহ তেজপালের সংস্থা বছরে ৪৫টি ছুটি দিয়ে থাকে। তবে ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তেজপাল ছুটি নিয়েছেন মাত্র ১ দিন। ছোট ভাই প্রদীপ কুমারের বিয়ের সময় তেজপাল ২০০৩ সালের ১৮ জুন ছুটি নিয়েছিলেন। ব্যাস, এই ১ দিন। গত ২৬ বছরে এছাড়া আর একদিনও ছুটি নেননি তেজপাল। যৌথ পরিবারে বসবাস করেন তেজপাল সিং। দুই ভাই রয়েছে তাঁর। গোটা পরিবার একসাথে যৌথ ভাবে থাকে। দুটি ছেলে এবং দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে তেজপালের। পারিবারিক ও অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা মিটিয়ে তেজপাল সিং নিয়মিত অফিসে আসেন। স্পষ্ট ভাবে তেজপাল জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় তিনি কখনোই ছুটি নেবেন না।
Jio-Airtel-এর উড়বে ঘুম! এবার 5G ইন্টারনেট আনছেন আদানি? সামনে এল রিপোর্ট
বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের (India) অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের হলেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বর্তমান সময়ে তিনি তাঁর একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে ক্রমশ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করছেন। এমতাবস্থায়, তিনি তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায়শই খবরের শিরোনামে থাকেন। তবে, এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গৌতম আদানি খুব শীঘ্রই দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস মার্কেটে এন্ট্রি নিতে পারেন। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন খবর সামনে এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। স্পেকট্রাম নিলাম: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারতে পরবর্তী স্পেকট্রাম নিলাম শুরু হতে চলেছে আগামী ২০ মে। এই বিষয়ে DoT গত ৮ মার্চ একটি নোটিশ জারি করেছিল। এদিকে, আমরা যদি গতবারের স্পেকট্রাম নিলামের দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে অংশ নিয়েছিলেন গৌতম আদানি। এমতাবস্থায়, আবার নিলাম হতে চলেছে। তাই অনেক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, আদানি এবারেও এতে অংশ নেবেন। এছাড়াও, একটি রিপোর্টে এটাও দাবি করা হয়েছে যে 5G ইন্টারনেটের দিকে আদানির বিশেষ নজর রয়েছে। আরও পড়ুন: ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India” স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির ডেটা সেন্টার নিয়ে চলছে কাজ: কিছুদিন আগেই কর্মচারীদের সাথে একটি বৈঠকের সময়ে গৌতম আদানি জানিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণের কথা বিবেচনা করছেন। এর পাশাপাশি তিনি AI-ML এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাউড ক্যাপাবিলিটি নিয়েও কাজ করবেন। 5G ব্যান্ড নিয়েও একটানা কাজ করা হচ্ছে। মূলত, তিনি দেশে 5G ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান সুযোগে অংশ নিতে চান। এমতাবস্থায়, এটা স্পষ্ট যে গৌতম আদানি একটি নতুন ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন। আরও পড়ুন: হার মানবে সিনেমাও, আকাশ থেকে নেমে ৩৫ জলদস্যুকে জব্দ করল MARCOS! ভাইরাল ভিডিও Qualcomm-এর CEO-র সাথে বৈঠক: কয়েকদিন আগেই ভারতে এসেছিলেন Qualcomm-এর CEO ক্রিশ্চিয়ানো আমন। সেইসময়ে তিনি গৌতম আদানির সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে, গৌতম আদানিও X-এ এই সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করেছিলেন। তবে এই সাক্ষাৎও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন যে, খুব শীঘ্রই নতুন কোম্পানি নিয়ে হাজির হতে পারেন আদানি। যদিও এই বিষয়ে আদানি গ্রুপের তরফে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ফের দুর্ধর্ষ নজির গড়ে ভারতকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাল Tata Group! জানলে আপনিও করবেন প্রশংসা
বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) বর্ষীয়ান শিল্পপতি রতন টাটাকে (Ratan Tata) চেনেন না এমন ব্যক্তি রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তিনি তাঁর একাধিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায় সবসময় থাকেন খবরের শিরোনামে। শুধু তাই নয়, টাটা গ্রুপের (Tata Group) সাফল্যের পেছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি বিষয় উপস্থাপিত করব যেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। মূলত, টাটা গ্রুপ দেশের একমাত্র সংস্থা হয়ে উঠেছে যারা ভারতের মুখ বাঁচিয়েছে। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে খানিক চমকে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, টাটা গ্রুপ ভারতের একমাত্র সংস্থা হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ টি সংস্থার মধ্যে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। বিষয়টি একটু খুলে বলা যাক। বিদেশি গ্লোবাল ইনোভেশন সার্ভেতে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ কোম্পানির তালিকায় টাটাই একমাত্র ভারতীয় কোম্পানি হিসেবে স্থান পেয়েছে। মূলত ওই সমীক্ষাতে সেই সমস্ত সংস্থাগুলিকে স্থান দেওয়া হয়েছে যেগুলি আইডিয়েশনের উপর কাজ করে। অর্থাৎ, কোম্পানিগুলিতে নতুন নতুন আইডিয়ার ভিত্তিতে কাজ করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সার্ভেতে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী সেখানে স্থান করে নিয়েছে ২৫ টি মার্কিন সংস্থা। এর পাশাপাশি, চিনের মোট ৮ টি সংস্থা রয়েছে। আরও পড়ুন: ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India” স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির এমতাবস্থায় আমরা যদি ওই তালিকার শীর্ষ ১০ কোম্পানির দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে আমেরিকার ৬ টি কোম্পানি রয়েছে। পাশাপাশি, চিনের রয়েছে ২ টি কোম্পানি। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানির যথাক্রমে ১ টি করে কোম্পানি রয়েছে। এদিকে, তালিকায় শীর্ষ ২০ সংস্থার মধ্যে টাটা গ্রুপই একমাত্র ভারতীয় সংস্থা। যেটি ২০ নম্বর স্থানে রয়েছে। আরও পড়ুন: IPL-র আগে ঝড় তুললেন রিঙ্কু সিং! ফিল সল্টও দেখালেন কামাল, স্বস্তিতে KKR প্রথম স্থানে রয়েছে এই কোম্পানি: উল্লেখ্য যে, এই তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছে আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি Apple। পাশাপাশি, দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের হিসেবে বিবেচিত ইলন মাস্কের টেসলা।
৫ বছরের জন্য SBI থেকে ১০ লক্ষ টাকার লোন নিতে চান? কত টাকা EMI দিতে হবে জেনে নিন
বাংলাহান্ট ডেস্ক : হঠাৎ করে অর্থের প্রয়োজন হয়ে গেলে আমরা ব্যাংকের শরণাপন্ন হই। সেক্ষেত্রে পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণের উপর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভরসা করতে হয় আমাদের। তবে আপনার যদি হঠাৎ করে ১০ লক্ষ টাকার ঋণের প্রয়োজন হয়, তাহলে মাসে কত টাকা ইএমআই দিতে হবে সে সম্পর্কে কি ধারণা আছে? ভারতের সবথেকে বৃহত্তম পাবলিক সেক্টর ব্যাংক হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই ব্যাংকে। এই ব্যাংক আকর্ষণীয় সুদের হারে লোন প্রদান করে থাকে। ক্রেডিট স্কোরের উপর নির্ভর করে পার্সোনাল লোনের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়। ১১.১৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ১৪.৩০ শতাংশ হতে পারে সুদের হার। আরোও পড়ুন : বিনিয়োগ করুন সামান্য কটা টাকা! মাস গেলে আসবে ১৫ হাজার, দুর্দান্ত এই স্কিমে মালামাল হবেন আপনিও স্টেট ব্যাংকে স্যালারি অ্যাকাউন্ট থাকলে ১১.১৫ থেকে ১১.৬৫ শতাংশ অবধি সুদে লোন মিলতে পারে। এক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ঋণ নিলে প্রতি মাসে ইএমআই বাবদ দিতে হবে ২১,৭৪২.০০ টাকা। পাঁচ বছরে গ্রাহককে মোট সুদ প্রদান করতে হবে ৩,০৪,৫৪৫.৩৮ টাকা। আসল ও সুদ মিলিয়ে পাঁচ বছরে গ্রাহক মোট ১৩,০৪,৫৪৫.৩৮ টাকা পরিশোধ করবেন। পাঁচ বছরের জন্য ১১.১৫ শতাংশ হারে ১০ লক্ষ টাকার লোন নিলে প্রতি মাসে গ্রাহককে ইএমআই বাবদ দিতে হবে ২১,৮১৭ টাকা। যদি পাঁচ বছরের জন্য ১১.৬৫ শতাংশ হারে ১০ লক্ষ টাকার লোন নেওয়া হয়, তাহলে প্রতি মাসে ইএমআই বাবদ প্রদান করতে হবে ২২,০৬৮ টাকা।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটি! অংশ নিলনা ভারত
বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি বাষ্ট্রসংঘে (United Nations) এক বিশেষ বিল নিয়ে আসা হয়। সেখানে সারাবিশ্বের মুসলিমদের ওপর ঘটে যাওয়া হিংসা এবং বিদ্বেষ এড়াতে বিশেষ প্রস্তাব আনা হয়। বাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে নিয়ে আসা বিলের মূল উদ্দেশ্য ইসলাম-বিদ্বেষের বিরোধিতা করা। এবং সেখানে এও বলা রয়েছে যে, রাষ্ট্রসংঘ যেন বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয় এবং সেখানে বিশেষ দূতও নিয়োগ করে। পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan) এই প্রস্তাব নিয়ে আসে। অবাক করার মতো বিষয় এই যে, প্রস্তাবে সমর্থন জোগায় চিন এবং রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘে আসা এই প্রস্তাবে মোট 115 টি দেশ ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করে। তবে ভারত (India) এবং বেশ কয়েকটি দেশ এই প্রস্তাবে অসম্মত হয় এবং ভোটদানে বিরত থাকে। ভারত কেন এই প্রস্তাবে সামিল হয়নি তার পক্ষে যুক্তি দেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ। বিষয়টি সম্পর্কে রুচিরা কাম্বোজ বলেন যে, একটি বিশেষ ধর্মকে নিয়ে আসা প্রস্তাবের সমর্থন করেনা ভারত সেজন্যই ভোটে অংশগ্রহণ করেননি তারা। হিন্দু, বৌদ্ধ, পার্সি সহ আরও কয়েকটি ধর্মের মানুষ প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশে। তাই সমস্ত ধর্মের ওপর হামলা বন্ধ করার প্রস্তাব এলে ভারত সেখানে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতো। আরও পড়ুন : প্রথম দিনেই ফাঁস ফুড SI এর প্রশ্নপত্র! বাতিল হবে পরীক্ষা? প্রকাশ্যে বড় আপডেট অবশ্য শুধু ভারত নয়, একইসাথে ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন-সহ আরও ৪৪টি দেশ। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অন্দরে CAA লাগু হওয়ার কারণে প্রস্তাবটি নিয়ে বিশেষ সতর্ক ছিল ভারত। এছাড়া জানিয়ে রাখি যে, এর আগেও ইসলামোফোবিয়ার বিরোধিতা করে দুইবার বিল নিয়ে আসা হয় কিন্তু সেবার বিল পাস হয়নি।
Holi Weather : হোলির আগেই নাভিশ্বাস গরম! ৩৩ ডিগ্রি ছোঁবে তাপমাত্রার পারদ
মার্চের চলতি সপ্তাহে ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় দেখা যাবে বিরাট ফারাক। দিল্লি সহ উত্তর ভারত জুড়ে হোলির আগেই বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চলতি সপ্তাহের শেষেই ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ ছোঁবে। কোনওরকম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই দিল্লিতে। জেনে নিন বিস্তারিত আবহাওয়ার আপডেট...
প্রথম দিনেই ফাঁস ফুড SI এর প্রশ্নপত্র! বাতিল হবে পরীক্ষা? প্রকাশ্যে বড় আপডেট
বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment) নানাবিধ অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর এই আবহে গত ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে খাদ্য দফতরে সাব ইন্সপেক্টর বা SI-র চাকরির পরীক্ষা (Food SI Exam)। আর সেই পরীক্ষাতেও হল ভরপুর দুর্নীতি। পরীক্ষার আগেই পেপার লিক হওয়ার প্রতিবাদে ফের একবার সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উল্লেখ্য, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির বহর দেখে হতাশ রাজ্যের বেকার যুবসমাজ। এমন পরিস্থিতিতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আশার আলো জাগিয়েছিল। মাত্র ৪৮০টি পদের জন্য প্রায় ১৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী ফর্ম পূরণ করেছিল। মোট ৬ শিফটের এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র নিয়ে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল PSC। পরীক্ষার শিডিউল পরপর থাকায় প্রশ্নপত্র বাড়ি নিয়ে আসতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল PSC। এতকিছুর পরেও প্রশ্নপত্র লিক করার অভিযোগে সরগরম রাজ্য। তবে কেবল প্রশ্নপত্রই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে SI পরীক্ষার ‘অ্যানসার কি’। বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা বাতিলের অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। নতুন করে পরীক্ষার আয়োজন করারও দাবি তুলছেন পরীক্ষার্থীরা। আরও পড়ুন : আজানের সময় হনুমান চালিশা বাজানোই হল কাল! দোকানে ঢুকে হিন্দু যুবককে বেধড়ক মারধর যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও অফিশিয়াল বিবৃতি জারি করেনি পাবলিক সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার এবং বুধবার রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করছে পরীক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে এই পরীক্ষা বাতিল করে নয়া পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। এই এই পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছভাবে হয় তার দিকেও পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে। আরও পড়ুন : স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিরাট ‘চমক’! বড় উপহার নিয়ে এল রাজ্য সরকার উল্লেখ্য, চলতি বছর খাদ্য দফতরের ফুড এসআই এর পরীক্ষার জন্য প্রায় ১৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। যেখানে সিট সংখ্যা ছিল ৪৮০। তবুও আশার আলো দেখেছিলেন অনেকেই। তবে এই ঘটনার পর ফের একবার মুষড়ে পড়েছে রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবসমাজ। প্রশ্ন উঠছে, স্বচ্ছতা কি এই রাজ্য ত্যাগ করেছে? যোগ্যরা কি কখনোই ন্যায্য অধিকার পাবেনা?
বিনিয়োগ করুন সামান্য কটা টাকা! মাস গেলে আসবে ১৫ হাজার, দুর্দান্ত এই স্কিমে মালামাল হবেন আপনিও
বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের প্রত্যেকেরই সঞ্চয় করা প্রয়োজন ভবিষ্যতের কথা ভেবে। বিশেষ করে জীবনের শেষ দিনগুলোর জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু প্ল্যান থাকে। যখন আমরা কাজ থেকে অবসর নেব তখন মাসিক রোজগার থাকাটা আবশ্যিক। তাই জন্য অনেকেই বিভিন্ন রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানে বিনিয়োগ করে থাকেন। যদি ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আপনার বয়স হয়, তাহলে প্রতিদিন মাত্র ৩০ টাকা করে সঞ্চয় করলে একটা সময়ের পর পাবেন আকর্ষণীয় মান্থলি রিটার্ন। এলআইসি স্কিম বা পোস্ট অফিস সেভিংস স্কিমে তার জন্য টাকা রাখার দরকার নেই। আপনি যদি প্রতিদিন ৩০ টাকা করে সঞ্চয় করেন তাহলে প্রতি মাসে ৯০০ টাকা করে আপনার সঞ্চয় হবে। আরোও পড়ুন : প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব! মোদীকে চ্যালেঞ্জ, তোলপাড় ফেলে দিলেন অভিষেক এর সাথে সামান্য কিছু টাকা যোগ করলেই সেটি এক হাজার টাকা হয়ে যাবে। এই ১০০০ টাকার যদি মান্থলি SIP করেন তাহলে পেয়ে যাবেন ১৫% পর্যন্ত রিটার্ন। এইভাবে যদি প্রত্যেক মাসে টাকা জমান তাহলে ১৫ বছর পর ৩২.৮ লক্ষ টাকার ফান্ড তৈরি হবে। অর্থাৎ মোটা টাকা জমতে পারে আপনার। তারপর সেই টাকা কোনও ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করলে বার্ষিক ৭ শতাংশ হারের কাছাকাছি সুদ পাবেন। সেই হিসাবে প্রতি মাসে ফিক্সড ডিপোজিট থেকে আপনার আয় হবে ১৫০০০ টাকার কাছাকাছি। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন, যে কোন বিনিয়োগ করার আগে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে তবেই করবেন।
ভারতে নেই প্রয়োজনীয় এজলাস কক্ষ, বিচারপতিরা পাননি সরকারি বাসস্থানও! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতে (India) বিচারব্যবস্থার গতি মন্থর। ফলে বিচার শুরু হলে তার নিষ্পত্তি হতেই সময় লাগে বছরের পর বছর। এতে কার্যত বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েন। ভারতের বিচারব্যবস্থার পরিকাঠামো সম্পর্কে দেশের শীর্ষ আদালতের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিং একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। ওই রিপোর্টে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শীর্ষ আদালতের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের পেশ করা ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারতের আদালতগুলিতে যথেষ্ট সংখ্যক এজলাস নেই। যত সংখ্যক এজলাস কক্ষ থাকা উচিত তার চেয়ে ৪,২৫০ টিরও কম সংখ্যক এজলাস কক্ষ রয়েছে। এছাড়া বিচারক বা বিচারপতিদের জন্যে সরকারি বাসস্থানেরও রয়েছে অভাব। সূত্রের খবর অনুসারে, সারা দেশের জেলাগুলির আদালতে বিচার করার জন্য অনুমোদিত বিচারকের সংখ্যা ২৫,০৮১জন। বিচারকদের বিচার করতে হলে এজলাসকক্ষ থাকা অত্যন্ত জরুরি একথা বলাবাহুল্য। এদিকে শীর্ষ আদালতের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিং যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক এজলাস কক্ষই নেই। এছাড়া অন্তত ৬ হাজারের বেশি বিচারকের থাকার জন্য সরকারি আবাসনও নেই। মূলত, দেশের কোন রাজ্যগুলোতে কত সংখ্যক এজলাস কক্ষের অভাব এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিং। সেই অনুযায়ী জম্মু কাশ্মীরে এবং লাদাখে ৪০.৭৮ শতাংশ কম এজলাস কক্ষ রয়েছে। এছাড়া জম্মু কাশ্মীর এবং দিল্লিতে বিচারকদের বসবাসের জন্যে সরকারি আবাসন ৬১ শতাংশ কম রয়েছে। সূত্রের খবর, সারা দেশের মধ্যে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় এজলাস কক্ষের সবচেয়ে সঙ্কটজনক অবস্থা। প্রয়োজনের থেকে ত্রিপুরায় ৩৫.৯৩ শতাংশ কম এজলাস কক্ষ কম হয়েছে। এমতাবস্থায়, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন কবে হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শীর্ষ আদালতের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের তরফে এও বলা হয়েছে, বিচারব্যবস্থা পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে উদ্যোগ নিতে হবে। এজলাস কক্ষ এবং বিচারকদের সরকারি বাসস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করার জন্যে রাজ্য সরকারগুলিকে জমির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা না হওয়ার ফলে আদতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আরও পড়ুন: খুলে যাচ্ছে নতুন দিগন্ত! ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি পৌঁছবে ৩৫,২০০ কোটিতে, হতে চলেছে বিপুল বিনিয়োগ উদাহরণ হিসেবে শীর্ষ আদালতের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড প্ল্যানিং যে রিপোর্টটি পেশ করেছে, তাতে ভারতের বিচারব্যবস্থার পরিকাঠামোর করুণ হালের উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, বিহারের বিহারশরিফ জেলা আদালতে বিচার চলাকালীন এজলাস কক্ষের দেওয়াল ভেঙে পড়ে একজন মহিলার মৃত্যুর মতো দুভার্গ্যজনক ঘটনাও ঘটেছে। আরও পড়ুন: বিশ্বে সবথেকে বেশি গৃহহীন মানুষ রয়েছেন এই দেশে! তালিকায় একাধিক পড়শি দেশ, ভারতের স্থান কত? উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনের প্রচারে দেশের শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নানা ইস্যুতে পরস্পরকে দোষারোপ করবে, এটাই নির্বাচনী ট্র্যাডিশন। যদিও বিচারব্যবস্থার পরিকাঠামোগত অপ্রতুলতা নিয়ে এপর্যন্ত নীরব সমস্ত রাজনৈতিক দল। এদিকে, ১৯০ বছর ব্রিটিশ শাসকরা ভারতকে পদানত করে রাখার পর স্বাধীনতার সাড়ে সাত দশক অতিক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিচারব্যবস্থার পরিকাঠামোর যে হাল সেটা ভারতবাসীর প্রকৃত স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব! মোদীকে চ্যালেঞ্জ, তোলপাড় ফেলে দিলেন অভিষেক
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দামামা বেজে গিয়েছে। জেলায় জেলায় গিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিন কয়েক আগেই বিজেপিকে (BJP) সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্বেতপত্র প্রকাশের পাশাপাশি মুখোমুখি তর্কের বসার চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। পদ্ম-শিবির সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেও তাঁদের কোনও প্রতিনিধিকে অভিষেকের নির্ধারিত স্থানে পাঠানো হয়নি। এবার সেই নিয়ে ফের সুর চড়ালেন তৃণমূল (TMC) নেতা। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের সভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার ক্ষমতা কেন হচ্ছে না? বিজেপির তো অভিযোগ, তৃণমূল টাকা খেয়ে নিচ্ছে। আমার এতটুকু জিজ্ঞাস্য, ৩ বছর বাংলায় কত টাকা ছেড়েছেন? ১০ পয়সার হিসেব দিন। প্রমাণ করতে পারলে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি ছেড়ে দেবে’। আরও পড়ুনঃ রাজীব কুমার অতীত! ভোটের আগে রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি বিবেক সহায়, কে এই ব্যক্তি? এখানেই না থেমে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘বিজেপির সেজ-মেজ যে কোনও নেতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম। বিজেপি ১০০ ঘণ্টা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি, তাহলে কে ঠিক বলছে, কে ভুল? ২০ জনকে বোঝানোর দায়িত্ব দিলাম। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারছে না’। এখানেই না থেমে গঙ্গারামপুরের সভা থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের একটি ‘টাস্ক’ও দেন তৃণমূল ‘সেনাপতি’। অভিষেক বলেন, আপনারা ২০ জনের দায়িত্ব নিন। সেই ২০ জনকে গিয়ে বোঝান যে এনারা আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারলো না। তাঁদের গ্যারান্টি কি আপনারা নেবেন? এই বক্তব্যের মাধ্যমেই ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ নিয়েও পদ্ম-শিবিরকে নিশানা করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল সরকার দুই দিনাজপুরে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে তা নিয়ে এদিন কথা বলেন অভিষেক।
‘বেআইনি নির্মাণচক্রের মাফিয়া ফিরহাদ, এর ED, CBI তদন্ত হোক’, গার্ডেনরিচ নিয়ে বিপাকে মেয়র?
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচের ফতেহপুর ব্যানার্জি পাড়া লেনে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। (Garden Reach Building Collapse)। নির্মিয়মান বহুতল ভেঙে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই বহুতল যে বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছিল ইতিমধ্যেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার বন্দর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং (Rakesh Singh)। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) কাঠগড়ায় তুললেন রাকেশ সিং। তাঁর দাবি, এলাকার বিধায়ক তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম মদতেই বন্দর এলাকাজুড়ে দাপিয়ে চলছে বেআইনি নির্মাণ চলছে। তার দাবি, মোটা টাকায় বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সম্পত্তি। আর যার ৫০-৬০% যায় ফিরহাদের পকেটে। বিজেপি নেতার আরও দাবি, এভাবে বেআইনি নির্মাণ থেকে বিপুল পরিমানে টাকা আদায় করছে ফিরহাদ। আর সেই টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এই গোটা ঘটনা নিয়ে আগেই তিনি ED – CBIকে চিঠি দিয়ে নিজের অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন রাকেশ সিং। কেবল দাবিই নয়, এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রমাণ হিসেবে একাধিক কাগজও দেখান বিজেপি নেতা। রাকেশবাবুর দাবি, এই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার ইডি ও সিবিআই তদন্ত হোক। এদিন কলকাতার মেয়রকে বেআইনি নির্মাণচক্রের মাফিয়া বলেও আক্রমণ করেন রাকেশ। এদিন নির্মাণ বিপর্যয়ের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা বহুতলটি আশপাশের বেশ কিছু ঝুপড়ি উপর ভেঙে পড়ায় বিপর্যয় ঘটে। আরও পড়ুন: রাজীব কুমার অতীত! ভোটের আগে রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি বিবেক সহায়, কে এই ব্যক্তি? খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান এলাকার বিধায়ক তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিপর্যয়ের খবর পেয়ে সেখানে যান দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়। এদিন সেখানে অসুস্থ অবস্থাতেই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। মৃতের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুলে যাচ্ছে নতুন দিগন্ত! ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি পৌঁছবে ৩৫,২০০ কোটিতে, হতে চলেছে বিপুল বিনিয়োগ
বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চায় ভারত (India) হু হু করে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-র সাফল্যে বিশ্বমঞ্চে ভারতের গৌরবও বেড়েছে। মহাকাশকে কেন্দ্র করে ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economy) আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাপক বিকশিত হবে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ২০৩৩ সালের মধ্যে ৩৫,২০০ কোটি বা ৪৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার ভারতের মহাকাশ দফতরের অধীনে থাকা একটি স্বশাসিত নোডাল এজেন্সি। সূত্রের খবর, বর্তমানে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ৬,৭০০ কোটি টাকার। ২০২৪ সাল থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় ভারতের মাটিতে মহাকাশ অর্থনীতি কয়েকগুণ বিকশিত হবে। এদিকে, ভারত নানা ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণায় দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারত বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেও বদ্ধপরিকর। খবর অনুযায়ী, মহাকাশ চর্চায় আগামী ৯ বছরে ভারতে ১৭,৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার বা ইন-স্পেস-এর চেয়ারম্যান ড. পবন গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, “মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণকে গুরুত্ব দিতে কৌশল গৃহীত হয়েছে। মহাকাশ অর্থনীতির সফল রূপায়ন ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ধারণাকে ভবিষ্যতে শক্তিশালী করবে”। আরও পড়ুন: বিশ্বে সবথেকে বেশি গৃহহীন মানুষ রয়েছেন এই দেশে! তালিকায় একাধিক পড়শি দেশ, ভারতের স্থান কত? উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে ভারত সরকার ভারতের মহাকাশ নীতি তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি এবং মহাকাশ দফতরের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, “২০৪০ সালের মধ্যে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ৪০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে”। এদিকে, ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান ২০২০ সাল থেকে সমৃদ্ধি লাভ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০২০ সালে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ছিল ৯.৬ বিলিয়ন ডলারের। যা বিশ্বের মহাকাশ অর্থনীতির ২ থেকে ৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০২৫ সাল থেকে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি বিকশিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যেটি ১৩ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতি ১০ শতাংশ বিকশিত হবে। আরও পড়ুন: ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India” স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির জানিয়ে রাখি যে, ভারতে মহাকাশ ক্ষেত্র নিয়ে স্টার্টআপের সংখ্যা ২০১২ সালের পর থেকে ক্রমাগত হারে বাড়ছে। সূত্রের খবর, ২০১২ সালে ভারতে মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে স্টার্টআপের সংখ্যা ছিল মোটে একটি। ২০২৩ সালে স্টার্ট আপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৯টিতে।কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০২১ সালে স্টার্টআপগুলির ফান্ড ছিল ৬৭.২ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে স্টার্টআপগুলির ফান্ড দাঁড়ায় ১২৪.৭ মিলিয়ন ডলারে। মহাকাশ ক্ষেত্রে আগামী ১০ বছরে স্টার্টআপ আরও বিকশিত হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ভারতে মহাকাশ অর্থনীতির বিকাশের ফলে আগামীদিনে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে। ভারতে জিডিপির ০.০৪ শতাংশ মহাকাশ ক্ষেত্রে ব্যয় হয়। এক্ষেত্রে সারা বিশ্বের নিরিখে ভারত সপ্তম স্থানাধিকারী বলে জানা গিয়েছে।
রাজীব কুমার অতীত! ভোটের আগে রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি বিবেক সহায়, কে এই ব্যক্তি?
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে শোরগোল! সোমবার আচমকাই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরানোর কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গেই বিকেল ৫টার মধ্যে বিকল্প তিনটি নাম চেয়ে পাঠানো হয়। কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ডিজি পদের জন্য তিনজনের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। এবার তাঁদের মধ্যে থেকে বিবেক সহায়কে (Vivek Sahay) বেছে নেওয়া হল। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের তরফ থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তার প্রথম নামটাই ছিল বিবেকের। সেই বিবেককেই রাজীবের উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিল কমিশন। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন বিবেক। ১৯৮৮ ব্যাচের এই IPS অফিসারকেই এবার রাজ্য পুলিশের ডিজি (West Bengal DGP) পদে আসীন করা হল। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিবেককে ডিজি (হোমগার্ড) পদে নিয়োগ করা হয়। জানা যাচ্ছে, বিবেক ছাড়াও আরও দু’জন সিনিয়র IPS অফিসারের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং রাজেশ কুমারকে বাদ দিয়ে বিবেককেই শেষ অবধি বেছে নেয় কমিশন। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বর্তমানে রাজ্য দমকল বিভাগের ডিজি। অপরদিকে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রধানের পদে আসীন রাজেশ। আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে DA মামলায় শুনানি! কী রায় দিল শীর্ষ আদালত? কপাল খুলল সরকারি কর্মীদের? প্রসঙ্গত, গত শনিবার থেকেই গোটা দেশজুড়ে লাগু হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি। আসন্ন লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করানোর বিষয়ে কমিশন (Election Commission of India) যে বদ্ধপরিকর তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। গোটা দেশ জুড়ে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়া হল। এছাড়া ৬টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং হিমাচল প্রদেশ এবং মিজোরামের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিভাগের সচিবদেরও সরানো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজীব কুমারকে ফের রাজ্যের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পদে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নির্বাচন সম্বন্ধিত কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না রাজীব। তবে এই প্রথম নয়, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তদানীন্তন পদ থেকে সরানো হয়েছিল তাঁকে। এরপর উনিশের লোকসভা ভোটের আগে ডেপুটেশনে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজীবকে।
Eid Ul Fitr 2024 : কব্জি ডুবিয়ে হালিম-শিমুই! রমজান শেষে ভারতে কবে খুশির ইদ
চলছে পবিত্র রমজান মাস। রোজা রেখেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। একমাস ধরে কঠোর সংযম করে আল্লাহর উদ্দেশে প্রার্থনা করছেন তারা। রমজান শেষে কবে পালিত হবে খুশির ইদ অর্থাৎ ইদ-উল-ফিতর। ভারতে কবে পালিত হবে এই উৎসব? সম্ভাব্য তারিখ জানা গেলেও সমস্তটাই নির্ভর করে চাঁদ দেখার সময়ের উপর।
Lok Sabha Election 2024: লোকসভায় কোন ৫ ইস্যুতে শাসক-বিরোধী আকচা-আকচি? জানুন প্রচারের 'কি ফ্যাক্টর'
লোকসভা নির্বাচনের ঘণ্টি বেজে গিয়েছে। একাধিক ইস্যুতে শাসক-বিরোধী আকচা-আকচি অব্যাহত। প্রচার পর্বে সেই সব ইস্যুগুলিকেই তুলে ধরে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছে শাসক শিবির। পাল্টা বিরোধীরাও পিছিয়ে নেই। একই ইস্যুতে আক্রমণ শানানো হচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দলকে। কোন কোন পাঁচ বিষয় এবার শাসক-বিরোধী শিবিরের দড়ি টানাটানির মূল কারণ? জেনে নিন বিস্তারিত।
চুরির আপরাধে ছাত্রীর কাপড় খুলে তল্লাশির অভিযোগ, লজ্জায় চরম সিদ্ধান্ত নাবালিকার
শিক্ষার বদলে লজ্জা। স্কুলে শিক্ষকের নির্যাতন। জোর করে কাপড় খুলতে বাধ্য করেন শিক্ষক। লজ্জায় আত্মঘাতী কিশোরী। কর্ণাটকের একটি স্কুলের ঘটনা। নির্যাতনের ঘটনা আগেও বেশ কিছু স্কুলে ঘটেছে। আগেও ঘটেছে আত্মহত্যার ঘটনা। ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। কিশোরীর আত্মহত্যার জন্য দায়ী কে? এ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
বিশ্বে সবথেকে বেশি গৃহহীন মানুষ রয়েছেন এই দেশে! তালিকায় একাধিক পড়শি দেশ, ভারতের স্থান কত?
বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাথার ওপর ছাদ থাকা পৃথিবীর সবদেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু, বর্তমানে বিশ্বের (World) নানা দেশে অসংখ্য নাগরিক এই অধিকার থেকে বঞ্চিত। আফ্রিকার (Africa) সবচেয়ে জনবহুল দেশ হল নাইজেরিয়া (Nigeria)। তবে, সর্বোচ্চ সংখ্যক গৃহহীন মানুষের বসবাস নাইজেরিয়াতেই। ইতিমধ্যেই “ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ” বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কত সংখ্যক নাগরিক গৃহহীন রয়েছেন সেই রিপোর্ট পেশ করেছে। ওই রিপোর্ট অনুসারে, নাইজেরিয়ার বাসিন্দা ২ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষই গৃহহীন। সারা বিশ্বের ৮৫টি দেশে কত সংখ্যক গৃহহীন মানুষ বসবাস করেন এসম্পর্কে তালিকা তৈরি করেছে “ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ”। সেই অনুযায়ী গৃহহীন মানুষের নিরিখে পাকিস্তান দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। পাকিস্তানে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ২ কোটি। গৃহহীন মানুষের নিরিখে আরও যে ৮টি দেশ তালিকার অন্তর্গত সেই দেশগুলির তালিকায় রয়েছে মিশর, সিরিয়া, ডি আর কঙ্গো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিপিনস ও ইয়েমেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক “ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ”-য়ের রিপোর্ট অনুসারে এই ৮ দেশের মধ্যে কোন দেশে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা কত। মিশরে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ১২,০০০,০০০, সিরিয়ায় গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৬,৫৬৮,০০০, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৫,৩৩২,০০০। গৃহহীন মানুষের নিরিখে বাংলাদেশ যষ্ঠ স্থানাধিকারী। বাংলাদেশে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৫,০০০,০০০। এছাড়া কলম্বিয়ায় গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৪,৯৪৩,০০০, আফগানিস্তানে ৪,৬৬০,০০০, ফিলিপিনসে ৪,৫০০,০০০ এবং ইয়েমেনে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৩,৮৫৮,০০০। “ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক গৃহহীন মানুষের দেশ নাইজেরিয়ায় গৃহহীন মানুষ মোট জনসংখ্যার ২৬.৭০ শতাংশ। নাইজেরিয়া এবং অন্য যে ৯টি দেশে বহু সংখ্যক গৃহহীন মানুষ বসবাস করেন এর পরিপ্রেক্ষিতে “ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ” প্রকাশিত তথ্যানুসারে, এতে যে ধরণের সামাজিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে তাতে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গৃহহীন পরিবারের অসংখ্য শিশু। এছাড়া গৃহহীন পরিবারগুলির সদস্যরা চাকরি-বাকরির সুযোগ কিংবা স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। আরও পড়ুন: ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India” স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির কেন নাইজেরিয়ায় সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক: এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, নির্বিচার নগরায়নের ফলেই নাইজেরিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ঘরবাড়ি না থাকলে মানুষের জীবন যে অভিশপ্ত হয়ে উঠে তা বলাবাহুল্য। “ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ” বিশ্বের ৮৫টি দেশে গৃহহীন মানুষ সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, দেশে দেশে কয়েক কোটি মানুষের ঘরবাড়ি না থাকাটা কার্যত মৌলিক অধিকার খর্ব করা। আরও পড়ুন: “ওকে দেখে গোটা প্রজন্ম শিখবে”, রোহিত-কোহলি নন, এই খেলোয়াড়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দ্রাবিড় এদিকে, সর্বোচ্চ সংখ্যক গৃহহীন মানুষের বসবাসের ক্ষেত্রে নাইজেরিয়া সম্পর্কে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে সেটি অতি দরিদ্র দেশ। এই প্রসঙ্গে “ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ” জানিয়েছে, এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। বরং নাইজেরিয়ায় প্রচুর সম্পদ রয়েছে। তবে, এই সম্পদ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে নিজভূমে মাথার ওপর ছাদ থাকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাইজেরিয়ার সাধারণ নাগরিকরা।
সুপ্রিম কোর্টে DA মামলায় শুনানি! কী রায় দিল শীর্ষ আদালত? কপাল খুলল সরকারি কর্মীদের?
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেই ২০১৬ সাল থেকে চলছে টানাপোড়েন! সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল বকেয়া DA মামলা (DA Arrear Case)। পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলা আজ ওঠে শীর্ষ আদালতে। শেষ শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আজকের শুনানির দিকে তাকিয়েছিলেন অনেকে। কী হল আজ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)? জানাল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবারও DA মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠেনি। ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত ছিল এই মামলা। তবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র ৩৯ নম্বর অবধি শুনেছেন। একটি পাসওভার মামলা হওয়ার পর আসন ছেড়ে উঠে পড়েন বিচারপতিরা। বিগত প্রায় ৮ বছর ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) মামলা চলছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, তাঁদের কেন্দ্রীয় হারে DA দিতে হবে। গত ১৪ মাসে ১১% মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে তাতেও খুশি নয় তাঁরা। এখন প্রশ্ন হল, বর্তমানে কত হাতে DA পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা? আরও পড়ুনঃ ‘ভেবেছিলাম এবার ভোটে দাঁড়াব না, কিন্তু…’, ভোট প্রচারে বেরিয়ে একি বললেন দেব! ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন ৫০% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কেন্দ্রের সরকারি কর্মীরা। অপরদিকে আগামী মে মাস থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% DA বাড়তে চলেছে। ৪% বৃদ্ধির পর রাজ্য তাঁদের মহার্ঘ ভাতা দাঁড়াবে ১৪ শতাংশে। অর্থাৎ বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ৪০%। ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পর সেই ফারাক এসে দাঁড়াবে ৩৬ শতাংশে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে তিন দফায় মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত ১৪ মাসে ১১% DA বাড়িয়েছে মমতা সরকার। তবে তা সত্ত্বেও খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতো রাজ্যেও সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক। এদিকে গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির খবর ঘোষণার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছিলেন, এই রাজ্যে DA প্রদান ঐচ্ছিক বিষয়, বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারের তরফ থেকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার হয়। সরকারি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের দিকে নজর রেখেই DA বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আজ যেখানে সংসদ ভবন পূর্বে সেখান দিয়েই যেত ট্রেন, এই রুট কোথায় পৌঁছাত জানেন?
বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজকের দিনে দিল্লির বুকে যেখানে সংসদ ভবন (Parliament) রয়েছে একটা সময় সেখানে ছিল রেলপথ। তবে সময়ের ফেরে সেই পথ বন্ধ করে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এই রেলপথ কোথায় যেত আর কেনই বা পরিষেবা বন্ধ করা হল? এর পেছনেও রয়েছে বেশ ইন্টারেস্টিং একটি কাহিনী। আজকের প্রতিবেদনে সেটাই জানাবো পাঠকদের। রাইসিনা পাহাড়ে সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন (Parliament) এবং উত্তর ও দক্ষিণ ব্লক পরিদর্শন করলেই দেখতে পাবেন যে সেখানে লাল বেলে পাথরের ব্যবহার করা হয়েছে। এবং এইসব পাথর এসেছে রাজস্থান থেকে। তবে ১৯২১ সালে যখন সংসদের নির্মাণকাজ শুরু হয় তখন নয়া দিল্লি স্টেশন ছিলনা। সেই সময় এই পাথরগুলি পুরনো দিল্লি থেকে রাইসিনা পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এভাবে পাথর পৌঁছাতে অনেক সময় লাগছিল। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পাথরগুলি ট্রেনে করে রাইসিনা পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবং এরজন্য সদর বাজার থেকে রাইসিনা হিলস পর্যন্ত একটি রেলপথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তৎক্ষণাৎ ট্র্যাক স্থাপন করা হয়। আরও পড়ুন : ‘জনতা বলছে মোদীর গ্যারান্টি’, মসাগ্রাম রেল প্রকল্প নিয়ে বড় বয়ান সৌমিত্রর এই ট্র্যাকটি বর্তমান নয়া দিল্লি স্টেশন, কন্ট প্লেস হয়ে সংসদ ভবনের সামনে পর্যন্ত তৈরি করা হয়। এবং পণ্য পরিবহনও শুরু হয়ে যায়। মূলত পাথর পরিবহন করা হত এই পণ্যবাহী ট্রেনে। এই ট্রেনটি সংসদ ভবনের সামনে পর্যন্ত যেত এবং সেখান থেকে ফিরে আসত। এইভাবে টানা ছয় বছর পাথর সরবরাহ করা হয়। এবং ১৯২৬ সালে নির্মাণ হয় সংসদ ভবনের। আরও পড়ুন : মাধ্যমিক পাশেই মোটা মাইনের সরকারি চাকরি! ব্যাপক হারে নিয়োগ করছে BSF তবে সংসদ ভবন নির্মাণ হতেই এই ট্র্যাক বন্ধ করা হয়নি। কারণ এই ট্র্যাকটি কন্ট প্লেসের মধ্যে দিয়ে যেত। এরপর ১৯২৯ সালে কন্ট প্লেস নির্মাণকাজ শুরু হয়। উল্লেখ্য, সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং উত্তর ও দক্ষিণ ব্লক নির্মাণের সময় এখানে পাহাড় ছিল। শাহজাহানাবাদের কাছে অবস্থিত মালচা গ্রামের মাঝখানের একটা জায়গায় ছিল রাইসিনা দূর্গ। এই পাহাড় সমতল করা হয় এবং ভবন নির্মাণ শুরু হয়।
শাহজাহান তো চুনোপুটি! এবার ভাই আলমগীরের বিরাট কীর্তি ফাঁস, থ CBI
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তদন্ত যত এগোচ্ছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে পেঁয়াজের খোসার মতো বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে আসছে। গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহান শেখ (Sheikh Shahjahan)। সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহানের ভাই আলমগীরেরও। আর দাদা-ভাইয়ের এই জুটির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ! সূত্রের খবর, তোলাবাজি থেকে অত্যাচার, শাহজাহান এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই! জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র তোলাবাজি থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতেন আলমগীর! সেই টাকা দিয়ে সন্দেশখালি এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমি কিনেছিলেন তিনি! সেই সঙ্গেই নানান ব্যবসাতেও খাটছে তাঁর টাকা! সিবিআই তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। এই বিপুল পরিমাণ নগদের উৎস কী? তা এবার খতিয়ে দেখবে ইডি (ED)। ইতিমধ্যেই এই সকল জমির কাগজপত্র তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে খবর। সেই সঙ্গেই শাহজাহান এবং তাঁর ভাইয়ের কললিস্ট ঘেঁটে জানা গিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিশের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হতো তাঁদের। জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ন্যাজাট থাকার একাধিক অফিসারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন দুই ভাই। পুলিশ কর্মীদের একটি বৃহৎ অংশ তাঁদের আজ্ঞা পালন করতেন বলে খবর। সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত আলমগীর (Sheikh Alamgir), সিরাজুল এবং মাফুজাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ৫ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তের পর সিবিআই জানতে পেরেছে, এলাকায় রীতিমতো দাপটের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন শাহজাহান এবং আলমগীর। অটো, বাস থেকে শুরু করে লরি, এলাকায় যে কোনও যানবাহন চলাচলের জন্য তাঁদের ‘ট্যাক্স’ দিতে হতো। অটোর ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা ছিল মাসিক ৪০০০-৫০০০ টাকা। অপরদিকে বাস কিংবা লরি হলে মাস গেলে গুনতে হতো ১২০০০-১৫০০০ টাকা। আলমগীরের ‘খাস’ মিজানের কাছে এই টাকা জমা করা হতো বলে খবর। আরও পড়ুন: ‘ভেবেছিলাম এবার ভোটে দাঁড়াব না, কিন্তু…’, ভোট প্রচারে বেরিয়ে একি বললেন দেব! এভাবে তোলাবাজি করে মাস গেলে লক্ষাধিক টাকা আয় করতেন শাহজাহানের ভাই। ধামাখালি বাসে পিনকিকের জন্য কেউ বাস, লরি কিংবা গাড়ি রাখলেও কয়েক হাজার টাকা নিতেন আলমগীররা। এমনকি কেউ যদি ভেসেল অথবা বোট বুক করে সুন্দরবন এবং ইছামতীতে ঘুরতে যান তাহলেও টাকা দিতে হতো। তোলাবাজির এই টাকা দিয়েই সন্দেশখালিতে বিঘা-বিঘা জমি কেনেন তাঁরা। অনেক সময় জমি কেনার পর নামমাত্র টাকা ঠেকিয়ে দিতেন আলমগীররা। এভাবেই সন্দেশখালির বুকে একাধিক হোটেল, গেস্ট হাউসের মালিক হয়ে ওঠেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, জানা যাচ্ছে, ৫ জানুয়ারি ইডি পেটানোর ঘটনায় পুলিশের হাতে ধৃত ৭ জন ব্যক্তি হয়তো নিরপরাধ! তাঁদের জেরা করে এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআইয়ের হাতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে খবর। তাহলে কি পুলিশের এই গ্রেফতারির পিছনে রয়েছে অন্য গল্প? উত্তর খুঁজতে সন্দেশখালি, মিনাখাঁ থানার তদন্তকারী অফিসারদের ডেকে পাঠানোর তোরজোড় শুরু হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি কাণ্ডে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। এবার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের ডাকা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
হাওড়া স্টেশনে নয়া উদ্যোগ রেলের! ক্যাশ ছাড়াই কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট, জানুন কীভাবে
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় রেলের ইতিহাস সুপ্রাচীন। বাণিজ্যিক কারণে ইংরেজরা ভারতে রেলের সূত্রপাত করে। তারপর ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য রেল হয়ে ওঠে অপরিহার্য একটি মাধ্যম। স্বাধীনতার পর ভারতীয় রেল বিপুল পরিমাণ অগ্রগতি করেছে। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক আমাদের ভারতীয় রেল। সময়ের সাথে বদলেছে প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে রেল ব্যবস্থাতেও। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নিত্যনতুন প্রযুক্তিগত বদল আনছে রেল। একাধিক সুবিধা প্রদানের জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালানো হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। জানা যাচ্ছে এবার নগদ ছাড়াই সংরক্ষিত ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। শিয়ালদা, কলকাতা স্টেশনের পর হাওড়া স্টেশনেও এই সুবিধা চালু হল। আরোও পড়ুন : ফের ভারত সেরা বাঙালি! পুরো ২০০ নম্বর পেয়ে NET পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল স্নেহিন সেনের জানা যাচ্ছে, যাত্রীরা ‘ফেয়ার রিপিটার’ দেখতে পাবেন কাউন্টারে মেশিনের বাইরে। সেখানেই থাকবে ‘কিউআর’ কোড। এই কোড স্ক্যান করেই যাত্রীরা টিকিটের টাকা মেটাতে পারবেন। এই নতুন সুবিধার ফলে একদিকে যেমন টিকিট কাটার জন্য নগদ টাকা বহন করতে হবে না, অন্যদিকে আরও সহজে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সৌমিত্র মজুমদার বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি বিকেন্দ্রীকরণের সাথে সাথে একাধিক সুবিধা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে এই পদ্ধতি। রেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এটিভিএম মেশিন ও পিওএস মেশিনে সব জায়গাতেই যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন এই কিউআর কোডের মাধ্যমে। নগদ টাকা ছাড়াই কাটা যাবে সংরক্ষিত ট্রেনের টিকেট। হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাহুল রঞ্জনের কথায়, একটি কাউন্টার চালু করা হয়েছে হাওড়া স্টেশনে। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য স্টেশনেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
Lok Sabha Election 2024: প্রচার হোক পরিবেশবিধি মেনে, কমিশনকে চিঠি পরিবেশকর্মীদের
গত শনিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। মোট সাত দফায় হতে চলেছে এই নির্বাচন। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। তবে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তবে ক্ষমতায় যেই দলই আসুক না কেনও পরিবেশকর্মীরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আর্জি জানাচ্ছেন পরিবেশের কথা মাথায় রেখে কিছু জরুরি পদক্ষেপ করার জন্য।
‘ভেবেছিলাম এবার ভোটে দাঁড়াব না, কিন্তু…’, ভোট প্রচারে বেরিয়ে একি বললেন দেব!
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) প্রত্যাশা মতোই তৃণমূলের টিকিটে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev)। গত দু’বারের জয়ী সাংসদ তিনি। এবার জিতলে ‘হ্যাটট্রিক’ হবে তাঁর। তবে সেই দেবই এবার জানালেন, চব্বিশের লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে চাননি তিনি! কেন তাহলে ফের প্রার্থী হলেন? সেকথাও ফাঁস করেছেন জোড়াফুল প্রার্থী। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল (TMC) সাংসদ। সম্প্রতি দাসপুরের শ্রীবরা এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সাংসদের পাশাপাশি টলিউডের নামকরা সুপারস্টার দেব। সকাল থেকেই তাঁকে দেখার জন্য ভিড় করতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। শ্রীবরা এলাকাতেই একটি পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব জানান, এবারের ভোটে না দাঁড়ানোর কথা ভাবছিলেন তিনি। ঘাটালের (Ghatal) সাংসদের কথায়, ‘ভেবেছিলাম এবার ভোটে দাঁড়াব না। কিন্তু দিদির কথায়, দিদির প্রস্তাবে ফের দাঁড়াতে রাজি হলাম’। দেবের কথায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, প্রত্যেক বছর ঘাটাল বন্যায় ডুবে যায়। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছেন রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ করবে। সেই জন্য ঘাটালবাসীর কথা ভেবে ফের ভোটে দাঁড়াতে রাজি হন অভিনেতা। আরও পড়ুনঃ ‘বড় পুরস্কার আছে’, ভোট পেতে ‘টোপ’ পার্থর! পাল্টা এল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগের হুঁশিয়ারি দাসপুরে ভোট প্রচারে এসে ‘সৌজন্যের রাজনীতি’র কথাও শোনা যায় দেবের মুখে। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, গত এক দশকে ঘাটালবাসীকে ভালো রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন তিনি। এখন ভোট এসেছে, তাই অনেকে কথা বলবে। রাজনীতির কথাও উঠে আসবে। তবে দেবের কথায়, বিগত দশ বছরে কাউকে খারাপ কথা বলেননি তিনি। রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে অশান্তি-লড়াই হতে পারে, এমন কোনও মন্তব্যও করেননি। ঘাটালের জোড়াফুল প্রার্থী বলেন, ‘আমি সৌজন্যের রাজনীতি করে এসেছি, আগামী দিনেও করব। বিরোধী দলের নেতা যেই হোক না কেন তাঁকে শুভেচ্ছা ভালোবাসা জানিয়েছি। কারণ কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না’। এখানেই না থেমে দেব বলেন, মানুষ জানে কে কাজ করেছে আর কে করেনি। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের পাশে ছিল, আছে, থাকবে বলেও দাবি করেন অভিনেতা। ঘাটালের সাংসদের কথায়, ‘আপনাদের যদি মনে হয় আমাদের সরকার, আমাদের নেতা-কর্মীরা এবং আমি সাংসদ হিসেবে গত ১০ বছরে কাজ করেছি, তাহলে ২৫ মে কাকে ভোট দিতে হবে আপনারা জানেন’।
Hanuman Chalisa : আজান চলাকালীন হনুমান চালিশা বাজানোয় দোকানদারকে মারধর! বেঙ্গালুরুতে ধুন্ধুমার
সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আজান চলছিল। সে সময় দোকানের মধ্যে স্পিকারে হনুমান চালিশা বাজানোয় দোকানদারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একদল যুবক চাকু হাতে হামলা চালায় ওই দোকানদারের উপর, এমনটাই অভিযোগ ওঠে। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু হতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তীব্র লড়াই হবে বলেই অনুমান। বিজেপির আগেকার স্লোগান ৩৫ আসনে জয়। তা বর্তমানে পৌঁছে গিয়েছে ৪২-এ। অন্যদিকে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পে ভর করা তৃণমূলও ছাড়বার পাত্র নয়। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলকে পথ দেখানো ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর কিন্তু অন্য কথা বলছেন। কী বলছেন প্রশান্ত কিশোর?
ফের ভারত সেরা বাঙালি! পুরো ২০০ নম্বর পেয়ে NET পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল স্নেহিন সেনের
বাংলাহান্ট ডেস্ক : জয়েন্ট CSIR-UGC জাতীয় যোগ্যতা পরীক্ষায় (NET) 200 এর মধ্যে 200 নম্বর পেয়ে দেশের মধ্যে প্রথম হলেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের (ISI) গণিতে স্নাতকোত্তরের ছাত্র স্নেহিন সেন। ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন 31,702 জন পরীক্ষার্থী। এই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয় গত 19 ফেব্রুয়ারি। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় এই পরীক্ষায় চমকপ্রদক সাফল্য লাভ করেছেন বাংলার ছেলে স্নেহিন। আইএসআই ব্যাঙ্গালোর থেকে স্নেহিন গণিতে স্নাতক করেছেন। দিল্লি পাবলিক স্কুল, রুবি পার্কের প্রাক্তন ছাত্র স্নেহিন। আরোও পড়ুন : তোলাবাজির লক্ষা লক্ষ টাকা দিয়ে ১০০ বিঘা জমি কিনেছিল শাহজাহানের ভাই! ফাঁস করল CBI স্নেহিন জানান, “ছোটবেলা থেকেই জটিল সমস্যা সমাধানের প্রতি আমার ভালবাসা যা আমাকে ভালো রেজাল্ট করতে সাহায্য করেছে। স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি করতে চাই। আমার ইচ্ছা হল IISC, ব্যাঙ্গালোরে গবেষণা করা। সংখ্যা তত্ত্ব এবং সংখ্যার বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করতে চাই, কারণ এটি বিশুদ্ধ গণিতের একটি শাখা। সংখ্যা তত্ত্ব আমাকে মুগ্ধ করে কারণ এর ক্রিপ্টোলজি, কোডিং, রোবোটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান ক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে।” আরোও পড়ুন : ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India” স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির আইআইটি-তে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার বদলে আইএসআই-তে গণিত পড়া কেন বেছে নিলেন তিনি? এই ব্যাপারে কৃতি ছাত্র জানাচ্ছেন, “আইআইটি-জেইই অ্যাডভান্সড-এ আমার র্যাঙ্ক ছিল 98। আমি দেশের শীর্ষস্থানীয় সব আইআইটি-তে গিয়েছিলাম, কিন্তু বিষয়ের প্রতি আমার আবেগের কারণে আমি আইএসআই বেছে নিয়েছি। আমি বুঝতে পেরেছি যে আমি এই ক্ষেত্রে আরও ভাল অবদান রাখতে পারি।” অধ্যাপক এবং আইএসআই-এর তাত্ত্বিক পরিসংখ্যান ও গণিত ইউনিটের প্রধান ঋতব্রত মুন্সি বলেছেন, “ওর কাছ থেকে এটা প্রত্যাশিত ছিল কারণ সে কখনোই কোনো পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বরের কম নম্বর পায়নি, তা যতই কঠিন বা দীর্ঘ পেপার হোক।”
‘বড় পুরস্কার আছে’, ভোট পেতে ‘টোপ’পার্থর! পাল্টা এল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগের হুঁশিয়ারি
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রাক্কালে সরগরম ব্যারাকপুর কেন্দ্র! এই আসনে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়েছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সদ্য ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে তাঁর। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই লাগাতার আক্রমণ করছেন প্রাক্তন দলকে। সম্প্রতি যেমন ফের একবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmick) নিশানা করেন তিনি। এখনও অবধি ব্যারাকপুর আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। তবে দলে যোগ দেওয়ার পর ওই কেন্দ্রের নানান এলাকায় ঘুরে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন অর্জুন। এদিন দু’জনেই আমডাঙা গিয়েছিলেন। তবে আলাদা সময়ে। আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুরের সঙ্গে একটি কর্মীসভা যোগ দিয়েছিলেন পার্থ। সেখানেই ‘পুরস্কার’ (Gift) দেওয়ার ‘আশ্বাস’ দেন তিনি। যদিও ‘পুরস্কারে’র প্রসঙ্গ প্রথম তুলেছিলেন রফিকুর। স্থানীয় বিধায়ক বলেন, ১৫ হাজারের মতো লিড হলে পার্থকে বলে একটা পুরস্কার দেব। সেই পুরস্কারের কথা তৃণমূল প্রার্থীই ঘোষণা করবেন বলে জানান তিনি। এরপর পার্থ বলেন, ‘রফিকুরদার কথায় কথা মিলিয়ে আমি বলছি যে অঞ্চল সবথেকে বেশি লিড দেবে বড় পুরস্কার রয়েছে’। আরও পড়ুনঃ অনেক কারখানা হয়েছে! ‘চারিদিকে ধোঁয়াই ধোঁয়া, অন্ধকার রাস্তাঘাট’, রাজ্যে শিল্প নিয়ে দাবি রচনার এদিকে জোড়াফুল প্রার্থীর ‘পুরস্কার’ দেওয়ার মন্তব্য শুনেই ‘হর্স ট্রেডিং’য়ের অভিযোগ আনেন অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি অভিযোগ করে বলব যে এখানে হর্স ট্রেডিং হচ্ছে। ভোটারদের কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে’। যদিও পরে পার্থ একটি নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, তিনি ব্যক্তিগত স্তরে পুরস্কার দেওয়ার কথা বলেছেন। পার্থর কথায়, ‘আমি বললাম যে অঞ্চল সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করবে তাকে ব্যক্তিগত স্তরে আমি পুরস্কার দেব’। কী গিফট দেবেন তা এখনও ভাবেননি বলে জানান তৃণমূল প্রার্থী। তবে তাঁর এই মন্তব্যকে ‘আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিরুদ্ধে’ বলে তোপ দাগেন অর্জুন। প্রসঙ্গত, এদিন প্রথমে পার্থ আমডাঙার আসেন। তিনি বেরনোর কয়েক ঘণ্টা পর আসেন অর্জুন সিং। দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি মিছিলও করেন বিজেপি নেতা। পার্থর মন্তব্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ব্যারাকপুরের সাংসদ পরিষ্কার বলেন, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির বাইরে গিয়ে উনি এই মন্তব্য করেছেন। পার্থর কথা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি বিরুদ্ধ বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতা।
তোলাবাজির লক্ষা লক্ষ টাকা দিয়ে ১০০ বিঘা জমি কিনেছিল শাহজাহানের ভাই! ফাঁস করল CBI
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি এলাকায় রীতিমতো ‘রাজত্ব’ করতো দুই ভাই! তোলাবাজি থেকে অত্যাচার, শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ! জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র তোলাবাজি থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতেন আলমগীর! সেই টাকা দিয়ে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমি কিনেছিলেন তিনি! সেই সঙ্গেই নানান ব্যবসাতেও খাটছে তাঁর টাকা! সিবিআই তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। এই বিপুল পরিমাণ নগদের উৎস কী? তা এবার খতিয়ে দেখবে ইডি (ED)। ইতিমধ্যেই এই সকল জমির কাগজপত্র তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে খবর। সেই সঙ্গেই শাহজাহান এবং তাঁর ভাইয়ের কললিস্ট ঘেঁটে জানা গিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিশের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হতো তাঁদের। জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ন্যাজাট থাকার একাধিক অফিসারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন দুই ভাই। পুলিশ কর্মীদের একটি বৃহৎ অংশ তাঁদের আজ্ঞা পালন করতেন বলে খবর। সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত আলমগীর (Sheikh Alamgir), সিরাজুল এবং মাফুজাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ৫ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তের পর সিবিআই জানতে পেরেছে, এলাকায় রীতিমতো দাপটের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন শাহজাহান এবং আলমগীর। অটো, বাস থেকে শুরু করে লরি, এলাকায় যে কোনও যানবাহন চলাচলের জন্য তাঁদের ‘ট্যাক্স’ দিতে হতো। অটোর ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা ছিল মাসিক ৪০০০-৫০০০ টাকা। অপরদিকে বাস কিংবা লরি হলে মাস গেলে গুনতে হতো ১২০০০-১৫০০০ টাকা। আলমগীরের ‘খাস’ মিজানের কাছে এই টাকা জমা করা হতো বলে খবর। আরও পড়ুনঃ ভোট ঘোষণার ৭২ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরাল নির্বাচন কমিশন, শোরগোল! এভাবে তোলাবাজি করে মাস গেলে লক্ষাধিক টাকা আয় করতেন শাহজাহানের ভাই। ধামাখালি বাসে পিনকিকের জন্য কেউ বাস, লরি কিংবা গাড়ি রাখলেও কয়েক হাজার টাকা নিতেন আলমগীররা। এমনকি কেউ যদি ভেসেল অথবা বোট বুক করে সুন্দরবন এবং ইছামতীতে ঘুরতে যান তাহলেও টাকা দিতে হতো। তোলাবাজির এই টাকা দিয়েই সন্দেশখালিতে বিঘা-বিঘা জমি কেনেন তাঁরা। অনেক সময় জমি কেনার পর নামমাত্র টাকা ঠেকিয়ে দিতেন আলমগীররা। এভাবেই সন্দেশখালির বুকে একাধিক হোটেল, গেস্ট হাউসের মালিক হয়ে ওঠেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, জানা যাচ্ছে, ৫ জানুয়ারি ইডি পেটানোর ঘটনায় পুলিশের হাতে ধৃত ৭ জন ব্যক্তি হয়তো নিরপরাধ! তাঁদের জেরা করে এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআইয়ের হাতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে খবর। তাহলে কি পুলিশের এই গ্রেফতারির পিছনে রয়েছে অন্য গল্প? উত্তর খুঁজতে সন্দেশখালি, মিনাখাঁ থানার তদন্তকারী অফিসারদের ডেকে পাঠানোর তোরজোড় শুরু হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি কাণ্ডে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। এবার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের ডাকা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘুরে গেল খেলা! চিনকে বড় ঝটকা দিল ভারত, “Made in India”স্মার্টফোনের রপ্তানিতে তৈরি হল নজির
বাংলা হান্ট ডেস্ক: একটা সময়ে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজেদের দাপট দেখাত চিন (China)। বিশেষত উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকত এই পড়শি দেশ। যদিও, এবার সময় পাল্টেছে। পাশাপাশি, পাল্টেছে পরিস্থিতিও। এমতাবস্থায়, চিনের দাপটকে ক্রমশ প্রতিহত করছে ভারত (India)। শুধু তাই নয়, আমেরিকার সাথেও ভারত পাল্লা দিচ্ছে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল। আমেরিকা বিশ্বের মস্তিষ্ক: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমেরিকাকে বলা হয় বিশ্বের মস্তিষ্ক। অর্থাৎ, সহজ কথায় আমেরিকা হল টেকনোলজি নলেজ হাব। যেখান থেকে সারা বিশ্বে নলেজ অর্থাৎ জ্ঞান সরবরাহ করা হয়। বিষয়টি একটু সোজাভাবে বললে, ধরুন স্মার্টফোন যদি ভারতে তৈরি হয় তবে এটির রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট (R&D) হয় আমেরিকায়। স্মার্টফোনের ডিজাইন ও অন্যান্য কাজ আমেরিকায় সম্পন্ন করার পর এটি সারা বিশ্বে তৈরি করা হয় কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে। স্মার্টফোন উৎপাদনে ভারতের প্রবেশ: আমরা যদি iPhone-এর উদাহরণ নিই সেক্ষেত্রে এটি আমেরিকায় ডিজাইন করা হয়েছে। কিন্তু এর উৎপাদন চিন এবং ভারতে হয়। তবে, প্রায় ৮ বছর আগে পর্যন্তও স্মার্টফোন উৎপাদনের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল চিনের। এর মানে হল, সারা বিশ্বে বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের বেশিরভাগই চিনে তৈরি হত। এর কারণ ছিল সস্তা শ্রমিক ও সস্তা কাঁচামালের সহজলভ্যতা। আর এই কারণেই চিন বিশ্বের বৃহত্তম এক্সপোর্ট হাব ছিল। আরও পড়ুন: আম্বানি, মাস্ককে টক্কর দেবে Airtel! স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ডের যুদ্ধে সামিল হলেন সুনীল মিত্তলও চিনের জায়গা নিচ্ছে ভারত: কিন্তু, এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। এখন চিনের জায়গা নিচ্ছে ভারত। স্মার্টফোনের লোকাল উৎপাদন বৃদ্ধি করে ভারত রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি বড় খেলোয়াড় হয়ে উঠছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে স্মার্টফোন রপ্তানি ২৫৩.৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৫৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৯.৮ মিলিয়ন ডলার। এই সময়ে ভারতের স্মার্টফোন রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৭.৭ শতাংশ বেড়েছে। আরও পড়ুন: IPL-র আগে ঝড় তুললেন রিঙ্কু সিং! ফিল সল্টও দেখালেন কামাল, স্বস্তিতে KKR এদিকে, আমরা যদি আমেরিকার কথা বলি, সেক্ষেত্রে ভারত আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে। মূলত, ভারতে স্মার্টফোন উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে রপ্তানিও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
Delhi AIIMS: জোড়া কিডনি প্রতিস্থাপনের পর সুস্থ রোগী
জোড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করে এক অভিনব নজির গড়ল দিল্লি এইমস। এই চ্যালেঞ্জিং অস্ত্রোপচারের পর এখন ভালো আছেন ৫১ বছরের ওই রোগিনী এবং কিডনি দুটিও স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে। জানা গিয়েছে, ব্রেন ডেড হয়ে যাওয়া এক রোগীর থেকে দুটি কিডনি নেোযা হয়েছিল প্রতিস্থাপনের জন্য। এক চিকিৎসকের কথায়, এই কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হলেও সফলভাবে হয়েছে।
আম্বানি, মাস্ককে টক্কর দেবে Airtel! স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ডের যুদ্ধে সামিল হলেন সুনীল মিত্তলও
বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রযুক্তির জগতে এগিয়ে যাওয়ার দৌড় এখন স্থল থেকে সরাসরি স্যাটেলাইট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের ইলন মাস্কের (Elon Musk) কোম্পানি স্টারলিঙ্ক এবং ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mueksh Ambani) Jio এই দৌড়ে অনেকটা ছিল। তবে, এখন এই প্রতিযোগিতায় Airtel-ও প্রবেশ করেছে। শুধু তাই নয়, যে গতির সাথে Airtel স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এমতাবস্থায়, অনুমান করা হচ্ছে যে, শীঘ্রই তারা ভারতে ব্রডব্যান্ড-ফ্রম-স্পেস পরিষেবা সরবরাহকারী প্রথম গ্লোবাল স্যাটেলাইট সংস্থা হয়ে উঠবে। কি জানা গিয়েছে: উল্লেখ্য যে, Airtel অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রুটের মাধ্যমে ৯০ দিনের জন্য “কা” এবং “কু” ব্যান্ডে ডেমো স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম অর্জন করেছে। যা এটিকে স্টারলিঙ্ক থেকে আলাদা করে তুলেছে। কারণ, স্টারললিঙ্ক সরাসরি রিটেল গ্রাহদকের টার্গেট করে। অপরদিকে, ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েবের ফোকাস বিজনেস-টু-বিজনেস (B2B) মডেলের ওপর রয়েছে। উল্লেখ্য যে, “কা” ব্যান্ড স্পেকট্রাম আর্থ স্টেশনগুলির অপারেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, “কু” ব্যান্ড ব্যবহারকারীর অ্যাক্সেস টার্মিনালগুলিকে সমর্থন করে। রিপোর্ট কি বলছে: ET-র একটি রিপোর্ট অনুসারে, ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েব তার স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে ভারতের প্রতিরক্ষা এবং সরকারি সেক্টর সংস্থাগুলির মূল গ্রাহকদের সাথে ট্রায়াল পরিচালনা করে একটি সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক লঞ্চের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোম্পানিটি শীঘ্রই বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট স্পেকট্রামের বরাদ্দ পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যেটি টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DOT) দ্বারা নির্ধারিত নিয়ন্ত্রক কাঠামো মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। আরও পড়ুন: IPL-র আগে ঝড় তুললেন রিঙ্কু সিং! ফিল সল্টও দেখালেন কামাল, স্বস্তিতে KKR এভাবে হবে কামাই: DoT স্যাটেলাইট স্পেকট্রামের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বরাদ্দ চূড়ান্ত করার এবং নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকাগুলির ওপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ২০২৩ সালের নতুন টেলিযোগাযোগ আইন এখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ চ্যানেলের মাধ্যমে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বরাদ্দের সুবিধা দেয়। জানিয়ে রাখি যে, ইউটেলস্যাট এন্টারপ্রাইজ রেভিনিউর জন্য প্রতিরক্ষা, বিমান চলাচল, সামুদ্রিক ক্ষেত্র এবং সরকারকে পরিষেবা সরবরাহ করবে। পাশাপাশি, কোম্পানির তরফে গ্রামীণ এলাকায় মোবাইল ব্রডব্যান্ড কভারেজের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য স্যাটেলাইট সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে টেরিস্ট্রিয়াল ব্যাকহল লিঙ্কগুলি সীমিত রয়েছে। ইউটেলস্যাট গ্রামীণ ভারতে পরিচালিত যেকোনও টেলিকম সংস্থাকে ব্যাকহল সহায়তা পরিষেবা সরবরাহ করতেও প্রস্তুত থাকবে। আরও পড়ুন: হার মানবে সিনেমাও, আকাশ থেকে নেমে ৩৫ জলদস্যুকে জব্দ করল MARCOS! ভাইরাল ভিডিও আসল প্রতিযোগী কারা: মূলত, সংস্থার লক্ষ্য থাকবে Jio, স্টারলিঙ্ক, অ্যামাজন কুইপার এবং টাটাস-এর মত প্রতিযোগীদের পরাজিত করা। ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েবের কাছে স্পেস ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেশন, IN-SPACE থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স রয়েছে। পাশাপাশি, এই কোম্পানির গুজরাট এবং চেন্নাইয়ের কাছে অপারেশনাল আর্থ স্টেশন রয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, ভারতে ব্রডব্যান্ড-ফ্রম-স্পেস পরিষেবার লক্ষ্য হল দেশের গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল বিভাজনকে সরিয়ে ফেলা। পাশাপাশি, IN-SPACE ভারতের মহাকাশ অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দেয়। যা ২০৩৩ সালের মধ্যে সম্ভাব্য ৪৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে।
নয়া বদল বন্দে ভারতে! হাওড়া থেকে পাল্টাচ্ছে সময়, বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেসের হবে টাইমিং চেঞ্জ
বাংলাহান্ট ডেস্ক : সেমি হাইস্পিড লাক্সারি ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস গোটা দেশজুড়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছে। যাত্রীদের কাছে এই ট্রেন অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ধীরে ধীরে দেশের একাধিক রুটে পথচলা শুরু করেছে বন্দে ভারত। প্রিমিয়াম এই ট্রেনের সুযোগ সুবিধা অনেক এক্সপ্রেস ট্রেনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। যাত্রীদের কাছে এখন আরামদায়ক ভ্রমণের অন্যতম নাম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, দেশের একাধিক রেলওয়ে ডিভিশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল করছে। বাংলারও একাধিক রুটে চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে এবার বাংলার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সম্পর্কে আসছে বড় খবর। আপনিও যদি বন্দে ভারতের টিকিট কেটে থাকেন তাহলে মন দিয়ে পড়ুন এই প্রতিবেদন। আরোও পড়ুন : সন্দেশখালি কাণ্ডে CBI-র নজরে এবার ‘রাঘব বোয়াল’! দুই দলে ভাগ হয়ে শুরু ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ রেলের পক্ষ থেকে বেশকিছু ট্রেনের সময়সূচিতে বদনা আনা হয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনও রয়েছে সেই তালিকায়। রেল জানিয়েছে, রাঁচি-বারাণসী-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার জন্য রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, রাঁচি-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস-সহ ১০টি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচীতে বদল আনা হয়েছে। সোমবার থেকেই এই ট্রেনগুলির সময়সূচী বদল হচ্ছে। আরোও পড়ুন : শিক্ষা-খাদ্যের পর এবার আবাস দুর্নীতিতে নাম তৃণমূলের! BJP-তে যোগ দেওয়ার ‘হুঁশিয়ারি’ কাউন্সিলরের রাঁচি থেকে ট্রেন নম্বর ২০৮৯৮ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এখন থেকে ছাড়বে ভোর ছটায়। সকাল ৭ টা ৫৩ মিনিটে এই ট্রেন এসে পৌছাবে পুরুলিয়া। সকাল ৮ টা ৩৯ মিনিটে এই ট্রেন পৌঁছাবে চাণ্ডিল। টাটানগরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এখন পৌঁছাবে সকাল ৯ টা ২৩ মিনিটে। রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস খড়গপুর জংশনে এসে পৌঁছাবে সকাল ১১ টা ১৩ মিনিটে। দুপুর ১ টা বাজতে ১০ মিনিটে ট্রেনটি ঢুকবে হাওড়া। ট্রেন নম্বর ১৮৬২৮ রাঁচি-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ৩১ মার্চ থেকে রাঁচি স্টেশন থেকে ভোর ৫ টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। সকাল ৭ টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছাবে বোকারো স্টিল সিটিতে। ট্রেন নম্বর ১২৮৩৩ আমদাবাদ-হাওড়া এক্সপ্রেস সকাল ৯ টা ২৮ মিনিটে পৌঁছাবে টাটানগর। যদিও খড়্গপুর ও সাঁতরাগাছিতে আগের সময় মতোই এই ট্রেন ঢুকবে। হাওড়ায় ঢোকার ক্ষেত্রে কিছুটা সময় বদল হয়েছে। দুপুর ২ টো ১০ মিনিটে ট্রেনটি ঢুকবে হাওড়া স্টেশনে। ট্রেন নম্বর ১৮০১১ হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে। তবে সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিটের পরিবর্তে সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে চক্রধরপুরে ঢুকবে এই ট্রেন।
স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিরাট ‘চমক’! বড় উপহার নিয়ে এল রাজ্য সরকার
বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সমস্ত শিশুর অধিকার। এই দুটি ক্ষেত্রে কখনোই কোনও খামতি থাকা উচিত নয়। তাই তো শিক্ষা এবং চিকিৎসা খাতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়ে তার সবরকম চেষ্টা করে থাকে সরকার। শিশুদের পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করে থাকে সরকার। এই যেমন সদ্যই শিক্ষার্থীদের ৩৭ লাখেরও বেশি স্কুলব্যাগ (School Bag) দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। এইদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত রাজ্যের ৩৭ লক্ষ স্কুল (School) পড়ুয়াদের স্কুলব্যাগ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য মোট ৫৭.০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। উল্লেখ্য, স্কুলব্যাগের পাশাপাশি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৫৩টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এইদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বন্দনা দাদেল বলেন, ‘ক্লাস ১ এবং ক্লাস ৮ এর মধ্যে সমস্ত ছাত্রদের বার্ষিক স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হবে। ব্যাগের মূল্য প্রতিটি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত হবে।’ স্কুলব্যাগের পাশাপাশি এইদিন মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৫৩টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এরমধ্যে ঝাড়খণ্ড মিলেট মিশনের জন্য ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে সরকার। আরও পড়ুন : ‘জনতা বলছে মোদীর গ্যারান্টি’, মসাগ্রাম রেল প্রকল্প নিয়ে বড় বয়ান সৌমিত্রর ডাডেল আরও জানিয়েছেন, ‘মিশনের অধীনে, বাজরা চাষের এলাকা বর্তমান ৪০,০০০ হেক্টর থেকে পাঁচ লাখ হেক্টরে উন্নীত করা হবে।’ একই সাথে মন্ত্রিসভা কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনার (২০২৩-২৪) জন্য ৮০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের এই সিদ্ধান্ত এক মাস্টারস্ট্রোক বলেই দেখছে রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ। আরও পড়ুন : ‘কে দিয়েছে জানিনা…’, কোটি কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটল TMC, JDU এই ঘোষণার পর রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে। এই সিদ্ধান্ত স্কুল পড়ুয়াদের উপকৃত করবে বলে আশা করছে আম জনতা। রাজ্য সরকারের আশা, পড়ুয়াদের আরও আরামদায়ক এবং সংগঠিত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করবে এই সিদ্ধান্ত।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটে সন্ত্রাস করা যাবে না। অভিযোগ করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ভোট সংক্রান্ত, ভোট প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে পারেন। কী সেই নম্বর? হিংসার রুখতে এবার কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সাগরে আন্টি সাইক্লোন! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করল আবহাওয়া দপ্তর
বাংলা হান্ট ডেস্ক: দুর্যোগের হাই অ্যালার্ট! আবহাওয়া দপ্তর (Weather Department) জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্ন ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে বিস্তৃত রয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত৷ আর এই আন্টি সাইক্লোনের জেরেই আবহাওয়ার তোলপাড়৷ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। বেপাত্তা রোদ্দুর। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ থেকেই দুর্যোগ শুরু হয়ে যাবে বাংলায়। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সোমবার কালবৈশাখীর সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর (Alipore Weather Office)। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টায় বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর আজ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায়, দুই বর্ধমানে উঠবে কালবৈশাখী। ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে এইসব জায়গায়। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় শিলাবৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। শিলাবৃষ্টির অধিক সম্ভাবনা রয়েছে আগামীকাল। আজ থেকে শুরু করে বুধবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। বিদর্ভ থেকে কেরল পর্যন্ত অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে। কালবৈশাখীও হতে পারে। সোম ও মঙ্গল, বুধবার জারি থাকবে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে প্রতিটি জেলাতেই। আরও পড়ুন: শিক্ষা-খাদ্যের পর এবার আবাস দুর্নীতিতে নাম তৃণমূলের! BJP-তে যোগ দেওয়ার ‘হুঁশিয়ারি’ কাউন্সিলরের চলতি সপ্তাহে কমবে তাপমাত্রাও। একধাক্কায় ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই উত্তরের কোনো জেলায়। বুধবার নাগাদ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের ওপরের দিকের দুই-তিন জেলায়।
শিক্ষা-খাদ্যের পর এবার আবাস দুর্নীতিতে নাম তৃণমূলের! BJP-তে যোগ দেওয়ার ‘হুঁশিয়ারি’কাউন্সিলরের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের শিরোনামে তৃণমূলের (TMC) অর্ন্তদ্বন্দ্ব। এবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ‘হুমকি’ দিলেন দলেরই এক কাউন্সিলর। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার সংশ্লিষ্ট তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) অভিযোগ, শহরের আবাস যোজনার অধীন বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়া গেলেও, বাকি টাকা দিতে বৈষম্য করা হচ্ছে। পুরপ্রধান এই বৈষম্য করছেন বলে দাবি করেন তিনি। পাল্টা সুর চড়িয়েছেন ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যানও (Municipality Chaiman)। সম্প্রতি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারভেজ আলম অভিযোগ করেন, বাকি সকল ওয়ার্ডের আবাস যোজনার টাকা দিয়ে দেওয়া হলেও, ‘প্রতিহিংসা’র কারণে তাঁর ওয়ার্ডের কয়েকজন উপভোক্তার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় বাড়ির কাজ কিছুটা হওয়ার পর আটকে রয়েছে। টাকা না আসার কারণে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারছেন না উপভোক্তারা, দাবি তাঁর। পারভেজ আলমের অভিযোগ, বিগত দেড় বছর ধরে আবাস যোজনার টাকা মিলছে না। টাকা পেতে গেলে বেশ কয়েকজন আধিকারিকের স্বাক্ষরের দরকার হয়। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ আধিকারিক সই করে দিলেও শুধুমাত্র পুরপ্রধান সই করেননি। যে কারণে টাকা পাচ্ছেন না উপভোক্তারা। আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি কাণ্ডে CBI-র নজরে এবার ‘রাঘব বোয়াল’! দুই দলে ভাগ হয়ে শুরু ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পারভেজ আলম বলেন, ‘প্রতিহিংসার এই রাজনীতি বন্ধ না হলে বিজেপিতে যোগ দেব’। এখানেই না থেমে, ভোট ময়দানে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন তিনি। পারভেজ আলমের সকল অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান ইনজামুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগও এনেছেন তিনি। ধুলিয়ান পুরসভার পুরপ্রধানের কথায়, পুর এলাকার সকল উপভোক্তা আবাস যোজনার টাকা পেয়ে গিয়েছেন। বাকি আরও ১৫ জনের অ্যাকাউন্টে সোমবারের মধ্যে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপরেই পারভেজ আলমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন পুরপ্রধান। তাঁর দাবি, যে উপভোক্তাদের আদতে টাকা পাওয়ার কথা, তাঁদের নাম না দিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ইনজামুল ইসলামের অভিযোগ, ‘তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। সেটা বানচাল করে আমরা ন্যায্য প্রাপকদের দিয়েছি। সেই কারণেই ওই কাউন্সিলরের গাত্রদাহ হচ্ছে’।
IPL-র আগে ঝড় তুললেন রিঙ্কু সিং! ফিল সল্টও দেখালেন কামাল, স্বস্তিতে KKR
বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর নেই সময়! IPL (Indian Premier League)-এর আগে ইতিমধ্যেই সব দলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। দলের ক্যাম্পে অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রাও। এদিকে, এরই মধ্যে কিছু দল নিজেদের খেলোয়াড়দের নিয়ে দু’টি দল করেছে, যাতে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে, দু’বারের IPL চ্যাম্পিয়ন KKR (Kolkata Knight Riders)-এর প্রস্তুতিও বর্তমানে দ্রুত গতিতে চলছে। পাশাপাশি, অনুশীলন ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম বিস্ফোরক ব্যাটার রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, ফিল সল্ট (Phil Salt) ও নীতিশ রানাও (Nitish Rana)-ও ভালো পারফর্ম করেছেন। ফিল সল্ট ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন, রানা করেন ৫০ রান: উল্লেখ্য যে, KKR কে এই বছরের প্রথম ম্যাচ খেলতে হবে ২৩ মার্চ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। ওইদিন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে খেলবে KKR। তাই দলের ক্যাম্পও চলছে কলকাতায়। এই বছরের IPL-এর আগে দলটি তাদের দলে জেসন রয়কে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি খেলতে অস্বীকার করেন। এর পরে, ফিল সল্টকে তড়িঘড়ি করে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদিকে অনুশীলন ম্যাচ খেলার সময় ৪১ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। পাশাপাশি, আমরা যদি সহ-অধিনায়ক নীতীশ রানার কথা বলি, তিনিও ৩০ বলে ৫০ রান করেন। গত বছর শ্রেয়স আইয়ারের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব দেন নীতীশ রানা। তবে, এখন শ্রেয়স আইয়ার অধিনায়ক হিসেবে ফিরেছেন। তাই সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় থাকবেন রানা। আরও পড়ুন: হার মানবে সিনেমাও, আকাশ থেকে নেমে ৩৫ জলদস্যুকে জব্দ করল MARCOS! ভাইরাল ভিডিও রিঙ্কু সিং ১৬ বলে ৩৭ রান করেন: এদিকে, রিঙ্কু সিং-ও রানের মধ্যে রয়েছেন। অনুশীলন ম্যাচে, তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৭ রান করেন। তার মানে রিঙ্কুর স্ট্রাইক রেট ছিল ২০০-রও বেশি। অন্যদিকে বোলিং করতে গিয়ে বরুণ চক্রবর্তী ৪০ রানে দু’টি উইকেট নেন। উল্লেখ্য যে, গত বছর IPL-এ অসাধারণ পারফর্ম করেছিলেন রিঙ্কু সিং। এরপর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেকের সুযোগ পান তিনি। সেখানেও তিনি তাঁর খেলায় আক্রমণাত্মক স্টাইল অব্যাহত রাখেন। তবে, এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আবারও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এবার সিম পোর্ট করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এত দিন! নিয়ম পরিবর্তন TRAI-এর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর গৌতম গম্ভীর: জানিয়ে রাখি যে, গত বছরের তুলনায় এই বছর কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, গৌতম গম্ভীরকে মেন্টর করা হয়েছে। এর আগে তিনি ২ বছর LSG-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে KKR দু’বার IPL-এর শিরোপা জিতেছে। এবার গম্ভীর এসেছেন নতুন ভূমিকায়। এমতাবস্থায়, এবার KKR কেমন পারফর্ম করে সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
ভোট ঘোষণার ৭২ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরাল নির্বাচন কমিশন, শোরগোল!
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। শনিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই আবহে সামনে এল বড় খবর! রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে (Rajeev Kumar) সরাল নির্বাচন কমিশন। সপ্তাহের শুরুতেই প্রকাশ্যে আসে এই খবর। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বিস্তারিত আসছে…।
‘জনতা বলছে মোদীর গ্যারান্টি’, মসাগ্রাম রেল প্রকল্প নিয়ে বড় বয়ান সৌমিত্রর
বাংলা হান্ট ডেস্ক : কাজ আর অল্পই বাকি, তারপরই পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার মানুষজন পেতে চলেছেন নয়া রেল লাইন। বাঁকুড়া-মসাগ্রাম রেললাইনকে বর্ধমানের কর্ডলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন। আর আজ বেলা বাড়তেই সরেজমিনে কাজ দেখে এলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান (Saumitra Khan)। উল্লেখ্য, মসগ্রাম থেকে বর্ধমানের কর্ডলাইন সংযুক্ত হয়ে গেলে বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। এতে করে আর খড়গপুর হয়ে ঘুরে ঘুরে হাওয়া যাওয়ার প্রয়োজন পড়বেনা। কম করে হলেও ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার কম হবে দূরত্ব। এখন বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব প্রায় ২৩১ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব কমে আসবে ১৮৫ কিলোমিটারে। স্বাভাবিকভাবেই খরচ থেকে শুরু করে সময়ও বাঁচবে আম জনতার। এইদিন সকাল সকাল নিজের টিম নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে পৌঁছেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান। সোমবার সাতসকালে ট্রেনে চেপে মশাগ্রাম যাওয়ার পথে প্রচারও সেরে ফেললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। অন্যান্য যাত্রীদের সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটও কাটলেন তিনি। হালকা মেজাজে কিনে খেলেন ঝালমুড়ি। তিনি বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট কেটে বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী বিধায়কের সঙ্গে সফর একটা আলাদা অনুভূতি।’ এইদিন মসাগ্রাম রেল লাইনের কাজ ঘুরে দেখার পর তিনি বলেন, ‘রেল লাইন জুড়ে গেছে। আমরা খুব আনন্দিত যে ৩০ মার্চ এই লাইন যোগ হবে। এবং রেলমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন যে ৩০ মার্চ লাইন জুড়ে যাবে। আমরা বাঁকুড়া, মসাগ্রাম, বর্ধমান, পাত্রসায়ের, ইন্দাস এলাকার মানুষজন খুব খুশি।’ বিজেপি সাংসদের সংযোজন, ‘আমরা ভাবতাম এটা হবেনা। বিরোধীরা একসময় বলেছিল, এটা বড় দুঃখের রেল। বাসুদেববাবু বলতেন, মরা রেলকে নিয়ে কী আর হবে? আজকে মোদীর বিকশিত ভারতে লোকসভায় বার বার আওয়াজ তুলেছি। আটটা চিঠি দিয়েছি, চারবার বৈঠক করেছি যে মসাগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। আজ আমার তো আনন্দে বুক ভরে উঠছে।’
হার মানবে সিনেমাও, আকাশ থেকে নেমে ৩৫ জলদস্যুকে জব্দ করল MARCOS! ভাইরাল ভিডিও
বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) আরব সাগরে একটি অত্যন্ত কঠিন অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করেছে। গত শনিবার নৌবাহিনী ৪০ ঘন্টার দীর্ঘ অভিযানে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন ক্রু মেম্বারকে উদ্ধার করেছে এবং ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Air Force, IAF) নৌবাহিনীর এই অভিযানে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। এমতাবস্থায়, গত রবিবার বায়ুসেনা এই অপারেশনের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে বিমান বাহিনীর C-17 বিমানটিকে আরব সাগরে MARCOS কমান্ডোর সাথে দু’টি ফাইটার বোটকে নির্ভুলভাবে এয়ারড্রপ করতে দেখা গিয়েছে। MARCOS কমান্ডোদের করা হয় এয়ারড্রপ: ভারতীয় বায়ুসেনা রবিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ জানিয়েছে, “একতা ও ঐক্যের অসাধারণ প্রদর্শনে, IAF C-17 বিমান অ্যান্টি পাইরেসি অপারেশনের সময়ে আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর MARCOS কমান্ডোদের সাথে দু’টি কমব্যাট রাবারাইজড রেইডিং ক্রাফ্ট (CRRC) বোটের সুনির্দিষ্ট এয়ারবর্ন ড্রপ সম্পন্ন করেছে।” In a remarkable display of #Jointness & #Integration , an IAF C-17 aircraft executed a precision Airborne Drop of two Combat Rubberised Raiding Craft (CRRC) boats, along with Indian Navy MARCOS in Arabian Sea in support of ongoing anti piracy Op Sankalp. Flying for almost 10 hrs… pic.twitter.com/DEMgvZQI1N — Indian Air Force (@IAF_MCC) March 17, 2024 পাশাপাশি, সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, “ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার দূরে একটি এলাকায় প্রায় ১০ ঘন্টা উড়ানের পর কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনের ক্রুদের উদ্ধারের জন্য এই অভিযান চালানো হয়েছিল। এই জাহাজটি ইয়েমেনের সোকোট্রা দ্বীপের কাছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌবাহিনীর সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করে, মিশনটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এবং জাহাজে থাকা ১৭ জন ক্রুকে নিরাপদে উদ্ধার করেছে। আরও পড়ুন: সোমবারে ফের ডার্বি! হারের বদলা নিতে প্রস্তুত লাল-হলুদ, কোথায় মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান? এর আগে গত রবিবার, নৌবাহিনী বলেছিল যে ওই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাহাজ হাইজ্যাক করার জন্য সোমালিয়ার জলদস্যুদের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করতে আরব সাগরে আইএনএস কলকাতাকে মোতায়েন করা হয়েছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, “বাণিজ্যিক জাহাজ রুয়েনকে ১৫ মার্চ আইএনএস কলকাতা থামিয়েছিল। জাহাজটিকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাইজ্যাক করা হয় এবং সেটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।” আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এবার সিম পোর্ট করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এত দিন! নিয়ম পরিবর্তন TRAI-এর জলদস্যুরা নৌবাহিনীর ড্রোনে গুলি করে: এটাও জানানো হয়েছে যে, আইএনএস কলকাতা একটি জাহাজ থেকে লঞ্চ হওয়া ড্রোনের মাধ্যমে এমভি রুয়েনে সশস্ত্র জলদস্যুদের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, “একটি বেপরোয়া শত্রুতামূলক পদক্ষেপে জলদস্যুরা ড্রোনটিকে গুলি করে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে গুলি চালায়। তবে, আইএনএস কলকাতা ওই জাহাজের স্টিয়ারিং সিস্টেম এবং নেভিগেশনাল সহায়তাকে নিষ্ক্রিয় করে, জলদস্যুদের জাহাজটিকে থামাতে বাধ্য করে।”
সন্দেশখালি কাণ্ডে CBI-র নজরে এবার ‘রাঘব বোয়াল’! দুই দলে ভাগ হয়ে শুরু ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর ঘটনার পর প্রায় ৫৫ দিন গায়েব ছিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। এরপর মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনায় এবার সিবিআইয়ের নজরে মিনাখাঁ এলাকার এক ইট ভাটার মালিক। সম্প্রতি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বাপ্পা মণ্ডলের ভাটা এবং অফিসে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, মিনাখাঁ এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশও দেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল নিয়েই এদিন সেখানে গিয়েছিলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। ইডির ওপর হামলার দিন ইট ভাটার মালিক বাপ্পা কী দেখেছিলেন? সন্দেশখালি কাণ্ডের (Sandeshkhali Issue) প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহানকে তিনি কতদিন ধরে চিনতেন? ভাটা থেকে কমিশন হিসেবে কত টাকা তাঁকে পাঠানো হত? জানা যাচ্ছে, শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এই ইট ভাটার মালিককে এমনই কিছু প্রশ্ন করতে পারেন তদন্তকারীরা। তবে এদিন বাপ্পা মণ্ডল (Bappa Mondal) মিনাখাঁর অফিসে ছিলেন না। তাঁর এক পরিচারককে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে খবর। সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে এদিন দুই দলে ভাগ হয়ে কাজ করে সিবিআই। একটি দল বাপ্পা মণ্ডলের ইট ভাটা ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গেই কুতুবউদ্দিনের বাড়ি যান তাঁরা। শ্রমিক ঠিকাদার কুতুবউদ্দিনের অধীনে যে ছেলেরা ভাটায় কাজ করে, তাঁদের মধ্যে একজন ইডি পেটানোর ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে খবর। আইজুল শেখ নামের সেই যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। তবে আইজুলের সেই গ্রেফতারি যথার্থ কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ নিতেই কুতুবউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে খবর। আরও পড়ুনঃ ‘নির্মাণ বেআইনি ছিল’, স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী! মৃত্যুর দায় কার? ‘কড়া’ পদক্ষেপের আশ্বাস মমতার গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়ি গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। এরপর রাজ্য পুলিশের হাতে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সঞ্জয় মণ্ডল। সেই ব্যক্তি এবং তাঁর গ্রেফতারির বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে সিবিআইয়ের একটি দল রামপুরে তাঁর বাড়ি যায়। সব মিলিয়ে, সন্দেশখালি কাণ্ডে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছেন তাঁরা। প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরকেও সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপর আলমগীর, সিরাজুল এবং মাফুজারকে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়। ইডি পেটানোর ঘটনার সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি। জানা যাচ্ছে, শাহজাহানের ভাই সহ ধৃত তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে শাহজাহান, দিদারবক্স, জিয়াউদ্দিনের সামনে বসিয়ে জেরা করবে সিবিআই। কার নির্দেশে গত ৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল? কীভাবে হামলা হয়? কী দিয়ে হামলা হয়? আলমগীর এত বিলাসবহুল গাড়ি কোথা থেকে পেল? শাহজাহানের সঙ্গে কত টাকার লেনদেন হয়েছিল? সিবিআইয়ের তরফ থেকে এই সব বিষয়েই প্রশ্ন করা হবে বলে খবর।
অনেক কারখানা হয়েছে! ‘চারিদিকে ধোঁয়াই ধোঁয়া, অন্ধকার রাস্তাঘাট’, রাজ্যে শিল্প নিয়ে দাবি রচনার
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল হুগলি। একদিকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা (Rachana Banerjee), অন্যদিকে দাপুটে নেত্রী লকেট! একদা দুই সতীর্থই এবার মুখোমুখি রাজনীতির ময়দানে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন কমবেশি প্রত্যেক প্রার্থী। সম্প্রতি যেমন ভোট প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যে শিল্প-কারখানা নিয়ে মুখ খোলেন জোড়াফুল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সিঙ্গুরের ডাকাত কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। মন্দির থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে রতনপুর লোহা পট্টিতে যান রচনা। দেওয়াল লিখনেও হাত লাগাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের (Hooghly Lok Sabha Constituency) ৭টি বিধানসভার বিধায়ক এবং দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রচারের কৌশল, রোড শো কবে হবে এসব বিষয়েই আলোচনা হয় বলে খবর। এদিন বৈঠক শেষে লোহা পট্টিতে একটি কর্মীসভা করেন রচনা। এরপর ধনিয়াখালি বিধানসভা কেন্দ্রে যান তিনি। সেখান থেকে চুঁচুড়া তালডাঙ্গার রাজরাজ্যেশ্বরী মন্দিরে গিয়েও পুজো দেন অভিনেত্রী। এসবের মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন। যে সিঙ্গুর থেকে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতার লড়াই শুরু, সেই সিঙ্গুরের মাটি থেকেই লড়াই শুরু করার কথা বলেন রচনা। পাশাপাশি জয়ের বিষয়েও আশাবাদী বলে জানান তিনি। আরও পড়ুনঃ ‘শুভেন্দু মারলে মমতা মরেই যেত’, মুখ্যমন্ত্রীর কপালের চোট নিয়ে বিস্ফোরক শিশির অধিকারী হুগলির তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘জেতার বিষয়ে আমি একশো শতাংশ আশাবাদী। হুগলির মানুষ আমায় নির্বাচন করে আগামী ৫ বছরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কাজ করেছে দেখে নেবেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমার থেকে অনেক সিনিয়র। হয়তো রাজনীতি বেশি বোঝেন, তিনি অনেক কাজও করেছেন’। এরপর শিল্প প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হয় রচনাকে। জবাবে তিনি বলেন, রাস্তা দিয়ে আসার সময় প্রচুর ধোঁয়া দেখেছেন। ধোঁয়ার কারণে রাস্তা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। হুগলির জোড়াফুল প্রার্থীর কথায়, ‘আমি যখন এলাম তখন তো দেখলাম অনেক কারখানা হয়েছে। চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, অন্ধকার রাস্তাঘাট। এত কারখানা হয়েছে, তাহলে কী করে বলছেন যে কারখানা হয়নি? কারখানা তো হচ্ছে, আরও হবে। দিদি যদি থাকে আরও অনেক হবে’। এখানেই না থেমে রচনা দাবি করেন, রাজ্য মানচিত্রে হুগলিকে সবার ওপরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। সেই লড়াইয়ে সবাইকে একজোট হওয়ার ডাক দেন তৃণমূল নেত্রী।
প্রত্যাহার ৩ দিনের বাস স্ট্রাইক! সপ্তাহের শুরুতেই কী শিয়ালদা রুটে মিলবে সব লোকাল? দেখুন নয়া আপডেট
বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবার থেকে তিন দিনের বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল একাধিক বাস অপারেটর সংগঠন। তবে সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার পাঁচটি বাস অপারেটের যৌথ সংগঠন ‘গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটি’ জানিয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার ফলে লোকসভা নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে বাস অপারেটর সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এই বিষয়টি বিবেচনা করে তুলে নেওয়া হয়েছে তিন দিনের বাস ধর্মঘট। ‘গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটি’-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে স্বাভাবিকভাবেই মিলবে বাস পরিষেবা। বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ফলে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। ‘গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটি’ দাবি তুলেছিল পনেরো বছরের পুরনো বাস তুলে নেওয়ার যে নিয়ম জারি করা হয়েছে তার মেয়াদ দু’বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হোক। আরোও পড়ুন : ‘শুভেন্দু মারলে মমতা মরেই যেত’, মুখ্যমন্ত্রীর কপালের চোট নিয়ে বিস্ফোরক শিশির অধিকারী এই যৌথ সংগঠন দাবি করেছে, লকডাউনের সময় ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অধিকাংশ বাস বসে ছিল। তাই দাবি তোলা হয়েছে এই বাসগুলির মেয়াদ আরো দু’বছর বৃদ্ধি করা হোক। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কাছে ‘গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটি’ গত ২২শে ফেব্রুয়ারি একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। সেই সাথে ১৮ই মার্চ থেকে তিনদিনের বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠন। আরোও পড়ুন : হাতে মাত্র ১ দিন! পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের গ্রাহকদের এই কাজটি না করলেই পড়তে হবে বিপদে কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যকে ১৫ দিনের ‘ডেড লাইন’ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে এই কমিটিতে। অন্যদিকে, একটানা ৫২ ঘণ্টা দমদম জংশনে কাজের পর শিয়ালদা ডিভিশনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কথা রয়েছে সোমবার থেকে। তবে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে অনেকেই ভ্রূ কুঁচকেছেন। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এতদিনের রিলে ইন্টারলকিং ব্যবস্থা পাল্টে আধুনিক ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রথম দিনে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অনেকের ধারণা প্রথম দিন কিছু ট্রেন লেট হতে পারে।
একটু পরই ভয়ঙ্কর খেল দেখাবে কালবৈশাখী! দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় শিলাবৃষ্টিও: সতর্কতা জারি
বাংলা হান্ট ডেস্ক: দুর্যোগের ডঙ্কা বাজছে। সকাল থেকেই ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। পাত্তা নেই রোদের। যে কোনো সময় শুরু হতে পারে কালবৈশাখী। এমনই দুর্যোগের সতর্কতা দিল আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office)। আজ সপ্তাহের প্রথম দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় দাপট দেখাবে ঝড়-বৃষ্টি। পাশাপাশি দোসর হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায়, দুই বর্ধমানে উঠবে কালবৈশাখী। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় শিলাবৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ থেকে শুরু করে বুধবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। বিদর্ভ থেকে কেরল পর্যন্ত অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। মঙ্গলবার আরও বাড়বে দুর্যোগ। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। কালবৈশাখীও হতে পারে। সোম ও মঙ্গল, বুধবার জারি থাকবে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও এরপর দুদিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রপাত সহ বৃষ্টি চলবে। এদিকে তাপমাত্রা কমারও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। চলতি সপ্তাহেই ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে তাপমাত্রা। আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু মারলে মমতা মরেই যেত’, মুখ্যমন্ত্রীর কপালের চোট নিয়ে বিস্ফোরক শিশির অধিকারী আগামী দুদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং-এও। এছাড়া অন্য সমস্ত জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের দুই-তিন জেলায়। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বিজেপি নয়, INDIA জোটের এই সঙ্গীকে ৫০৯ কোটির বন্ড দিয়েছে লটারি কিং
বাংলা হান্ট ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ইলেক্টোরাল বন্ড (Electoral Bond) সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচন কমিশন (Election Bond)। তারপর থেকেই তোলপাড় হয়ে আছে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহল। কোন কোম্পানি কাকে কত টাকার বন্ড অনুদান দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। বিশেষ করে লটারি কিং ‘ফিউচার গেমিং’ (Future Gaming And Hotel Service) যে বিপুল অঙ্কের অর্থ অনুদানে দিয়েছে তা কোন কোম্পানির খাতে গেছে তা জানার জন্য উৎসুক সকলেই। নির্বাচনের আগে অনুদানের তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’ এর। তারা কিনেছে মোট ১,৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড। তবে কোন দলের খাতে এই টাকা গেছে তা নিয়ে চলছে বিস্তর চর্চা। সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে ফিউচার গেমিং যাকে সবচেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করেছে সে হল DMK। মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক সান্তিয়াগো মার্টিনের থেকে ৫০৯ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছিল ডিএমকে। এই সান্তিয়াগোকেই ‘লটারি কিং’ (Lottery King) আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মোট ৬৫৬.৫ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে। যার মধ্যে ৭৭ শতাংশ অনুদান এসেছে ফিউচার গেমিং থেকে। আরও পড়ুন : রমজান মাসে বোরখা ছাড়া বাসে মহিলা! বেপর্দা নারীর সাথে যা করল কন্ডাক্টর, ভাইরাল ভিডিও সূত্রের খবর, ২০১৯-২০ এবং ২০২২-২৩ এর মধ্যে এই অনুদান এসেছে ডিএমকে-র কোষাগারে। তারমধ্যে ফিউচার গেমিং সংস্থার পাশাপাশি তালিকার উপরে রয়েছে মেগা ইনফ্রাস্ট্রাকচার (১০৫ কোটি), ইন্ডিয়া সিমেন্ট (১৪ কোটি), সান টিভি নেটওয়ার্ক (১০ কোটি), ত্রিবেণী (৮ কোটি) এবং রামকোসমেন্ট (৫ কোটি)। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনকে তথ্য দেওয়ার সময়, ডিএমকে বলেছিল যে এই প্রকল্পের অধীনে দাতার নাম প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই।
Rahul Gandhi Shakti Remarks: রাহুলের 'শক্তি' মন্তব্যে বিতর্ক, 'জান' বাজি রেখে লড়াইয়ের বার্তা মোদীর
লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর এক মাস। জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার শেষ দিন ছিল। পদযাত্রার শেষেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠেই বোমা ফাটালেন রাহুল। বলেন, 'আমরা কোনও ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে লড়ছি না। আমরা শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছি।' রাহুলের 'শক্তি' মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়। পাল্টা কী বলছেন বিরোধীরা? কী জবাব নরেন্দ্র মোদীর?
'তোলাবাজি নয়, বন্ড থেকে সামান্য অংশ পেয়েছে দল', মন্তব্য তৃণমূল নেতার
তোলাবাজি করে নয়। বন্ড থেকে একটা সামান্য অংশ পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। BJP সুচতুরভাবে টাকা ঘরে তুলেছে। এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, 'বন্ড চালু হওয়ার প্রথম পাঁচদিনেই বিজেপি ২৫০ কোটি টাকা ভাঙিয়েছে।' রবিবার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা নয়া তথ্যে কী আপডেট?