দেবদাস ধর্মেন্দ্র, পারোর চরিত্রে শর্মিলা, মাঝপথেই ভেস্তে যায় ছবি! চন্দ্রমুখী কে হয়েছিল জানেন?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই দিকপাল অভিনেতা অভিনেত্রী ধর্মেন্দ্র এবং শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। ইন্ডাস্ট্রির দুই সহকর্মী একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তার মধ্যে বেশ কিছু ছবিই সিনেপ্রেমীদের মনে গেঁথে রয়েছে। শুধু সহকর্মীই নয়, এই দুই তারকার মধ্যে রয়েছে আরো এক মিল। একই দিনে জন্ম দুজনের। ৮ ই ডিসেম্বর ৮৯ তে পা দিলেন ধর্মেন্দ্র, অন্যদিকে ৮০ হল এভারগ্রিন শর্মিলার (Sharmila Tagore)। ধর্মেন্দ্র শর্মিলাকে (Sharmila Tagore) নিয়ে দেবদাস বানাতে চেয়েছিলেন গুলজার ধর্মেন্দ্র শর্মিলা (Sharmila Tagore) জুটির চুপকে চুপকে, সত্যকাম, অনুপমার মতো ছবি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে এই জুটির অনুরাগীরা আরো একটি কালজয়ী ছবি উপহার পেতে পারতেন। কিন্তু তা কখনো পর্দায় এসেই পৌঁছায়নি। কথা হচ্ছে ‘দেবদাস’ এর ব্যাপারে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসটি বারে বারে জায়গা পেয়েছে রূপোলি পর্দায়। তেমনি সত্তরের দশকের শেষের দিকে গুলজারও নিজের মতো করে দেবদাসকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন পর্দায়। কেন বাতিল হয় সিনেমা: মুখ্য চরিত্র দেবদাস এবং পার্বতীর জন্য তাঁর পছন্দ ছিল ধর্মেন্দ্র এবং শর্মিলা (Sharmila Tagore)। আর চন্দ্রমুখী চরিত্রের জন্য তিনি বেছেছিলেন হেমা মালিনীকে। মুম্বই এর মোহন স্টুডিওতে ধুমধাম করে হয়েছিল ছবির মহরৎ। কিন্তু সব ঠিকঠাক হয়েও ভেস্তে যায় সবকিছু। আর্থিক কারণে ছবিটি তৈরিই করা যায়নি। তবে ওই ছবির শুটিং থেকে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। আরো পড়ুন: কম বয়সেই হারান বাবা-মাকে, ‘বলিউডে আমি বহিরাগত’, ৩০ বছর কাটিয়ে হঠাৎ এ কী কথা শাহরুখের মুখে! স্বপ্ন ভাঙে ধর্মেন্দ্রর: হাতে পানীয়ের বোতল নিয়ে দেবদাসের লুকে বসে ধর্মেন্দ্র, ছবিটি শেয়ার করে একটি সংলাপ ক্যাপশনে লিখেছিলেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করা ছিল তাঁর স্বপ্ন। আসলে দিলীপ কুমারকে নিজের মেন্টর মানতেন তিনি। তাঁর অভিনীত ‘দেবদাস’ এর সংলাপ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আওড়াতেন ধর্মেন্দ্র। চরিত্রটি আবারো পর্দায় ফুটিয়ে তোলা ছিল তাঁর অন্যতম স্বপ্ন। কিন্তু তা আর পূরণ হয়নি। আরো পড়ুন: না হল সংসার, না পেলেন সন্তান সুখ, ‘পরের জন্মে যেন…’, ঈশ্বরের কাছে আকুল প্রার্থনা রেখার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবদাস এবং চন্দ্রমুখী রূপী ধর্মেন্দ্র এবং হেমার সঙ্গে গুলজারেরও একটি সাদা কালো ছবি পাওয়া যায়। ওই ছবিটি বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে ফের শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং মাধুরী দীক্ষিত বড় পর্দায় ফেরান দেবদাসের কাহিনি। “NEHIN tu tu MERI paro NEHIN “ it was my dream to play Devdas!!! pic.twitter.com/e0rwNT83Lt — Dharmendra Deol (@aapkadharam) June 15, 2018
আজকের রাশিফল ৯ ডিসেম্বর, ভাগ্যের চাকা ঘুরবে এই চার রাশির
বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal)-এর ওপর চোখ রেখে শুরু করুন আপনার দিন। রাশিফল হল জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি অন্যতম অঙ্গ। বহু মানুষ রাশিফলের দিকে নজর রেখেই পদক্ষেপ নেন জীবনে। কারণ, রাশিফলই আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে গোটা দিনের এক সামগ্রিক ছবি। পাশাপাশি, জীবনে চলার প্রতিটি পদক্ষেপে আপনার ভাগ্যের চাকা কোন দিকে ঘুরছে সে সম্পর্কেও আঁচ পেতে পারেন আপনি। এছাড়াও, সতর্ক হওয়া যায় আসন্ন বিপদ থেকেও। তাই, জেনে নিন কেমন যাবে আপনার দিনটি। দেখে নিন আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal): মেষ রাশি: শরীরের প্রতি আজ অবশ্যই যত্নশীল হন এবং শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে কিছুটা বিশ্রাম গ্রহণ করুন। আজ আপনার কোথাও ভ্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে বিপুল অর্থব্যয় ঘটবে। আপনার রসিক মনোভাব আজ খুব সহজেই সবাইকে আকৃষ্ট করবে। প্রেমের জীবনে আজ আপনি একটি চমকের সম্মুখীন হবেন। বিবাহিত জীবন নিঃসন্দেহে সুখের হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে বিশুদ্ধ মধু সেবন করুন। বৃষ রাশি: আপনি আজ একটি সামাজিক জমায়েতে উপস্থিত থাকতে পারেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। অতীতের অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের কারণে আপনি আজ আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, এদিক থেকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। তরুণরা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এমন কোনও কাজ শুরু করার পক্ষে এই দিনটি অবশ্যই ভালো। কোথাও কেনাকাটা করতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সতর্কতার সাথে অর্থব্যয় করুন। বিবাহিত জীবন সুখের হবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে মহিলাদের সম্মান করুন। মিথুন রাশি: আপনার মন আজ একটি ভালো জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হবে। এই রাশির কিছু ব্যবসায়ী অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শ পেতে পারেন। যেগুলির মাধ্যমে তাঁরা লাভবান হবেন। কর্মক্ষেত্রে দিনটি দুর্দান্তভাবে অতিবাহিত হবে। প্রেমের জন্য এই দিনটি নিঃসন্দেহে ভালোবাসা। প্রত্যেকের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। বিবাহিত জীবন সুখের হবে। প্রতিকার: ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এবং কর্মজীবনে উন্নতির লক্ষ্যে আয়ুর্বেদিক মাজন দিয়ে দাঁত মাজুন। কর্কট রাশি: শরীরের প্রতি আজ অবশ্যই যত্নশীল হন। জমিজমা সংক্রান্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজকের দিনটি দুর্দান্তভাবে অতিবাহিত হবে। আজ আপনার একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের সাথে সাক্ষাৎ ঘটবে। এই রাশির পড়ুয়াদের আজ পড়াশোনার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আজকের দিনটি আপনার বিবাহিত জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে সোনা বা হলুদ সুতো পরিধান করুন। সিংহ রাশি: সেইসব বন্ধুদের থেকে আজ দূরে থাকুন যাঁরা অর্থ ধার নিয়ে আর তা ফেরত দেন না। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ আর্থিক বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে মনোমালিন্যের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ কোনও বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কারোর ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন না। আপনার কাছে আজ কিছুটা অবসর সময় থাকবে। সেই সময়টি আপনি নিজের মতো করে অতিবাহিত করবেন। অর্ধাঙ্গিনীর সাথে আজ আপনার মনোমালিন্যের সম্ভাবনা থাকলেও পরে তা ঠিক হয়ে যাবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে খাবার সময়ে তামার চামচ অথবা সম্ভব হলে সোনার চামচ ব্যবহার করুন। কন্যা রাশি: আপনি আজ আচমকাই একটি সুসংবাদ পেতে পারেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। কোনও কাজে আজ আপনি অর্ধাঙ্গিনীর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারেন। আপনার একটি ভালো কাজের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি আজ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রশংসা পাবেন। প্রেমের জন্য এই দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। পরিবারের সবথেকে ছোট সদস্যকে নিয়ে আজ আপনি একটি শপিং মলে বা পার্কে যেতে পারেন। বিবাহিত জীবন নিঃসন্দেহে সুখের হবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে হাসপাতালের রোগীদের সাহায্য এবং সেবা করুন। তুলা রাশি: আপনি আজ কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যুক্ত থাকতে পারেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিতভাবে ধ্যান ও যোগ ব্যায়াম করুন। এর ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। তাড়াহুড়ো করে আজ কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না। কোথাও অর্থ বিনিয়োগ করার আগে আজ অবশ্যই সতর্ক হন। আপনার সন্দেহপ্রবণ মানসিকতাকে আজ দূরে সরিয়ে রাখুন। বিবাহিত জীবনে আজ কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে নিজেরাই তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। প্ৰতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে কম বয়সী শিশু কন্যাদের উদ্দেশ্যে চকলেট এবং সাদা রঙের মিষ্টি বিতরণ করুন। বৃশ্চিক রাশি: প্রত্যেকের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। আজ আপনার কোথাও ভ্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে বিপুল অর্থব্যয় করতে পারে। শরীরের প্রতি আজ অবশ্যই যত্নশীল হন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। কোনও নতুন দায়িত্ব গ্রহণের ফলে আজ আপনি মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে পারেন। প্রেমের জীবনে আজ আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। অর্ধাঙ্গিনীর কারণে আজ আপনি একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। প্রতিকার: প্রেমের জীবন সুখকর করে তোলার লক্ষ্যে ভালোবাসার মানুষটির সাথে দেখা করার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এর ফলে শুক্রের সন্তুষ্টি ঘটবে। ধনু রাশি: আপনি আজ শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। আপনার রসিক মনোভাব আজ খুব সহজেই সবাইকে আকৃষ্ট করবে। আপনি আজ একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। নতুন একটি উদ্যোগের মাধ্যমে আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জীবনসঙ্গীর সাথে দিনটি দুর্দান্তভাবে অতিবাহিত হবে। প্রতিকার: জীবনসঙ্গীকে খুশি রাখার লক্ষ্যে বাবা এবং শিক্ষককে লাল এবং মেরুন রঙের বস্ত্র উপহার দিন। আরও পড়ুন: Chanakya Niti: এই ৫ টি কথা স্ত্রী-রা কখনও জানতে দেন না স্বামীদের! সবসময় লুকিয়ে রাখেন তাঁদের কাছ থেকে মকর রাশি: মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। পাশাপাশি, আজ আপনি যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন। প্রেমের জন্য এই দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। কোথাও ভ্রমণের মাধ্যমে আজ আপনার বাণিজ্যিক দিকটির উন্নতি হবে। পরিবারের সবথেকে ছোট সদস্যের সাথে আজ কিছুটা সময় কাটানো। এর ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। বিবাহিত জীবনে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে নিজেরাই তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। প্রতিকার: পারিবারিক জীবনে সুখ এবং শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে গরুকে খাবার খেতে দিন। আরও পড়ুন: এই অক্ষরগুলি দিয়ে নাম শুরু হলেই জীবনে মিলবে বড় সাফল্য! দু’হাতে আসবে টাকা, কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? কুম্ভ রাশি: শরীরের প্রতি আজ অবশ্যই যত্নশীল হন। পাশাপাশি, শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে কিছুটা বিশ্রাম গ্রহণ করুন। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অযথা অর্থব্যয়ের বদভ্যাস পরিত্যাগ করে সঠিকভাবে অর্থ সঞ্চয়ের প্রতি মনোযোগী হন। কোনও কাজে আজ আপনি অভিভাবকদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। প্রিয়জনদের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। আজ আপনি এমন একটি সেমিনার অথবা প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকতে পারেন যেখান থেকে কিছু নতুন জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। কোনও বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অর্ধাঙ্গিনীর সাথে আজ আপনার মনোমালিন্যের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকার: প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে “ওম ভ্রম বৃহস্পত্যয় নমঃ”-এই মন্ত্রটি ১১ বার জপ করুন। মীন রাশি: আপনার মন আজ একটি ভালো জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হবে। আপনি আজ অর্থ-সংক্রান্ত একটি মামলায় জড়িত থাকলে আদালত আপনার পক্ষেই রায়দান করবে। প্রত্যেকের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। প্রেমের জন্য এই দিনটি খুব একটা ভালো নয়। গৃহপরিচারিকা কাজে না আসায় অর্ধাঙ্গিনীর ওপর কাজের চাপ বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে দ্রুত কাজ শেষ করার পর আজ আপনি নিজের পছন্দমতো সময় অতিবাহিত করবেন। প্রতিকার: পারিবারিক জীবনে সুখ এবং শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাড়িতে কারোর জন্মদিনে অথবা বিশেষ একটি দিনে সাদা রঙের কোনও উপহার অভাবী ব্যক্তিদের অর্পণ করুন।
কম বয়সেই হারান বাবা-মাকে, ‘বলিউডে আমি বহিরাগত’, ৩০ বছর কাটিয়ে হঠাৎ এ কী কথা শাহরুখের মুখে!
বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউডে বহিরাগতদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। এই ইন্ডাস্ট্রিতে পারিবারিক ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড কিংবা গডফাদার না থাকলে টিকে থাকা কঠিন। এমন কথা শোনা গিয়েছে বহুবার। তবু সমস্ত বাধা, প্রতিকূলতাকেই জয় করে এই বলিউডেরই ‘বাদশা’ হয়ে উঠেছেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। হ্যাঁ, তিনিও একজন বহিরাগত। কিন্তু আজ সেকথা মনে রাখেনি কেউই। তবে ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন অভিনেতা নিজেই। বলিউডের শিখরে বসে রয়েছেন শাহরুখ (Shahrukh Khan) দিল্লির ছেলে শাহরুখ (Shahrukh Khan)। পরিবারে তাঁর আগে দূরদূরান্ত পর্যন্ত কেউ অভিনয়ের ধারেকাছে আসেনি। অথচ তিনিই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেন, দেখলেন আর জয় করলেন। আর সকলে তাঁর সাফল্যটাই দেখেছে, কিন্তু চূড়ায় বসেও পেছনের ফেলে আসা পথটা ভুলে যাননি শাহরুখ (Shahrukh Khan)। তার প্রমাণ তিনি দিলেন আবারও। বলিউডের সফর নিয়ে অকপট অভিনেতা: সম্প্রতি আসন্ন ছবি ‘মুফাসা: দ্য লায়ন কিং’ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় শাহরুখকে (Shahrukh Khan)। অ্যানিমেটেড ছবিটিতে মুফাসার হয়ে কণ্ঠ দিতে দেখা যাবে তাঁকে। ছবিতে মুফাসার সঙ্গে নিজের মিলের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহরুখ (Shahrukh Khan) বলেন, ‘বিনয়ী না হয়ে যদি বলি, হ্যাঁ আমারই কাহিনি এমন, তবে তা ঠিক হয়। যার বাবা মা নেই সে অনাথ। আমিও কম বয়সে বাবা মাকে হারিয়েছি, সেক্ষেত্রে আমি আধা অনাথ’। আরো পড়ুন : না হল সংসার, না পেলেন সন্তান সুখ, ‘পরের জন্মে যেন…’, ঈশ্বরের কাছে আকুল প্রার্থনা রেখার নিজেকে বহিরাগত তকমা কিং এর: শাহরুখ (Shahrukh Khan) আরো বলেন, ‘এটা একজন বহিরাগতর গল্প। আমার পরিবারের কোনো সদস্য সিনেমার ব্যবসায় ছিল না। আমি দিল্লি থেকে মুম্বই এসেছিলাম, তাই আমি একজন বহিরাগতও বটে। এটা একজন রাজার কাহিনি। হ্যাঁ, আমি একজন কিং’। আরো পড়ুন : হাসিনা সরকার পতনের জের, বাংলাদেশি ছবি থেকে বাদ ঋতুপর্ণা, জায়গা নিলেন শ্রীলেখা! এই ছবিতে একা শাহরুখ নন, থাকছেন তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খানও। ছোট্ট সিম্বার কণ্ঠ হিসেবে শোনা যাবে কিং খানের ছোট ছেলে আব্রামের গলা। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ২০ শে ডিসেম্বর, ইংরেজি, হিন্দি, তামিল এবং তেলুগু ভাষায়।
ঠান্ডা পড়তেই পা ফেটে “চৌচির”? এড়িয়ে চলুন এই ভুলগুলি, পাবেন নরম, সুন্দর গোড়ালি!
বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীতকাল মানেই শুরু ত্বকের যত্ন। স্নানের পর তেল, বডি লোশন, ময়েশ্চারাইজার মাখতে মাখতে দিন শেষ। অনেকেই ভাবেন পা ভালো করে পরিষ্কার করে নিলে একটু ময়েশ্চারাইজার কিংবা তেল মেখে নিলেই পায়ের যত্ন নেওয়া শেষ। কিন্তু দেখা যায় তারপরেও শীতে পা ফেটে (Cracked Heel) একেবারে দফারফা অবস্থা। একেই শীতকাল তার উপর পা ফাটার (Cracked Heel) যন্ত্রণা যেনো আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পা ফাটার পিছনে রয়েছে আপনাদের নিজেদেরই ভুল। পা ফাটার (Cracked Heel) পিছনে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ: আমরা সবকিছু যত্ন নিলেও পায়ের যত্ন নিতে ভুলে যাই। ত্বকের জন্য ক্লিনজার, ফেসওয়াশ, সিরাম ইত্যাদি বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহার করেন। কিন্তু পায়ের ক্ষেত্রে শুধু সাবান দিয়েই যত্ন শেষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পায়ে যত্নে আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করে যাচ্ছি। বিশেষ করে শীতকালে যত্ন আত্তির বিশেষ ত্রুটি দেখা যায়। এর ফলেই পা ফাটা (Cracked Heel) শুরু হয়। তাই চেষ্টা করুন এই ভুলগুলি শুধরে নেওয়ার। ঠিক কোন কোন ভুলগুলি শুধরে নেবেন: ১) জুতো: পা ফাটার (Cracked Heel) সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে জুতো পরিধানে ভুল। অনেকেই আছেন টাকা সাশ্রয়ের জন্য কম দামি জুতো কিংবা চটি ব্যবহার করেন। এই সমস্ত জুতো পায়ের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। জুতো যদি অতিরিক্ত শক্ত কিংবা মোটা হয় সেক্ষেত্রে আপনার পায়ের নরম গোড়ালি ঘষা লাগতে লাগতে ফাটতে শুরু করে। আর শীতকালে যেহেতু পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে পা ফাটার সম্ভাবনা আরো বেশি বাড়তে থাকে। চেষ্টা করুন শীতকালে পা ঢাকা এবং নরম জুতো ব্যবহার করার। বিশেষ করে নিত্য অফিস যাত্রীরা এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন। ২) মোজা: শীতকালে বেশিরভাগ সকলেই মোজা পরে থাকেন। ঘরে হোক কিংবা বাইরে মজা পড়ার জন্য সর্বদা উল কিংবা সুতির কাপড় ব্যবহার করুন। আর হ্যাঁ প্রতি এক দুদিন অন্তর অন্তর পরিষ্কার করে নেবেন। ময়লা মোজা দিনের পর দিন ব্যবহার করবেন না। এতে থাকা পায়ে ছত্রাক জন্মাতে পারে। তাই ময়লা মোজা ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে চলুন। ৩) ভেজা পা: শীতকালে চেষ্টা করুন পা শুকনো রাখার। অতিরিক্ত জল পায়ের গোড়ালি আলগা করতে পারে। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় পা ফেটে গিয়ে রক্তপাত হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বাড়ির গৃহিণীরা অতিরিক্ত জলের কাজ করার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই কাজ শেষে সবসময় পা মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। আরও পড়ুনঃ হাসিনা সরকার পতনের জের, বাংলাদেশি ছবি থেকে বাদ ঋতুপর্ণা, জায়গা নিলেন শ্রীলেখা! ৪) পায়ের নখ: পায়ের পাশাপাশি নখ পরিষ্কার রাখাও অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে যারা নিত্যদিন বাইরে কাজ করতে যান তাদের এ বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। নইলে পায়ের নখে জমে থাকা ময়লা পায়ের ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। এতে থেকে বিভিন্ন রকমের রোগ জীবাণুও সৃষ্টি করে। ঠান্ডা জলে পা না ধুয়ে গরম জলে পা ধোয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে পায়ের নখে থাকা সমস্ত ময়লা বেরিয়ে আসে। আরও পড়ুনঃ সংঘাতের আবহেই কর্তব্য করল ভারত! ওপার বাংলায় পাঠাল ৭০-৮০ কোচের মালগাড়ি, কী আছে ওটায়? ৫) ময়েশ্চারাইজার: শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি পা’কেও আদ্র রাখা উচিত। কারণ এই সময় পায়ের ত্বক অত্যন্ত শুকিয়ে যায় এবং পায়ের চামড়া আলগা হতে থাকে। তাই চেষ্টা করুন, এই সময় দিনে ২ থেকে ৩ বার পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার। এতে করে পায়ের ত্বক পুষ্টি পাবে এবং ত্বকের যত্নও হবে। পা ফাটাও (Cracked Heel) কমে যাবে।
জানেন, বাড়িতে কত সোনা রাখা বৈধ? আর পড়তে হবে না বিপদে, সোনা কেনার আগেই জেনে নিন নিয়ম!
বাংলা হান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে চলছে বিয়ের মরশুম। ছেলে হোক কিংবা মেয়ের বিয়ে শুধু কি শাড়ি, জামা কাপড় কিনলে চলে? আসল অলংকার তো হচ্ছে সোনা (Gold)। বিশেষ করে মেয়েদের বিয়েতে এই হলুদ অলংকারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও সোনার গয়নাতেই (Gold) অপরূপ সুন্দরী হয়ে ওঠেন প্রতিটি কনে। নিশ্চয়ই বিয়ের আগে প্রচুর প্রচুর সোনার গয়না কিনেছেন। সোনার গয়না (Gold) তো কিনছেন! কিন্তু কি জানেন কত সোনা বাড়িতে রাখা যায়? সীমার তুলনায় এক গ্রাম বেশি হলেই বাড়িতে হানা দিতে পারে ইনকাম ট্যাক্স অফিসার। বাড়িতে সোনা (Gold) রাখার ক্ষেত্রে কি ঠিক কি নিয়ম রয়েছে? সোনা (Gold) শুধু নারীদের অলঙ্কার নয়, বিপদের রক্ষক হিসেবেও কাজ করে। তাই সকলে বাড়িতে কমবেশি সোনা রেখেই থাকেন। কিন্তু বাড়িতে সোনা রাখার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দিয়েছে ভারতীয় আইন। সেই সীমা অতিক্রম করলেই আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে পাঠানো হতে পারে নোটিশ কিংবা দিতে হতে পারে জরিমানা। অনেক সময় জেল হয়ে যাবারও সম্ভাবনা থাকে। যদিও নারী, পুরুষ দুজনের ক্ষেত্রে সোনা রাখার নিয়ম আলাদা আলাদা। মেয়েরা বাড়িতে কত পরিমাণ সোনা (Gold) রাখতে পারবেন: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেস-এর নিয়ম অনুযায়ী, বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলাদের সোনা রাখার নিয়ম আলাদা। একজন বিবাহিত মহিলা বাড়িতে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম সোনা (Gold) রাখতে পারেন। আর অবিবাহিত মহিলারা সেখানে ২৫০ গ্রাম সোনা কিংবা সোনার গয়না নিজের কাছে রাখতে পারেন। পুরুষরা কত গ্রাম সোনা বাড়িতে রাখতে পারেন: পুরুষদের ক্ষেত্রে এর সীমাটা আরো অনেকটাই কম। একজন পুরুষ নিজের কাছে মাত্র ১০০ গ্রাম সোনা (Gold) রাখতে পারেন। তবে শুধু সোনাই নয়, সরকারি নিয়ম অনুসারে সেই সোনা কোথা থেকে কেনা হয়েছে, তার প্রমাণও থাকা চাই। এতে করে আয়কর দফতর যদি কখনও বাড়িতে হানাও দেয়, সঠিক নথি দেখালে সহজে সেই সোনাও বাজেয়াপ্ত করা হবে না। আরও পড়ুনঃ না হল সংসার, না পেলেন সন্তান সুখ, ‘পরের জন্মে যেন…’, ঈশ্বরের কাছে আকুল প্রার্থনা রেখার এবার অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত সোনার উপর কি ট্যাক্স দিতে হয়? এই বিষয়ে জেনে রাখা ভালো সেই সোনা যদি বৈধ হয়, আইনি কাগজ থাকে এবং পরিমাণ যদি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তাহলে কোনো ট্যাক্স দিতে লাগে না। এমনকি আয়কর দফতর আপনার সেই সোনা সহজে বাজেয়াপ্ত করতেও পারে না। আরও পড়ুনঃ ‘ব্ল্যাকমেইল করে..,’ পদ হারিয়ে এবার যা বললেন শান্তনু সেন, জোর শোরগোল সোনা বিক্রি করার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশিষ্ট নিয়ম: বর্তমানে সোনা বিক্রির ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষ নিয়ম। কেউ যদি সোনা কেনার ৩ বছর কিংবা তার বেশি সময় পর যদি বিক্রি করেন, সেক্ষেত্রে তাকে ২০ শতাংশ লং টার্ম ক্যাপিটাল গেন ট্যাক্স দিতে হয়। সবমিলিয়ে বর্তমানে সোনা (Gold) কেনা কিংবা রাখার ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম চালু করা হয়েছে। এই নিয়মগুলি মেনে চলা আবশ্যক।
না হল সংসার, না পেলেন সন্তান সুখ, ‘পরের জন্মে যেন…’, ঈশ্বরের কাছে আকুল প্রার্থনা রেখার
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের একজন জীবিত কিংবদন্তি রেখা (Rekha)। তাঁকে নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক না কেন, তাঁর গ্ল্যামার, ব্যক্তিত্বের কাছে এসে থেমে যায় সমস্ত বিতর্ক। নিজের উপস্থিতি, অভিনয় পারদর্শিতা দিয়ে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। অভিনয় কেরিয়ারে বহুল খ্যাতি পেয়েছেন রেখা (Rekha)। অনেকের কাছেই হয়ে উঠেছেন নিদর্শন। কিন্তু তাঁর জীবনেও রয়ে গিয়েছে প্রচুর না পাওয়া। মাঝে মাঝে সেই সব না পাওয়া গুলি নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল রেখার (Rekha) সম্প্রতি কপিল শর্মার শোতে এসে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানান কথা শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে রেখাকে (Rekha)। তিনি যেমন জানিয়েছেন, আজও তিনি নিয়মিত কউন বনেগা ক্রোড়পতি শো দেখেন, তেমনি আরো একটি বিষয় উঠে আসে তাঁর কথায়। সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা শোতে শেয়ার করেন রেখা (Rekha)। মিমিক্রিতে পারদর্শী রেখা: কপিলের কথার প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জানান, আগেকার সময়ে লতা মঙ্গেশকর সহ অন্যান্য শিল্পীরা গান গাওয়ার আগে জিজ্ঞাসা করতেন, কার জন্য গাইছেন তাঁরা। রেখার (Rekha) কথার রেশ ধরেই কপিল জানান, অভিনেত্রী নাকি খুব ভালো নকল করতে পারেন। কাউকে কিছু সময়ের জন্য দেখেই তাঁকে হুবহু নকল করতে পারেন তিনি। কপিল রেখাকে (Rekha) অনুরোধ করেন লতা মঙ্গেশকরের একবার মিমিক্রি করতে। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন অভিনেত্রী। আরো পড়ুন : হাসিনা সরকার পতনের জের, বাংলাদেশি ছবি থেকে বাদ ঋতুপর্ণা, জায়গা নিলেন শ্রীলেখা! কী ইচ্ছা প্রকাশ করেন রেখা: তার বদলে সুরসম্রাজ্ঞীর বিষয়ে একটি অজানা কথা শেয়ার করেন রেখা (Rekha)। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, একবার লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিনে তাঁকে অনুষ্ঠানে মঞ্চে ডাকেন গায়িকা। মঞ্চে সকলের সামনেই রেখা (Rekha) বলেছিলেন, ‘আমি আপনার এত বড় ভক্ত, ঈশ্বর আপনি যদি আমার কথা শুনতে পান, তাহলে আমার অনুরোধ রইল, পরের জন্মে যেন লতা দিদির মতো এক কন্যাসন্তান হয় আমার’। আরো পড়ুন : মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে প্রথম দেখা, প্রিয়াঙ্কা তখন ১৮-র তরুণী, স্বামী নিকের বয়স কত ছিল জানেন? রেখার কথার উত্তরে মিষ্টি হেসে লতা মঙ্গেশকর বলেছিলেন, ‘পরের জন্ম কেন, এই জন্মেই আমি তোমার মেয়ে’। অভিনেত্রী জানান, সেই থেকে তাঁকে ‘মাম্মা’ বলেই ডাকতেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী।
সংঘাতের আবহেই কর্তব্য করল ভারত! ওপার বাংলায় পাঠাল ৭০-৮০ কোচের মালগাড়ি, কী আছে ওটায়?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত ৫ ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা ইস্তফা দেওয়ার পর, বাংলাদেশের ক্ষমতাভার গ্রহণ করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে। কোথাও হামলা করা হচ্ছে হিন্দুদের উপর, আবার কোথাও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের মন্দির, উপাসনাস্থল। কয়েকদিন আগে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে পুলিশি গ্রেপ্তারির পর অবস্থার আরো অবনতি হয়। সোজা কথায় রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। সবমিলিয়ে ভারত (India) ও বাংলাদেশের মধ্যে যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে রীতিমত দড়ি টানাটানি চলছে, সেই আবহেই আস্ত একটি মালগাড়ি বাংলাদেশকে (Bangladesh) পাঠানো হল ভারতের তরফ থেকে। ভারত (India) থেকে বাংলাদেশে পৌঁছল মালগাড়ি বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রমাগত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। এমনকি ভারতে (India) আসার ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও টালবাহানা করছে সে দেশের সরকার। এই আবহেই গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি ভারত বিরোধী মিছিল থেকে কলকাতা দখলের ডাকও দেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তারা। আরোও পড়ুন : শীত আসতেই মাথায় টাক! চুলের যত্নে এই বিশেষ ত্রুটিগুলি করছেন না তো? দেখে নিন! কলকাতা এবং আগরতলার পাশাপাশি সেভেন সিস্টার্স দখল করার হুংকার দেন বাংলাদেশ তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধান। এই পরিস্থিতিতেও মোদি সরকার যদিও সরেনি নিজেদের প্রতিশ্রুতি থেকে। দুই দেশের বৈদেশিক চুক্তি অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার সকালে গেদে সীমান্ত দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ বগির একটি মালগাড়ি (Goods Train) পাঠানো হল বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ভারতের তরফ থেকে আমদানি করে আলু, ডিম, ফল, খাদ্যদ্রব্য, দুগ্ধজাত দ্রব্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। দুই দেশের মধ্যে বৈদেশিক চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে মালগাড়ি পাঠানোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল ভারত সরকার। সেই মতো বাংলাদেশে ৮০ থেকে ৯০ বগির একটি খালি মালগাড়ি পাঠাল ভারত সরকার। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো মালগাড়ি বাংলাদেশে পাঠাবে ভারত। এই মালগাড়ি রপ্তানি সম্পূর্ণভাবে দুই দেশের বৈদেশিক চুক্তির অংশ।
হাসিনা সরকার পতনের জের, বাংলাদেশি ছবি থেকে বাদ ঋতুপর্ণা, জায়গা নিলেন শ্রীলেখা!
বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংবাদ শিরোনামে এখন শুধুই বাংলাদেশ (Bangladesh)। ওপার বাংলার উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গোটা বিশ্বের নজর এখন ইউনূস সরকারের উপরে আবদ্ধ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের বিনোদুনিয়া থেকে এল আরেক বড় খবর। বাংলাদেশি (Bangladesh) ছবি থেকে বাদ পড়ছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁর পরিবর্তে ছবিতে আসছেন টলিপাড়ার আরেক নায়িকা শ্রীলেখা মিত্র। বাংলাদেশি (Bangladesh) ছবি থেকে বাদ ঋতুপর্ণা রাশিদ পলাশ পরিচালিত ‘তরী’ ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল ঋতুপর্ণার। গত জুলাই মাসেই এই ছবির কথা ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক। ইতিমধ্যেই ছবির প্রথম দফার শুটিং মিটেছে। শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় দফার শুটিং। কিন্তু তার আগেই চমক। রবিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যমের কাছে ছবির নায়িকা বদলের খবর নিশ্চিত করে পরিচালক রাশিদ পলাশ জানিয়েছেন, এই ছবিতে ঋতুপর্ণার বদলে আসছেন শ্রীলেখা। শ্রীলেখার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন পরিচালক। ছবির বিষয়ে শ্রীলেখার সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করতেই তাঁর এপার বাংলায় আসা বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছবির বিষয়ে পরিচালক জানিয়েছেন, ঋতুপর্ণার যে চরিত্রটি ছিল, শ্রীলেখার কথা মাথায় রেখেই তার পরিধি বাড়ছে। আরো পড়ুন : মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে প্রথম দেখা, প্রিয়াঙ্কা তখন ১৮-র তরুণী, স্বামী নিকের বয়স কত ছিল জানেন? হঠাৎ কেন বাদ পড়লেন ঋতুপর্ণা: কিন্তু হঠাৎ ছবি থেকে ঋতুপর্ণার বাদ পড়ার কারণ কী? বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, সে দেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতির পরিবর্তনই এর জন্য দায়ী। আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্ছেদের পর পার্টি ঘনিষ্ঠ একাধিক তারকা নাকি গা ঢাকা দেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশি (Bangladesh) নায়ক তথা প্রাক্তন সংসদ সদস্য। খবর ছড়িয়েছিল, তিনি নাকি ঋতুপর্ণার বাড়িতে আড়ালে রয়েছেন। দুজনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথা কারোরই অজানা নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থেই নাকি ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ঋতুপর্ণাকে, ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর এমনটাই। আরো পড়ুন : এ যে উলটপুরাণ! বচ্চন পরিবারের এই সদস্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা সবথেকে কম, নামটা শুনলে বিশ্বাসই হবে না! যেমনটা জানা যাচ্ছে, আগামী মাসেই শুরু হবে দ্বিতীয় দফার শুটিং। সিলেটে শুটিংয়ে যোগ দেবেন শ্রীলেখা। ছবিতে তিনি ছাড়াও থাকছেন বাংলাদেশি অভিনেতা ডিপজল, শম্পা রেজা, জিনাত শানু স্বাগতার মতো অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
নামমাত্র উপাদানে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন কন্ডিশনার, চুলের উজ্জ্বলতা দেখে হিংসে করবে সকলে!
বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রায় প্রত্যেকটি ঘরে চুলের সমস্যায় জর্জরিত প্রতিটি মেয়েরা। চুলের যত্নে সকাল, বিকেল অনেকেই ভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। কারণ চুল নারীদের সবচেয়ে দামী সম্পদ। তাই তো মাসের স্যালারির অর্ধেক টাকা চলে যায় শুধুমাত্র শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের (Hair Conditioner) পিছনে। আর এখন যেহেতু শীতকাল তাই চুল রুক্ষ, সূক্ষ্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই শীতে চুলের যত্নে সঠিক হেয়ার কন্ডিশনার (Hair Conditioner) ব্যবহার করা উচিত। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই লাগানো উচিত এই জিনিসটি। তবে এবারের শীতে গাদা গুচ্ছের টাকা খরচ নয়, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন হেয়ার কন্ডিশনার (Hair Conditioner)। ঘরেই বানিয়ে ফেলুন চুলের কন্ডিশনার (Hair Conditioner): অনেকেই চুলের যত্নে নিতে বাড়িতে ভিন্ন রকমের ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে থাকেন। কেউ তেল বানিয়ে থাকেন, আবার কেউ সিরাম। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, বহু মূল্যবান প্রোডাক্ট নয়, মা ঠাকুমাদের তৈরি টোটকাই কাজে লাগছে। এবার মা ঠাকুমাদের হাতের তৈরি কন্ডিশনার (Hair Conditioner) চুলে লাগিয়ে দেখুন হাতেনাতে ফল পাবেন। শীতেও আপনার চুল যেনো কথা বলবে। আপনার চুল দেখে ঈর্ষান্বিত হবে অন্যরা। কি কি কন্ডিশনার (Hair Conditioner) বানাবেন বাড়িতে: ১) কলার কন্ডিশনার: চুলের যত্নতে কলার জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে শীতকালে কলা দিয়ে কন্ডিশনার (Hair Conditioner) বানিয়ে যত্ন নিন। এই কন্ডিশনার বানানোর জন্য প্রয়োজন একটি কলা, তিন টেবিল চামচ মধু, তিন টেবিল চামচ দুধ, তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং একটি ডিম। এই উপকরণগুলো নিয়ে নেওয়ার পর একটি পাত্রে একে একে সমস্ত উপাদান গুলি ভালো করে মিশিয়ে দিন। চেষ্টা করবেন প্রতিটি মিশ্রণ খুব ভালোভাবে যেন মিশে যায়। উপাদানটি তৈরি হয়ে গেলে ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখবেন। এরপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করে করুন দেখবেন ফলাফল আপনার হাতে।। ২) গ্রিন টি: হেয়ার স্পেশালিস্টদের মতে, গ্রিন টি শুধু ওজনই ঝরায় না একই সাথে চুলের জেল্লা ফেরাতেও সক্ষম। এর জন্য আপনাকে গ্রিন টি করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর সেই গ্রিন টি শ্যাম্পু করার আগে ভালো করে মাথায় দিয়ে ম্যাসাজ করুন। চুলের প্রতিটি কোণা যেন গ্রিন টিয়ের স্বাদ পায়। এরপর আপনার ব্যবহৃত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আর কোন কিছুই করতে হচ্ছে না চুলের জন্য। ৩) ভিনিগার এবং ডিম: ডিমে থাকা বিশিষ্ট উপাদান কন্ডিশনারের (Hair Conditioner) চেয়েও বেশি ভালো কাজ করে। কন্ডিশনের বানাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন ২টি ডিম, এক চামচ ভিনিগার, আর সামান্য লেবুর রস, এই তিনটি উপাদান আগে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এতে দেড় চামচ অলিভ অয়েল, কয়েক ফোঁটা মধু দিয়ে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ওই মিশ্রণটি ভালো করে চুলের ফাঁকে ফাঁকে দিতে থাকুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। আরও পড়ুনঃ উদ্দেশ্যে, ইন্ডিয়ার সীমান্তে নজরদারি! তুর্কি ড্রোন বসাল বাংলাদেশ! পাল্টা ভারত যা দিল…কাঁপবে সবাই ৪) নারকেল ও মধুর কন্ডিশনার: নারকেল তেল ও মধু দিয়ে তৈরি চুলের কন্ডিশনার একবার হলেও ব্যবহার করে দেখুন। প্রথমে একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল, মধু, লেবুর রস, ১ চামচ দই, ১ চা চামচ গোলাপ জল সব ভালো করে মিশিয়ে, এরপর মাথায় লাগিয়ে নিন। যতক্ষণ না শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে নেবেন। সপ্তাহে একদিন কিংবা দুদিন করে কি ব্যবহার করুন কাজ করবেই করবে। আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই বৃষ্টি শুরু! দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম আপডেট ৫) অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। এতে শুধু চুল সিল্কিই হয় না পাশাপাশি চুলের ঘনত্ব বাড়ে। বাড়িতে যদি অ্যালোভেরা গাছ থাকে তাহলে সেখান থেকে জেল বের করে নিন। নয়তো দোকানে এই জেল কিনতে পাওয়া যায় সেটাও কিনে নিতে পারেন। শুধু এই জেলটুকুই লাগান এতে আর কোন উপাদান মেশাতে হবে না। এটাই কন্ডিশনারের (Hair Conditioner) মত কাজ করবে।
শীত আসতেই মাথায় টাক! চুলের যত্নে এই বিশেষ ত্রুটিগুলি করছেন না তো? দেখে নিন!
বাংলা হান্ট ডেস্ক: চুল ঝরে পড়া (Hair Fall) প্রায় প্রতিটি মেয়েদের সমস্যা। এমনকি চুল ঝরে পড়ার জন্য বিশেষ কোনো ঋতুর প্রয়োজনও পড়ে না। সকালে ঘুম থেকে বিছানায় এক গাদা চুল তো আবার কখনো জামার মধ্যে জড়িয়ে পড়ে চুল। চুল ঝরে (Hair Fall) পড়তে পড়তে একসময় এমন অবস্থা হতে শুরু করে যে টাক দেখা দিতে শুরু করে। তবে দেখা যায়, শীতকালে যেনো একটু বেশি চুল ঝরে পড়ে। তখন হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় শুধুমাত্র এই চুলের জন্য। কিন্তু চুলে টাকা পয়সা খরচ না করে এই ভুলগুলোর প্রতি বিশেষ ধ্যান দিন তাহলেই চুল পড়া কমবে। শীতকালে চুলের ঝরে (Hair Fall) পড়ার পিছনে রয়েছে এই বিশেষ ভুলগুলি: অনেকেই ভাবেন এই সময় চুলে খুশকি হয়, চুলের গোড়া শুকিয়ে যায় তাই হয়তো এমন সমস্যা দেখা দেয়। হ্যাঁ এই কারণগুলি একেবারে যথেচ্ছ কারণ। অনেকেই এর জন্য বিভিন্ন রকমের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সিরাম ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতে আসলেই কোনো লাভ হয়না। কারণ শীতকালে চুল ঝরে পড়ার পিছনে রয়েছে পরিচর্যায় ত্রুটি। এই ত্রুটি গুলিই হচ্ছে চুল ঝরে পড়ার মূল কারণ। চুল পরিচর্যায় ঠিক কি কি ভুল করে থাকেন? ১) যন্ত্রপাতির ব্যবহার: শীতকাল মানেই বিয়ের মরশুম শুরু। শুধু বিয়েই নয়, সঙ্গে থাকে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান বাড়ি। আর মেয়েরা অনুষ্ঠান বাড়ি পেলো মানেই সাজের বহর শুরু। চুলে বিভিন্ন রকমের স্টাইলের জন্য বিভিন্ন রকমের যন্ত্রপাতি যেমন স্ট্রেটনার, কার্লার ব্যবহার করেন। তবে মনে রাখবেন শীতকালে চুলের গোড়া রুক্ষ, সূক্ষ্ম হয়ে যায়, ফলে আবার চুলে যন্ত্রপাতির হিট লাগার ফলে চুল আরো রুক্ষ শুষ্ক হতে থাকে। চুলের উজ্জ্বলতা তো নষ্ট হয়ই সেইসাথে চুল ঝরে (Hair Fall) পড়তে থাকে। ২) গরম জল: শীতকালে অনেকেই গরম জলে স্নান করেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা গরম জলে মাথা শ্যাম্পুও করে নেন। জানিয়ে রাখি, গরম জলে মাথা শ্যাম্পু করা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এতে করে চুলের কোষ ধ্বংস হয়ে যায়। আসলে গরম জলের প্রভাবে মাথার কোষ থেকে তৈলাক্ত ভাব টেনে নেয়। চুলে পুষ্টির অভাব ঘটে, এরফলেই চুল নষ্ট হয়ে গিয়ে পড়তে থাকে। ৩) চুল শুকাতে দেরি: শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় চুল শুকাতে দেরি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, চুল ঠিক ভাবে শুকায় না। দীর্ঘদিন ধরে চুল না শুকালে একটা সময় গিয়ে দেখা যায় স্ক্যাল্প নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেইসাথে চুল পড়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুনঃ মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে প্রথম দেখা, প্রিয়াঙ্কা তখন ১৮-র তরুণী, স্বামী নিকের বয়স কত ছিল জানেন? ৪) তেল: শীত গ্রীষ্ম বর্ষা চুলের পরিচর্যায় তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি জরুরী। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ সময় মেয়েরা চুলের পরিচর্যাায় তেলের অভাব রাখেন। বিশেষ করে শীতকালে চুলে তেলের (Oil) অভাব হলে চুলের গোড়া নষ্ট হতে থাকে। চুলের কোষগুলি ধীরে ধীরে আলগা হয়ে যায়। ফলে প্রত্যেকটি মেয়েরা চুল পড়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। আরও পড়ুনঃ কপাল পুড়লো “Jio”র! একধাক্কায় কমলো ৭৯ লক্ষ, BSNL-এর চাপে গ্রাহকহারা আম্বানি! ৫) রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার: বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই চুলের ট্রিটমেন্টের জন্য স্মুদনিং, স্পা ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু হেয়ার স্পেশালিস্টদের মতে এই সমস্ত কাজ চুলকে সাময়িক ভাবে সুস্থ রাখতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে এই কাজগুলি চুলের ক্ষতি করে। বিশেষ করে আজকালকার দিনে ফ্যাশনে চুল কালারের ট্রেন্ড বেরিয়েছে। এতে করে প্রকার চুলের সর্বনাশ হচ্ছে । তাই এই সমস্ত কাজ করা থেকে দূরে থাকুন। ঘরোয়া উপায় চুলের পরিচর্যা করুন। তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
উদ্দেশ্যে, ইন্ডিয়ার সীমান্তে নজরদারি! তুর্কি ড্রোন বসাল বাংলাদেশ! পাল্টা ভারত যা দিল…কাঁপবে সবাই
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে ভারত (India) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতেই ভারত সীমান্তে তুরস্ক থেকে কেনা বায়রাক্টার টিবি-২ ড্রোন (Bayraktar TB2 drone) মোতায়েন করল বাংলাদেশ। ভারত সীমান্তের উপর নজরদারি চালাতেই এই ড্রোন বসিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষাবাহিনী। ড্রোনের লড়াই ভারত (India) বাংলাদেশের (Bangladesh) নজরদারি চালানোর পাশাপাশি তুরস্কের TB-2 ড্রোন ছোটখাটো হামলা চালাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুপ্তচরবৃদ্ধি, নজরদারি ও রিকনেসান্স মিশনের জন্য এই ড্রোনগুলি পরিচালিত করে থাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সংশ্লিষ্টমহল মনে করছে, এই ধরনের ড্রোন মোতায়েন করার ফলে সীমান্তে বৃদ্ধি পেতে পারে উত্তেজনা। যদিও বাংলাদেশের এই কৌশলকে মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত (India)। এই পরিস্থিতিতে ভারত ইজরায়েল থেকে কেনা হেরন টিপির (Heron TP drone) মতো ড্রোন সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা রয়েছে সীমান্ত এলাকায় ড্রোন বিরোধী অভিযান চালানোর। আরোও পড়ুন : কপাল পুড়লো “Jio”র! একধাক্কায় কমলো ৭৯ লক্ষ, BSNL-এর চাপে গ্রাহকহারা আম্বানি! প্রসঙ্গত, ইজরায়েল থেকে কেনা হেরন ড্রোনের কার্যক্ষমতা প্রায় ২৪ ঘন্টা। ২০০-২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের লাইভ ভিডিও ও ছবি তুলতে এবং পাঠাতে সক্ষম এই বিশেষ ড্রোন। স্যাটেলাইট সংযোগের এই ড্রোনগুলিতে থাকে সীমাহীন পরিসরের ট্রান্সমিশন। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে হাসিনা সরকার তুরস্ক থেকে কেনে টিবি-২ ড্রোন। বাংলাদেশ সরকারের সাথে তুরস্কের মোট ১২ টি ড্রোনের চুক্তি হয়। এগুলির মধ্যে ৬টি টিবি-২ ড্রোন বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা। সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি চালাতে গুপ্তচরের কাজ করে টিবি-২ ড্রোন। এমনকি ছোটখাটো হামলা চালাতেও সক্ষম তুরস্কের এই ড্রোন।
‘সারপ্রাইজ দেব’! চরম ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেই প্রেমিকের যৌনাঙ্গে কোপ প্রেমিকার, চাঞ্চল্য ডোমজুড়ে
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্ক! দুই বাড়িতেই জানে সম্পর্কের কথা। তাই অবাধ মেলামেশার পাশাপাশি প্রেমিকের ‘আবদারে’ সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন একাধিকবার। বিয়ের কথা উঠলেই বেঁকে বসেন প্রেমিক। কিন্তু ভালোবাসায় শুধু শরীর থাকবে কেন? প্রশ্ন ১৯ বছরের তরুণীর। তাই প্রেমিককে উচিত শিক্ষা দিতেই এক চরম সিদ্ধান্ত (Crime) নিলেন তরুণী। সারপ্রাইজ দেওয়ার নামে প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কাটল (Crime) তরুণী যা শুনলে হকচকিয়ে যাবেন যে কেউ! হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা শেখ কাইফের সঙ্গে দীর্ঘ ৬ ধরে চুটিয়ে প্রেম করছেন পার্বতীপুর শেখ পাড়ার বাসিন্দা সুমাইয়া খাতুন। কিন্তু বারবার বিয়ে করতে বললেও রাজি হননি আবদুর। তাই যখনই সোমাইয়া ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। তখনই নাকি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার কথা বলে ব্ল্যাকমেইল করে যুবতীকে সঙ্গমে বাধ্য করত আবদুর। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকে। কিন্তু এই ভাবে কতদিন? তাই সহ্যের সীমা পার করতেই আবদুরকে উচিত শিক্ষা দিতে অনলাইনেই ধারাল ছুরি কেনেন তরুণী। এরপর পরিকল্পনা-মাফিক শনিবার রাতে ‘সারপ্রাইজ’ (Crime) দেওয়ার কথা বলে নিজের পাড়াতেই ডেকে আনেন প্রেমিককে। শুরু থেকেই এদিন বেশ রোম্যান্টিক মেজাজে ছিলেন সোমাইয়া। আরও পড়ুন: রাত পোহালেই বৃষ্টি শুরু! দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম আপডেট যা দেখেই প্রেমিক আবদুর রহমানের মেজাজও বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়। প্রেমালাপের শুরুতেই গাছের সাথে প্রেমিকের হাত ও চোখ বেঁধে ফেলেন তরুণী। তারপরেই সটান যৌনাঙ্গে ছুরি চালান (Crime) সোমাইয়া। তখনই প্রচন্ড জোরে আর্তনাদ করে ওঠে যুবক। বর্তমানে রক্তাক্ত অবস্থায় SSKM হাসপাতালে ভর্তি যুবক। অন্যদিকে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে সোমাইয়াকে গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। পুলিশি জেরায় গোটা ঘটনা স্বীকার করে নিলেও সোমাইয়ার প্রশ্ন, ‘আমি ওকে ভালোবাসতাম। কিন্তু ও আমাকে ভালোবাসত না। ও শুধু আমার শরীর চাইত। আচ্ছা বলুন তো প্রেম মানে কি শুধু শরীর?’ তবে জানা যাচ্ছে, দোষী প্রমাণিত হলে যুবতীর ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।
কপাল পুড়লো “Jio”র! একধাক্কায় কমলো ৭৯ লক্ষ, BSNL-এর চাপে গ্রাহকহারা আম্বানি!
বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। আর এই মুহূর্তে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির চলছে সর্বনেশে দশা। কারণ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে একমাত্র বাজার কাঁপাচ্ছে বিএসএনএল। একের পর এক মারাত্মক সব প্ল্যান এনে কুপোকাত করেছে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাদের। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কপাল পুড়েছে জিওর (Jio)। এক ধাক্কায় খোয়া গেছে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক। মাত্র ৩০ দিনেই ৭৯ লক্ষ গ্রাহক হাতছাড়া হয়েছে জিওর (Jio)। নতুন বছর শুরুর আগেই মুকেশ আম্বানির ব্যবসায় বিরাট পতন। তবে এই তালিকায় বাদ যায়নি অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিও। ৩০ দিনে ৭৯ লক্ষ গ্রাহক হারালো টেলিকম সংস্থার জিও (Jio): সম্প্রতি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) তথ্য প্রকাশ করেছেন। ট্রাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি প্রত্যেকটি টেলিকম সংস্থা মিলিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় এক কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। আর এই তালিকায় সর্বপ্রথমে রয়েছে মুকেশ আম্বানির জিও (Jio)। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই গ্রাহকরা জিও পরিষেবার নেওয়া বন্ধ করেছে। যার ফলস্বরূপ আজ ৭৯ লক্ষ গ্রাহক জিও পরিষেবা থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। গ্রাহকহারা হয়েছে এয়ারটেল, ভোডাফোন: এছাড়াও জানা গিয়েছে, সুনীল মিত্তলের ভারতী এয়ারটেলের গ্রাহক কমেছে ১৪ লক্ষ। অন্য দিকে, VI গ্রাহক হারিয়েছে ১৫ লক্ষ। কিন্তু জিওর (Jio) তুলনায় ভোডাফোন, এয়ারটেলের ব্যবধান অনেকটাই কম। এদিকে বেসরকারি সংস্থাগুলির গ্রাহক সংখ্যা কমলেও সরকারি সংস্থা বিএসএনএলের (BSNL) গ্রাহক সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে বিএসএনএলের নতুন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় কয়েক লক্ষ। কত গ্রাহক বিএসএনএল-এর প্রতি ঝোঁক বাড়িয়েছে: একসময় বিএসএনএলের পরিষেবার প্রতি কারোরই কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু এদিকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৫৫ লক্ষ গ্রাহক অন্য সংস্থা থেকে বিএসএনএলে নম্বর পোর্ট করিয়েছে। অল্প খরচ হওয়ার কারণেই বিএসএনএলের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছেন গ্রাহকরা। আরও পড়ুনঃ মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে প্রথম দেখা, প্রিয়াঙ্কা তখন ১৮-র তরুণী, স্বামী নিকের বয়স কত ছিল জানেন? ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসেই ১৫ লক্ষ গ্রাহক জিও (Jio), ভোডাফোন, এয়ারটেলের মতো সংস্থা থেকে বিএসএনএলের গ্রাহক হয়েছেন। এমনকি অগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়েছে। এই তিন মাসে গ্রাহক সংখ্যা যথাক্রমে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ লক্ষ, ১১ লক্ষ ও ৭ লক্ষ। আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই বৃষ্টি শুরু! দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম আপডেট ঠিক কি কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে: চলতি বছরের জুন মাসে প্রত্যেকটি বেসরকারি সংস্থা ট্যারিফ রেট বৃদ্ধি করে। দেখা যায়, ১১ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। আর তারপর থেকেই সকলের পছন্দ এবং মনের পরিবর্তন ঘটেছে। জুন মাস থেকেই লক্ষ লক্ষ গ্রাহক সিম পোর্ট করিয়ে বিএসএনএলে (BSNL) চলে আসে। যদিও এই পরিবর্তনে উচ্ছ্বসিত ভারত সরকার। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, “ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিএসএনএলের বিরাট সুযোগ রয়েছে।” কিন্তু এদিকে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে।
মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে প্রথম দেখা, প্রিয়াঙ্কা তখন ১৮-র তরুণী, স্বামী নিকের বয়স কত ছিল জানেন?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে, প্রেম নাকি বয়স দেখে না। আর একথা কার্যত অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়ে গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra) এবং নিক জোনাসের ক্ষেত্রে। ভারতীয় সুন্দরী, বলিউড ডিভা প্রিয়াঙ্কার প্রেমে যে এমন ভাবে পড়বেন মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাস, তা কেই বা ভেবেছিল! কিন্তু ওই যে কথায় আছে, জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। না একথা আমরা বলছি না। খোদ প্রিয়াঙ্কাই (Priyanka Chopra) মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন একথা। প্রথম কোথায় দেখা হয় নিক প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Chopra)? নিক প্রিয়াঙ্কার প্রথম দেখা ২০১৭ সালের অস্কারের আফটার পার্টিতে। তবে তার কিছু মাস আগেই নাকি টুইটারে প্রিয়াঙ্কাকে (Priyanka Chopra) মেসেজ পাঠিয়েছিলেন নিক। কিন্তু যদি ভেবে থাকেন যে গল্পটা এখান থেকেই শুরু, তাহলে ভুল করবেন। ভুলটা প্রিয়াঙ্কাও করেছিলেন। তবে পরে তাঁর ভুল ভাঙে। তিনি জানান, প্রায় ২০ বছর আগে প্রথম মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে তাঁকে প্রথম দেখেছিলেন নিক। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন অভিনেত্রীর: সম্প্রতি একটি টক শোতে এ বিষয়ে মুখ খোলেন প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra)। তিনি জানান, ভাগ্যে যা লেখা আছে, নির্ধারিত সময়ে ঠিক সঠিক মানুষটার সঙ্গে দেখা হবে। একথা তিনি বিশ্বাস করেন। তাঁর আর নিকের দেখা হওয়াটাও ভাগ্যে ছিল বলে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra) জানান, তিনি যখন মিস ওয়ার্ল্ড জেতেন তখন তাঁর বয়স সবে ১৮ হয়েছে। আরও পড়ুন : এ যে উলটপুরাণ! বচ্চন পরিবারের এই সদস্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা সবথেকে কম, নামটা শুনলে বিশ্বাসই হবে না! প্রিয়াঙ্কাকে টিভিতে দেখেন নিক: ২০ বছর পর প্রিয়াঙ্কার শাশুড়ি তাঁকে জানান, তাঁদের গোটা পরিবার তাঁকে মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে জিততে দেখেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই কথাটা শুনে চমকে উঠেছিলেন প্রিয়াঙ্কা.(Priyanka Chopra)। কিন্তু নিকের মা জোর দিয়ে জানান, তাঁর স্পষ্ট মনে আছে সেদিনের কথা। নিকের বয়স তখন মাত্র ৭। তাঁর দুই দাদাও ৮-৯ এর আশেপাশে। নিকের ঠাকুরদা এই ধরণের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা দেখতে খুব পছন্দ করতেন। তিনি সেদিন মিস ওয়ার্ল্ডের শোটাই দেখছিলেন। তখনই নিক সেই ঘরে আসেন। তিনিও প্রিয়াঙ্কাকে (Priyanka Chopra) সেরার শিরোপা পেতে দেখেছিলেন। তখন কে জানত, ভবিষ্যতে এঁরাই হবেন পরস্পরের জীবনসঙ্গী! আরও পড়ুন : শাড়িতে আসল সোনার জরি! ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিশেষ মিল শোভিতার বিয়ের লুকে, দুটি শাড়ির দাম কত জানেন? নিকের থেকে প্রায় ১১ বছরের বড় প্রিয়াঙ্কা। তাঁদের বিয়ের সময় এ নিয়ে কম ট্রোলিং হয়নি। কিন্তু সমস্ত সমালোচনা, কটাক্ষ উড়িয়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে দিব্যি সুখে সংসার করছেন নিক প্রিয়াঙ্কা।
বাংলার মহিলাদের পোয়া বারো! আরও একটি প্রকল্পে মাসে ঢুকছে ১০০০ টাকা
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) জনমোহিনী সরকারি প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মী ভান্ডার। এই প্রকল্পের সাহায্যে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলা প্রতি মাসে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। মাসে মাসে প্রত্যেকই ভাতা বাবদ ১০০০ টাকা এবং তফসিলি সম্প্রদায়ের মহিলারা ১২০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) আরও একটি প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা তবে এক্ষেত্রে মহিলাদের বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৫-৬০ বছর। সারা রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) এই লক্ষী ভান্ডারের প্রকল্পের জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা দেখাদেখি অন্যান্য রাজ্যের সরকার এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারও এই প্রকল্পের ধাঁচে নতুন প্রকল্প আনতে শুরু করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে শুধু লক্ষী ভান্ডারই নয় পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্প রয়েছে। যার মাধ্যমে রাজ্যের (Government of West Bengal) মহিলাদের একটা বড় অংশ আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পটি হল বিধবা ভাতা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিধবা মহিলারারাও আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন। বিধবা ভাতা প্রকল্পের উদ্দেশ্য: যাঁরা বিগত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, কিন্তু তাদের স্বামী মারা জীবিত নেই, সেই সমস্ত মহিলারাই এই প্রকল্পের সাহায্যে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। মূল উদ্দেশ্য কি? বিধবা মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সাহায্য করা, জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে সহায়তা প্রদান করা। যোগ্যতা শুধুমাত্র পশ্চিবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দারাই এই সুবিধা পাবেন, আবেদনকারীর স্বামীর মৃত্যুর সঠিক ডেথ সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্বামীর মৃত্যুর সঠিক ডেথ সার্টিফিকেট, আবেদনকারীর পরিচয় পত্র (ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড), পরিবারের ইনকাম সার্টিফিকেট, রেশন কার্ড। আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর দোসর চিকুনগুনিয়া! শীতের সাথেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩০ হাজার আবেদন পদ্ধতি? অনলাইন, অফলাইন দুইভাবেই আবেদন করা যায়। অফলাইনে আবেদন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই অফলাইনে আবেদন করাযায়। ডিসেম্বর মাসেই বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে সরাসরি আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদন অনলাইনে আবেদন করতে চাইলে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে এই প্রকল্পের জন্য নাম রেজিস্টার করতে হবে।
আঙুল ছোঁয়ালেই লক! শোভন-বৈশাখীর গাড়ির দাম শুনলে মাথা ঘুরে যাবে!
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এভারগ্রিন জুটি তাঁদের। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে একসময় বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বহু মানুষের প্রচুর আগ্রহ। এই প্রতিবেদনে অবশ্য তাঁদের সম্পর্ক নয়, বরং তাঁদের বহুমূল্য গাড়ি নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলার এই চর্চিত জুটি কত টাকা দামের গাড়ি চড়েন জানেন? শোভন (Sovan Chatterjee)-বৈশাখীর গাড়ির মূল্য কত? সম্প্রতি শহরের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন এই রঙিন জুটি। দেখা যায়, লাল গালিচার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে একটি কালো রঙের পেল্লায় গাড়ি। শোভন-বৈশাখীর (Sovan Baisakhi) গাড়ির দরজায় ঝুলতে থাকা গোলাপি ফিতে দেখেই পরিষ্কার হয়ে যায়, এর বয়স খুব বেশিদিন নয়। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছর বাজারে লঞ্চ হয়েছে ’কিয়া’ কোম্পানির ওই বিলাসবহুল গাড়ি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ঝাঁ চকচকে কিয়া কার্নিভাল লিমোজিন গাড়িটির মূল্য (Car Price) ৭৩.৫১ লক্ষ টাকা। বিলাসবহুল এই গাড়িতে রয়েছে একাধিক সুবিধা। যেমন, দরজা বন্ধ করার জন্য কোনও কষ্ট করতে হয় না। আরও পড়ুনঃ বাড়ল মেয়াদ! ‘আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত..,’ বড় নির্দেশ হাইকোর্টের গাড়ির দরজায় একবার নিজের আঙুল ছোঁয়ালে সেটি আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু মডার্ন ফিচার রয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, শোভন-বৈশাখীর (Baisakhi Banerjee) বাড়ির গ্যারেজে সাজানো রয়েছে এই বহুমূল্য গাড়ি। সম্প্রতি শহরের এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেটি চেপেই হাজির হয়েছিলেন দু’জনে। এদিকে বেশ কয়েকদিন আগে বৈশাখীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, শোভন ঠিক কতখানি রোম্যান্টিক। জবাবে তিনি বলেছিলেন, যদি নম্বর দিতে হয় তাহলে নেগেটিভে চলে যাবে। তবে এও বলেছিলেন, আজ অবধি তাঁর প্রত্যেক আবদার পূরণ হয়েছে। ভীষণ রকম প্যাম্পার্ড বলে জানিয়েছিলেন তিনি। শোভন (Sovan Chatterjee) প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেছিলেন, ‘নম্বর দিতে হলে নেগেটিভে চলে যাবে। যেমন, আমি খুব ভালো করে সেজে এসেছি, প্রত্যেকে প্রশংসা করছে। কিন্তু ও অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেই আমার মনে হয়, কোনও ভালো রিমার্কস আসবে না। এরপরেই ও বলবে, টিপটা বেঁকে আছে, শাড়ির ভাজে দাগ রয়েছে। কারোর চোখে না পড়লেও শোভনের চোখে ঠিক পড়বে। তবে যদি রোম্যান্সকে জীবনের একটা গভীর জায়গা থেকে দেখ, সেটার শাশ্বত রূপের প্রতিমূর্তি শোভন। আমার এমন কোনও আবদার নেই যেটা পূরণ হয়নি। বরং আমি বাজেভাবে প্যাম্পার্ড’।
ডেঙ্গুর দোসর চিকুনগুনিয়া! শীতের সাথেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩০ হাজার
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই মশার কামড় থেকে নিস্তার নেই কারও। শীত পড়তেই, রাজ্যে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে মশার উপদ্রব। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ হাজার। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫২২ জন। তার পরের ৫ দিনে সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩৪৬ জন। রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর মোট ২৩ হাজার ৮৪ জনের রিপোর্ট ডেঙ্গি পজিটিভ বেরিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষার পর মোট ৬ হাজার ৪৩৮ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। অতীতের পরিসংখ্যান বলছে শীতের কামড়ের সাথেই বাড়বে মশার উপদ্রব। তবে শুধুই ডেঙ্গি (Dengue) নয়, দোসর হয়েছে মশাবাহিত আরও এক রোগ, চিকুনগুনিয়া। কিছুদিন আগেই মশাবাহিত এই রোগের জ্বালায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষজন। ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল গোটা এলাকায়। এই জোড়া রোগের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে নিস্তার দিতে ইতিমধ্যেই এই মারণ রোগের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে মশা নিধন পর্ব। পাশাপাশি সচেতনতা মূলক প্রচারেও জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়: যেহেতু চারিদিকে এখন মশার ব্যাপক উপদ্রব। তাই এই মশার কামড় থেকে নিস্তার পেতে গেলে প্রথম থেকেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করার কথা বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে, বাড়ির আশেপাশে কোথাও যেন জমা জল না থাকে। থাকলে শুরুতেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য! এরইমাঝে বড় সিদ্ধান্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের এমনিতেই শীতকাল, তাই সর্বক্ষণ হাত পা ঢাকা জামা পরতে বলা হচ্ছে। এছাড়া রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । তবে শুধু শীতের আগমনেই নয়, পুজোর আগে থেকেই মালদহ,মুর্শিদাবাদের একাংশে এই অজানা জ্বরের উপদ্রব শুরু হয়েছিল। এই জ্বরের উপসর্গ হিসাবে দেখা গিয়েছিল মাথা ধরা, আর সেইসাথে অসহ্য হাতে-পায়ে ব্যথা। শুরুতে অনেকেই সাধারণ জ্বর ভেবে বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দু’সপ্তাহ পরেও অনেকের জ্বর বা মাথা ব্যথা না কমায় নতুন করে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। তখনই জানা যায়, গ্রামের অনেকেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।
বাড়ল মেয়াদ! ‘আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত..,’বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল গোটা রাজ্য। এর প্রতিবাদে ‘দ্রোহের কার্নিভালে’রও ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেদিনই পুজো কার্নিভালের মঞ্চ থেকে গ্রেফতার করা হয় কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার এই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তিতে কেএমসির চিকিৎসক! দুর্গাপুজোর কার্নিভালে এমারজেন্সি ডিউটিতে ছিলেন তপোব্রত। পুরসভার (KMC) মেডিক্যাল টিমের হয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে ব্যাজ পরার কারণে কার্নিভাল থেকে এই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে ময়দান থানার পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলকাতা পুরসভার ওই চিকিৎসক। তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে উচ্চ আদালত। এবার আগামী ৩১ জানুয়ারি অবধি সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করলেন জাস্টিস ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ সেনার জন্য বাংলার সিভিকই কাফি! ‘৪ দিনে কলকাতা দখলে’র পাল্টা ধুয়ে দিলেন সুকান্ত এই মামলায় রাজ্যকে কেস ডায়েরি জমা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৭ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই কেস ডায়েরি জমা করতে বলা হয়েছে। এদিকে দুর্গাপুজো কার্নিভালের দিন গ্রেফতার হয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছাড়া পেয়ে গেলেও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তপোব্রত রায় এবং তাঁর সহকর্মীদের একাংশ। সম্পূর্ণ ঘটনার জন্য সমাজমাধ্যমে পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিও করা হয়েছিল। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এমনটা করা হয়নি। চিকিৎসকদের অভিযোগ, কর্মরত অবস্থায় ওই চিকিৎসককে হেনস্থা করা হয়েছিল। কলকাতা পুরসভা কিছুতেই এর দায় এড়াতে পারে না। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই জল গড়ায়। এবার এই মামলাতেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
অপেক্ষার অবসান! বছর শেষেই DA বাড়াল রাজ্য সরকার, কত শতাংশ?
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষে সুখবর! ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধির মরসুম। কিছুদিন হল মহার্ঘ ভাতা/ ডিএ (DA) বৃদ্ধি করছে কেন্দ্র সরকার। তারপর সেই পথে একের পর এক রাজ্য। এরই মধ্যে সম্প্রতি কর্পোরেশনের কর্মচারীদেরও খুলল কপাল। নতুন বছরের আগেই মধ্যপ্রদেশ সরকার তরফে তাদের ডিএ বৃদ্ধি করা হল। যা কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি থেকে। নভেম্বরের শেষের দিকে বাল ভবনে মেয়র ইন কাউন্সিল (এমআইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মেয়র ডাঃ শোভা সিকারওয়ার। সেই বৈঠকেই এমআইসি সদস্যরা জানিয়েছেন কর্পোরেশনের কর্মচারীরাও এবার থেকে সপ্তম বেতন স্কেলে ডিএ পাবেন। এছাড়াও আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এবার ষষ্ঠ বেতন স্কেলে বেতন প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে গতকালের বৈঠকে। পাশাপাশি পেনশনভোগীদের পেনশনের সঙ্গে ডিআর প্রদানের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ওদিকে সম্প্রতি দাবি করা হচ্ছিল মধ্যপ্রদেশে সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ভাতা বৃদ্ধি (Salary Allowance) ইত্যাদিতে নানা সমস্যা হচ্ছে। চাকরি শেষের পর পেনশন প্রদানেও সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট সবটা পরিষ্কার করেছেন। সম্প্রতি ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট বলেন, ডিএ, বেতন বৃদ্ধিতে বিলম্ব হচ্ছে কারণ কর্মচারীদের ডেটা আপডেট হয়নি তাই। অবিলম্বে এই সমস্যা দূর করতে কর্মচারীদের তথ্য আপডেট করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বিভাগীয় প্রধানদের এই বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকারি কর্মীদের সকলকে নিজের জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, বিভাগে নিয়োগের তারিখ এবং কর্মচারী- কর্মকর্তা সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর আপডেট করে রাখতে হবে। এরপর সেই সব ডেটা যাবে ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কমিশনার এবং পেনশন অধিদফতরে। জানানো হয়েছে সমস্ত ডেটা সঠিকভাবে এন্ট্রি হয়ে গেলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা, মহার্ঘ ভাতা, বেতন বৃদ্ধি এবং পেনশন সংক্রান্ত যেসকল সমস্যা রয়েছে তা মিটে যাবে। IFMIC পোর্টালে সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সমস্ত রেকর্ড রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সন্তানরা পাবে ২৫,০০০ করে! বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের সকল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডেটা আপডেটেড থাকা প্রয়োজন। পরিষেবা রেকর্ড সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বলা হয়েছে যে পরিষেবার রেকর্ড বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের। ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের ডেটাবেস তৈরি হচ্ছে। যেখানে রেকর্ডের ভিত্তিতে ডেটা আপডেট করা হয়। নয়া পদ্ধতিতে সরকারি কর্মচারীদের আর কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আপনি কী রিটায়ার্ড? ফের চাকরি করার ইচ্ছে? সুযোগ দিচ্ছে প্রশাসনই! কিভাবে অ্যাপ্লাই করবেন?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবসর নিয়েছেন? কিন্তু ঘরে বসে থাকতে একদম ইচ্ছে করছে না? চিন্তা নেই। ফের কাজের (Job) সুযোগ মিলবে আপনার জন্য। আর সেই দুর্দান্ত খবর দিল এবার মালদহ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অবসরপ্রাপ্তদের জন্য প্রশাসনিক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসক ও কালেক্টরের অফিসের তরফে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে লোক নেওয়া হবে। অবসরপ্রাপ্তদের কাজের (Job) সুযোগ মালদহ প্রশাসনে সূত্রের খবর, চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। প্রথমে এক বছর কাজের (Job) মেয়াদ থাকলেও পরে প্রয়োজন অনুযায়ী সেই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। গ্রুপ সি ক্ল্যারিক্যাল পদের জন্য শূন্যপদ রয়েছে। মাসের শেষে বেতন স্বরূপ দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, আবেদনকারীকে কোন স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে। আরোও পড়ুন : বাংলাদেশ সেনার জন্য বাংলার সিভিকই কাফি! ‘৪ দিনে কলকাতা দখলে’র পাল্টা ধুয়ে দিলেন সুকান্ত এছাড়া, প্রার্থীর বয়স ৬৪ বছরের মধ্যে হতে হবে। ওয়াক-ইন ইন্টারভিউয়ের (Walk In Interview) জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ শে ডিসেম্বর। ওই দিন বেলা ১১টার মধ্যে প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যেতে হবে। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি। বাকি প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে পারেন। এখন, প্রশ্ন হল কিভাবে আবেদন করবেন এই চাকরির জন্য? আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে প্রথমে ক্লিক করতে হবে মালদহ (Malda) জেলার ওয়েবসাইটে । ‘হোমপেজ’ থেকে ‘রিক্রুটমেন্ট’ বিভাগে গেলেই চোখে পড়বে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিটি। তা থেকেই আবেদনপত্র ডাউনলোড করা যাবে। বিজ্ঞপ্তি থেকেই আরও সবিস্তার জানা যাবে কী কী নথি প্রয়োজন, সেই তথ্য এবং নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়।
বাংলাদেশ সেনার জন্য বাংলার সিভিকই কাফি! ‘৪ দিনে কলকাতা দখলে’র পাল্টা ধুয়ে দিলেন সুকান্ত
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার আঁচ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই আবহে সম্প্রতি এক বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে ওপার বাংলার এক ব্যক্তি ৪ দিনে কলকাতা দখলের দাবি করেন। এবার এর পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ‘বাংলাদেশ সেনার জন্য কলকাতার সিভিক ভলেন্টিয়াররাই যথেষ্ট’, বলেন পদ্ম নেতা। ‘৪ দিনে কলকাতা দখলে’র পাল্টা হুঙ্কার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ওপার বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ। সুকান্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক। বাংলাদেশি হিন্দুরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেটা আমাদের জন্য হৃদয় বিদারক। তবে ওখান থেকে যারা হুমকি দিচ্ছেন, তাঁরা কোনও সরকারি পদে নেই। তাঁদের কোনও ক্ষমতা নেই’। এরপরেই ‘৪ দিনে কলকাতা দখলে’র হুঁশিয়ারি নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এটা কী হাতের মোয়া? কিছুই বোঝে না! বাংলাদেশ সেনার জন্য কলকাতার সিভিক ভলেন্টিয়াররাই যথেষ্ট। ওরাই আটকে দেবে। ভারতবর্ষের সৈন্য শক্তি সম্বন্ধে ওদের কোনও ধারণা নেই। ভারতের হাতে পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা আছে’। আরও পড়ুনঃ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সন্তানরা পাবে ২৫,০০০ করে! বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের এদিকে সম্প্রতি ওপার বাংলার এক সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘৪ দিনের কলকাতা দখলে’র (Kolkata) হুঁশিয়ারি দেন সেখানকার এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে সেকথা। নিজেকে বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন সদস্য হিসেবে দাবি করে কার্যত ‘হুমকি’ দেন ওই বৃদ্ধ। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি বলেন, ‘আমি মেজর শরিফ। আমি বলে দিচ্ছি ভারতকে যে প্রশিক্ষণ আমরা নিয়েছি, যে যুদ্ধ আমরা করেছি … আমরা ২ লক্ষ সৈনিক। আমাদের সঙ্গে ১৮ কোটি জনগণ রয়েছে। আমাদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ভারতবর্ষের চেয়ে অনেক বেশি। আমরা একবার সাহস করে… আমাদের দেশকে যুদ্ধ … আমরা ৪ দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব’। এবার এরই পাল্টা দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। ভারতের হাতে পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা থাকার দাবি করার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনার জন্য কলকাতা সিভিক ভলেন্টিয়াররাই কাফি বলে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
4,5 Star অতীত! এক্কেবারে ৭ তারা হোটেল! মুকেশের এই সম্পত্তির কথা জানেন? ভাড়া শুনলেই মাথা ঘুরবে
বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিশ্বসেরা ধনীদের তালিকায় প্রথমেই উঠে আসে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) নাম। মুম্বাইতে আল্টামাউন্ট রোডে তাঁর বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার কথা গোটা বিশ্ব জানে না এমন মানুষ বিরল। তবে শুধু দেশেই নয়, বিদেশের মাটিতেও এক ঐতিহাসিক রাজমহলের মালিক তিনি। ব্রিটেনের বিখ্যাত স্টোক পার্ক (Stoke Park) যেখানে দুটি জেমস বন্ড সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল সেটিও এখন মুকেশের দখলে। মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) স্টোক পার্ক হোটেল: এককথায় বলতে গেলে, ৬০০ কোটি দামের এই প্রাসাদে কী নেই। জেমস্ বন্ডের সিনেমার দৌলতেই স্টোক পার্ক হয়ে ওঠে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা। মুকেশ আম্বানিও তার পরিবারকে নিয়ে বহুবার ছুটি কাটাতে স্টোক পার্কে গিয়েছিলেন। তারপরেই গোটা প্রাসাদটাই কিনে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন মুকেশ (Mukesh Ambani)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বিলাসবহুল সম্পত্তিটি বিক্রির চেষ্টা করছিল কিং পরিবার। তবে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) এই হোটেলটিতে এমন অনেক ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে যা জানলে অবাক হবেন যে কেউ। বিলাসবহুল এই হোটেলের এক দিনের ভাড়া শুনলেই মাথা ঘুরবে বনবন করে। Redonline.co.uk ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, লন্ডনের এই হোটেলের একদিনের ভাড়া ১৮০ পাউন্ড অর্থাৎ একটি ডাবল রুমের জন্য খরচ হয় প্রায় ১৮,৬৪৮,৭২ টাকা। তবে এই ভাড়া শুধুমাত্র বেসিক রুমের জন্য। তবে কেউ যদি আরও অন্যান্য সুবিধা চান তাহলে সেক্ষেত্রে ভাড়া আরও বেশি হবে। আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বিরাট স্বস্তি! সস্তা হল পেট্রোল-ডিজেল, লিটার প্রতি কত দাম জানেন? আগেই বলেছি এই হোটেলের সাথে পুরোনো অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ফোবর্সের তরফে এপ্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, এই হোটেলটি নাকি হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। এমনকি বিলাসবহুল এই হোটেলের সাথে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথেরও বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে। জানা যায় এই হোটেলটি একেবারে প্রথমে কিনেছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম লর্ড প্রধান বিচারপতি এবং সেলিব্রিটি আইনজীবী স্যার এডওয়ার্ড কোক। যদিও পরে ১৭৬০ সালে তা কিনে নেয় বিখ্যাত আমেরিকান পরিবার। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবার এই বাড়িটি কিনে সুসজ্জিত করে তোলে। একসময় এই হোটেলটি রানী এলিজাবেথের ছিল। জানা যায় মোট ৩০০ একর জমির উপর নির্মিত এই হোটেলটি মুকেশ আম্বানি ২০২১ সালে কিনেছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী খবর মুকেশ আম্বানি মোট ৫৯২ কোটি টাকায় এই বাড়িটি কিনে নিয়েছিলেন। এই হোটেলটিতে মোট ৪৯টি বেডরুম, ২৭টি গলফ কোর্স, ১৩টি টেনিস কোর্ট রয়েছে। বিলাসিতা আর আভিজাত্যে মোড়া এই হোটেলে একাধিক হলিউড সিনেমার শুটিং হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জেমস বন্ড সিরিজ।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সন্তানরা পাবে ২৫,০০০ করে! বিরাট উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নানান সময়ে বহুবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার গ্রেফতার হওয়ার পর তাতে অন্য মাত্রা যোগ হয়। সিভিক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য (Government of West Bengal)। অনেক সময় আবার অভিযোগ অনুযোগের সুর শোনা যায় এই সিভিক ভলেন্টিয়ার বা ভিলেজ ভলেন্টিয়াদের গলাতেও। ‘সামান্য’ বেতনে সংসার খরচ, সন্তানদের পড়াশোনা কীভাবে চালাবেন, তা নিয়ে অনেকের কপালেই দেখা যায় চিন্তার ভাঁজ। তবে আজও অনেকে জানেন না, আগেই এই নিয়ে বিরাট উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সন্তানদের নিয়ে বড় উদ্যোগ রাজ্যের (Government of West Bengal)! সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) একাংশের অভিযোগ, পুলিশের মতো পরিশ্রম করতে হয় তাঁদের। কিন্তু তার পরিবর্তে কতই বা বেতন পাওয়া যায়! ওই টাকা দিয়ে সংসার চালানোর পর সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। যদিও এই নিয়ে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার বা ভিলেজ ভলেন্টিয়ারদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে সেই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাজ্য ঠিক কী কী সুবিধা প্রদান করে, তা আজও অনেকের কাছে অজানা! আরও পড়ুনঃ স্মোক ডিটেক্টর থেকে স্টুডেন্ট কাউন্সিলর! কোচিং সেন্টার নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব! কী বলল সুপ্রিম কোর্ট? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নবান্ন সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, কয়েক বছর আগে রাজ্যের তরফ থেকে ‘সহায়ক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের কর্তারা সহায়তার জন্য নানান পদক্ষেপ নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশের পর এই প্রকল্পে আরও গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে বলে খবর। সিভিক ভলেন্টিয়ার, ভিলেজ ভলেন্টিয়ারদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থাও এর অঙ্গ হিসেবেই করা হয়। জানা যাচ্ছে, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ২০০০-৪০০০ টাকার বৃত্তির (Scholarship) সংস্থান রয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে আবার প্রত্যেক সেমিস্টারের জন্য ৩০০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার যদি কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত হন, তাহলেও এই বৃত্তি পাওয়া যায়। অভিভাবকহীন ছাত্রছাত্রীরা বার্ষিক এককালীন ২৫,০০০ টাকা করে পায়। রাজ্যের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতদিন অবধি পরিবারের কেউ চাকরি পাচ্ছেন না, ততদিন অবধি এই টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে খবর। সেই সঙ্গেই রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে প্রয়াত সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এককালীন ৫০,০০০ টাকা দেওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়েছে (Government of West Bengal)। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ’ বলে উল্লেখ করে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, তাঁদের বেতন আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার তাঁদের পরিবারের কল্যাণের লক্ষ্যে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরেব্বাস! ভারতের ১০০ টাকার মূল্য এই দেশে গেলেই প্রায় ২০ গুণ! জাস্ট একবার হিসেবটা দেখুন
বাংলাহান্ট ডেস্ক : টাকা ছাড়া দুনিয়া অচল। ব্যাঙ্ক লেনদেন হোক বা কেনা কাটি; সব কিছুরই বিনিময়ের মাধ্যম হল টাকা। এই টাকা নিয়েই রয়েছে এমন কিছু তথ্য যা চমকে দেবে আপনাকেও। আপনি কি জানেন এমন এক দেশ রয়েছে যাকে পর্যটকদের স্বর্গ বলা হয়। এই দেশটিতে ভারতীয় ১০০ টাকা এই দেশের ২০০০ টাকার সমান। সেই জন্য বার বার বিভিন্ন পর্যটক এই দেশে যান ভ্রমণে। অনেক কম খরচে ঘোরা ঘুরি ও শপিং করতে চাইলে এই দেশের বিকল্প খোঁজা ভার। ২০২৪ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১ ভারতীয় রুপি (Indian Rupees) এই দেশের প্রায় ১৮৯.৫৬ রুপি প্রায়। এইখানকার মুদ্রাও টাকা নামেই পরিচিত। ভারতের ১০০ টাকা এইখানকার প্রায় ১৯০০ টাকার সমান। দেশটির নাম হলো ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। বর্তমানে এক জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে ইন্দোনেশিয়া। বিশেষত ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বালি হচ্ছে পৃথিবীখ্যাত এক টুরিস্ট ডেস্টিনেশন। ভারতের সাপেক্ষে ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) টাকার হিসেব ভারতীয়দের বিনা মূল্যে ভিসা প্রদান করা হয়ে থাক এই দেশে। সেই জন্যে অনেকে ব্যবসাও করে থাকেন। এইখানে ভারতীয় রুপী বরাবরই শক্তিশালী। এটার পেছনে মূল কারণ হলো রাজনৈতিক অস্থিরতা। থাকা খাওয়া এইখানে খুবই সস্তা। মাত্র ৩৩৩৩ টাকা ইন্দোনেশিয়ান রুপিতে এইখানে ৫ তারার মতো বিলাসবহুল হোটলে অনায়াসেই থাকা সম্ভব। আরোও পড়ুন : শাড়িতে আসল সোনার জরি! ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিশেষ মিল শোভিতার বিয়ের লুকে, দুটি শাড়ির দাম কত জানেন? যদিও তা স্থান বিশেষে। উদাহরণ হিসেবে বালি সব থেকে ব্যয়বহুল ও জনপ্রিয় স্থান। এইখানের হোটেলগুলিও ব্যয় বহুল। বালিতে আপনি মাত্র ৩০-৪০ টাকার বিনিময়ে একটা মিল পেতে পারেন। যদিও ইন্দোনেশিয়ার রেঁস্তোরার ভারতের (India) তুলনায় ৯% কম হলেও ; মুদির জিনিস ৪২.৫% কম। গত বছর ৬ লক্ষের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করার পর ইন্দোনেশিয়ান সরকার আশা করেছিল যে এই বছর ১২ লক্ষ হতে পারে। ভারতে ডাইরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন ( Director General of civil Aviation) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে যাত্রীর সংখ্যা ছিলো ৩০ হাজারের বেশি।
৫ বছরের শিশুকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার-ধর্ষণ! মুর্শিদাবাদে যা ঘটল…
দেশের নানান প্রান্তে প্রান্তে ঘটেই চলছে একের পর এক ধর্ষণের (Rape) ঘটনা। ওই সমস্ত নর-পিশাচদের যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ফুলের মত নিষ্পাপ শিশুকন্যারাও। এই মাত্র একদিন আগেই জয়নগরের চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়ার ধর্ষণ (Rape)-হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত ধর্ষককে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। এর আগেও অনেককেই এই জঘন্য অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির কোনো বদল নেই। উল্টে দিনে দিনে এই অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যৌন লালসার (Rape) শিকার মুর্শিদাবাদের ৫ বছরের শিশু, ধৃত ১ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না নারী নির্যাতনের ঘটনা। এরই মাঝে বাংলার বুকে ঘটে গেল আরও এক নির্মম ধর্ষণ কান্ড। বাড়ির সামনে থেকেই বছর পাঁচেকের এক শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। যদিও এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ওই খুদে। জানা যাচ্ছে শিশুটির আত্মীয় পরিজন ও বাবা মিলেই জঙ্গলের মধ্যে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই যুবককে। তারপরই শিশুটিকে উদ্ধার করে, গণধোলাই দেওয়া হয় অভিযুক্ত যুবককে। খবর পাওয়া মাত্রই এদিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। অন্যদিকে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ফুটফুটে ওই শিশুকন্যাটি। আরও পড়ুন: ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন…! বিল্ডিং বিভাগকে কড়া নির্দেশ মেয়রের! ‘হাকিমের হুকুমে’ তোলপাড় ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার রানিপুর গ্রামে। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির বাইরেই খেলা করছিল বাচ্চা মেয়েটি। তখনই তুলে নিয়ে যায় ওই একই গ্রামের বাসিন্দা এক প্রতিবেশী যুবক। অনেক্ষণ মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পাশের একটি জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছন খুদের বাড়ির লোকজন। সেখানেই তাঁরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন যবুকটিকে। ওই জঙ্গলের মধ্যেই শিশুটিকে নিয়ে ঢুকেছিল যুবক। জানা যাচ্ছে, এদিন জঙ্গল থেকে শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ওই রাতেই, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাড়ির লোকজন। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।
স্মোক ডিটেক্টর থেকে স্টুডেন্ট কাউন্সিলর! কোচিং সেন্টার নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব! কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েক মাস আগে দিল্লির এক কোচিং সেন্টারে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল তা এখনও অনেকের মনে টাটকা। অতিবৃষ্টির জেরে বেসমেন্টের ওই কোচিং সেন্টারে রাস্তার জমা জল ঢুকে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিন জন। এই ধরণের ঘটনা যাতে আর না হয় সেটা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই অনুযায়ী একাধিক প্রস্তাব পেশ করা হল। রাজ্যগুলির মতামত জানতে চায় শীর্ষ আদালত (Supreme Court) শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার এজলাসে এই বিষয়ক মামলা উঠেছিল। সেখানে এই প্রস্তাবগুলি পেশ করেন ‘আদালত বন্ধু’ সিদ্ধার্থ দাভে। কোচিং সেন্টারে (Coaching Centres) যাতে কোনও প্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে এবং ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদ থাকেন, সেটা সুনিশ্চিত করতে এদিন একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পেশ করা এই প্রস্তাবগুলিতে বলা হয়েছে, সকল কোচিং সেন্টারে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, স্মোক ডিটেক্টর এবং অটোমেটিক স্প্রিঙ্কলার বসাতে হবে। এছাড়া বন্যার জল যাতে ভেতরে না প্রবেশ করে, সেটা নিশ্চিত করতে দরকার পড়লে কোচিং সেন্টারের মেঝে উঁচু করতে হবে। আরও পড়ুনঃ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন…! বিল্ডিং বিভাগকে কড়া নির্দেশ মেয়রের! ‘হাকিমের হুকুমে’ তোলপাড় সকল কোচিং সেন্টারে ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা রাখা, পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, পরিশ্রুত পানীয় জল, পুরুষ-মহিলা এবং তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য ভিন্ন শৌচাগার ও সিসিটিভি ক্যামেরার বসানোর কথা ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি যৌন হেনস্থা সহ যে কোনও রকম অনভিপ্রেত ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা শুরু করার কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিকাঠামোয় পরিবর্তন আনার প্রস্তাবের পাশাপাশি সকল কোচিং সেন্টারে স্টুডেন্ট কাউন্সিলর নিয়োগ থেকে শুরু করে কোচিং সেন্টারগুলির জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রস্তাবগুলি শোনার পর এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আইনজীবীদের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য জানাবে রাজ্য।
অন্ধ আবাসিকদের নিয়ে…! ব্লাইন্ড স্কুলে বিপুল টাকার দুর্নীতি! যৌন হেনস্থার তদন্তে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্লাইন্ড স্কুলের অন্দরে বিপুল টাকার দুর্নীতি! শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্থার অভিযোগে প্রথমে তদন্ত শুরু হয়। এরপরেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য! পাহাড়সম দুর্নীতির হদিশ পায় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তদন্তের অগ্রগতির দিকে নজর রেখে সংশ্লিষ্ট ব্লাইন্ড স্কুলের প্রিন্সিপালের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্লাইন্ড স্কুলে দুর্নীতি! প্রিন্সিপালের জামিনের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে ওই হোমে (Blind Home) দু’জন নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ৮০% দৃষ্টিহীন। একজন এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এখানেই শেষ নয়! ওই দু’জনের মধ্যে একজনের জন্মতারিখ পাল্টে নতুন করে আধার কার্ড তৈরি করে সংশ্লিষ্ট হোম। শিশু সুরক্ষা কমিশন, জুভেনাইল বোর্ডের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের কাছে এই অভিযোগ আসে বলে খবর। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই বিপুল টাকার দুর্নীতির (Blind Home Scam) খোঁজ পান গোয়েন্দারা। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ব্লাইন্ড স্কুলের দৃষ্টিহীন আবাসিকদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে শেল কোম্পানি চালাতেন প্রিন্সিপাল। স্কুলে যে মেয়েরা আসতো তাঁদের জন্মতারিখ পাল্টে নতুন করে আধার কার্ড বানানো হতো বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, পকসো ধারার হাত থেকে বাঁচার জন্য এমনটা করা হতো। আরও পড়ুনঃ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন…! বিল্ডিং বিভাগকে কড়া নির্দেশ মেয়রের! ‘হাকিমের হুকুমে’ তোলপাড় রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই হোমের ৭০ জন আবাসিকের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার সঙ্গে শেল কোম্পানির যোগ আছে। হোমের স্টাফরাই প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট চালনা করতেন বলে অভিযোগ। তদন্তে জানা গিয়েছে, নানান বিদেশি সংস্থা থেকে ওই ব্লাইন্ড হোমের কাছে কোটি কোটি টাকা অনুদান আসত। সেই টাকা শেল কোম্পানির নামে ভুয়ো বিল বানিয়ে পেমেন্ট করা হতো। সেই টাকা ঘুরে ফিরে হোমের আবাসিকদের অ্যাকাউন্টেই আসতো। এমনকি খোদ প্রিন্সিপালের নামেও ১২টি অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানেও মোটা টাকা লেনদেন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশি তদন্তের অগ্রগতির দিকে নজর রেখে সংশ্লিষ্ট হোমের প্রিন্সিপালের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরবর্তীতে তদন্তে কী উঠে আসে সেটাই এবার দেখার।
শাড়িতে আসল সোনার জরি! ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিশেষ মিল শোভিতার বিয়ের লুকে, দুটি শাড়ির দাম কত জানেন?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : সদ্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নাগা চৈতন্য এবং শোভিতা ধূলিপালা (Sobhita Dhulipala)। সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের চার বছরের মধ্যেই শোভিতার সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন অভিনেতা। এই মুহূর্তে এই নতুন জুটিরই বিয়ের চর্চায় ছয়লাপ হয়ে রয়েছে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি। বিশেষ করে নেটিজেনদের নজর কেড়েছে শোভিতার (Sobhita Dhulipala) পরনের সোনালি শাড়িটি। ট্র্যাডিশনাল সাজেই সেজেছিলেন শোভিতা (Sobhita Dhulipala) তেলুগু রীতি মেনে বিয়ের দিন সাবেকি সাজেই সেজেছিলেন শোভিতা (Sobhita Dhulipala)। এদিন তিনি পরেছিলেন নীতা লুল্লার ডিজাইন করা একটি ট্র্যাডিশনাল পাট্টু চিরা শাড়ি। জানা গিয়েছে, স্থানীয় দোকান থেকে নিজে হাতে শাড়ির কাপড় পছন্দ করে কিনেছিলেন অভিনেত্রী। শাড়ির সঙ্গে তেলুগু রীতি অনুযায়ী গয়নায় সেজেছিলেন তিনি। কী কী গয়না পরেছিলেন: এদিন তাঁর গয়নার তালিকায় ছিল বাসিকাম, মাথাপট্টি, বুল্লাকি, তিন লেয়ারের সোনার হার, বড়সড় কড়া এবং একটি বাজুবন্ধ। সঙ্গে টানটান করে বাঁধা চুল আর হালকা মেকআপ আরোই ফুটিয়ে তুলেছিল শোভিতার (Sobhita Dhulipala) বিয়ের দিনের লুককে। তবে শোভিতার সঙ্গে সঙ্গে আবারো চর্চায় উঠে এসেছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কারণ তাঁর বিয়ের শাড়িটিও ডিজাইন করেছিলেন নীতা লুল্লা। আরো পড়ুন : অতিথিদের না আসার অনুরোধ! অভিষেক-ঐশ্বর্যর বিয়ের কার্ড ফেরত পাঠান শত্রুঘ্ন কত দাম শাড়ির: বিয়েতে একটি সোনালি কাঞ্জীভরম সিল্ক শাড়ি পরেছিলেন ঐশ্বর্য। সেই শাড়িতে ছিল আসল সোনালি জরির কাজ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এমনিতে নীতা লুল্লার শাড়ির মূল্য ৩০,০০০ থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলেও শোভিতা (Sobhita Dhulipala) এবং ঐশ্বর্য দুজনের বিয়ের শাড়ির দামই ছিল আরো কয়েক গুণ বেশি। আরো পড়ুন : সবাইকে হারিয়ে পেয়েছিলেন জয়ের শিরোপা, কিন্তু বলিউডে ব্রাত্য বাংলার ছেলে, এখন কী করছেন দেবজিৎ? শোনা যায়, ঐশ্বর্যর বিয়ের শাড়িটির দাম ছিল কয়েক কোটি টাকা। অন্যদিকে শোভিতার শাড়িটিও বেশ বড় অঙ্কের হবে বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা। ইতিমধ্যেই ঐশ্বর্যর সঙ্গে শোভিতার বিয়ের লুক নিয়ে তুলনা টানাও শুরু করেছেন অনেকে।
চালক স্টিয়ারিং ধরলেই চলবে নজরদারি! কড়াকড়িতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসকর্মীরা
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের (West Bengal) পরিবহন কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের আওত্তায় আনতেই এবার নতুন করে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের (West Bengal) পরিবহন দপ্তর। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বাসচালক, এবং কন্ডাক্টরদের সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই পরিবহন কর্মীদের সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা হলে পরিবহণ ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকদের জীবনযাপনের মান উন্নত করার জন্য এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। রাজ্যের (West Bengal) পরিবহন কর্মীদের জন্য কড়া হচ্ছে নিয়ম অনেকে আবার মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। কেউ কেউ অনুমান করছেন ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal)। কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘নিউ মিশন অন আর্বান পভার্টি অ্যালিভিয়েশন’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় পরিবহন ক্ষেত্রের অসংগঠিত কর্মীদের আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেই খবর। যার মাধ্যমে এবার বাস চালকের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতার রিজিয়োনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটির তরফে বাস সংগঠনগুলির কাছে সেই ফর্ম পাঠিয়ে তাতে সংশ্লিষ্ট কর্মীর নাম,ফোন নম্বর, বাবার নাম, তিনি কোন ধরনের বাস চালান,তার পরিবারে সদস্য-সংখ্যা কত? এই সমস্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সব ধরনের পরিবহন শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওত্তায় আনার কথা মনে করছে সরকার। কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? কলকাতা কলকাতা আরটিএ সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভায় সম্প্রতি একটি বৈঠকে এ ধরনের উদ্যোগের কথা বলা হয়েছিল। যদিও পুরসভার এক শীর্ষ কর্তা জানান, তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। সূত্রের খবর গত মাসেই সল্টলেকের এমনই এক বাস দুর্ঘটনার পর পরিবহন ও নগোরান্নয়ন দপ্তরের তরফে বেশ কিছু ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল কমিশনের জন্য বাস দুর্ঘটনা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে কমিশন প্রথা তুলে দিয়ে কর্মীদের বেতন দেবে বাস মালিকরা। তখনই জানানো হয়েছিল এমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যার মাধ্যমে চালক স্টিয়ারিং ধরার পরেই তার ওপরে নজর রাখা যায়। কিন্তু বাস কর্মীদের নিয়ে আচমকা এই বাড়তি কড়াকড়ি একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না কেউই। আরও পড়ুন: বাড়তি সতর্কতা! প্রকল্পের টাকা বিলির আগে ইউনিক আইডি তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের আচমকা এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের ফ্রম দেখে অনেকেই তা পূরণে অনিহা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখেই পরিবহন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের এবারে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওত্তায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে বলে রাখা ভালো, সাধারণত রাজ্যে বেসরকারি বাস চালক এবং কন্ডাক্টরদের কোন বাঁধাধরা বেতন নেই। এমনকি তাদের কারও অসুখ হলে মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে চিকিৎসার খরচ বা ক্ষতিপূরণের জন্য শ্রমিক সংগঠন ও বাস মালিকদের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলে। তাই এই সমস্ত শ্রমিকদের সরকারি প্রকল্পের আওতায় এনে সুবিধা দেওয়া গেলে আগামী দিনে ভোট বাক্সেও তারা সুফল পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বেশ কিছু টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্য সরকারেরও। তাই পরিবহন ক্ষেত্রে আগামী দিনে শ্রমিকদের সুবিধা হলে রাজ্য সরকারও তার সুফল পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাজারে বাজিমাত Hibiscus Tea! এই চা’য়ে চুমুক দিলেই দু’দিনে সারবে রোগ! কিভাবে বানাবেন?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালির আনন্দে চা, দুঃখেও চা, কাজের ফাঁকে হালকা ব্রেকেও চা, আবার বন্ধুদের সাথে জমাটি আড্ডাতেও চা! চায়ের সাথে বাঙালির সখ্যতা হার মানাবে রোমিও-জুলিয়েটকেও। তবে জবা ফুল দিয়ে তৈরি এক ধরনের চা (Hibiscus Tea) যদি পান করা যায় তাহলে পেতে পারেন দারুন ফল। জবা ফুল দিয়ে তৈরি লালচে রঙের এই চায়ের রয়েছে দারুন গুণ। রোজ এই চা পান করলে সারতে পারে একাধিক রোগ (Disease)। সমীক্ষা বলছে, হিবিসকাস টি (Hibiscus Tea) নিয়মিত পান করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগার। এমনকি কোলেস্টরল ও ট্রাইগ্লিসেরাইড মাত্রাও থাকে আয়ত্তে। লিভারের সমস্যা দূর করতেও এই চায়ের জুরি মেলা ভার। আরোও পড়ুন : বদলে গেল পূর্বাভাস! বিকেল থেকেই বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে, কোন কোন জেলা ভিজবে? লিভারের নানান সমস্যা থেকে লিভার ড্যামেজ বা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূরীকরণে সহায়ক হতে পারে হিবিসকাস টি। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এই চা কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এই চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বিশেষ ভূমিকা পালন করে ওজন কমাতে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে জবা ফুলের সংমিশ্রণে তৈরি এই চা ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির সাথে লড়াই করতেও সাহায্য করে। কী ভাবে তৈরি করবেন বিশেষ এই চা (Hibiscus Tea)? প্রথমেই জল গরম করে নিতে হবে চা তৈরির জন্য। তারমধ্যে অল্প গ্রিন টি ও শুকিয়ে রাখা জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। তারপর সেটিকে চাপা অবস্থায় রেখে দিতে হবে ৩ মিনিট। এরপর সেটিকে ছেঁকে কাপে করে পরিবেশন করুন। চায়ের কষভাব দূর করার জন্য মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য মধু। বলে রাখি খালি পেটে এই চা পান করবেন না। লাঞ্চ বা টিফিনের পর এই চা পান করার সেরা সময়।
OMG! ১.৫ কোটির লটারি লাভ! চোখের নিমেষে ভাগ্য বদল কল মিস্ত্রির, উৎসব শুরু গোটা গ্রামে
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছিলেন সামান্য এক কল মিস্ত্রি। তবে লটারিতে (Lottery) দেড় কোটি টাকা জিতে রাতারাতি ভাগ্য বদল হয়ে গেল তার। কল মিস্ত্রির এহেন ভাগ্য বদলে আনন্দে উদ্বেলিত গোটা গ্রাম। পেশায় কল মিস্ত্রি হরিয়ানার (Haryana) সিরসার বাসিন্দা মঙ্গল লটারিতে দেড় কোটি টাকা জিতে হয়ে গেলেন কোটিপতি। একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও এক কন্যাকে নিয়ে বাস মঙ্গলের। লটারি (Lottery) কেটেই বাজিমাত বহুদিন ধরেই মঙ্গল ভাগ্য বদলের আশায় কেটে আসছেন লটারির টিকিট। গত ৫-৬ বছরের ‘চেষ্টায়’ অবশেষে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল মঙ্গলের। মঙ্গল জানান, অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সন্ধ্যায় তিনি দোকানে গিয়েছিলেন লটারির (Lottery) টিকিট মেলাতে। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি যে তিনিই জিতে নিয়েছেন লটারির প্রথম পুরষ্কার (Prize) দেড় কোটি টাকা। আরোও পড়ুন : ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন…! বিল্ডিং বিভাগকে কড়া নির্দেশ মেয়রের! ‘হাকিমের হুকুমে’ তোলপাড় বারংবার মিলিয়ে দেখতে থাকেন টিকিট। মুহূর্তে মঙ্গলের লটারি জেতার খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে। গ্রামবাসীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে স্বাগত জানান মঙ্গলকে। তাকে নিয়ে রীতিমত উৎসবে মাতেন পড়শীরা। চলে মিষ্টি মুখ। সদ্য কোটিপতি হওয়া মঙ্গল জানিয়েছেন, ‘‘এই টাকা দিয়ে প্রথমে নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাকা করব। একটা সুন্দর বাড়ি বানাব। বাকি টাকা সঞ্চয় করে রাখব।’’ মঙ্গলের স্ত্রী বন্দনা বলেন, “মঙ্গল গত কয়েক বছর ধরে লটারির টিকিট কিনছেন। এবার যে লটারি জিতলো। যখন থেকে সে লটারি জিতেছে, তখন থেকেই নিজের বাড়ি এবং আমাদের মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছে।” মঙ্গলের এক প্রতিবেশীর কথায়, “আমি খুব খুশি যে মঙ্গল একটি লটারি জিতেছে। দেড় কোটি রুপি জেতায় তাকে অভিনন্দন জানাই এবং তার একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত কামনা করছি।”
ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন…! বিল্ডিং বিভাগকে কড়া নির্দেশ মেয়রের! ‘হাকিমের হুকুমে’ তোলপাড়
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়াকড়ি কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation)। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ আসতেই বিল্ডিং বিভাগকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। কমন প্যাসেজে কোনও রকম নির্মাণ করা যাবে না সাফ বলেন তিনি। এরপরেও কেউ এই ধরণের নির্মাণ করলে তা ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ আসতেই কড়াকড়ি কেএমসির (Kolkata Municipal Corporation)! জানা যাচ্ছে, এদিন জোকা এলাকার ১৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ফিরহাদের (Firhad Hakim) কাছে ফোন আসে। তিনি জানান, কয়েকটি বাড়ির মাঝের কমন প্যাসেজে স্থানীয় একজন জমির মালিক পাঁচিল তুলে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় মানুষজন যাতায়াত করেন। তবে এখন পাঁচিল তুলে দেওয়ার কারণে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। এই অভিযোগ কানে আসতেই কড়া নির্দেশ দেন মেয়র। কমন প্যাসেজে গড়ে ওঠা ওই পাঁচিল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন ফিরহাদ। বরো এক্সিকিউটিভ অফিসারকে এই নির্দেশ দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কেএমসির (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র বলেন, ‘বহু বছর ধরে ব্যবহৃত কোনও কমন প্যাসেজ নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেটা আর কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। সেই কারণে কমন প্যাসেজ বন্ধ করে সেখানে নির্মাণের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। বরো অফিসাররা তাই এমন কোনও নির্মাণ করতে বারণ করছেন’। আরও পড়ুনঃ ২ মাসের মধ্যে…! অবৈধ নির্মাণের মামলায় এবার কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট দু’টি কিংবা কয়েকটি বাড়ির মধ্যে সাধারণত এই কমন প্যাসেজ (Common Passage) দেখা যায়। এই রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ যাতায়াত করে। অনেক সময় স্থানীয় মানুষের গাড়িও সেখানে রাখা থাকে। ফলে এই ধরণের কমন প্যাসেজে যদি নির্মাণ করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়। এছাড়া কলকাতা পুরসভার আইনে কমন প্যাসেজে নির্মাণ অবৈধ বলেই রয়েছে। ফলে সেখানে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কিছু নির্মাণ করতে পারেন না। এদিন কার্যত সেটাই স্মরণ করিয়ে দেন ফিরহাদ। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মেয়রের কথায়, ‘দলিল করে কেউ কমন প্যাসেজ নিজের বলে দাবি করতে পারেন না। আর যদি তা করা হয় তাহলে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেবেন না। কারণ ৩০-৪০ বছর ধরে ওই কমন প্যাসেজ ব্যবহৃত হয়ে তা অন্যান্য বাসিন্দাদের অধিকারের আওতায় পড়ে যায়। ফলে বহু প্রোমোটার এখন দলিলের মধ্যে সেগুলিকে ঢুকিয়ে দিয়ে বিল্ডিং নির্মাণের অনুমতি নিচ্ছেন। দলিলের মধ্যে এসব থাকলে অনুমতি দেবেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেই ফাইল পাঠিয়ে দেবেন। সেখানে যা হওয়ার হবে’।
জাস্ট একটুর জন্য…হলিউড ছবির প্রস্তাব পেয়েও ফেরান, অস্কার হাতছাড়া শাহরুখের!
বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউড এর সুপারস্টার শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। সমগ্র ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সমগ্র বিশ্বের একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন কিং খান। তবে একটা আফসোস লয়ে গিয়েছে তাঁর। এই দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ারে কোনো হলিউডি ছবিতে কাজ করা হয়নি তাঁর। কোনো হলিউড ছবিতে কাজ করেননি শাহরুখ (Shahrukh Khan) দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে রয়েছেন শাহরুখ! অনেকেই হলিউডে কাজ করলেও এখনো সুযোগ আসেনি তাঁর কাছে। তবে শোনা যায়, একবার নাকি একটি বড় হলিউড ছবির প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাহরুখ (Shahrukh Khan)। এমনকি একটুর জন্য নাকি অস্কারও হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর। এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে: এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ (Shahrukh Khan) নিজেই জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের অস্কারজয়ী ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’এ অভিনয় করার কথা ছিল নাকি তাঁর। অনিল কাপুর যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সেটাই নাকি প্রথমে গিয়েছিল শাহরুখের (Shahrukh Khan) কাছে।। অভিনেতা জানান, সে সময়ে তিনি ছিলেন কেবিসির সঞ্চালক। ছবির গল্প শুনেই নাকি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন শাহরুখ। আরো পড়ুন : অতিথিদের না আসার অনুরোধ! অভিষেক-ঐশ্বর্যর বিয়ের কার্ড ফেরত পাঠান শত্রুঘ্ন কেন ফিরিয়েছিলেন প্রস্তাব: শাহরুখ (Shahrukh Khan) আরো বলেছিলেন, চরিত্রটির কথা শুনেই নাকি খুব অসৎ বলে মনে হয়েছিল তাঁর। তাই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে তা যায় অনিলের কাছে। তিনি অবশ্য রাজি হয়ে যান ছবিটি করতে। তারপর অস্কার জেতে ছবিটি। যদিও অনেকে মনে করেন, নিছক মজার ছলেই একথা বলেছেন শাহরুখ। আরো পড়ুন : “ধূর্ত” চিনের ফাঁদে পা দিয়ে ঘটল সর্বনাশ! সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে ভারতের আরও এক পড়শি দেশ প্রসঙ্গত, আগামীতে সুজয় ঘোষের পরিচালনায় প্রথম বার পর্দায় একসঙ্গে ধরা দিতে চলেছেন শাহরুখ এবং সুহানা। ছবির নাম ‘কিং’। শোনা যাচ্ছে, ফরাসি ছবি ‘লিওঁ’র অনুকরণে তৈরি হচ্ছে এই ছবি। এই ছবির সংলাপ লেখার কাজও শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন আব্বাস।
২ মাসের মধ্যে…! অবৈধ নির্মাণের মামলায় এবার কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে মাঝেমধ্যেই প্রোমোটার রাজের অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। এবার যেমন এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে চার তলার অনুমতি নিয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিং তৈরির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার তাতেই পুরসভাকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত। পুরসভাকে কী নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)? চার তলার অনুমতি নিয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিং হাঁকানোর এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া সোনামুখী পুরসভার (Sonamukhi Municipality) ১৫ নং ওয়ার্ডে। জানা যাচ্ছে, সোনামুখী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গৌতম চক্রবর্তীর নামে ৩২ কাঠা জমি ছিল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই জমির ওপর ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য জগদ্ধাত্রী কনস্ট্রাকশন নামের একটি সংস্থার সঙ্গে জমির মালিকদের চুক্তি হয়। সেখানে পাঁচ তলা একটি বিল্ডিংও বানানো হয়। তবে নির্মাণ কাজ চলার মাঝেই দেখা দেয় জটিলতা। সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে পুরসভা থেকে চার তলা বিল্ডিংয়ের অনুমতি নিয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিং বানানোর অভিযোগ আনা হয়। সেই সঙ্গেই আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগও করে মালিক পক্ষ। তাঁরা প্রথমে সোনামুখী পুরসভা এবং পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। এবার এই মামলাতেই অবিলম্বে অভিযোগ খতিয়ে দেখে দু’মাসের মধ্যে পুরসভাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আরও পড়ুনঃ বগটুই-কাণ্ডের পর উগড়ে ছিলেন ক্ষোভ! এবার কেষ্টকে সামনে পেয়েই মিহিলাল যা করলেন … শোরগোল! প্রোমোটারের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণ (Illegal Construction) এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোনামুখী কলেজ সংলগ্ন ওই জমির দুই মালিক। এবার তাতেই পুরসভাকে সবদিক খতিয়ে দেখার পর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পুরসভার নাকের ডগায় অনুমতি ছাড়া কীভাবে ওই নির্মাণ হয়ে গেল ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মালিক পক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থা বেশ প্রভাবশালী। সেই কারণে চার তলা বিল্ডিংয়ের অনুমতিতে পাঁচ তলা বিল্ডিং হাঁকিয়ে বসেছে। অন্যদিকে নির্মাণ সংস্থার মালিক দাবি করেন, বিল্ডিং বানানোর আগেই সাত তলা তৈরির অনুমতি চেয়ে তিনি পুরসভার কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে সেই সময় পুরসভার তরফ থেকে সর্বাধিক চার তলার অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা ছিল। তবে বিল্ডিং প্ল্যান সহ অন্যান্য নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর বলা হয়েছিল, সাত তলা অবধি নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হতে পারে। সেই নথির ওপর ভিত্তি করেই পাঁচ তলা বিল্ডিং বানানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে দু’মাসের মধ্যে সব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সোনামুখী পুরসভা। তাদের কথায়, এই বিষয়টি আদালত অবধি গড়ানোয় এতদিন অবধি তারা হস্তক্ষেপ করেননি। তবে এবার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিজেপি অবশ্য ইতিমধ্যেই এই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে পুরসভাকে একহাত নিয়েছে।
‘অতিরিক্ত টাকা দিতে..,’হেরে গেল রাজ্য সরকার! সরকারি কর্মীর করা মামলায় বিরাট রায় হাইকোর্টের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষকের (Teacher) করা মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যকে বড় নির্দেশও দিল উচ্চ আদালত। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, জালিয়াতি বা ভুল তথ্য পেশ, এই সম্পর্কিত অভিযোগ যদি না থাকে তাহলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীকে (Government Employees) প্রদান করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাওয়া যায় না। ঘটনাটা ঠিক কি? রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষিক। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নেন তিনি। ওই শিক্ষক যে বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তা আগে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছিল। ২০০২ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হয়। বিদ্যালয়টি দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হওয়ার সূত্রে আবেদনকারী শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধির অনুমোদন করেন অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক। শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি হয় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর অফ অ্যাকাউন্টের জারি করা সরকারি মেমো অনুযায়ী। বেসিক ভাতার উপর ৩% ইনক্রিমেন্ট এবং অতিরিক্ত গ্রেড পে হিসেবে দুশো টাকা করে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পেয়েছেন। এদিকে অবসরের পর জেলার স্কুল পরিদর্শক জানান, ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির পর যদি কোনও বিদ্যালয় দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হয় তাহলে সেখানকার প্রধান শিক্ষককে ইনক্রিমেন্ট বরাদ্দ করা যায় না। এরপরই মামলাকারী শিক্ষকের অবসরকালীন পাওনা অর্থ আটকে দেওয়া হয়। এবং প্রদেয় বাড়তি অর্থও ফেরত দিতে বলা হয়। আরও পড়ুন: চেনাই মুশকিল! গায়ে ব্লেজার, গলায় স্কার্ফ বেঁধে র্যাম্প ওয়াক! সব্বাইকে চমকে দিলেন সুকান্ত এরপরই হাইকোর্টে মামলা করেন ওই শিক্ষক। প্রথমে মামলা ওঠে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে। ২০২১ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্ট আবেদনকারীর পক্ষে রায়। এদিকে পাল্টা সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে সেখানেও বহাল রইল সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে মামলাকারী শিক্ষকের পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
গাড়ি-বাড়ি সবই আছে! তবুও রেশন তুলছেন? সরকারের এই নিয়ম না মানলেই ‘শনি নাচবে কপালে’
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের কাছে রেশন কার্ডের (Ration Card) গুরুত্ব নতুন করে বলার নয়। শুধুমাত্র পরিচয়পত্র হিসাবে নয়, দুঃস্থদের দুবেলা দুমুঠো খাদ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রেশন কার্ড (Ration Card)। দেশের দরিদ্র শ্রেণীর বহু মানুষ আজও নির্ভর রেশন ব্যবস্থার উপর। আরোও পড়ুন : বাড়তি সতর্কতা! প্রকল্পের টাকা বিলির আগে ইউনিক আইডি তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের তবে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি রয়েছে রেশন কার্ড নিয়ে। সরকারের এই মাপকাঠি পূরণ করতে না পারলে রেশন কার্ড পাওয়া যায় না। এমনকি যদি আপনি এই মাপকাঠির মধ্যে না আসেন তাহলে আপনার রেশন কার্ড (Ration Card) বাতিলও হতে পারে। • রেশন কার্ডে (Ration Card) আবেদন করার যোগ্যতা কী কী? বিনামূল্যে রেশনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা বেঁধে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। গ্রামীন এলাকার মানুষদের জন্য বলা হয়েছে, যাদের পারিবারিক বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার কম তারাই আবেদন জানাতে পারবেন রেশনের জন্য। শহর এলাকায় পারিবারিক বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার কম হতে হবে রেশন ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়ার জন্য। আবেদনকারীর পরিবারে আয়করদাতা থাকা যাবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করে কেউ যদি রেশন কার্ড নিয়ে থাকেন তাহলে তা অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করা উচিত। রেশনের (Rationing) জন্য অযোগ্য কারা? সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১০০ বর্গমিটারের বেশি জমি আছে বা সেখানে ফ্ল্যাট বা বাড়ি রয়েছে এমন ব্যক্তি আবেদন জানাতে পারবেন না। এমনকি চারচাকা গাড়ি বা ট্রাক্টর থাকলেও রেশন ব্যবস্থার জন্য আবেদন করা যায় না। পরিবারে কেউ সরকারি চাকরি করলেও রেশন ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়া যায় না। এই শর্ত পূরণ না করে কেউ যদি রেশন পেয়ে থাকেন, তাহলে তাকে পড়তে হতে পারে কড়া শাস্তির মুখে।
বাড়তি সতর্কতা! প্রকল্পের টাকা বিলির আগে ইউনিক আইডি তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের প্রকল্প নিয়ে হামেশাই উঠে আসে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। এই দুর্নীতির অভিযোগে তুলেই একাধিক প্রকল্পে টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই এবার নিজস্ব কোষাগার থেকেই কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পের আবেদনকারীদের জন্য টাকা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পে আরও কড়া রাজ্য এবারে আবাস প্রকল্প (Awas Yojana) নিয়েই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আবাসের টাকা বিলির আগেই তৈরি করা হচ্ছে সুরক্ষা বলয়। কিছুদিন আগে ট্যাবের টাকা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই এবার আগে থেকেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে প্রত্যেক উপভোক্তাদের জন্য একটি করে সুনির্দিষ্ট নম্বর অর্থাৎ ইউনিক আইডি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সূত্রের দাবি নবান্ন যে বিধি তৈরি করে দিয়েছে তাতে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক জেলাকে। ট্যাব দুর্নীতিতে টাকাও চলে গিয়েছিল অন্যজনের একাউন্টে। জানা যাচ্ছে চলতি মাসের ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই আবাস প্রকল্পের (Awas Yojana) টাকা ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন জেলায় তৈরি করা হবে শিবির। সেখানেই উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাচাই এবং ইউনিক আইডি দেওয়ার কথা রয়েছে। আবাসের তালিকায় শাসক গোষ্ঠী ঘনিষ্ঠ প্রার্থীদের নাম ওঠায় বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন জেলায়। আরও পড়ুন: চেনাই মুশকিল! গায়ে ব্লেজার, গলায় স্কার্ফ বেঁধে র্যাম্প ওয়াক! সব্বাইকে চমকে দিলেন সুকান্ত তারপর মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিব এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন গুলিকে করা সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তাই শেষ মুহূর্তে কেউ যাতে এই আবাসের টাকাতেও কোন কারচুপি না করতে পারে তার আগে থেকে তৈরি করা হচ্ছে। আলাদা পোর্টাল, নেওয়া হচ্ছে আরও একাধিক পদক্ষেপ। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই অর্থদপ্তর নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংকে সুরক্ষাবিধি মেনেই সমস্ত আর্থিক অনুদান বিলি করতে হবে। জানা আছে নবান্নের তরফে নির্দেশ এসেছে ওটিপি বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করার। প্রশাসনিক সূত্রে খবর আবাসের তালিকায় প্রায় ১১ লক্ষ উপভোক্তার নাম ছিল। তারপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আরো এক লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বগটুই-কাণ্ডের পর উগড়ে ছিলেন ক্ষোভ! এবার কেষ্টকে সামনে পেয়েই মিহিলাল যা করলেন … শোরগোল!
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী ছিল রামপুরহাটের বগটুই (Bogtui Incident)। সেই ঘটনায় মা, স্ত্রী, মেয়ে, দিদি, বোন, জামাই সহ ১০ জন আত্মীয়কে হারিয়েছিলেন মিহিলাল শেখ। এরপর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ‘টিভি বিস্ফোরণে’র মন্তব্যে ফুঁসে উঠেছিলেন তিনি। শনিবার তাঁকেই কেষ্টর সামনে দেখা গেল সম্পূর্ণ ‘অন্য’ রূপে। অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) সামনে পেয়ে কী করলেন ‘সেই’ মিহিলাল? বগটুই কাণ্ডের পর প্রায় আড়াই বছর অতিক্রান্ত। এই ঘটনার পর রামপুরহাটের ওই গ্রামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রতি এক প্রকার ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। কেষ্টর ‘টিভি বিস্ফোরণ’ মন্তব্য নিয়ে স্বজনহারাদের পাশাপাশি ফুঁসে উঠেছিলেন বহু গ্রামবাসী। ১০ জন আত্মীয় স্বজনকে একত্রে হারানো মিহিলালের নামও ছিল সেই তালিকায়। কিন্তু শনিবার রামপুরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে তাঁকেই অনুব্রতর সামনে হাত জোড় করে দেখা গেল। কারণ ব্যাখ্যা করে এরপর মিহিলাল বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের স্থায়ী চাকরি করতে হবে। যাদের দ্বারা সেটা হবে, তাঁদের প্রতি রাগ করে থাকলে কি হবে?’ এদিন মিহিলাল যখন অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হাতজোড় করে নমস্কার করছিলেন, তখন তাঁর পাশে বসে ছিলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বগটুইয়ে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে এই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক যখন গ্রামে গিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেও অনেকে অস্বীকার করেছিলেন। আরও পড়ুনঃ বাড়ছে অবসরের বয়স? অবশেষে স্পষ্ট করল কেন্দ্র সরকার এদিকে একসময় যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। এখন তাঁর প্রতি রাগ কমে গিয়েছে কিনা জানতে চাওয়ায় মিহিলালের (Mihilal Sheikh) উত্তর আসে, ‘পরবর্তীতে উনি জানিয়েছিলেন ওনার ওই কথা বলা ঠিক হয়নি। আমি এখন ওই বিষয় নিয়ে মাতামাতি করতে যাচ্ছি না। এখন যেগুলো কাজ রয়েছে সেগুলো ওদের দিয়েই করতে হবে’। বগটুইকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। পরিজনহারাদের চাকরির পাশাপাশি সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এরপরেও অবশ্য অনেকের মনে শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ থেকে গিয়েছিল। পরবর্তীতে সেটাকে কাজে লাগিয়ে একাধিক স্বজনহারাকে নিজেদের শিবিরে টেনে নেয় বিজেপি। গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মিহিলালের পরিবারের ৩ জন সদস্য পদ্ম শিবিরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁদের হয়ে ভোট প্রচারে নেমেছিলেন মিহিলাল নিজে। এদিন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সামনে করজোড়ে দাঁড়ালেও তিনি দাবি করেন, এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। সেই সঙ্গেই মিহিলাল বলেন, ‘আমি দল নিয়ে মাতামাতি করছি না’। তাঁর কথায়, ‘যেটা হয়েছে সেটা ভোলার নয়। এখন আমাদের নিয়ে সবাই রাজনীতি করছে। যেখানে সুবিধা হবে আমায় সেখানে যেতে হবে। আমার কাজটা যদি উদ্ধার হয়ে যায়, সেই জন্য আমায় যেতে হবে’।
চেনাই মুশকিল! গায়ে ব্লেজার, গলায় স্কার্ফ বেঁধে র্যাম্প ওয়াক! সব্বাইকে চমকে দিলেন সুকান্ত
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আপাদমস্তক স্যুটেট-বুটেট হয়ে দিব্যি করছেন র্যাম্প ওয়াক। এক ঝলক দেখে মনে হতেই পারে কোনো প্রফেশনাল মডেল। কিন্তু তা নয় একেবারেই। হাঁটা চলায় পেশাদারিত্বের ছাপ থাকলেও ইনি আসলে সকলের পরিচিত বঙ্গ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তাঁর সাথেই ছিলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। র্যাম্পে হাঁটছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দুজনেই এদিন উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী স্টাইলের জ্যাকেট পরে হাঁটলেন ব়্যাম্পে। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পরনে ছিল রুপোলি সুতোর কাজ করা অফ হোয়াইট রঙের ব্লেজার। আর সেইসাথে গলায় ঝুলছিল লাল রঙের লম্বা স্কার্ফ। আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পরেছিলেন অফ হোয়াইটের সাথে কালো আর গোল্ডেন মেশানো জরির কাজ করা জ্যাকেট। তাঁর গলাতেও লালচে ধরনের একটি স্কার্ফ। প্রসঙ্গত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এক ধাক্কায় দলের মধ্যে বিরাট কদর বেড়েছে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। কাজেই কাঁধে তাঁর বিরাট দায়িত্বের বোঝা। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেই এদিন র্যাম্প ওয়াক করে সব্বাইকে একেবারে চমকে দিয়েছেন তিনি। নয়া দিল্লির ভারত মণ্ডপমে অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবের অংশ ছিল এই ফ্যাশন শো। শুক্রবারেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানেই এদিন পাশাপাশি র্যাম্প ওয়াক করলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় র্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আরও পড়ুন: কবে কবে ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা? আগেভাগে দেখুন তালিকা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ও উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এদিন জানিয়েছেন, ‘সত্যিই এটা সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনের উদযাপন। উত্তর-পূর্ব ভারতের স্টাইলকে তুলে ধরা এই ফ্যাশন শোয়ে দারুণ সময় কাটল। প্রতিটি রাজ্যকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন শিল্পী ও মডেলরা। আমার সহকর্মী সুকান্ত মজুদারজীর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে সামিল হতে পেরে গর্বিত।’ আসলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আটটি রাজ্য অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং সিকিমকে প্রায়শই ‘অষ্টলক্ষ্মী’ বা সমৃদ্ধির আটটি রূপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ভারতের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এই রাজ্যগুলির। https://twitter.com/ANI/status/1865441051223404883 অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবে প্রত্যেক রাজ্যের জন্যই নির্দিষ্ট প্যাভিলিয়ন আছে। বিনিয়োগকারীদের সেই সব রাজ্যে আকৃষ্ট করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইভেন্টেরও আয়োজন করা হয়েছে।
১০০০ অতীত, এবার মিলবে ১৮০০ টাকা! নববর্ষের আগেই বিরাট ঘোষণা মমতার
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধু থেকে শুরু করে তরুণের স্বপ্ন- সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রচুর স্কিমের। এর মধ্যে বহু প্রকল্পের মাধ্যমে আবার জনসাধারণকে মাসে মাসে আর্থিক ভাতা প্রদান করে রাজ্য। এবার এমনই একটি স্কিম নিয়ে সামনে আসছে সুখবর! এই প্রকল্পের (Government Scheme) বরাদ্দ বৃদ্ধি করল সরকার! তেরো থেকে তিরাশি, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মানুষের কথা মাথায় রেখেই কোনও না কোনও প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে যেমন একটি স্কিমের বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জয় জোহর প্রকল্পে’র (Jai Johar Scheme) আওতায় পেনশনভোগীদের বরাদ্দ বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। মমতা জানিয়েছিলেন, এবার থেকে এই স্কিমের (Government Scheme) অধীন পেনশনভোগীদের বরাদ্দ ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সোজা ৮০০ টাকা বৃদ্ধি করে তা ১৮০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই জনজাতি গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৩১০টি নতুন হস্টেল তৈরির কথাও বলেছিলেন তিনি। আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তর মাথায় হাত! বাড়বে সম্পত্তির দাম, মূল্য নির্ধারণে নয়া নিয়ম আনছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এছাড়া বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নিউ টাউনের আদিবাসী ভবন প্রাঙ্গনে এক সপ্তাহব্যাপী একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেও জনজাতি কল্যাণ নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর সরকার বরাবর জনজাতি কল্যাণে প্রাধান্য দিয়েছে। পাশাপাশি ক্রীড়া জগতে জনজাতি গোষ্ঠীর কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘গর্ব করে বলতে পারি এরা আগামী দিনে অলিম্পিক জিতবে’। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার পর থেকে রাজ্য ও রাজ্যবাসীর উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চালু করেছেন বহু প্রকল্প (Government Scheme)। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে যেমন বাংলার মহিলাদের মাসিক ভাতা দেয় সরকার। তেমনই আবার তরুণের স্বপ্নের মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সবুজ সাথী থেকে শুরু করে যুবশ্রী, কৃষক বন্ধু থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী, সেই তালিকায় নাম রয়েছে আরও একাধিক প্রকল্পের।
মধ্যবিত্তর মাথায় হাত! বাড়বে সম্পত্তির দাম, মূল্য নির্ধারণে নয়া নিয়ম আনছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর উন্নতি ঘটছে। হু হু করে বাড়ছে প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম। সবজি থেকে শুরু করে বাড়িঘর, সবকিছুর মূল্যই এখন আকাশছোঁয়া। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর। জানা যাচ্ছে, সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। এর ফলে চাপ পড়তে পারে আমজনতার পকেটে! সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য (Government of West Bengal)! ৫ বছর অন্তর সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা দস্তুর। সেই প্রক্রিয়া যদি সম্পন্ন না-ও হয়, তাহলেও এবার থেকে প্রত্যেক ৫ বছর অন্তর ১০% হারে সম্পত্তির বার্ষিক মূল্য (Property Tax) বৃদ্ধি পাবে। আর সেই হিসেবেই অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হবে। রিপোর্ট বলছে, এবার এই নিয়ম লাগু করতে চায় রাজ্য। সেই কারণে রাজ্য বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই জোড়া বিল আনা হতে চলেছে। রাজ্যের প্রত্যেক পুর এলাকায় সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণের কাজ করে ভ্যালুয়েশন বোর্ড। প্রত্যেক ৫ বছর পর পর সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘অ্যানুয়াল রেন্টাল ভ্যালু’ (Annual Rental Value) নির্ধারিত হয়। এর ভিত্তিতে পুর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির ওপর কর নেন। তবে এবার এই নিয়মেই খানিক বদল আসতে চলেছে বলে খবর। আরও পড়ুনঃ নয়া পন্থা! একসাথে বাড়ছে সরকারি কর্মীদের বেতন ও DA? এবার বড় আপডেট সামনে এল রাজ্য বিধানসভায় এই আইন সংশোধন করে বলা হচ্ছে, যদি ৫ বছর অন্তর সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ না-ও করা যায়, সেক্ষেত্রেও আগের হিসেবের ওপর অ্যানুয়াল রেন্টাল ভ্যালু ১০% হারে বৃদ্ধি পাবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আগামী সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে দু’টি বিল পেশ হতে চলেছে। বিল দু’টির নাম ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৪’ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৪’। রিপোর্ট বলছে, এই দু’টি বিল একসঙ্গে এনে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সংশ্লিষ্ট দুই বিলেই সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থার বিষয়ে বলা হয়েছে (Government of West Bengal)। বিলে পুর দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বহু ক্ষেত্রেই সম্পত্তির অ্যানুয়াল রেন্টাল ভ্যালু নির্ধারণ করা কঠিন। এছাড়া পুর নিগমের বাইরের অন্যান্য পুর এলাকাতেও ফাঁকা জমি অথবা বাড়ি ব্যবহার করার ধরণে পরিবর্তন আসছে। সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ৫ বছর অন্তর যদি সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, তাহলে আগের হিসেবের ওপর অ্যানুয়াল রেন্টাল ভ্যালু ১০% বৃদ্ধি পাবে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক মহলের একাংশের কথায়, রাজ্যবাসীর ওপর করের চাপ দিতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে এবার এমন এক ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যেখানে সোজাসুজি কর বাড়ানোর কথা বলা হয়নি। তবে সরকারের (Government of West Bengal) খাতে টাকাও আসবে! অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, যদি ‘ভ্যালুয়েশনে’র প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক না করে এভাবে ১০% হারে সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সঙ্গতির বিষয়টি কোথাও গিয়ে উপেক্ষিত হবে ও এর ফলে আর্থিক দুর্নীতির আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাবে।
অতিথিদের না আসার অনুরোধ! অভিষেক-ঐশ্বর্যর বিয়ের কার্ড ফেরত পাঠান শত্রুঘ্ন
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় বিয়েতে একটু ড্রামা হবে না তা কি হয়! তাও যদি আবার তা হয় বলিউডি বিয়ে। ২০০৭ সালের ২০ শে এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Abhishek Aishwarya)। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম হেভিওয়েট বিয়ে ছিল সেটা। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকাই ছিলেন অনুপস্থিত। অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীকেই জানানো হয়নি আমন্ত্রণ। অভিষেক ঐশ্বর্যর (Abhishek Aishwarya) বিয়ে নিয়ে সে সময়ও মাথাচাড়া দিয়েছিল বিতর্ক। এমনকি শত্রুঘ্ন সিনহা বিয়ের কার্ডই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন! বহু তারকা আসেনি অভিষেক ঐশ্বর্যর (Abhishek Aishwarya) বিয়েতে বলিউডের অন্যতম হেভিওয়েট পরিবার বচ্চন পরিবার। স্বাভাবিক ভাবেই সকলে ভেবেছিলেন, অভিষেকের বিয়েতে বিরাট ধুমধাম হবে। ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত তারকাদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিল খবর। কিন্তু বচ্চনদের পরিকল্পনা ছিল অন্য রকম। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের নিয়েই বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। ফলত বহু তারকা কোনো আমন্ত্রণই পাননি। কার্ড ফেরত দেন শত্রুঘ্ন: যদিও বিয়ের পর বলিউডের সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা লেখা কার্ড এবং মিষ্টি পাঠিয়েছিলেন বচ্চন (Abhishek Aishwarya) পরিবার। কিন্তু সেই কার্ড এবং মিষ্টি ফেরত পাঠিয়ে দেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু কেন? আসলে পরবর্তী কালে এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছিলেন, যারা বিয়েতে আমন্ত্রণ পাননি তাদের নিজের বন্ধু বলে মনে করেন না অমিতাভ। তিনি দ্বিতীয় সারিতে থাকবেন না আর কাউকে বিব্রত করতে চান না বলেও কার্ড এবং মিষ্টি প্রত্যাখ্যান করেন। আরো পড়ুন : বিশ্বের সামনে হতে বসেছিল ‘কেলেঙ্কারি’! মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে প্রিয়াঙ্কার ‘নমস্কার’ এর পেছনে রহস্য জানেন? কেন এমন বিয়ের আয়োজন: খুশি ছিলেন না পরিচালক রাম গোপাল ভার্মাও! তবে শত্রুঘ্নের মতো তিনি কার্ড ফেরত পাঠাননি। বিয়েতে আসলেও মুখ গোমড়া করে রেখেছিলেন তিনি। আসলে সে সময় অমিতাভের মা তেজি বচ্চন গুরুতর অসুস্থ ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। তাই বড় করে উৎসব করতে চাননি বচ্চনরা (Abhishek Aishwarya)। আরো পড়ুন : সবাইকে হারিয়ে পেয়েছিলেন জয়ের শিরোপা, কিন্তু বলিউডে ব্রাত্য বাংলার ছেলে, এখন কী করছেন দেবজিৎ? বর্তমানে ফের চর্চায় উঠে এসেছেন অভিষেক ঐশ্বর্য। তবে এবার তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়েছে বলিপাড়ায়। শোনা যাচ্ছে তাঁরা নাকি আলাদা থাকছেন। যদিও এ বিষয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটেই রেখেছেন বচ্চন পরিবার।
নয়া পন্থা! একসাথে বাড়ছে সরকারি কর্মীদের বেতন ও DA? এবার বড় আপডেট সামনে এল
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ শেষের পথে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে নয়া বেতন কমিশন কার্যকর করার পরিবর্তে কি নয়া কোনও পদ্ধতিতে সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) মূল বেতন বাড়ানো হতে পারে? এই নিয়েই জল্পনা চলছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর করা নিয়ে কিছু ভাবা হচ্ছে না। তাহলে কি সরকারি কর্মীদের বেসিক স্যালারি (Basic Salary) বাড়ানোর জন্য অন্য কিছু ভাবা হচ্ছে? প্রসঙ্গত, প্রতি দশ বছর অন্তর অন্তর একটি কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠন করা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় দেওয়া সুপারিশগুলি ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এবার দশ বছর হতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন নয়া বেতন কমিশন গঠন না করেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেসিক স্যালারি বাড়ানো হতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ দ্য জয়েন্ট কনসালটিভ মেশিনারি’-র সচিব শিবগোপাল মিশ্র দাবি করেছেন যে তিনি এখনও মনে করেন যে নয়া বেতন কমিশনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেসিক স্যালারি পরিবর্তন সবথেকে ভালো উপায়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার নয়া বিকল্পের মাধ্যমে এবার সরকারি কর্মচারীদের বেসিক স্যালারি পরিবর্তন করতে পারে। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, যদি এই বেসিক স্যালারি পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রের কোনও পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আগে কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আরও পড়ুন: আজ বিশ্রাম! সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে, কমবে কবে? আবহাওয়ার খবর এখনও অষ্টম বেতন কমিশনের বিষয়ে এখনও সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা না করা হলেও একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে এই নিয়ে ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে ডিসেম্বরে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির বৈঠক রয়েছে। সেখানেই অষ্টম পে কমিশন নিয়ে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কবে কবে ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা? আগেভাগে দেখুন তালিকা
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই নতুন বছর। নতুন বছর শুরুই হচ্ছে ছুটি দিয়ে। যদিও চলতি মাসেও রয়েছে একাধিক ছুটির সুযোগ (Government Holiday)। কিছুদিন আগেই নতুন বছরের ছুটির তালিকাও প্রকাশ করেছে নবান্ন (Nabanna)। ২০২৫ সালে কবে কবে বন্ধ থাকছে অফিস-কাছারি? এক নজরে দেখে নিন তালিকা। ২০২৫ সালে ৮টি ছুটির দিন পড়েছে রবিবার। ২০২৫ সালে স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন, প্রজাতন্ত্র দিবস (২৬ জানুয়ারি), সরস্বতী পুজো (২ ফেব্রুয়ারি) পড়েছে রবিবার। গতবার থেকে রামনবমীতেও ছুটি দিচ্ছে রাজ্য। আগামী বছর রামনবমী পড়েছে (৬ এপ্রিল) রবিবার। মহরম (৬ জুলাই), রাখিপূর্ণিমা (৯ অগস্ট), ভানুভক্তের জন্মদিন, মহালয়া এবং দুর্গাপুজোর মহা ষষ্ঠী সবই রবিবার পড়ায় বাড়তি ছুটি মিলবে না সরকারি কর্মীদের। তবে সরস্বতী পুজো রবিবার পড়লেও তার পরেরদিন অর্থাৎ সোমবারও ছুটি দেওয়া হয়েছে। এনআই অ্যাক্টে ২০২৫ সালে ছুটি রয়েছে মোট ২৫ দিন। আবার রাজ্য সরকার আরও ২১ দিন ছুটি দিচ্ছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট ৪৭ দিন ছুটি মিলছে। দেখুন তালিকা: আগামী বছরের পুজোর ছুটি… ২০২৫ সালে সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু দুর্গাপুজো। ২৮ সেপ্টেম্বর পড়েছে ষষ্ঠী। এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমীতে পুজোর ছুটি। শোনা যাচ্ছে, পরের বারও চতুর্থীর দিন থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি দেওয়া যাবে। অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু ছুটি। এরপর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো পড়েছে ৬ অক্টোবর। সবমিলিয়ে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি থাকবে। পুজোর ছুটি খুলতে পারে একেবারে ৯ অক্টোবর। আরও পড়ুন: আজ বিশ্রাম! সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে, কমবে কবে? আবহাওয়ার খবর কালীপুজো পড়েছে ২০ অক্টোবর। ২৩ অক্টোবর ভাইফোঁটা। তবে কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা মিলিয়ে টানা এক সপ্তাহের মতো ছুটি মিলতে পারে সরকারি কর্মীদের। এদিকে শেষের মতো বছরের শুরুর দিকেও থাকছে লম্বা উইকেন্ড। ২ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো পড়েছে রবিবার। তার পর সোমবারও ছুটি দেয়ায় পরপর তিন দিন ছুটির সুযোগ থাকবে। ২৫ সালে দোল পড়েছে ১৪ মার্চ (শুক্রবার)। ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন ও শবে বরাতের জন্য শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি। ফলে তখনও টানা তিন দিন ছুটি পাওয়া যাবে। আবার ১৫ অগস্টও পড়েছে শুক্রবার। সেই সময়ও টানা ছুটি পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এরম টানা ছুটির সুযোগ আরও বেশ কয়েকবার রয়েছে ২০২৫ সালে।
আজ বিশ্রাম! সোমবার থেকে টানা বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে, কমবে কবে? আবহাওয়ার খবর
বাংলা হান্ট ডেস্ক: ডিসেম্বরের দশ তারিখ হতে চলল। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে শীত তো দূর, উল্টে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার থেকে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) কোন কোন জেলা ভিজবে? রইল আবহাওয়ার সম্পূর্ণ খবর। এদিকে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, নতুন সপ্তাহেই শীতের পথে বাধা হবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ২- ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। তবে তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। এমনটাই পূর্বাভাস। অর্থাৎ কনকনে শীত আসতে এখনও কিছুটা দেরি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আজ দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টি হবে না। সর্বত্র শুকনো থাকবে আবহাওয়া। তবে আগামীকাল থেকে ফের ঝড়-জল। সোমবার থেকে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে না। হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা মাত্র। বিগত কয়েকদিনে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা নেমেছে দক্ষিণবঙ্গে। গতকাল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, ১৫ ডিসেম্বর পর থেকে বাংলায় একেবারে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা। আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে গিয়ে আর হবে না ভুল! “Lakh” নাকি “Lac”, কোনটা লেখা উচিত চেকে? এখনই নিন জেনে উত্তরবঙ্গেও নতুন সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভিজতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে পার্বত্য এলাকায়। সাথেই মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর এবং মালদাতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে এক ধাক্কায় পারদ পতন হয়েছে। আগামী ৫ দিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে (North Bengal Weather) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে।
ব্যাঙ্কে গিয়ে আর হবে না ভুল! “Lakh”নাকি “Lac”, কোনটা লেখা উচিত চেকে? এখনই নিন জেনে
বাংলা হান্ট ডেস্ক: মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাংক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। বিশেষ করে আর্থিক লেনদেনের জন্য আজ এই সেক্টর মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আর্থিক লেনদেনের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে চেক (Cheque)। বড় অংকের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে চেকের গুরুত্ব অপরিহার্য। তবে চেক লিখতে গেলে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। একটি ছোট্ট ভুল সঙ্গে সঙ্গে আপনার চেক বাতিল করে দেবে। আর চেক লেখার ক্ষেত্রে মানুষ একটি ভুল সবচেয়ে বেশি করে থাকেন সেটি হচ্ছে, Lakh এবং Lac এর ক্ষেত্রে। কোন বানানটা সঠিক সেটা অনেকেই বুঝে পান না। আজকের প্রতিবেদনে জানানো চেকের উপর Lakh নাকি Lac কোনটা লেখা সঠিক। চেকের (Cheque) উপর Lakh নাকি Lac কোনটা সঠিক? বড় বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিল্পপতিরা সব থেকে বেশি চেকের (Cheque) ব্যবহার করে থাকেন। আর তখনই Lakh এবং Lac এর ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। তবে সংখ্যায় লিখে দিলে কোন সমস্যা হয় না। আপনি সহজেই ১০ লাখ ১৪ লাখ সংখ্যায় লিখে দিতে পারবেন। কিন্তু যখন টাকার অংকটা পুরোটাই ইংরেজি ভাষায় লিখতে বলা হয় তখনই হয় সমস্যা। আর সেক্ষেত্রে কেউ চেকে লেখেন Lakh আবার Lac। তবে এক্ষেত্রে ইংরেজিতে Lakh-কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমনকি এই নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতেও নির্দেশিকা জারি করা রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) নির্দেশিকা: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) নির্দেশিকা অনুযায়ী, চেকে (Cheque) লক্ষ টাকা লেখার ক্ষেত্রে ইংরেজিতে ‘Lakh’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আসলে Lakh শব্দের মাধ্যমেই লক্ষ্য শব্দ বোঝানো হয়। এমনকি ব্যাংকিং পরিভাষায় এই শব্দটি সঠিক শব্দ। এছাড়াও আরবিআইয়ের ওয়েবসাইটেও এমনই তথ্য দেওয়া রয়েছে। তবে অনেকেই বিভিন্ন সময় চেক লেখার ক্ষেত্রে ‘Lac’ শব্দটি ও ব্যবহার করেন। তবে তাতে খুব একটা সমস্যা হয় না। অনেকে ভাবেন হয়তো এতে চেক বাতিল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এমন কোন সমস্যাই হয় না। আরও পড়ুনঃ শরীরে শান্তি নেই! ‘সপ্তাহে ২-১ দিন যদি…’! নওশাদের দাবি শুনে ‘হতভম্ব’ কারামন্ত্রী তবে ছোট থেকেই আমরা শিখে এসেছি লক্ষ্য শব্দের ইংরেজি Lakh। এমনকি Lakh শব্দের অর্থ হচ্ছে ১০০ হাজার। আর এদিকে Lac শব্দের অর্থ হচ্ছে গালা জাতীয় পদার্থ। যেটি বার্নিশ, সিলিং ওয়াক্স এবং রঞ্জক প্রভৃতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই সকলে পরামর্শ দেন চেকের উপর লক্ষ বোঝাতে Lakh শব্দটি ব্যবহার করার এবং Lac শব্দটি এড়িয়ে চলার।
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত থেকে বহু সুন্দরী আন্তর্জাতিক মঞ্চে করেছেন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব। এরই মধ্যে অন্যতম নাম প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। আজ থেকে ২৪ বছর আগে ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে খেতাব জয় করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন তিনি। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ভাইরাল হয়েছিল মুকুট পরানোর পর প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Chopra) হাত জোড় করে ‘নমস্কার’ করার ভঙ্গিমা। কী রহস্য ছিল তার নেপথ্যে? এত বছর পর ফাঁস করলেন প্রিয়াঙ্কা। মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Chopra) ভাইরাল নমস্কারের ভঙ্গি মাস কয়েক আগে প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra) উপস্থিত হয়েছিল লন্ডনের ০২ অ্যারেনাতে, যেখানে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন তিনি। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে কিছু অজানা কথা ফাঁস করেন তিনি। তখনই প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra) জানান মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে তাঁর নমস্কারের ভঙ্গির নেপথ্যের অজানা রহস্য। কেন করেছিলেন অমন ভঙ্গি: সে সময়ে অনেকেই তাঁর এই নমস্কারের ভঙ্গি ভারতীয় সংষ্কার হিসেবে প্রশংসায় ভরিয়েছিলেন। কিন্তু আসল ঘটনা ছিল অন্য। আসলে সেদিন সারা সন্ধ্যা নিজের পোশাক সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra)। মিস ওয়ার্ল্ডের স্মৃতি হাতড়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, একেই পায়ে পেনসিল হিল, তার উপরে ডিজাইনার হেমন্ত ত্রিবেদীর একটি দারুণ সুন্দর পোশাক পরেছিলেন তিনি। কিন্তু ভয়ে, উত্তেজনায় তিনি এতই ঘামছিলেন যে পোশাকটি তাঁর শরীরের সঙ্গে এঁটেই থাকতে পারছিল না। আরো পড়ুন : মাত্র ১৫ মিনিটেই হল থেকে বিদায়! হিরোর শেষ ছবি, দেশের সবথেকে বড় ফ্লপ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে এই সিনেমা খুব কম বয়সে জেতেন প্রতিযোগিতা: প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra) বলেন, এখন গুগলে খুঁজলে তাঁর যে ছবিতে মনে হবে যে তিনি কৃতজ্ঞতায় নমস্কার করছেন, আসলে নিজের পোশাক সামলানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। ভঙ্গিটা হয়ে যায় নমস্কারের, আর সেটাই হয়ে যায় ভাইরাল। আরো পড়ুন : সবাইকে হারিয়ে পেয়েছিলেন জয়ের শিরোপা, কিন্তু বলিউডে ব্রাত্য বাংলার ছেলে, এখন কী করছেন দেবজিৎ? সে সময় মাত্র ১৮ বছর বয়স ছিল প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Chopra)। অভিনেত্রীর মা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁরা ভাবতে পারেননি যে প্রিয়াঙ্কা প্রতিযোগিতায় জিতবেন। তাই তাঁরা ইউরোপ ট্যুরের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা মিস ওয়ার্ল্ড হয়ে সকলকে চমকে দেন। View this post on Instagram A post shared by Priyanka (@priyankachopra)
মাত্র ১৫ মিনিটেই হল থেকে বিদায়! হিরোর শেষ ছবি, দেশের সবথেকে বড় ফ্লপ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে এই সিনেমা
বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউডে প্রতি বছর কত ছবিই না মুক্তি পায়। এর মধ্যে অনেক ছবি যেমন হিট হয়, অনেক ছবি আবার ডাহা ফ্লপের (Flop Film) তকমাও পায়। বর্তমানে বক্স অফিস নম্বরের যুগে কোন ছবি কত তাড়াতাড়ি ১০০, ২০০ কোটির বক্স অফিসে ঢুকল তার হিসেব করা হয়। সেই হিসেবের নিরিখেই ঠিক হয় ছবিটি হিট হল নাকি ফ্লপ (Flop Film)। আবার কিছু ছবি টেনেটুনে কয়েক কোটি, কিংবা কয়েক লাখের ব্যবসা করেই বিদায় নেয় বক্স অফিস থেকে। তবে কখনো ভেবে দেখেছেন, ভারতের সবথেকে বড় ফ্লপ ছবি (Flop Film) কোনটা? দেশের সবথেকে বড় ফ্লপ ছবি (Flop Film) তৈরি হয় বলিউডে হ্যাঁ, সেই ছবিও তৈরি হয়েছিল বলিউডেই। তবে হাল আমলে নয়। সেই আশির দশকে। আজ থেকে ৪২ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল ‘জখমি ইনসান’, যা দেশের মধ্যে সবথেকে ফ্লপ ছবি (Flop Film) হিসেবেই মানা হয়। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন দীপক বলরাজ বিজয়। অভিনয় করেছিলেন জাভেদ খান, শক্তি কাপুর, অরুণা ইরানি এবং রীতা ভাদুড়ি। নায়কের শেষ ছবি: জানলে অবাক হবেন, এটাই ছিল শক্তি কাপুরের নায়ক হিসেবে প্রথম এবং শেষ ছবিও বটে। এরপর আর কখনোই কোনো ছবিতে ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেননি তিনি। সম্প্রতি কপিল শর্মার শোতে এসে কেরিয়ারের বিষয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা। তখনই ওঠে এই ছবির প্রসঙ্গ। শক্তি কাপুর নিজেই বলেন, কত বড় ফ্লপ (Flop Film) হয়েছিল ছবিটি। আরো পড়ুন : সবাইকে হারিয়ে পেয়েছিলেন জয়ের শিরোপা, কিন্তু বলিউডে ব্রাত্য বাংলার ছেলে, এখন কী করছেন দেবজিৎ? মাত্র ১৫ মিনিটেই সরিয়ে দেওয়া হয় হল থেকে: অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি নায়ক হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমি জখমি ইনসান ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম, কিন্তু ছবিটি প্রযোজক, পরিচালক, দর্শক সবাইকে জখমি করে দিয়েছিল। এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড! প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায় ১২ টার সময়ে, আর ১২ টা ১৫ মিনিটে সরিয়ে দেওয়া হয়।’ আরো পড়ুন : ‘অন্য কোথাও হলে চুলের মুঠি ধরে…’, অনুষ্ঠানে বাংলা গানের বিরোধিতা, মেজাজ হারিয়ে হুঙ্কার ইমনের! শক্তি আরো বলেন, ‘তার আগে পর্যন্ত আমি যাদের সঙ্গে ভিলেন হিসেবে কাজ করেছিলাম, সবাইকে বলে দিয়েছিলাম যে আমি আর এমন চরিত্র করব না। কারণ আমি এখন হিরো।’ কিন্তু ছবি (Flop Film) মুক্তির পর সমস্ত ধারণাই ভেঙে যায় শক্তি কাপুরের। তিনি মজা করে বলেন, ‘আমি আবার ওঁদের কাছে গিয়ে কাজের জন্য ভিক্ষা চেয়েছিলাম’। ওই ছবির পর থেকে আর হিরো হওয়ার দুঃসাহস দেখাননি শক্তি কাপুর।
আজকের রাশিফল ৮ ডিসেম্বর, পড়াশোনায় সাফল্য এই চার রাশির
বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal)-এর ওপর চোখ রেখে শুরু করুন আপনার দিন। রাশিফল হল জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি অন্যতম অঙ্গ। বহু মানুষ রাশিফলের দিকে নজর রেখেই পদক্ষেপ নেন জীবনে। কারণ, রাশিফলই আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে গোটা দিনের এক সামগ্রিক ছবি। পাশাপাশি, জীবনে চলার প্রতিটি পদক্ষেপে আপনার ভাগ্যের চাকা কোন দিকে ঘুরছে সে সম্পর্কেও আঁচ পেতে পারেন আপনি। এছাড়াও, সতর্ক হওয়া যায় আসন্ন বিপদ থেকেও। তাই, জেনে নিন কেমন যাবে আপনার দিনটি। দেখে নিন আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal): মেষ রাশি: আপনার আজ একটি মূল্যবান জিনিস ছিনতাই হতে পারে। যার ফলে আপনার মেজাজ প্রভাবিত হবে। এই রাশির কিছু অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার পরিবর্তে বাইরের কাজকর্মে অত্যধিক জড়িত থাকার কারণে অত্যন্ত রেগে যেতে পারেন। বয়স্কদের আজ প্রতিটি কাজ আত্মবিশ্বাসের সাথে করতে হবে। বাবা-মায়ের সাথে আজ অবশ্যই কিছুটা সময় কাটান। আপনি আজ অনেকটা সময় ঘুমিয়ে অতিবাহিত করবেন। বিবাহিত জীবন সুখের হবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে বাড়িতে গঙ্গাজলের ব্যবহার করুন। বৃষ রাশি: কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ এবং বাড়িতে চলা একটি বিরোধের কারণে আজ আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে উঠতে পারে। বন্ধুদের সাথে আজ আপনার কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই অযথা অর্থব্যয় থেকে বিরত থাকুন। নাহলে আপনি আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। আপনি আজ কোনও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করবেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। অর্ধাঙ্গিনীর কোনও আচরণ আজ আপনার খারাপ লাগতে পারে। প্রতিকার: প্রেমের জীবন সুখকর করে তুলতে দৃষ্টিহীন ব্যক্তিদের সাথে খাবার ভাগ করে খান। মিথুন রাশি: যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে ছিলেন তাঁরা আজ আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন। মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রেখে প্রতিটি কাজ আত্মবিশ্বাসের সাথে করার চেষ্টা করুন। প্রেমের জীবনে আজ আপনি একটি চমকের সম্মুখীন হবেন। রাত্রিবেলায় আজ আপনি একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সাথে দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোনে কথা বলতে পারেন। সেইসব ব্যক্তিদের থেকে আর দূরে থাকুন যাঁরা শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর তা পূরণ করেন না। জীবনসঙ্গীর সাথে দিনটি দুর্দান্তভাবে অতিবাহিত হবে। প্রতিকার: পারিবারিক জীবনে সুখ এবং শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে ভগবান কৃষ্ণের পুজো করুন। কর্কট রাশি: মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। আবেগপ্রবণ হয়ে আজ কোনও কাজ করবেন না। আর্থিক দিক থেকে আজ আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনি যদি কারোর কাছ থেকে অর্থধার নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেই অর্থ আজ আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। আপনি আজ এমন একটি সেমিনার অথবা প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকতে পারেন যেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ অবশ্যই কিছুটা সময় কাটান। বিবাহিত জীবনে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে নিজেরাই তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। প্রতিকার: প্রেমের জীবন সুখকর করে তুলতে ভালোবাসার মানুষটিকে একজোড়া সাদা হাঁস উপহার দিন। সিংহ রাশি: আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। আজ আপনার অত্যধিক ভ্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রেমের জীবনে আজ আপনি একটি সাহসী পদক্ষে গ্রহণ করবেন। আজ আপনি টিভি বা মোবাইলে একটি সিনেমা দেখতে গিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা ভুলে যেতে পারেন। বন্ধুদের সাথে দিনটি খুব একটা খারাপ কাটবে না। বিবাহিত জীবন সুখের হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে অভাবী শিশু কন্যাদের উদ্দেশ্যে সাদা রঙের মিষ্টি বিতরণ করুন। কন্যা রাশি: আপনার সন্দেহপ্রবণ মানসিকতাকে আজ দূরে সরিয়ে রাখুন। অতীতের একটি বিনিয়োগের মাধ্যমে আজ আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভালোবাসার মানুষটির সাথে আজ আপনার কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও হঠাৎ করে কোনও কাজ এসে যাওয়ায় তা সম্ভব হবে না। প্রিয়জনদের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। আপনার কাছে আজ কিছুটা অবসর সময় থাকবে। সেই সময়টি আপনি একাকী অতিবাহিত করতে পারেন। বিবাহিত জীবন নিঃসন্দেহে সুখের হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে সরষের তেলে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখার পর সেটি দান করে দিন। তুলা রাশি: শরীরের প্রতি আজ অবশ্যই যত্নশীল হন এবং শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে কিছুটা বিশ্রাম গ্রহণ করুন। জমিজমার ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ করলে আপনি লাভবান হবেন। আপনার অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে পরিবারের সদস্যরা রেগে যেতে পারেন। তাই নিজেকে সংযত করার চেষ্টা করুন। কাউকে প্রভাবিত করার জন্য আজ অত্যধিক খরচ করবেন না। আপনি আজ কোথাও সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। বিবাহিত জীবন সুখের হবে। প্ৰতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে ছোলা, বাদাম, ঘি এইসব খাবার খান এবং একটি ধর্মীয় স্থানে হলুদ রঙের কাপড় অর্পণ করুন। বৃশ্চিক রাশি: মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। নাহলে আপনার শরীর প্রভাবিত হবে। যাঁরা বৈদেশিক বাণিজ্যের সাথে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের আজ অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, তাঁরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সচেতনভাবে গ্রহণ করুন। প্রেমের জন্য এই দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। বন্ধুদের সাথে আজকের দিনটি দুর্দান্তভাবে অতিবাহিত হবে। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে আজ আপনি একটি চমকের সম্মুখীন হবেন। প্রতিকার: প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে রূপচর্চার দিকে মনোনিবেশ করুন। ধনু রাশি: আপনার মধ্যে আজ ভরপুর আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। তাই, এই দিনটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান। আপনি আজ সমস্ত কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করে ফেলতে পারবেন। যার ফলে আপনার কাছে কিছুটা অবসর সময় থাকবে। আর্থিক দিক থেকে আজ আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনি আজ খুব সহজেই সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারবেন। প্রেমের জীবনে একটি চমকের সম্মুখীন হবেন। কর্মক্ষেত্র দিনটি দুর্দান্তভাবে অতিবাহিত হবে। বিবাহিত জীবন নিঃসন্দেহে সুখের হবে। প্রতিকার: আর্থিক দিক থেকে উন্নতির লক্ষ্যে গরুকে গুড় খেতে দিন। আরও পড়ুন: Chanakya Niti: এই ৫ টি কথা স্ত্রী-রা কখনও জানতে দেন না স্বামীদের! সবসময় লুকিয়ে রাখেন তাঁদের কাছ থেকে মকর রাশি: শরীরের প্রতি আজ অবশ্যই যত্নশীল হন। পাশাপাশি, শারীরিক দিক থেকে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। ধূমপানের বদভ্যাস পরিত্যাগ করুন। আপনার কাছে আজ কিছু ভালো সুযোগ আসবে। সেগুলিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান। আপনি আজ শরীরচর্চার পরিকল্পনা করলেও কোনও কারণবশত তা সম্ভব হবে না। প্রিয়জনদের সাথে দিনটি খুব একটা খারাপ কাটবে না। আজকের দিনটি আপনার বিবাহিত জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে অবশ্যই একটি তামার কয়েন বা এক টুকরো তামা পকেটে রাখুন। আরও পড়ুন: এই অক্ষরগুলি দিয়ে নাম শুরু হলেই জীবনে মিলবে বড় সাফল্য! দু’হাতে আসবে টাকা, কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? কুম্ভ রাশি: বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পরামর্শ কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরীরের প্রতি আজ অবশ্যই যত্নশীল হন। এই রাশির কিছু অভিভাবক পড়াশোনার পরিবর্তে বাইরের কাজকর্মে অত্যাধিক জড়িত থাকার কারণে তাঁদের সন্তানদের ওপর রেগে যেতে পারেন। প্রেমের জন্য এই দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। আপনি আজ আপনার শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে একটি দুঃসংবাদ পেতে পারেন। যার ফলে আপনার মন খারাপ হয়ে যাবে। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজকে কিছুটা সময় অতিবাহিত করুন। আজকের দিনটি আপনার বিবাহিত জীবনে পরিপ্রেক্ষিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে একটি পবিত্র বা ধর্মীয় স্থানে সাদা এবং কালো রঙের কম্বল অর্পণ করুন। মীন রাশি: আবেগপ্রবণ হয়ে আজ কোনও কাজ করবেন না। মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। আজ আপনার চারপাশে কি কি ঘটছে সেদিকে সতর্ক থাকুন। নাহলে কেউ আপনার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করতে পারে। প্রত্যেকের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। অর্ধাঙ্গিনীর একটি আচরণ আজ আপনার খারাপ লাগতে পারে। আপনার সরল ব্যবহার আজ সবাইকে আকৃষ্ট করবে। প্রতিকার: শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে ভগবান শিবের পঞ্চামৃত অভিষেক ঘটান।
সবাইকে হারিয়ে পেয়েছিলেন জয়ের শিরোপা, কিন্তু বলিউডে ব্রাত্য বাংলার ছেলে, এখন কী করছেন দেবজিৎ?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সঙ্গীত জগতে, বিশেষ করে হিন্দি মঞ্চে বরাবরই দাপট দেখা গিয়েছে বাঙালির। কিশোর কুমার, মান্না দে থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে অভিজিৎ ভট্টাচার্য, শ্রেয়া ঘোষাল, অরিজিৎ সিং বাংলার ঐতিহ্যের ধারা বজায় রেখেছেন। অন্যদিকে গানের রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চেও বিজয়ীদের তালিকায় চোখে পড়ে প্রচুর বাঙালি নাম। এমনি একটি নাম ছিল দেবজিৎ সাহা (Debojit Saha)। অসমের শিলচরের ছেলে দেবজিৎ হিন্দি সারেগামাপার মঞ্চে ঝড় তুলেছিলেন নিজের গায়কী দিয়ে। কিন্তু বলিউড তাঁর যোগ্য দাম দিতে পারল না। রিয়েলিটি শো থেকে উত্থান হয় দেবজিতের (Debojit Saha) ২০০৫ সালে হিন্দি সারেগামাপায় যোগ দিয়েছিলেন দেবজিৎ (Debojit Saha)। সঙ্গীত পরিচালক ইসমাইল দরবারের টিমে ছিলেন তিনি। সমগ্র প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত পারফর্ম করে সকলকে হারিয়ে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন দেবজিৎ (Debojit Saha)। বাঙালি তো বটেই, সব সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছেই জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠেছিলেন তিনি। সঞ্চালনাও করেছেন কিছু শোতে: এরপরেও ‘মিউজিক কা মহা মুকাবলা’, ‘যো জিতা ওহি সুপারস্টার’ এর মতো শোতেও অংশ নিয়েছিলেন দেবজিৎ (Debojit Saha)। পাশাপাশি বাংলা সারেগামাপা, লিটল চ্যাম্পস এর মতো শোতে সঞ্চালনাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু খ্যাতি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি দেবজিতের। আরো পড়ুন : ‘অন্য কোথাও হলে চুলের মুঠি ধরে…’, অনুষ্ঠানে বাংলা গানের বিরোধিতা, মেজাজ হারিয়ে হুঙ্কার ইমনের! কোথায় হারিয়ে গেলেন দেবজিৎ: বেশ কিছু গানের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছিল দেবজিতের (Debojit Saha)। কিন্তু বলিউডে তেমন ভাবে প্লেব্যাক সিঙ্গিং এর সুযোগ পাননি তিনি। এক সময় জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠলেও কাজের অভাবে ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকেন দেবজিৎ (Debojit Saha)। বলিউড যোগ্য সম্মান দিতে পারেনি তাঁকে। আরো পড়ুন : “ভগৎ সিং সন্ত্রাসবাদী”, অপমানজনক মন্তব্য পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব দিল নয়াদিল্লি তবে দেবজিৎ দমে যাননি। ছেড়ে দেননি সঙ্গীতচর্চাও। এখনো প্রচুর স্টেজ শো করেন তিনি। বিভিন্ন নন ফিকশন শোতেও দেখা যায় তাঁকে। বাঙালির মনে আজো জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছেন দেবজিৎ।
১২ বছর পর চূড়ান্ত খারাপ পারফরম্যান্স বিরাটের! অ্যাডিলেড টেস্টে তৈরি হল লজ্জার রেকর্ড
বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ২০২৪-২৫ এর প্রথম টেস্ট ম্যাচটি পার্থে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির ইনিংস দেখা যায় বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাট থেকে। এর মধ্য দিয়ে সেঞ্চুরির দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটান তিনি। কিন্তু অ্যাডিলেড টেস্টে ওই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি তিনি। গোলাপী বলের টেস্টের দুই ইনিংসেই ফ্লপ হয়েছেন কোহলি। জানিয়ে রাখি যে, অ্যাডিলেডের ওভাল মাঠে বিরাট কোহলির পরিসংখ্যান বেশ চিত্তাকর্ষক। কিন্তু এবার অ্যাডিলেডে বিরাটের ব্যাট গর্জে উঠতে পারেনি। অ্যাডিলেড টেস্টে বিরাটের (Virat Kohli) শোচনীয় পারফরম্যান্স: দিবা-রাত্রির এই টেস্ট ম্যাচটি বিরাট কোহলির (Virat Kohli) জন্য দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম ছিল না। দুই ইনিংসেই বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলি মাত্র ৮ বল খেলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ধরা পড়েন তিনি। অপরদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে স্কট বোল্যান্ডের শিকার হন তিনি। এই ইনিংসেও, বিরাট মাত্র ২১ বলে ১১ রান করতে সক্ষম হন। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে, এই ম্যাচের দুই ইনিংসে মাত্র ১৮ রান করেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যা গত ১২ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ম্যাচে বিরাট কোহলির সর্বনিম্ন স্কোর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার মানে গত ১২ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় খেলা প্রতিটি টেস্ট ম্যাচে তিনি ১৮ রানের বেশি রান করেছেন। আরও পড়ুন: মঙ্গল গ্রহের ৮.৮ কিমি নিচেই রয়েছে আসল রহস্য, মিলল “এলিয়েন লাইফ”-এর চিহ্ন! অবাক বিজ্ঞানীরাও তবে, এবার কোহলি পারফরম্যান্স যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে। যার ফলে টেস্ট ফরম্যাটে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) এভারেজও কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী টেস্টে বিরাটের এভারেজ এখন ৪৭.৭২। এই ম্যাচের আগে টেস্টে তাঁর এভারেজ ছিল ৪৮.১৩। আরও পড়ুন: রোহিত শর্মার এই একটি সিদ্ধান্তেই ঘটল বিপদ! রেগে লাল অনুরাগীরা, শুরু তুমুল সমালোচনা হারের চিন্তায় টিম ইন্ডিয়া: অ্যাডিলেড টেস্টে মাত্র ২ দিন পার হয়েছে। এখনই টিম ইন্ডিয়া পুরোপুরি পিছিয়ে গেছে। এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮০ রান করতে পারে। জবাবে, অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৩৭ রান করে এবং ১৫৭ রানের লিড নেয়। যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভারত তুলেছে ১২৮ রান। অর্থাৎ, এখনও ২৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
মঙ্গল গ্রহের ৮.৮ কিমি নিচেই রয়েছে আসল রহস্য, মিলল “এলিয়েন লাইফ”-এর চিহ্ন! অবাক বিজ্ঞানীরাও
বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গল গ্রহে (Mars) প্রাণের সন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রায়শই আমরা বিভিন্ন আপডেট সামনে পাই। মূলত, NASA থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা লাল গ্রহে প্রাণের প্রমাণ খুঁজতে ব্যস্ত রয়েছে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। মঙ্গল গ্রহে (Mars) বিরাট রহস্য: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিজ্ঞানীদের একটি দল এবার গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে মঙ্গল গ্রহের (Mars) একটি নির্দিষ্ট অংশ একটা সময়ে বিশেষ প্রজাতির অনুজীবের অস্তিত্ব ছিল। আন্দ্রেয়া বুটুরিনির নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী গবেষণাটি উপস্থাপন করেছেন। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে বলছে যে মঙ্গলের অ্যাসিডালিয়া প্লানিটিয়া সমভূমিতে একসময় অণুজীবের বিকাশ ঘটে থাকতে পারে। এদিকে, ওই সেগুলি মিথেনোজেন হতে পারে। যেগুলি ওই গ্রহের (Mars) পৃষ্ঠের নীচে বিদ্যমান ছিল। নিউ সায়েন্টিস্টের রিপোর্টে এই তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে। মূলত, এই দলটি মঙ্গলে বিভিন্ন মিশনের অধীনে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে একটি সাব-সারফেস জোন অর্থাৎ পৃষ্ঠের নীচেও একটি বিস্ময়কর জগৎ রয়েছে। এটি ৪.৩ কিলোমিটার থেকে ৮.৮ কিলোমিটার গভীরতায় উপস্থিত বলে জানা গেছে। আরও পড়ুন: রোহিত শর্মার এই একটি সিদ্ধান্তেই ঘটল বিপদ! রেগে লাল অনুরাগীরা, শুরু তুমুল সমালোচনা এই স্তর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সেখানে অনুজীবের কার্যকলাপের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হয়তো ছিল। এই স্তরটি বাহ্যিক পরিবেশের কঠোর অবস্থা থেকে সুরক্ষিত। প্রাচীনকালে বিদ্যমান জল এবং ভূ-তাপীয় তাপের চিহ্নও সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে। এই দু’টি জিনিসই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত। যদিও, মঙ্গলে (Mars) এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন বলে মনে হলেও এই গবেষণাটি আশা জাগিয়েছে। আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা! বাংলাদেশ নয়, এবার এই দেশ থেকে ভারতীয়দের দূরে থাকার নির্দেশ বিদেশ মন্ত্রকের প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই একাধিক অরবিটার এবং রোভার মঙ্গলে (Mars) গেছে। সেগুলির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে অ্যাসিডালিয়া প্লানিটিয়া নামে একটি সমভূমি রয়েছে। যার প্রস্থ ৩ হাজার কিলোমিটার। এই বিষয়ে গবেষণা বলছে, সেখানে মিথেনোজেনের বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ থাকতে পারে। মিথেনোজেন ব্যাকটেরিয়া আসলে মিথেন তৈরি করে। কিন্তু, বিষয়টি গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে, বিজ্ঞানীদের মঙ্গলের পৃষ্ঠের নীচে মাইল খনন করতে হবে। যার জন্য মঙ্গলে খুব উন্নত মিশন পাঠাতে হবে। বর্তমানে এই ধরণের প্রযুক্তি উপলব্ধ নেই।
‘অন্য কোথাও হলে চুলের মুঠি ধরে…’, অনুষ্ঠানে বাংলা গানের বিরোধিতা, মেজাজ হারিয়ে হুঙ্কার ইমনের!
বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেই তাঁর গাওয়া বাংলা গান মনোনীত হয়েছে অস্কারের মঞ্চে। এই প্রথম কোনো বাংলা গান জায়গা পেয়েছে এত বড় আন্তর্জাতিক পুরস্কারের মঞ্চে। আনন্দের আবহ ছিল সর্বত্র। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই গণ্ডগোল। ভরা মঞ্চে মেজাজ হারালেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। রেগেমেগে শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেই বসলেন, ‘চুলের মুঠি ধরে…’! ভরা অনুষ্ঠানে রেগে গেলেন ইমন (Iman Chakraborty) ব্যাপারটা কী? আচমকা ইমনের (Iman Chakraborty) রাগের কারণ কী? আসলে শুক্রবার রাজারহাটে এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে এসেছিলেন গায়িকা। আর ইমন (Iman Chakraborty) মানেই মাটির গান, লোকগান। বাংলা গানে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। অথচ তাঁর অনুষ্ঠানেই কিনা উঠল হিন্দি গান গাওয়ার আবদার! ব্যস, ইমন গেলেন ক্ষেপে! মঞ্চ থেকেই সপাট জবাব: না, এমন নয় যে ইমন (Iman Chakraborty) শুধুই বাংলা গানই গান। এদিনের অনুষ্ঠানেও বাংলার পাশাপাশি হিন্দি গানও গেয়েছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই শ্রোতাদের মাঝে একজন বলে উঠেন, ‘বাংলা গান শুনব না, হিন্দি গান করুন’। এতেই রেগে যান ইমন। মঞ্চ থেকেই সপাটে জবাব দেন তিনি। ইমনকে (Iman Chakraborty) বলতে শোনা যায়, ‘তুমি বাংলায় থেকে যদি এই কথাটা বলো, সাহসের সঙ্গে, জোরের সঙ্গে হাত দেখিয়ে বলো, আমি বাংলা গান শুনব না। অন্য কোনো জায়গা হলে না, চুলের মুঠি ধরে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দিত!’ আরো পড়ুন : “ধূর্ত” চিনের ফাঁদে পা দিয়ে ঘটল সর্বনাশ! সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে ভারতের আরও এক পড়শি দেশ ইমনের প্রশংসা নেটিজেনদের: ইমনের (Iman Chakraborty) মুখে একথা শুনেই হইহই রব ওঠে শ্রোতাদের মাঝে। গায়িকা এরপর ফের বলেন, ‘একদম কোরো না। এই রাজ্যটার নাম বাংলা। সব শোনো, মরাঠি, গুজরাতি, পঞ্জাবি গান শোনো, ইংরেজি গান শোনো। তুমি কে হে! তোমার সাহস এত বড়, বলছো বাংলা গান শুনব না! ওর যদি সাহস থাকে তাহলে ওকে স্টেজে পাঠাও, দেখি ওর কত সাহস আছে। এসব কোরো না, এই ভণ্ডামি গুলো কোরো না। বাংলায় থাকছো, বাংলায় চাকরি করছ, পয়সা রোজগার করছ বাংলায় থেকে। আবার বাংলা গান শুনব না বলছো!’ আরো পড়ুন : ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি! বাংলাদেশে ফের হামলা ইসকনের মন্দিরে, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের বিগ্রহ ইমনের (Iman Chakraborty) মন্তব্যের ভিডিও হু হু করে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা অনেকেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গায়িকার সপাটে জবাব দেওয়ার সাহসের প্রশংসা করেছেন প্রায় সকলেই। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও অনুষ্ঠানে বাংলা গানের বিরোধিতা করায় মঞ্চ থেকেই ইমন বলে উঠেছিলেন, ‘বাংলা গান পছন্দ না হলে পাতলি গলি সে নিকাল’! View this post on Instagram A post shared by Bimaru Kumari बीमारू कुमारी বিমারু কুমারী (@bimarukumari420)
“ধূর্ত”চিনের ফাঁদে পা দিয়ে ঘটল সর্বনাশ! সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে ভারতের আরও এক পড়শি দেশ
বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের পর এবার নেপালকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে কবজায় নিল চিন (China)। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই চিন সফরে গিয়ে শি জিনপিংয়ের প্রস্তাবিত বিতর্কিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে চুক্তি সাক্ষর করেছেন কেপি শর্মা ওলি। প্রতিবেশী আরো এক দেশকে এভাবে চিনের (China) ফাঁদে পা দিতে দেখে কার্যত চিন্তা বেড়েছে ভারতের। চিনের (China) প্রকল্পের ফাঁদে নেপাল কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির উপরে ক্রমে প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন (China)। ভারত প্রথম থেকেই চিনের এই পরিকাঠামো উন্নয়নকারী প্রকল্পের আড়ালে থাকা ঋণের ফাঁদের তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে। কিন্তু এবার নেপাল পা দিল এই ফাঁদে। দীর্ঘ আলোচনার পর চুক্তি সাক্ষর হল দুই দেশের মধ্যে। দীর্ঘ সাত বছর পর সাক্ষর চুক্তি: ২০১৭ সালে প্রথম চিনের (China) সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে চুক্তি হয়েছিল নেপালের। মাঝে এত বছর নানান আলোচনা হয়। সম্প্রতি কেপি শর্মা ওলি তৃতীয় বারের জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই চিন (China) সফরে যান। সেখানেই জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠকের পর সাক্ষরিত হয় চুক্তি। এক্ষেত্রেও এতদিনের প্রথা বদল করেছেন ওলি। এত বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পরে প্রথমে ভারত সফরেই আসতেন তিনি। এবার সেই জায়গা নিল চিন (China)। তার উপর এই চুক্তি সাক্ষর একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। আরো পড়ুন : “ভগৎ সিং সন্ত্রাসবাদী”, অপমানজনক মন্তব্য পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব দিল নয়াদিল্লি ঋণের ফাঁদ পাতা প্রকল্পের আড়ালে: উল্লেখ্য, পাকিস্তান আগেই যোগ দিয়েছে চিনের (China) বিতর্কিত বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে। এই প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাও চিনের (China) ফাঁদে পড়ে গলা অবধি ঋণের বোঝায় ডুবে রয়েছে। আরো পড়ুন : বড় খবর! প্রধানমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দিয়ে বার্তা এল পুলিশের কাছে, রয়েছে ISI যোগ, তোলপাড় দেশ শুধু নেপাল আর পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে চিন। বাংলাদেশে চিনা আধিকারিকদের আনাগোনা বেড়েছে। ইউনূসের দেশেও এই প্রকল্পের ফাঁদ পাতার চেষ্টায় রয়েছে জিনপিং সরকার। এমতাবস্থায় প্রতিবেশী দেশগুলির দিকেও কড়া নজর রাখছে ভারত।
একেই বলে মনোবল! ১০২ বছর বয়সে ৭ টি মহাদেশ ঘুরলেন বৃদ্ধা, ভাইরাল ভিডিও দেখে কুর্নিশ নেটিজেনদের
বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমরা জীবনে কিছু করতে গেলে শুধু দোহাই দিয়েই চলে যাই। কিন্তু মনের ইচ্ছে ও জেদ থাকলে মাউন্ট এভারেস্টও জয় করা যায় । আর সেই কাজই করে দেখালেন ১০২ বছরের এক বৃদ্ধা। বৃদ্ধার ইচ্ছের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হল বয়সও। ১০২ বছর বয়সে তিনি ঘুরে আসলেন সাত সাতটি মহাদেশ। আমরা যেখানে সাধারণ পাড়ার মোড়ের দোকানে যেতে গেলে আলসেমি দেখাই সেখানে তিনি শুধু দেশ নয় মহাদেশ ঘুরে এলেন। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এমনই ভিডিও ভাইরাল (Viral) হয়েছে। ১০২ বছর বয়সী বৃদ্ধার ভাইরাল (Viral) ভিডিও আসলে ভ্রমনপিপাসুদের কাছে কোন কিছুই দুষ্কর বলে মনে হয় না। এই ১০২ বছর বয়সের বৃদ্ধাও ছিলেন ভ্রমণপিপাসু। তাইতো, তিনি কাঁধে ঝোলা নিয়ে ছুটলেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁর এই ভ্রমণের সাক্ষী থাকলেন দুজন ইউটিউবার। বলা যায় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছা পূরণ করেছেন এই দুই ইউটিউবারই। দুই ইউটিউবারের সাথে সাক্ষাৎ বৃদ্ধার: ভাইরাল (Viral) ভিডিও থেকে জানা যায়, আম্মার কান্ডিল ও স্টাফান টেলর নামের এই দুজনের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। ওই চ্যানেলের নাম “ইয়েস থিওরি”। তারা ইউটিউবে ভিডিওর জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার রেড উডস রিটায়ারমেন্ট ভিলেজে যান। সেই গ্রামে ভিডিও বানাতে গিয়ে আলাপ হয় ডরথি স্মিথের সঙ্গে। এই ডরথি স্মিথ হচ্ছেন ১০২ বছর বয়সী বৃদ্ধা। ডরথি স্মিথের মনের ইচ্ছে: ডরথি স্মিথের সঙ্গে দুই ইউটিউবার কথা বলতে বলতে জানতে পারেন তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। এমনকি কথায় কথায় জানা যায়, তিনি নাকি ছটি মহাদেশ ঘুরে ফেলেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত একটি মহাদেশ তাঁর ঘোরা বাকি। তাই শেষ বয়সে ডরথির এখনো শেষ ইচ্ছে ওই একটি মহাদেশ ঘুরে আসার। আম্মার কান্ডিল ও স্টাফান টেলর বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছের কথা জানতে পেরে ঠিক করেন তারাই এই ইচ্ছে পূরণ করবেন। তাই যেমন ভাবা তেমন কাজ। বৃদ্ধার জন্য অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের প্ল্যানিং করতে থাকেন। সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিও দেখা গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভ্রমণ বৃদ্ধার: তবে প্রথম দিকে ডরথি বিশ্বাস করতে পারেননি যে সত্যিই তিনি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে যাচ্ছেন। এমনকি ওই দুই ইউটিউবার প্রস্তাব দেওয়ার পরও তিনি ভেবেছিলেন তারা হয়তো মশকরা করছে। কিন্তু যখন অস্ট্রেলিয়ার টিকিট হাতে পান তখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা। সমাজ মাধ্যমে প্রকাশিত ভাইরাল (Viral) ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শতায়ু পার করা ওই বৃদ্ধার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে, থাকার সমস্ত বন্দোবস্ত তারা দুজন নিজের হাতে করে দিয়েছেন। এরপর গত সপ্তাহে ডরথি তার মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শহর সিডনিতে। সেখানকার বিভিন্ন কোণা তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন। সেই সাথে নিজের শেষ ইচ্ছেটাও পূরণ করেন। আরও পড়ুনঃ এবার কারেন্ট একদম Free! ঘরে ঘরে মিলবে এই বিশেষ সুবিধা! কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন প্রকল্পে? এক সাক্ষাৎকারে বৃদ্ধা বলেন, “ভ্রমণ আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এত বড় একটা পৃথিবী, তার সমস্ত কোণা আলাদা। আমি সব ঘুরে দেখতে চেয়েছিলাম। কিচ্ছু মিস করতে চাইনি। তাই এই শেষ ইচ্ছেটাও ছিল।” এমনকি বৃদ্ধার দৃঢ় মনের বল দেখে বিমানের পাইলট থেকে কর্মচারীরা সকলেই প্রশংসা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে তিনি ঘুরেছেন সিডনি (Sydney) ওয়াইল্ড লাইফ জু, সিডনি অপেরা হাউস-সহ একাধিক বিখ্যাত জায়গায়। সমাজ মাধ্যমে বৃদ্ধার মুখের উজ্জ্বল হাসি সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। আরও পড়ুনঃ “ভগৎ সিং সন্ত্রাসবাদী”, অপমানজনক মন্তব্য পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব দিল নয়াদিল্লি আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই গোটা বিষয়টির সাক্ষী ছিলেন ওই দুজন ইউটিউবার। তারা নিজ দায়িত্ব নিয়ে যেমন ভ্রমণ করিয়েছেন সেই সাথে ডরথির সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্ত তারা ভাগ করে নিয়েছেন তাদেরই ইউটিউব চ্যানেলে। আর সেই ভিডিও থেকে জানা গিয়েছে সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য। অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) সফর নিয়ে বৃদ্ধা বলেন, “এখানকার খাবার দাবার ভীষণ ভাল, মানুষজনও খুবই চার্মিং। আশপাশের পরিবেশ দেখার মত আর আবহাওয়া খুবই মনোরম।”
ফুরিয়ে আসছে পৃথিবীর আয়ু! বাঁচবে না একটিও প্রাণী! কবে হবে ধ্বংস? বিস্ফোরক তথ্য বিজ্ঞানীদের
বাংলাহান্ট ডেস্ক : যেকোনো শুরুর রয়েছে শেষ। পৃথিবীর (World) ক্ষেত্রেও ঘটবে তেমনটা। এমন একটা দিন আসবে যখন পৃথিবী থেকে শেষ হয়ে যাবে প্রতিটি প্রাণী ও উদ্ভিদ। বিজ্ঞানীরা এমনই চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন সম্প্রতি। বিজ্ঞানীদের দাবি, আগামী কয়েক লক্ষ বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রাণীকূল। বিদায় ঘন্টা বেজে গেল পৃথিবীর (World) এই পৃথিবীতে (World) থাকবে না একটিও প্রাণ। সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হবে আমাদের নীল গ্রহ। বিজ্ঞানীরা একটি তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, সেদিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন এই পৃথিবীর আকাশ-বাতাস থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে প্রতিটি প্রাণী। ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কম্পিউটার সিমুলেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা চালান। সেই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা (Scientist) জানিয়েছেন, ২৫০ মিলিয়ন বছর পর ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী। গবেষক দলের কথায়, যে হারে পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে তাতে পৃথিবীর ধ্বংসের দিন আসন্ন। ৬৬ মিলিয়ন বছর আগেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। যার ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ডাইনোসর। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, কয়েক লক্ষ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আরোও পড়ুন : ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা! বাংলাদেশ নয়, এবার এই দেশ থেকে ভারতীয়দের দূরে থাকার নির্দেশ বিদেশ মন্ত্রকের সেই সময় ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এই পরিবেশে প্রাণী বা উদ্ভিদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। অত্যধিক তাপের কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। গবেষক দলের প্রধান আলেকজান্ডার ফার্নসওয়ার্থ জানিয়েছেন, পৃথিবীর বাতাসে এখনকার থেকে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ছিল ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে। এই পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইডে শরীর উত্তপ্ত হয়ে বিনাশ ঘটে প্রাণের। বিজ্ঞানীরা জানান, ধীরে ধীরে পৃথিবী প্রথমে উত্তপ্ত হবে। তারপর শুকিয়ে যাবে জল। শেষমেষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে আমাদের নীল গ্রহ। তাপ সহ্য করতে না পারলে আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত ঘটে। পৃথিবীর অধিকাংশ অংশই আবৃত আগ্নেয়গিরি দ্বারা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে অগ্নুৎপাত ঘটবে এবং অসহনীয় হয়ে উঠবে পৃথিবীর পরিস্থিতি।
ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা! বাংলাদেশ নয়, এবার এই দেশ থেকে ভারতীয়দের দূরে থাকার নির্দেশ বিদেশ মন্ত্রকের
বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে সিরিয়ায় উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জেরে সতর্ক হয়েছে ভারত সরকার। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রক একটি অ্যাডভাইজারি জারি করেছে। যেখানে সিরিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের (Indian) সতর্ক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সিরিয়ায় বিদ্রোহী দলগুলির দেশটির রাজধানী দামেস্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবর মিলেছে। যার কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায়, ভারত সরকার ভারতীয় নাগরিকদের সিরিয়ায় সফরে এড়িয়ে চলতে এবং কিছু সময়ের জন্য এই ধরণের পরিকল্পনা না করার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছে। ভারত সরকার শুক্রবার গভীর রাতে ওই অ্যাডভাইজারি জারি করে এবং ভারতীয় নাগরিকদের “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব” সিরিয়া ছেড়ে যেতে বলেছে। ভারতীয় নাগরিকদের (Indian) উদ্দেশ্যে জারি অ্যাডভাইজারি: কি জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক: মূলত, বিদেশ মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সিরিয়ার বিরাজমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় নাগরিকদের (Indian) পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায় সফর এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সিরিয়ায় থাকা ভারতীয়দের জরুরি হেল্পলাইন নম্বর +963 993385973 ( হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও) এবং আপডেটের জন্য ইমেল আইডি hoc.damascus@mea.gov.in-এর মাধ্যমে দামেস্কে ভারতীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।” বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, তাঁর সিরিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি জানান “সিরিয়ার উত্তরে যুদ্ধের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি আমরা লক্ষ্য করেছি। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সিরিয়ায় প্রায় ৯০ জন ভারতীয় নাগরিক (Indian) রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছেন।” তিনি বলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার রয়েছে। আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের হাত ধরেই ইতিহাস গড়ার পথে রেল! আসতে চলেছে বিরাট চমক, জানলে হবেন অবাক জানিয়ে রাখি যে, গত দুই সপ্তাহ ধরে সিরিয়ায় আবারও পুরনো সংঘাত শুরু হয়েছে। ২০১১ সালেও একই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান এবং গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অনুরূপ সংঘাত ২০১১ সালে হয়। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছিল। আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম! ৫,০০,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করল এই দেশ, অবাক গোটা বিশ্ব এবার, বিদ্রোহীরা আলেপ্পো শহরের বেশিরভাগ অংশ সহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিশাল অংশ দখল করেছে। এই পরিস্থিতি ২০১১ সালে শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ একটি গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল। যা দেশটিকে ধ্বংস করেছে এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব শক্তি এক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে। সিরিয়ার পুরো লড়াই আসলে কন্ট্রোলের জন্য। যার আগুন আরও একবার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুখবর! ক্লাস ৮ পাশেই মিলবে গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি! নিয়োগ হবে শিগগিরই, কিভাবে অ্যাপ্লাই করবেন?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার (West Bengal) চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় সুখবর। গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) একাধিক পদে নিয়োগ (Recruitment) হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। যারা আবেদন জানাতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আজকের প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন। আজকের প্রতিবেদনে শূন্য পদ, আবেদনের যোগ্যতা, বয়স সীমা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হল বিশদে। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) চাকরি কোথায় নিয়োগ হবে : রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat) আরোও পড়ুন : এবার কারেন্ট একদম Free! ঘরে ঘরে মিলবে এই বিশেষ সুবিধা! কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন প্রকল্পে? শূন্য পদের নাম : গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহকারী,গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব, পঞ্চায়েত সমিতির অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক, পঞ্চায়েত সমিতির ব্লক ইনফরমেটিক্স অফিসার, পঞ্চায়েত সমিতির ক্লার্ক-কাম-টাইপিস্ট, পঞ্চায়েত সমিতির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, পঞ্চায়েত সমিতির পিয়ন, জেলা পরিষদের অতিরিক্ত হিসাবরক্ষক, জেলা পরিষদের সহকারী ক্যাশিয়ার, জেলা পরিষদের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, জেলা পরিষদের জেলা তথ্য বিশ্লেষক (ডিআইএ), জেলা পরিষদের গ্রুপ-ডি, জেলা পরিষদের নিম্ন বিভাগের সহকারী, জেলা পরিষদের স্টেনোগ্রাফার, জেলা পরিষদের সিস্টেম ম্যানেজার, জেলা পরিষদের কর্ম সহকারী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : পদ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা ভিন্ন। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিশদে জানার জন্য অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি পড়ুন। বয়সসীমা : ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রার্থীরা আবেদন জানাতে পারবেন ভিন্ন ভিন্ন পদে। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা। আবেদন পদ্ধতি : ইচ্ছুক প্রার্থীদের আবেদন (Application) জানাতে হবে নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে। রেজিস্ট্রেশন করে পূরণ করতে হবে আবেদনপত্র। তারসাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস : মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় ডকুমেন্টস, জাতিগত সংশাপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদি।
২০ লাখ জরিমানা! এবার কড়া শাস্তির মুখে ‘এই’ডাক্তাররা! বড় সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে একাধিকবার চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এবার যেমন ৩১ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। সোজা ২০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। কার্যত নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ৩১ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের (West Bengal Health Department)! একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের (Senior Resident Doctors) বদলির আদেশ বেরোলেও তাঁরা সেটা মানতে চাননি। এর পরিবর্তে তাঁরা ওই মেডিক্যাল কলেজেই ডিউটি করতে থাকেন। সেই কারণে এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আরও ২৫ জন ডাক্তার রয়েছেন। রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের যে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) থেকে এমএস এমডির মতো ডাক্তারির স্নাতকোত্তর পড়তে গেলে পড়ুয়াদের একটি বন্ডে একটি স্বাক্ষর করতে হয়। এর শর্ত অনুযায়ী, পাশ করার পর ৩ বছর সরকারি পরিষেবার মধ্যে যুক্ত থাকতে হয় তাঁদের। এর মধ্যে প্রথম বছর সংশ্লিষ্ট ডাক্তারি পড়ুয়া যেখান থেকে স্নাতকোত্তর পড়ছেন সেখানে পরিষেবা দেবেন। পরের ২ বছর তাঁকে অন্য জায়গায় বদলি করা হবে। আরও পড়ুনঃ নিয়োগের ৬ মাসের মধ্যে…! সরকারি চাকরি নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট ওই চিকিৎসককে স্টেট জেনারেল, জেলা, সুপার স্পেশ্যালিটি, মহকুমা হাসপাতাল যে কোনও জায়গায় বদলি (Transfer) করা হতে পারে। এবার কেউ যদি এই নিয়ম না মানেন সেক্ষেত্রে তাঁকে জরিমানা করা হতে পারে। ওই ৩১ সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। জানা যাচ্ছে, একটানা ৩ বছর ওই ডাক্তাররা নির্দেশ পালন করেননি। সেই কারণেই এবার কড় পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে ডাক্তারদের একাংশের আবার দাবি, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তরফ থেকে রিলিজ না দেওয়ার কারণেই তাঁরা নতুন জায়গায় যোগ দিতে পারেননি। এদিকে একই মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের দীর্ঘদিন থাকা নিয়ে বহু সময় ধরেই চর্চা চলছে। এবার এই ৩১ ডাক্তারের বিরুদ্ধে বদলির আদেশ অমান্য করার অভিযোগ ওঠার পর ফের একবার এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) কড়া পদক্ষেপ কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছে।
এবার কারেন্ট একদম Free! ঘরে ঘরে মিলবে এই বিশেষ সুবিধা! কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন প্রকল্পে?
বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারের তরফে এবার বড় উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) এই প্রকল্পে উপকৃত হতে চলেছেন দেশের প্রচুর সংখ্যক সাধারণ মানুষ। আপনিও চাইলে আবেদন জানাতে পারেন সরকারের এই প্রকল্পে। আবেদন গৃহীত হলে পেয়ে যাবেন বিদ্যুতের সাবসিডি। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) অভিনব প্ল্যান প্রত্যেক ভারতীয়দের জন্য এবার দারুন খুশির খবর আনল মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর ফ্রি স্কিমের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) প্রতিটি ঘরে কার্বন মুক্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ২৭ মিলিয়ন বাড়িতে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্প সংক্রান্ত অনুমতি সম্প্রতি পাশ হয়েছে সংসদে। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ১.৪৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রায় ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ঘরে পৌঁছে যাবে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity)। এই পরিষেবা বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৭৫,০২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আরোও পড়ুন : “ভগৎ সিং সন্ত্রাসবাদী”, অপমানজনক মন্তব্য পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব দিল নয়াদিল্লি সূত্রের খবর, সবথেকে বেশি সৌর প্ল্যানেল (Solar Panel) বসানো হবে গুজরাটে। মোদির রাজ্যে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৪৫ জনের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুৎ পরিষেবা। ৫৩ হাজার ৪২৩ টি সৌর প্যানেল বসানো হবে উত্তর প্রদেশে। আবেদন জানাবেন কীভাবে সেই বিষয়ে আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল। নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে নথিভুক্ত করতে হবে নাম। রেজিস্ট্রেশন করে কনজিউমার নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি ইনপুট করতে হবে। তারপর আবেদনপত্র পূরণ করে আপলোড করতে হবে ব্যাংক পাশবুক ও ক্যানসেল চেকের ছবি। যদি আপনার আবেদন গ্রাহ্য হয় তাহলে ৩০ দিনের সাবসিডি ঢুকবে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
“ভগৎ সিং সন্ত্রাসবাদী”, অপমানজনক মন্তব্য পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব দিল নয়াদিল্লি
বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারত মায়ের যতজন বীর বিপ্লবী সন্তান রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের মাঝে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে ভগৎ সিং এর নাম। ব্রিটিশ সুপারিনটেনডেন্ট মিস্টার স্যান্ডার্সকে হত্যার অপরাধে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ফাঁসি হয় তাঁর। সেই বীর শহিদ ভগৎ সিং কেই এবার ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সে দেশের হাইকোর্টে এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভগৎ সিং কে নিয়ে করা এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ভগৎ সিংকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা পাকিস্তানের (Pakistan) ভগৎ সিং এর জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের লায়ালপুরে, বর্তমানে যা পাকিস্তানের (Pakistan) ফয়সালাবাদ। তাঁর ফাঁসি হয় লাহোরে। সে সময় অবিভক্ত ভারত পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য লড়ে শহিদ হয়েছিলেন ভগৎ সিং। আর আজ তাঁকেই কিনা ‘সন্ত্রাসবাদী’র তকমা দিল পাক (Pakistan) প্রশাসন! যেমনটা জানা গিয়েছে, লাহোর হাইকোর্টে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমন অপমানজনক মন্তব্য করা হয় বীর শহিদকে নিয়ে। লাহোর হাইকোর্টের মামলায় বিতর্ক: একটি এলাকার নাম বদল এবং শহিদ ভগৎ সিং এর মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল লাহোর হাইকোর্টে। ওই মামলায় গড়া হয়েছিল একটি এক সদস্যের কমিটি, যেখানে পাকিস্তানের (Pakistan) এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক তারিক মাজিদকে করা হয়েছিল কমিটির সদস্য। ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক নিজের রিপোর্টে দাবি করেন, ভগৎ সিং নাকি স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন না। আরো পড়ুন : বড় খবর! প্রধানমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দিয়ে বার্তা এল পুলিশের কাছে, রয়েছে ISI যোগ, তোলপাড় দেশ কী জবাব দিল ভারত: এরপর ওই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সরকার পক্ষের সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল হাইকোর্টকে জানান, ভগৎ সিং এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ ছিল। লাহোর হাইকোর্টের এই ঘটনার প্রসঙ্গ ওঠে সংসদে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অবগত আছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। আরো পড়ুন : ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি! বাংলাদেশে ফের হামলা ইসকনের মন্দিরে, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের বিগ্রহ উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, পাকিস্তানে (Pakistan) ভগৎ সিং কে নিয়ে যে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংষ্কৃতির উপরে যে নির্যাতন চলছে তার বিরুদ্ধেও জানানো হয়েছে প্রতিবাদ।
বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাড়ি তৈরির জন্য বিনামূল্যে জমি দেবে প্রশাসন। নাগরিকদের চিন্তা করতে হয় না খাবার নিয়েও। এমনকি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মেলে শিক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবাও। ভারতের খুব কাছের দেশটির নাগরিকরা এই সমস্ত সুবিধা পেতে পারেন শুধু একটি শর্ত মানলেই। এই দেশে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। দেশের রাজা নাগরিকদের বিনামূল্যে জমি দেন বাড়ি তৈরি করার জন্য। প্রশাসনের এহেন পরিষেবায় অত্যন্ত সুখের সাথে দিন কাটাচ্ছেন এই দেশের নাগরিকরা। আজ আমরা কথা বলছি ভুটানকে (Bhutan) নিয়ে। সাধারণ মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য জাতীয় খুশি সমিতি গঠন করা হয় ২০০৮ সালে। ভুটানে (Bhutan) কতকিছু ফ্রি’তেই হয় যদি কোনো নাগরিকের বাড়ি না থাকে তাহলে দেশের রাজা তাকে বাড়ি তৈরি করে দেন বিনামূল্যে (Free of Cost)। বিনামূল্যে জমিও দেওয়া হয় চাষ করার জন্য। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হয় বিনামূল্যে। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করতে খরচ করতে হয় না একটা টাকাও। এমনকি ফি লাগে না কলেজেও। আরোও পড়ুন : জেল থেকে বেরোতেই নয়া অভিযোগ! ফের বিপাকে নিয়োগ দুর্নীতির জীবনকৃষ্ণ? জোর শোরগোল কখনো কখনো বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য সরকারের তরফে দেওয়া হয় অর্থ সাহায্য। ভুটানের (Bhutan) গ্রামীণ অঞ্চলে কিছু নির্দিষ্ট সীমানা পর্যন্ত বসবাসকারীদের দিতে হয় না বিদ্যুতের বিল। জলবিদ্যুৎ রফতানি করে বিপুল পরিমাণ আয় করে ভুটান। এছাড়াও সিমেন্ট, ইস্পাত, কাঠ, কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন এবং রফতানি করেও মোটা টাকা আয় হয় ভুটান সরকারের। এত সুন্দর দেশটিতে বসবাসকারীদের শুধু মেনে চলতে হয় একটি শর্ত। ভুটানের নাগরিকরা কোনো বিদেশিকে বিয়ে করতে পারবেন না। সব ধরনের নিয়ম-নীতি মেনে বিবাহ করেই একজন পুরুষ ও নারী একই পরিবারের সদস্য হতে পারেন।
বড় খবর! প্রধানমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দিয়ে বার্তা এল পুলিশের কাছে, রয়েছে ISI যোগ, তোলপাড় দেশ
বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) খুনের হুমকি দিয়ে বার্তা এল মুম্বই পুলিশের কাছে। শনিবার সকালেই মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ওই বার্তা পাঠানো হয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, যে নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তাটি এসেছিল সেটি রাজস্থানের আজমেঢ় থেকে এসেছে। তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশের একটি দল রওয়ানা হয়েছে আজমেঢ়ে। প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) খুনের হুমকি দিয়ে বার্তা সংবাদ সংস্থার থেকে জানা গিয়েছে, মুম্বই এর ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে পাঠানো হয়েছিল বার্তাটি। হুমকি বার্তায় নাকি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোদীর (Narendra Modi) প্রাণনাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের তরফে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, যে ব্যক্তি এই বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ: হুমকি বার্তা পাওয়ার পরেই মুম্বই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি মত্ত অবস্থাতেও এই মেসেজ পাঠিয়ে থাকতে পারেন। এমন ঘটনা অবশ্য প্রথম নয়। গত মাসেও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (Narendra Modi) প্রাণনাশের হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে ফোন গিয়েছিল মুম্বই পুলিশের কাছে। আরো পড়ুন : ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি! বাংলাদেশে ফের হামলা ইসকনের মন্দিরে, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের বিগ্রহ আগেও এসেছে এমন বার্তা: ওই ঘটনায় বছর ৩৪ এর এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তারপরে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল যে তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ নন। আবার অক্টোবর মাসেও পুণে পুলিশের কাছে একটি ফোন গিয়েছিল। ফোনে এক ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) খুন করার জন্য একটি ফ্ল্যাটে বসে পরিকল্পনা করছে দুষ্কৃতীরা। যদিও তদন্তে নেমে জানা যায় সেটি ছিল ভুয়ো ফোন। ওই ঘটনায় ৩৮ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আরো পড়ুন : বছর ভরের বিনোদন এবার হাতের মুঠোয়, OTT-তে আসছে এই ৫ বলিউড ছবি, ভুলেও মিস করবেন না শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নন। আরো একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বলিউড তারকাদের খুনের হুমকি দিয়েও ফোন আসে মুম্বই পুলিশের কাছে। কিছুদিন আগেই সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়ে মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে এসেছিল বার্তা।
জেল থেকে বেরোতেই নয়া অভিযোগ! ফের বিপাকে নিয়োগ দুর্নীতির জীবনকৃষ্ণ? জোর শোরগোল
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। এক বছরেরও অধিক সময় জেলবন্দি থাকার পর গত মে মাসে জামিন পান তিনি। এবার সেই বিধায়কের বিরুদ্ধেই ফের নয়া অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই জল গড়িয়েছে থানা অবধি। জীবনকৃষ্ণর (Jiban Krishna Saha) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গত বছর এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। চলতি বছর মে মাসে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কয়েক মাস যেতে না যেতেই ফের নতুন অভিযোগ উঠল জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। বালির ঘাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বড়ঞা থানার বেলগ্রাম নিবাসী মহম্মদ সালাউদ্দিন শেখ জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, ২০২২ সালে বালির ঘাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে ১ লক্ষ ২০,০০০ টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক। পরবর্তীতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। জেলবন্দি থাকায় নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। এখন জামিন পেয়ে জীবনকৃষ্ণ বাড়ি ফিরলেও তাঁর টাকা তাঁকে ফেরত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ সালাউদ্দিনের। আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বরই…! আরজি কর কর্তৃপক্ষকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট শনিবার এই নিয়ে বড়ঞা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জীবনকৃষ্ণর থেকে নিজের টাকা ফিরে পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রতিবন্ধী যুবক। এদিকে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাজনৈতিক চক্রান্ত এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেন তিনি। জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কথায়, ‘শুনছি ২০২২ সালের ঘটনা। তবে এমন কিছুই হয়নি। আমি বরাবর অবৈধ বালি ঘাটের বিরুদ্ধে। কারণ এই অবৈধ বালি ঘাটের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকটি জেলার অফিসারদের দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এই রকম অর্থনৈতিক লেনদেনের পক্ষে নই। এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত’।
অবশেষে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ হল কলকাতা হাইকোর্টে!
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের প্রেমিকাকে ধর্ষণ (Rape Allegation), তার ভিডিয়ো করে রাখা এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ব্ল্যাকমেল করে বারংবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করা। ছ’বছর আগে এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। যার জেরে জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। হাতছাড়া হয়েছে চাকরির সুযোগ। সামাজিক সম্মান তো গেছেই, মানসিকভাবেও তৈরী হয়েছে গভীর ক্ষত। হাইকোর্টে চলছিল মামলা। সব শেষে অভিযুক্তকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, যাবতীয় চার্জশিট খারিজ করেছেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের ঘটনা। উলুবেড়িয়ার বছর পচিঁশের এক যুবতী ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, এক বিয়েবাড়িতে অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় হয়। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। একবার দুজনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময় জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন যুবক। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে রাখা হয়। এরপর সেই ভিভিও, ছবি নিয়ে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে একাধিকবার তাকে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করেন ওই যুবক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পুলিশে অভিযোগ করেন ওই যুবতী। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। দেড় মাস মতো জেল খাটতে হয় তাকে। যদিও পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি। এরপর ওই অভিযোগ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন যুবক। তার অভিযোগ, মিথ্যে মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। যুবকের মা পেশায় শিক্ষিকা, দাদা পেশায় চিকিৎসক, তাদেরকেও আগাম জামিন নিতে হয় এই মামলার জেরেই। হাইকোর্টে মামলা উঠলে রাজ্যের আইনজীবী পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানেও বলা হয়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জনেরই সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। এবং তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া অভিযোগকারীর আচরণ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আদালত সূত্রে খবর, অভিযোগপত্রে যুবতী জানিয়েছিলেন ২০১৯–এ যুবকের সঙ্গে তার পরিচয়ের কথা। এদিকে গোপন জবানবন্দিতে কথা পাল্টে তিনি জানান ২০১৭ সালে তাদের আলাপ। যুবতী আবার কখনও বলেছেন তিনি বাধ্য হয়ে পিল খেতেন, আবার ভিডিয়ো প্রকাশের ভয়ে তিনি সম্পর্ক রাখতে বাধ্য হতেন বলেও দাবি করেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিনি আরও জানান, সম্পর্কে যাওয়ার পর তার মনে হয়েছিল, যুবক শারীরিক সম্পর্ক রাখতে বেশি আগ্রহী। বিয়ে করার আগ্রহ তেমন নেই। একাধিকবার ঘুরতে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি। পুলিশের তদন্তে যা উঠে আসে তা হল, তরুণী নিজে বুঝেছিলেন যুবক বিয়েতে আগ্রহী না হয়েও শারীরিক সম্পর্ক রাখতে চান। তবে এই নিয়ে তার অপর বলপ্রয়োগ হয়নি। বরং নিজের ইচ্ছাতেই তিনিও সেই সম্পর্ক রাখতেন। পাশাপাশি আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, ধর্ষণের অভিযোগ আনার একমাস আগেই ওই যুবক যুবতীর বাবাকে একটি চিঠি যুবতীর উদ্ভট আচরণের পাশাপাশি তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আরও পড়ুন: শরীরে শান্তি নেই! ‘সপ্তাহে ২-১ দিন যদি…’! নওশাদের দাবি শুনে ‘হতভম্ব’ কারামন্ত্রী আদালতের পর্যবেক্ষণ, দু’জনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে খতিয়ে দেখে যুবতীকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন নি যুবক। এটা জলের মতো স্পষ্ট। তাদের গভীর প্রেমের প্রমাণ মিলেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই। অভিযুক্তর মোবাইল পরীক্ষা করেও কোনো কুরুচিকর ভিডিয়ো পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ। আরও পড়ুন: ‘এবার আদালতকে পদক্ষেপ নিতে হবে..,’ কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতির, কোন মামলায়? এদিকে যুবককে হাইকোর্ট নির্দোষ বললেও এতদিনে চরম ক্ষতি হয়ে গিয়েছে যুবকের জীবনে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একটি চাকরির প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ওই যুবক। তবে এতদিনে চাকরির ফাইনাল পরীক্ষায় বসার জন্য প্রয়োজনীয় বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছে তার। এদিকে আরও দু’টি জায়গায় নিজের যোগত্যায় চাকরি পেলেও ধর্ষণের অভিযোগে জেল খাটায় সেসবেরও সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। দোষ মুছলেও ভয়ানক অভিযোগের কালো ছায়া কি তার জীবন থেকে সরবে কোনোদিনও? প্রশ্ন যুবকের আইনজীবীদের।
১৬ ডিসেম্বরই…! আরজি কর কর্তৃপক্ষকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আগস্ট মাস থেকে শিরোনামে রয়েছে আরজি কর। চিকিৎসক ধর্ষণের খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে হাসপাতালের অন্দরে হওয়া নানান দুর্নীতি, থ্রেট কালচারের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বড় নির্দেশ দিল আদালত। কী নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি? চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর আরজি করের (RG Kar Medical College) অন্দরে থ্রেট কালচার চালানো, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার অভিযোগে ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফকে সাসপেন্ড করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। গত অক্টোবর মাসে সাসপেনশনের সিদ্ধান্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। এবার ওই মামলাতেই বড় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রাক্কালেও হুমকি সংস্কৃতি তথা থ্রেট কালচারের অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় কি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল নাকি হাসপাতালে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ওই ৫১ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? বিগত ২ বছরে কতগুলি ওই ধরণের অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, কতগুলি অভিযোগ পুলিশে জানানো হয়েছে, এবার জানতে চাইল হাইকোর্ট। আরও পড়ুনঃ শরীরে শান্তি নেই! ‘সপ্তাহে ২-১ দিন যদি…’! নওশাদের দাবি শুনে ‘হতভম্ব’ কারামন্ত্রী আরজি করের অন্দরে থ্রেট কালচার সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট চেয়েছে উচ্চ আদালত। শুক্রবার মুখবন্ধ খামে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জাস্টিস সেনগুপ্ত (Justice Jay Sengupta)। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলাভঙ্গ সহ অন্যান্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সেই সম্বন্ধিত নথিও আরজি কর কর্তৃপক্ষকে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই বিশদ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এদিকে আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বহু হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে আসে। বহু ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার জল গড়ায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার যেমন আরজি কর কর্তৃপক্ষের কাছে থ্রেট কালচারের সবিস্তার রিপোর্ট চাইল উচ্চ আদালত।
বিলেতে নয়, ভারতেই আছে বিশ্বের সবথেকে বড় স্কুল! কোথায় জানেন? উত্তর শুনলে গর্বে বুক ফুলে উঠবে
বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা নামি স্কুলগুলি (School) সম্পর্কে কমবেশি ধারণা আমাদের সকলেরই আছে। তবে বলতে পারবেন বিশ্বের সবথেকে বড় স্কুল রয়েছে কোথায়? অনেকেই হয়ত জানেন না বিশ্বের সবথেকে বড় স্কুলটি অবস্থিত আমাদেরই দেশে। উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে (Lucknow) অবস্থিত সিটি মন্টেসরি স্কুল (সিএমএস) বিশ্বের বৃহত্তম বিদ্যালয়। বিশ্বের সবথেকে বড় স্কুল (School) লখনউ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এই স্কুলের ২১টি ক্যাম্পাস। প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকাছি পড়ুয়া পড়াশোনা করেন এই স্কুলে। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার জন কর্মরত সিটি মন্টেসরি স্কুলে। ড. জগদীশ গান্ধি এবং ড. ভারতী গান্ধির যৌথ উদ্যোগে ১৯৫৯ সালে মাত্র ৫ জন পড়ুয়া নিয়ে পথচলা শুরু করে সিটি মন্টেসরি স্কুল (City Montessori School) (সিএমএস)। আরোও পড়ুন : শরীরে শান্তি নেই! ‘সপ্তাহে ২-১ দিন যদি…’! নওশাদের দাবি শুনে ‘হতভম্ব’ কারামন্ত্রী উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করার ব্যবস্থা রয়েছে এই স্কুলে (School)। সিএমএস কাউন্সিল ফর ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশন অনুমোদিত এই স্কুলটিতে রয়েছে মোট ৪টি বিভাগ, সেগুলি হল – প্রি-প্রাইমারি, প্রাইমারি, জুনিয়র, সিনিয়র। বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াকে শিক্ষাদান করে বছরের পর বছর ধরে সুখ্যাতি বজায় রেখে চলেছে সিএমএস। এমনকি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল’ (World Largest School) হিসাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নামও তুলে ফেলেছে ভারতের এই স্কুল। পড়াশোনার বাইরেও স্কুলের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের নৈতিক চরিত্র গঠন ও দৃষ্টিভঙ্গির চেতনার উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও শিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, খেলাধুলা, বিতর্ক, এমইউএন ইত্যাদির সমন্বয়ে অন্যান্য ধাররা শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করেছে সিটি মন্টেসরি স্কুল (সিএমএস)।
শরীরে শান্তি নেই! ‘সপ্তাহে ২-১ দিন যদি…’! নওশাদের দাবি শুনে ‘হতভম্ব’কারামন্ত্রী
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেলবন্দি মহিলাদের কথা ভেবে এবার বড় প্রশ্ন তুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddique)। রাজ্য বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার মাঝেই এই ইস্যু উত্থাপন করেন তিনি। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা তখন জবাব দিচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই নওশাদের প্রশ্ন শুনে হাসির রোল ওঠে বিধানসভার অন্দরে। কারামন্ত্রী নিজেও খানিক থমকে যান বলে খবর। জেলবন্দিদের নিয়ে বড় প্রশ্ন নওশাদের (Nawsad Siddique)! বিধানসভা (West Bengal Assembly) অধিবেশন চলাকালীন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন জেলে কাটিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে জেলবন্দিদের কথাও হয়। তিনি জেলবন্দিদের মনের কথা বলছেন বলে দাবি করেন নওশাদ। এরপরেই নিজের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। নওশাদ বলেন, ‘সপ্তাহে একদিন করে আত্মীয় স্বজনরা জেলবন্দিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। এর ফলে তাঁরা কিছুটা হলেও মানসিক শান্তি পান। তবে যারা দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি কিংবা যাদের সদ্য বিয়ে হয়েছে, তাঁরা মানসিক শান্তি পেলেও, শারীরিক শান্তি মিলছে না। সপ্তাহে ২-১ দিন যদি …’। কারা দফতর এই প্রসঙ্গে কিছু ভাবছে কিনা জানতে চান তিনি। আরও পড়ুনঃ স্টপেজে ১ মিনিটের বেশি দাঁড়ালেই…! বাস নিয়ে কড়াকড়ি! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের আইএসএফ (ISF) বিধায়কের প্রশ্ন শুনে প্রথমে খানিকটা হকচকিয়ে যান কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ। এদিকে বিধানসভায় ততক্ষণে হাসির রোল উঠতে শুরু করেছে। চন্দ্রনাথ সিনহা এরপর জবাব দেন, ‘আপনার প্রস্তাব আমরা বিবেচনা করে দেখছি’। নিজের এই প্রস্তাবের নেপথ্য কারণও পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করেন নওশাদ। ভাঙরের বিধায়ক জানান, জেলের ভেতর মহিলা কয়েদিরা গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন। এটি ভীষণ জরুরি একটি বিষয়। সেই কারণেই তিনি এই প্রস্তাব রেখেছেন বলে জানান। নওশাদ বলেন, ‘সরকারের এটা ভেবে দেখা উচিত’। এদিকে অধিবেশন শেষ হওয়ার পর দলমত নির্বিশেষে মহিলা বিধায়করা নওশাদকে (Nawsad Siddique) কার্যত ঘিরে ধরেন বলে খবর। সেখানেও হাসি চলতে থাকে। আইএসএফ বিধায়ক পরবর্তীতে বলেন, ‘রাজ্য সরকার তো প্রচুর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে দাবি করে। এটা করুক না … কারোর স্বামী, কারোর স্ত্রী জেলে রয়েছেন। ওনারা যখন সংশোধনাগারে দেখা করতে যান, সেই সময় যাতে তাঁরা একান্তে খানিকটা সময় কাটাতে পারেন রাজ্য সেই ব্যবস্থা করুক’।
‘এবার আদালতকে পদক্ষেপ নিতে হবে..,’কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতির, কোন মামলায়?
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষাক্ষেত্রে র্যাগিংয়ের অভিযোগ আজকের নয়। নানান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বহু কলেজে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। আরজি কর কাণ্ডের পর আবার সেই সকল অভিযোগের সঙ্গেই শিরোনামে উঠে এসেছে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ বা ‘থ্রেট কালচার’ বিষয়টি। এবার এই নিয়েই বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মামলা হতেই বাংলার এক মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দিল আদালত। এটা তো র্যাগিং! বললেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি গত আগস্ট মাসে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে ‘থ্রেট কালচারে’র (Threat Culture) নানান অভিযোগ। রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ চলছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই আবহে গত সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ৭ জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়। শুক্রবার উচ্চ আদালতে ওই মামলার শুনানি ছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করে দেওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ৭ জন চিকিৎসক। গতকাল হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানিতেই ‘থ্রেট কালচার’ বিষয়টি যেন আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ‘হুমকি সংস্কৃতি’র সেই কাহিনী শোনার পর বড় মন্তব্য করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Justice Jay Sengupta)। আরও পড়ুনঃ স্টপেজে ১ মিনিটের বেশি দাঁড়ালেই…! বাস নিয়ে কড়াকড়ি! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের জাস্টিস সেনগুপ্ত এদিন বলেন, কড়া রোদের মধ্যে পার্টির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য করা হতো। এই রকম মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। এটা তো নিশ্চিতভাবেই র্যাগিংয়ের ঘটনা। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান বিচারপতি। এই নিয়ে এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি ইউজিসির গাইডলাইন মেনে কাজ না করে, তাহলে আদালত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর ফের ‘থ্রেট কালচার’ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।
বন্দে ভারতের হাত ধরেই ইতিহাস গড়ার পথে রেল! আসতে চলেছে বিরাট চমক, জানলে হবেন অবাক
বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপে পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। এমতাবস্থায় ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে রেলের (Indian Railways) তরফে। ইতিমধ্যেই, ভারতের অত্যাধুনিক সেমি হাই-স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তুমল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এদিকে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সাফল্যের পরে, ভারতীয় রেল এবার বন্দে ভারত পার্সেল পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে। এই ট্রেনটি মূলত, ছোট, মূল্যবান এবং ভঙ্গুর পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবে। বন্দে ভারতকে ঘিরে বড় পদক্ষেপ রেলের (Indian Railways): রেলের (Indian Railways) আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে এই দ্রুত এবং সুবিধাজনক ট্রেনগুলি সেই সমস্ত রুটে চালানো হবে যেখানে মোবাইল ফোনের মতো উচ্চ মূল্যের পণ্য এবং গোলাপ এবং অর্কিডের মতো দামি পণ্যের রপ্তানি পরিবহণ করা হয়। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ট্রেনের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ওই ডিজাইন বন্দে ভারত প্ল্যাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। তবে এটি বিশেষভাবে পার্সেল বহনের জন্য ডিজাইন করা হবে। দ্রুত ডেলিভারির জন্য নতুন কৌশল: রেলের (Indian Railways) আধিকারিকদের মতে, বন্দে ভারত ট্রেনের দাম এবং আরামদায়ক ডিজাইন, প্রচলিত রেলের রেকের চেয়ে বেশি উন্নত। এমতাবস্থায়, পার্সেল মুভমেন্টের জন্য একটি হাই ভ্যালু বিশিষ্ট প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। পণ্যের দ্রুত ডেলিভারি নিশ্চিত করতে এই ট্রেনগুলি ১২ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কভার করা যেতে পারে এমন রুটে চলবে। আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম! ৫,০০,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করল এই দেশ, অবাক গোটা বিশ্ব বন্দে ভারত ট্রেনের বিস্তারিত পরিকল্পনা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লোকসভায় জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) নেটওয়ার্কে ১৩৬ টিরও বেশি বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা দিচ্ছে। তিনি আরও জানান যে বন্দে ভারত চেয়ার কার রেকের নির্মাণ কাজ চলছে এবং বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনগুলিও দীর্ঘ এবং মাঝারি দূরত্বের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি জানান ১০ টি বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন তৈরি হচ্ছে এবং রেল আরও ৫০ টি স্লিপার রেকের ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি ২০০ টি বন্দে ভারত স্লিপার রেক তৈরির জন্য চুক্তিও দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীকে অনুসরণ করলেন ইমরান! পাকিস্তানে দিলেন আইন অমান্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, ফাঁপরে সরকার পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণ: ইতিমধ্যেই সারাদেশে ইন্টিগ্রেটেড ট্র্যাক মনিটরিং সিস্টেম (ITMS) বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এর উদ্দেশ্য হল রেলের (Indian Railways) পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং নিরাপত্তার বিষয় ডেকে সুনিশ্চিত করা। ITMS-এর নতুন বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে নন-কন্টাক্ট লেজার সেন্সর, হাই-স্পিড ক্যামেরা এবং 3D ম্যাপিংয়ের জন্য লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং (LiDAR) প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে রেল ট্র্যাকের জিওমেট্রি এবং অ্যালাইনমেন্টের অবস্থা আরও ভালোভাবে মূল্যায়ন করা হবে। এই উদ্যোগ ট্র্যাকম্যানদের কাজের অবস্থার উন্নতি ঘটাবে এবং ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণেরও উন্নতি ঘটাবে। ভারতীয় রেলের এই নতুন পরিকল্পনা দেশে দ্রুত এবং নিরাপদ পার্সেল পরিষেবার প্রয়োজন মেটাবে। এছাড়াও, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রেলের পরিকাঠামোকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।
ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি! বাংলাদেশে ফের হামলা ইসকনের মন্দিরে, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের বিগ্রহ
বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh) উগ্রবাদের আরো এক ঘটনা। ওপার বাংলায় এখন শুধুই সংখ্যালঘুদের আর্তনাদ আর ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের গর্জন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের খবর। সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) চরমপন্থীদের নিশানায় চলে এসেছে ইসকন। আর এবার আক্রান্ত হল ইসকনের আরো এক কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করেছেন কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের আক্রান্ত ইসকন এবার ঘটনাস্থল ঢাকা (Bangladesh)। মধ্যরাতে দুষ্কৃতীরা রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে দাবি করেছেন রাধারমণ দাস। পুড়ে গিয়েছে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ। সেই ছবি শেয়ার করে ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আরো একটি ইসকন নামহাট্টার সেন্টার পুড়িয়ে দেওয়া হল। শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণের বিগ্রহ এবং মন্দিরের ভেতরে সমস্ত কিছু সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে গিয়েছে।’ কীভাবে লাগানো হল আগুন: তিনি আরো লেখেন, ‘এই সেন্টারটি ঢাকায় রয়েছে। আজ মধ্যরাত ২-৩ টের মধ্যে দুষ্কৃতীরা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং শ্রী শ্রী মহাভাগ্য লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই মন্দির দুটি ঢাকার তুরাগ পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত ধৌর গ্রামের হরে কৃষ্ণ নামহাট্টা সঙ্ঘে রয়েছে। মন্দিরের পেছনে টিনের চাল তুলে আগুন লাগানো হয়েছে।’ এই পোস্টে মন্দিরের ঠিকানাও উল্লেখ করে দিয়েছেন তিনি। আরো পড়ুন : মেয়ে মিস ওয়ার্ল্ড জিতবে ভাবতেই পারেননি, প্রিয়াঙ্কাকে সামলাতে কী কাণ্ড করেছিলেন তাঁর বাবা মা! বাংলাদেশে বিপদে সংখ্যালঘুরা: শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকারের গঠনের পর থেকেই দুঃসময় ঘনিয়ে এসেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের। বেছে বেছে হামলা করা হচ্ছে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, দোকান। আক্রান্ত হচ্ছে ধর্মীয়স্থল। ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে মন্দিরে। আরো পড়ুন : ‘খুব কষ্ট, হয় আমাকে মরে যেতে হবে নয়তো…’ অশান্তির বাংলাদেশে কেমন আছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ অঞ্জু? নতুন বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের সমানাধিকারের জন্য সুর চড়ান সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তারপরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পতাকাকে অবমাননার দায়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। তাঁর এক আইনজীবীর উপরে হামলা চালানো হয়েছে। হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। পরিস্থিতি এমনি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে লড়ার জন্য আর কোনো আইনজীবী নেই। অন্যদিকে ইসকনের উপর নেমে আসছে একের পর এক হামলা। এমনকি ছাড় পায়নি গোশালার অবলা প্রাণীরাও। অতি সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। তার মাঝেই খাস বাংলাদেশের রাজধানীতে ঘটে গেল এই ঘৃণ্য ঘটনা। Another ISKCON Namhatta Centre burned down in Bangladesh. The Deities of Sri Sri Laxmi Narayan and all items inside the temple, were burned down completely . The center is located in Dhaka. Early morning today, between 2-3 AM, miscreants set fire to the Shri Shri Radha Krishna… pic.twitter.com/kDPilLBWHK — Radharamn Das राधारमण दास (@RadharamnDas) December 7, 2024
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম! ৫,০০,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করল এই দেশ, অবাক গোটা বিশ্ব
বাংলা হান্ট ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটের (Test Cricket) ইতিহাসে প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন রেকর্ড তৈরি হয়। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি রেকর্ডের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। মূলত, আজ আমরা আপনাদের কাছে সেই দলটির বিষয়ে জানাবো যেটি ইতিমধ্যেই টেস্ট ক্রিকেটে ৫,০০,০০০ রান স্পর্শ করেছে। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) নজির গড়ল ইংল্যান্ড: আসলে, বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) ৫,০০,০০০ রান স্পর্শ করেছে ইংল্যান্ড। এই অঙ্কে পৌঁছতে ইংল্যান্ডকে মোট ১,০৮২ টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে এবং ৭১৭ জন খেলোয়াড় এই পরিসংখানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। ইংল্যান্ড ১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে। 500,000 reasons to love England ❤️ pic.twitter.com/yvm1wRogeE — England Cricket (@englandcricket) December 7, 2024 এদিকে বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলা দেশ হিসেবেও বিবেচিত হয় ইংল্যান্ড। এমতাবস্থায়, টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) ওই দলের রান পৌঁছে গিয়েছে ৫,০০,০০০-তে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত রান যোগ করলে তা বেড়ে হবে ৫,৩১,৮৬৩। আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীকে অনুসরণ করলেন ইমরান! পাকিস্তানে দিলেন আইন অমান্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, ফাঁপরে সরকার পাশাপাশি, টেস্ট ক্রিকেটের (Test Cricket) ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করা দ্বিতীয় দলের কথা বলতে গেলে জানাতে হয় যে, এই তালিকায় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া। ওই দল বর্তমানে ৪,২৮,৮১৬ রান করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এদিকে, তৃতীয় স্থানে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ভারতের রানের বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আরও পড়ুন: বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি! ক্রিজে এবার দাপট দেখালেন KKR-এর এই প্লেয়ার, IPL-এ উঠতে চলেছে ঝড় এখনও পর্যন্ত ভারত ৫৮৬ টি টেস্ট ম্যাচে, ৩১৬ জন খেলোয়াড়ের সাহায্যে ২,৭৮,৭৫১ রান করেছে। এদিকে, যদি অতিরিক্ত রান যোগ করা হয়, তাহলে টিম ইন্ডিয়া পৌঁছে গিয়েছে ২,৯৫,৮৩৩ রানে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে টেস্ট (Test Cricket) চলছে এবং অ্যাডিলেডে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট চলছে। দুই টেস্টেই এই পরিসংখ্যানের সাথে যুক্ত হবে রান।
স্টপেজে ১ মিনিটের বেশি দাঁড়ালেই…! বাস নিয়ে কড়াকড়ি! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোজকার যাতায়াতের জন্য বহু মানুষের প্রথম পছন্দ বাস। স্বল্প টাকায় গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য এর চেয়ে ভালো বিকল্প খুব কমই রয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই বাস নিয়ে যাত্রীদের গলায় অভিযোগের সুরও শোনা যায়। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বাস দুর্ঘটনার খবরও সামনে এসেছে। এবার যেমন দুর্ঘটনা রোধ করতে যাত্রীবাহী বাসের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য (Government of West Bengal)। বাস চালক-কন্ডাক্টরদের আচরণ থেকে শুরু করে স্টপেজের দাঁড়ানোর নির্দিষ্ট সময়, একাধিক বিষয়ে লেখা রয়েছে সেখানে। বাস নিয়ে কড়া নির্দেশিকা রাজ্যের (Government of West Bengal)! জানা যাচ্ছে, শহরের রাস্তায় যাতে আরও সুশৃঙ্খলভাবে বাস চলাচল করে এবং বাস (Bus) চালকরা যাতে অযথা জায়গায় দাঁড়িয়ে না থাকে সেটা সুনিশ্চিত করাই এই নিয়মের অন্যতম উদ্দেশ্য। নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে, যাত্রী তোলার নাম করে বাস স্টপেজে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা আর চলবে না। স্টপেজে ১ মিনিটের বেশি দাঁড়ালে এবার থেকে সেই বাসকে জরিমানা গুনতে হবে। সেই সঙ্গেই যাত্রীদের পরিষেবা সম্বন্ধিত কোনও অসুবিধার কথা জানাতে প্রত্যেকটি বাসে রেজিস্টার্ড কমপ্লেন বক্স রাখতে হবে। রাজ্যের তরফ থেকে প্রকাশ করা ছয় পাতার এই নির্দেশিকায় (Guideline) আরও বলা হয়েছে, শহরের রাস্তায় এবার থেকে টাইম টেবিল মেনে বাস চালাতে হবে। এছাড়া যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে অবিলম্বে থানায় ফোন করে চালক কিংবা কন্ডাক্টর সেই বিষয়ে জানাবেন। বাসের মধ্যে ফাস্ট এইড বক্স রাখার নির্দেশও দিয়েছে সরকার। কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটলে বাসের চালক এবং কন্ডাক্টরের কী করা উচিত, সেই বিষয়েও নির্দেশিকায় বিশদে লেখা রয়েছে। আরও পড়ুনঃ ১০০-র মধ্যে ৬৭! কেরোসিন নিয়ে কি হচ্ছে বাংলায়? বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, পরিবহণ দপ্তর বাস চালক এবং কন্ডাক্টরদের ইউনিফর্ম শুরু করতে চায়। সেই সঙ্গেই কমিশন প্রথার বিকল্প কী হতে পারে সেই বিষয়েও মালিকদের ভাবার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। চালক এবং কন্ডাক্টরদের নিয়োগ করার সময় তাঁদের কাজের কী অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে কিনা সেটাও এবার থেকে মালিকদের খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই এবার থেকে প্রত্যেকটি বাসে চালক এবং কন্ডাক্টরের লাইসেন্সের কপি আটকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যাতে দেখতে পান, এমন স্থানে লাগিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বাস চালক এবং কন্ডাক্টরদের ৩ বছর অন্তর ৭ থেকে ১৫ দিনের রিফ্রেশার কোর্স করানোর কথা বলেছে সরকার। সেখানে ট্রাফিক আইন থেকে শুরু করে যাত্রীদের সঙ্গে ব্যবহার শেখানো হবে। এই বিষয়ে বাস মালিকদের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিবহণ কর্মীদের শ্রম দফতরের ওয়েলফেয়ার স্কিমের অধীন আনার বিষয়ে বাসমালিকদের তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের রাস্তায় বাসের রেপরোয়া ড্রাইভিং আটকাতেও উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বাম দিক থেকে যাত্রী তোলা যাবে। এছাড়া প্রত্যেক বাস চালকের ফোনে রাজ্যের বানানো একটি অ্যাপ থাকবে। বাস নিয়ে রাস্তায় বেরনোর সময় চালককে ওই অ্যাপে ঢুকতে হবে। এরপর কিউআর কোড স্ক্যান করে গাড়ি চালু করতে হবে। প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে তা জানতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট বাসের গতিতে নজর রাখতে পারবে। যদি গতি বাড়ানো হয় সেটাও তাদের নজরে পড়বে। এক্ষেত্রে কোনও বাস চালক নিয়ম না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
১০০-র মধ্যে ৬৭! কেরোসিন নিয়ে কি হচ্ছে বাংলায়? বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রের
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলো জ্বালানো থেকে শুরু করে রান্না, একটা সময় বাড়ির এসব কাজের জন্য কেরোসিনের ওপরই নির্ভর করতো সাধারণ মানুষ। তবে বর্তমানে সময় বদলেছে। দেশের অধিকাংশ বাড়িতেই বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে গিয়েছে, সেই সঙ্গেই এসেছে রান্নার গ্যাসের কানেকশন। তাই ক্রমে কেরোসিনের ব্যবহারও হ্রাস পেয়েছে। তবে কেন্দ্রের (Central Government) দাবি, পশ্চিমবঙ্গে নাকি তা কমছে না। এদিকে কেরোসিনের ‘অপব্যবহার’ বন্ধ করার জন্য গত জুনেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। রাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কেন্দ্রের (Central Government)! রান্না এবং আলো জ্বালানোর জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন (Kerosene) সরবরাহ করা হয়। এরপর গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয় রাজ্য। তবে গত কয়েক বছরে এদেশে এলপিজি গ্যাস কানেকশন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যান্য রাজুগুলির তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে কেরোসিনের চাহিদা কমিয়ে দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গে সেই চাহিদা হ্রাস পায়নি। এরপর কেন্দ্র নিজেই তা কমিয়ে দেয়। এই নিয়ে জল গড়ায় আদালত অবধি। ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন এজেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে আদালতে যাওয়া হয়। এদিকে কেন্দ্রের (Central Government) দাবি, নানান রাজ্যে যে পরিমাণ কেরোসিন পাঠানো হয়, তার ৬৬.৩৮% পশ্চিমবঙ্গেই বিক্রি হয়। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের হিসেব বলছে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহারের নাম। প্রথম স্থানে থাকা বাংলা যেখানে মোট কেরোসিনের ৬৬.৩৮% পেয়েছে, সেখানে বিহারের প্রাপ্য মাত্র ৬.০২%। আরও পড়ুনঃ ‘এত সাহস! হাইকোর্টে এই ভাষায়…’! পুলিশের ভূমিকায় রেগে আগুন জাস্টিস ঘোষ! এবার কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে পেট্রল, ডিজেলের মতো জ্বালানির ক্ষেত্রে ‘ভেজাল’ হিসেবে কেরোসিনের ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপ সংসদে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, গত আর্থিক বছরে ভারতের সব রাজ্য মিলিয়ে ১০,৬০,৫২৪ কিলোলিটার তেল পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে বাংলায়। রাজ্যের (Government of West Bengal) তরফ থেকে এই কেরোসিন রেশন কার্ড গ্রাহকদের মধ্যে বিলি করার দাবি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সুরেশ বলেন, রাজ্যের খাদ্য দফতরের মাধ্যমে রেশন কার্ড রয়েছে এমন উপভোক্তাদেরই কেরোসিন দেওয়া হয়েছে। কেরোসিনের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা অথবা অযোগ্যরা পাচ্ছেন কিনা সেটা রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নিয়মিত যাচাই করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে বলে জানান পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। এদিকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, কেন্দ্রের (Central Government) দেওয়া ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন বিপুল পরিমাণে এখান থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হয়। তাঁর কথায়, ‘খোঁজ করলে বাড়িতে কেরোসিন ব্যবহার করে এমন পরিবার পাবেন না। অনেকে রেশন থেকে কেরোসিন নেনও না। তা সত্ত্বেও সব বিক্রি হয়ে যায়’।
মাত্র ২ বছরেই হাতে আসবে ২ লাখ! ধামাকাদার স্কিম দিচ্ছে Post Office, তুঙ্গে উৎসাহ আমজনতার
বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুরক্ষার সাথে বিনিয়োগের কথা উঠলেই মাথায় আসে পোস্ট অফিসের (Post Office) কথা। সরকার পরিচালিত পোস্ট অফিসে (Post Office) টাকা বিনিয়োগ করা একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনই লাভদায়ক। পোস্ট অফিস বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করে মাঝেমধ্যেই নিয়ে আসে একাধিক স্কিম। দমদার স্কিম পোস্ট অফিসের (Post Office) তারমধ্যে পোস্ট অফিসের টার্ম ডিপোজিট বা ফিক্সড ডিপোজিট বেশ জনপ্রিয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা জমা করলে মিলছে আকর্ষণীয় সুদ। ১ থেকে ৫ বছরের মেয়াদে টাকা বিনিয়োগ করা যায় পোস্ট অফিসের টার্ম ডিপোজিটে। মাত্র ১০০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ (Investment) শুরু করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। আরোও পড়ুন : মাথায় হাত মলদ্বীপের, এবার ‘হলিডে ডেস্টিনেশন’ হয়ে উঠবে লাক্ষাদ্বীপই! শুরু হচ্ছে ৮টি মেগা প্রজেক্ট ১ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে পোস্ট অফিস দিচ্ছে বার্ষিক ৬.৯% হারে সুদ। ১০০০০০ টাকা ১ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে সুদ সহ পাবেন মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮১ টাকা। সুদ হিসাবে ১ বছরে গ্রাহক পেয়ে যাবেন ৭ হাজার ৮১ টাকা। ২ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে মিলবে ৭% হারে সুদ। যদি ১০০০০০ টাকা ২ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায় তাহলে সুদ সহ পাবেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৮৮ টাকা। ৩ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে পোস্ট অফিস দেবে ৭.১% হারে সুদ। সেক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারী পেয়ে যাবেন মোট ১ লক্ষ ২২ হাজার ২২ টাকা। ইন্ডিয়া পোস্ট (India Post) ৫ বছরের ফিক্সড ডিপোজিটে দিচ্ছে ৭.৫ শতাংশ সুদ। যদি ৫ বছরের জন্য কেউ ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৭.৫% সুদের হারে পাবেন মোট ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯৯৫ টাকা।
মহাত্মা গান্ধীকে অনুসরণ করলেন ইমরান! পাকিস্তানে দিলেন আইন অমান্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, ফাঁপরে সরকার
বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত মাসে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) মুক্তির দাবিতে দেশের রাজধানী ইসলামাবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। রাজধানীর অভিমুখে মিছিল করার ঘোষণার পর ইমরান খানের সমর্থকদের থামানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে প্রশাসন। এদিকে, এই হিংসাত্মক বিক্ষোভের জেরে ভীত সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছিল। ওই বিক্ষোভে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এখন ইমরান খান হিংসার পথ ছেড়ে অন্যদিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার জেল থেকে বার্তা দিয়ে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান। আইন অমান্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান খান (Imran Khan): বৃহস্পতিবার ইমরান খান (Imran Khan) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “এক্স”-এ এক পোস্টে বলেন, দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি তাঁর সমর্থকদের আগামী ১৩ ডিসেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে জড়ো হতে বলেছেন। যেখানে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে দু’টি দাবি তুলে ধরেছেন এবং সেই দাবিগুলি মানা না হলে নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। Pakistan’s jailed former PM Imran Khan threatens civil disobedience movement https://t.co/orrwbX4Rb7 pic.twitter.com/O4gyBj12MY — Reuters (@Reuters) December 6, 2024 ইমরান খান (Imran Khan) লিখেছেন, “দেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিরীহ রাজনৈতিক কর্মীদের গুলি করা হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মীদের শহিদ করা হয়েছে। আমাদের শত শত কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের উচিত এখনই বিষয়টিতে নজর দেওয়া এবং সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আমরা সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর হাইকোর্ট এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আদালত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এবং বর্তমানে দেশটি এই পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে।” আরও পড়ুন: বাউন্ডারির পর বাউন্ডারি! ক্রিজে এবার দাপট দেখালেন KKR-এর এই প্লেয়ার, IPL-এ উঠতে চলেছে ঝড় তিনি (Imran Khan) আরও লিখেছেন, “শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা ১৩ ডিসেম্বর পেশোয়ারে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করব। এতে অংশ নিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।” এর পাশাপাশি, তিনি বিক্ষোভের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। এছাড়াও, ইমরান গ্রেফতার করা সকল শ্রমিকের মুক্তিরও দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই দু’টি দাবি পূরণ না হলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হবে এবং যেকোনও পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।” আরও পড়ুন: সব বোলারদের পেছনে ফেললেন অপ্রতিরোধ্য বুমরাহ! অ্যাডিলেড টেস্টে গড়লেন দুর্ধর্ষ নজির প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইমরান খান (Imran Khan) গত বছরের শেষ থেকে কারাগারে রয়েছেন। তিনি এবং তাঁর দল বলেছে যে ২০২২ সালে তাঁকে পদ থেকে অপসারণের আগে সেনা জেনারেলদের সাথে তাঁর মতপার্থক্যের কারণে তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য সেনাবাহিনীর নির্দেশে মিথ্যা মামলাগুলি তৈরি করা হয়। তবে, সেনাবাহিনী এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মাথায় হাত মলদ্বীপের, এবার ‘হলিডে ডেস্টিনেশন’হয়ে উঠবে লাক্ষাদ্বীপই! শুরু হচ্ছে ৮টি মেগা প্রজেক্ট
বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদ্বীপ নয়, এবার লাক্ষাদ্বীপকে (Lakshadweep) ‘হলিডে ডেস্টিনেশন’ (Holiday Destination) হিসাবে গড়ে তুলতে বেশকিছু বড় প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছে কেন্দ্র। মূল ভূখণ্ডের সাথে এই দ্বীপের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা ও পর্যটকদের জন্য উন্নত সুযোগসুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ৮টি প্রজেক্ট শুরু করতে চলেছে। লাক্ষাদ্বীপকে (Lakshadweep) নিয়ে বড়সড় প্ল্যানিং কেন্দ্রের একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কেন্দ্রের (Central Government) উদ্যোগে কাভারাত্তি, অগাত্তি ও মিনিকয় দ্বীপে বড় জাহাজ ঢোকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ক্যালপেনি, কদমথ এবং অ্যান্ড্রথ দ্বীপে ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার সহ অত্যাধুনিক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। ওপেন জেটি নির্মাণ করা হবে কল্পেনি ও কদমত দ্বীপে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে জেটি এবং ল্যান্ডস্লাইড তৈরির কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, লাক্ষাদ্বীপে তৈরি করা হবে মাল্টিমোডাল জেটি। একই জায়গা থেকে সবধরনের পণ্যবাহী জাহাজ নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যেই এমন ভাবনা প্রশাসনের। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দ্বীপগুলির মধ্যে বাড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থা, যার ফলে সুবিধা হবে যাত্রীদেরও। আরোও পড়ুন : রাজ্যসভায় তৃণমূল প্রার্থী! কে এই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়? আসল পরিচয় চমকে দেবে সূত্রের খবর, প্রথম মেগা প্রোজেক্ট হতে চলেছে লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) কেন্দ্রে অবস্থিত কদমথ দ্বীপে। জেটি এবং ল্যান্ডসাইড তৈরি করা হবে এই দ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে। ৩০৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এই প্রজেক্টের জন্য। জাহাজ এবং ক্রুজ বার্থ করার পাশাপাশি এখানে যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং রুম, পৃথক ট্রানজিট এলাকাও থাকতে চলেছে। এছাড়াও অন্যান্য প্রজেক্টের মধ্যে রয়েছে ক্যালপেনি, কদমথ এবং অ্যান্ড্রথ দ্বীপে অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র, গুদাম ইত্যাদি। সম্প্রসারণ করা হবে কাভারাত্তি, অগাত্তি এবং মিনিকয় দ্বীপ। এমনকি জেটি সংস্কার করা হবে ক্যালপেনি এবং কদমথ দ্বীপের পশ্চিমাঞ্চলের। এছাড়াও সংস্কার করা হবে অ্যান্ড্রথ ব্রেকওয়াটারের। পাশাপাশি সংস্কার করা হবে ক্যালপেনি, কদমথ এবং অ্যান্ড্রথ দ্বীপের স্লিপওয়ে ও অন্যান্য পরিকাঠামো।
রাজ্যসভায় তৃণমূল প্রার্থী! কে এই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়? আসল পরিচয় চমকে দেবে
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন জহর সরকার। সেই পদে কাকে টিকিট দেবে তৃণমূল (Trinamool Congress) তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা কল্পনা চলেছে। অবশেষে মিলল সেই উত্তর। শনিবার দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) ঘোষণা করা হল, আসন্ন রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল সেনাপতি (Trinamool Congress) অভিষেক এদিন তৃণমূলের (TMC) তরফ থেকে সমাজমাধ্যমে লেখা হয়, ‘মাননীয়া চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ওনাকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি, রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন এবং সকল ভারতীয়ের অধিকারের কথা বলবেন’। Under the inspiration of Hon’ble Chairperson @MamataOfficial , we are pleased to announce the candidature of Shri Ritabrata Banerjee ( @RitabrataBanerj ) for the forthcoming Rajya Sabha Bye-Elections. We extend our heartfelt wishes to him. May he work towards upholding Trinamool’s… — All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 7, 2024 তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত। এবার তাঁকেই সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যসভার উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রতর নাম ঘোষণার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূল সেনাপতি লেখেন, ঋতব্রত এই পদের জন্য যোগ্য। নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা এবং পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আরও পড়ুনঃ ‘এত সাহস! হাইকোর্টে এই ভাষায়…’! পুলিশের ভূমিকায় রেগে আগুন জাস্টিস ঘোষ! এবার কড়া নির্দেশ উল্লেখ্য, বর্তমানে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হলেও, একদা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের অংশ ছিলেন ঋতব্রত (Ritabrata Banerjee)। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়। তবে এর বছর তিনেকের মাথায় বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনায় নাম জড়ানোয় ঋতব্রতকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর তৃণমূলে নাম লেখান এই যুব নেতা। এতদিন শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব সামলানোর পর এবার তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল দল। এদিকে আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন জহর সরকার। তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগের কথা জানান তিনি। এরপর থেকে রাজ্যসভায় জোড়াফুল শিবিরের ওই পদটি ফাঁকা ছিল। এবার তার জন্যই ঋতব্রতর নাম ঘোষণা করা হল।
‘এত সাহস! হাইকোর্টে এই ভাষায়…’! পুলিশের ভূমিকায় রেগে আগুন জাস্টিস ঘোষ! এবার কড়া নির্দেশ
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। এবার যেমন পুলিশের রিপোর্ট দেখে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ‘এত সাহস আসে কোথা থেকে?’ রিপোর্ট দেখার পরেই প্রশ্ন করেন তিনি। পুলিশের ভূমিকায় ফের অসন্তুষ্ট উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)! এদিন জাস্টিস ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে জমি বিবাদ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। এই মামলায় প্রয়োজন পড়লে পুলিশি সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে মামলাকারীর অভিযোগ, এরপরেও পুলিশের তরফ থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি। যে কারণে পুরশুড়া থানার আইসির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। সেই রিপোর্ট দেখার পরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন বিচারপতি। হাইকোর্টে পুরশুড়া থানার আইসির জমা দেওয়া রিপোর্টে (Police Report) বলা হয়েছিল, নিম্ন আদালতের তরফ থেকে পুলিশি সাহায্যের বিষয়ে ‘নির্দিষ্ট’ করে কোনও নির্দেশ না দেওয়ার কারণে কোনও পুলিশি সাহায্য দেওয়া হয়নি। এই বয়ানেই রেগে যান বিচারপতি ঘোষ। ‘এত সাহস! হাইকোর্টে এই ভাষায় রিপোর্ট দিচ্ছেন একজন আইসি! এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে আসে?’ প্রশ্ন করেন তিনি। আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী! অনুদানের টাকা নিয়ে বড় পদক্ষেপ! বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থ দফতর জাস্টিস ঘোষ বলেন, থানায় যে রকম ব্যবহার করে পুলিশ, আইসির রিপোর্টেও সেটা প্রতিফলিত হচ্ছে। বিচারপতি আরও বলেন, ‘পুলিশ সরকারের মুখ। তাঁরাই যদি এমন আচরণ করে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? এই রকম অফিসারদের প্রাইম পোস্টিং দেওয়া উচিত নয়। এখনই সরিয়ে দেওয়া উচিত’। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, ওই আইসি কত টাকার মালিক যে এত সাহস? উচ্চ আদালতে এমন ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ রিপোর্ট পেশ করার জন্য পুরশুড়া থানার আইসির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। হুগলির পুলিশ সুপারকে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ৮ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন পুলিশ সুপারকে এই বিষয়ক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী! অনুদানের টাকা নিয়ে বড় পদক্ষেপ! বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থ দফতর
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু থেকে রূপশ্রী, একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের অনুদান দেয় রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। এই সকল প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এবার এই ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার তথা ডিবিটির ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। অনুদানের টাকা সুরক্ষিত রাখতে নেওয়া হল নতুন পদক্ষেপ। সরকারি প্রকল্পের টাকা সুরক্ষিত রাখতে কী পদক্ষেপ নিল রাজ্য (Government of West Bengal)? সম্প্রতি ‘তরুণের স্বপ্ন’ চুরি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলা। সরকারের দেওয়া ট্যাবের টাকা বেহাত হওয়া নিয়ে প্রশাসনের অন্দরেও জোর শোরগোল পড়ে যায় বলে খবর। এরপর সরকারের আরও বেশ কয়েকটি ডিবিটি প্রকল্পে (Government Scheme) এই সমস্যা চোখে পড়ে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য। এবার জানা গেল, ডিবিটির ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দফতরকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সুরক্ষাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। রিপোর্ট বলছে, অর্থ দফতরের তরফ থেকে মোট ১৬ দফা এসওপি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি দফতরের কর্তাকে এই বিষয়ে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ডিবিটি পদ্ধতিতে সুরক্ষাবিধি মানতেই হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) অধীন এনপিসিআই মারফৎ প্রত্যেক গ্রাহকের তথ্য যাচাই করাতে হবে। আরও পড়ুনঃ অভিষেক নন! মমতার উত্তরসূরি কে? রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো যে সকল ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা হবে, সেসব ক্ষেত্রে কাগজপত্র থাকবে না। সবটা অনলাইনে পরিচালিত হবে। তবে পরিষেবা পাওয়ার জন্য লিখিতভাবে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে অন্য ওয়েবসাইট থাকবে। সেটি এমনভাবে বানানো হবে, যাতে সরকারের (Government of West Bengal) তরফে যিনি তথ্য নথিবদ্ধ করছেন কিংবা সায় দিচ্ছেন তাঁদের সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। অর্থ দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ডিবিটির ক্ষেত্রে এবার দু’বার করে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর নথিবদ্ধ করতে হবে। প্রথমবার হবে মাস্কড। এরপর ফের তা নথিবদ্ধ করতে হবে। গ্রাহকের ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রথম পাতা কিংবা বাতিল চেকের ছবি আপলোড করার বন্দোবস্ত থাকবে। এটিই হবে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, আইএফএসসি কোডের প্রমাণ। যদি একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নানান নামে থাকে তাহলে সেটি এবার সহজে জানা যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আইএসএসসি তালিকা অনুসারে সেই নম্বর যাচাই করা হবে। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ব্যাঙ্ক ব্রাঞ্চ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে কিংবা সেটা দেখা হবে। গ্রুপ এ লেভেলের আধিকারিক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুমোদন করবেন। যদি কোনও কারণে টাকা পাঠানো সম্ভব না হয়, তাহলে সেটা সংশোধন করা যাবে না। সেটা ফের সরকারের কাছেই ফিরে আসবে। এসএমএসের মাধ্যমে উপভোক্তাকে প্রাপ্যের অবস্থা জানিয়ে দেবে সরকার। সরকারি প্রকল্পের (Government of West Bengal) টাকা নয়ছয় আটকাতে রাজ্যের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ‘তরুণের স্বপ্ন’ নিয়ে যে পরিস্থিতি হয়েছিল তার পরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ। অনুদান প্রদানকারী নানান প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই রকম সুরক্ষাবিধি কার্যকর করায় টাকা নয়ছয় অনেকখানি আটকানো যাবে বলে অনুমান অনেকের।
অভিষেক নন! মমতার উত্তরসূরি কে? রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বিগত প্রায় দেড় দশক ধরে দক্ষতার সঙ্গে রাজ্য চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এবার তাঁকেই জিজ্ঞেস করা হল উত্তরসূরির নাম। কোনও রাখঢাক না করেই উত্তর দিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উত্তরসূরি কে? সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নিজের রাজনৈতিক জীবন থেকে শুরু করে হবি, স্বাস্থ্য সবকিছু নিয়েই খোলামেলা আলোচনা করেন মমতা। সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের সঞ্চালক-সাংবাদিক এরপর তাঁর কাছে উত্তরসূরির নাম জানতে চান। জবাব আসে, এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, সেটা দলই নেবে। মমতা বলেন, ‘আমরা একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। যেখানে কোনও একজন ব্যক্তিবিশেষ আদেশ দিয়ে দেবেন না। জনগণের জন্য কোনটা ভালো হবে সেটা দল ঠিক করবে। আমাদের বিধায়ক, সাংসদ, বুথ কর্মী রয়েছেন … এটি একটি যৌথ প্রচেষ্টা’। তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো আরও বলেন, ‘আমি পার্টি নই। ‘আমরা’ পার্টি। এটি একটি যৌথ পরিবার এবং সকল সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে নেওয়া হবে’। আরও পড়ুনঃ রাজনীতিতে আসছেন সৌরভ! কবে? বড় কথা বলে দিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের (TMC) রাশ কার হাতে যাবে তা নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে বিস্তর চর্চা হয়েছে। অভিজ্ঞ নেতা কিংবা তরুণ প্রজন্মকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘প্রত্যেকে গুরুত্বপূর্ণ। আজ যারা নবাগত, তাঁরা আগামীতে অভিজ্ঞ হবেন’। নতুন প্রতিভাকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন তিনি। উল্লেখ্য, মমতার (Mamata Banerjee) উত্তরসূরি হিসেবে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাংশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে শুরু করেছে। কেউ তাঁকে ‘ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী’ হিসেবে দেখতে চান, কারোর আবার ইচ্ছা ‘পুলিশমন্ত্রী’ হিসেবে দেখার। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককেই আগামী দিনে মমতার জুতোয় পা গলাতে দেখা যাবে বলে মনে করেন অনেকে। এমতাবস্থায় মমতা স্পষ্ট জানালেন, তাঁর উত্তরসূরি কে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে দল। ব্যক্তিবিশেষ নয়, বরং দলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তই মান্যতা পাবে বলে জানালেন তৃণমূল নেত্রী।