ভোট-কাটুয়ারা ব্যর্থ হলে, উত্তরের ৪টি আসন খোয়াবেই বিজেপি
১৯ এপ্রিল লোকসভা ভোটের প্রথম দফার ভোট মিটেছে, এবারে আজ তিন দফায় ভোটগ্রহণ। এবারে জঙ্গিপুরে ৭০% ও মুর্শিদাবাদে ৬৮ % মুসলিম। মনে করা হচ্ছে এবারে'ভোট কাটুয়ারা' তাঁদের প্রভুর ইচ্ছেয় সফল হন, তবে হাসি ফুটবে বিরোধীদের মুখে। দেশের অগণিত মানুষ এই নির্বাচন নিয়ে মেতে থাকেন, উত্তেজিত হয়ে ওঠেন দেশের মানুষ। কী হতে চলেছে এটাই এখন দেখার।
শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী, ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী সুরক্ষিত?
শেয়ার বাজারের সূচক প্রতিদিনই বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রায় প্রতি দিনই সেনসেক্স, নিফটি নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। কিন্তু এর ফলে ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের কতটা লাভ হচ্ছে? তবে সূচকের অঙ্ক বাড়লেও বহু শেয়ারের দাম এখনও বাড়েনি, আটকে রয়েছে। টেকনিকাল অ্যানালিসিস বলছে, সূচক বাড়লেও নির্দিষ্ট একটি দামের মধ্যে ঘোরাফেরা করে শেয়ার। ফলে ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে নাহলে ধস নামতে পারে ক্ষতি তাঁদেরই।
ভারতে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে সম্পদের বণ্টন নিয়ে নানাবিধ তর্ক চলছে। কিন্তু মূল বিষয়টি অনালোচিত হয়েই থেকে যাচ্ছে। মূলত আর্থিক বৈষম্যের কারণগুলি আর্থিক উন্নয়নের হিসাবের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। অথচ সেই বিষয়টিকে বাদ দিয়ে কেবল চলছে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনৈতিক বয়ান। আসল বিষয়টি হল ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির বিষয়টি বহু দিন ধরেই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে অসমান ভাবে বণ্টিত হয়ে আসছে।
রুদ্র গ্রীষ্মের প্রভাবে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, পুড়ছে কলকাতা। এই সময় বেড়াতে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত জায়গা কোথায় হতে পারে বলুন তো? ওয়াটার পার্ক থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন। গরমে শুধু শান্তিই মিলবে না, মিলবে ভরপুর মজাও বটে। যদি ওয়াটার স্লাইডের কথা বলা হয় তাহলে অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দে ক্রমশ মনটা আরও বেশি করে চনমনে হয়ে ওঠে।
এই দেশে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক যুগল কোনও সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাইলে তাঁদের প্রয়োজন হয় রাষ্ট্রের অনুমোদন এবং নিরাপত্তার। কিন্তু কেন, সেই প্রশ্নটিই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই কারণেই বিভিন্ন রাজ্যে তৈরি হয়েছে ‘লাভ জিহাদ’ আইন। গত আগষ্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা অন্তত ১২টি ভিন্নধর্মী যুগলের পুলিশি নিরাপত্তা খারিজ করেছে আদালতের বিভিন্ন বেঞ্চ।
তাপ বাড়ছে, উৎপাদন কমছে, মানুষ খাবে কী?
কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭৯টি দেশের প্রায় ৩৪ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে আছে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স’-র রিপোর্ট অনুযায়ী ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারত ১১১তম স্থানে রয়েছে। এখানে শিশু এবং মহিলারা অপুষ্টির শিকার। অথচ ধান, গম, দুধ এবং আখ উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত।
কর্পোরেটের নিজের সমস্যা বিদ্যমান। রীতিমতোতা টের পাওয়া গেছে অতিমারীতে। করোনা অতিমারীতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের হাইব্রিড চালু হতে দেখা গেল, এ এক অন্য় ছবি। অফিসে এসে যারা কাজ করছেন বাড়িতে বসা কর্মীদের চেয়ে গুরুত্ব বেশি পাচ্ছেন তাঁরা। একে এক কথায় বলে প্রক্সিমিটি বায়াস অর্থাৎ ঘনিষ্ঠতার পক্ষপাত।
এমন একটা সময় ছিল, কিশোরদের কাছে একটি সাইকেল নিয়ে আসত মুক্তির সন্ধান। বালকদের একটি সাইকেলের স্বপ্নে মশগুল হয়ে থাকত। এদিকে সমবয়সীদের কছে স্মার্টফোন, ভিডিয়ো গেমস এবং নেট-সার্ফিংয়ে মত্ত, তার চাওয়া বয়ে গিয়েছে।
ইভিএম ও সংশয়ের মেঘ, গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে থাকে ভোটদাতাদের বিশ্বাসের ওপর
প্রথম ইভিএম চালু হয় ২০০৪ লোকসভা ভোটে। সাধারণ ভাবে ইভিএমকে পেপার ব্যালট থেকে উন্নতি হিসেবেই দেখা হয়েছে। ফের ব্যালটে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবটি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তিকালে ইভিএম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভিভিপ্যাট। ভোটার বোতাম টেপার পর সেখানেই ভোট পড়ল কি না, তা এই পদ্ধতির মাধ্যমে তা দেখে নেওয়া যায়।
‘বিলিয়াল’ হল শয়তানের আর এক নাম। হিব্রু ভাষার এই শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ মতে এই নামটির অর্থ ‘অপদার্থ’, আবার মতে এই নামের অর্থ ‘যে উঠে দাঁড়াতে অক্ষম’। জন মিল্টনের লিখিত মহা-কবিতা ‘প্যারাডাইস লস্ট’ শয়তান ওরফে স্যাটান-এর চার অনুচর— মোলোক, বিলিয়াল, ম্যামন ও বিলজ়েবাব।
ইশতেহারে রাজ্য এবং দেশ, একসঙ্গে দু'দিকেই নজর
গতকাল প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার। এক দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'গ্যারান্টি'কে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ দফা 'দিদির শপথ' নিয়ে যুদ্ধে নেমেছেন। ইস্তেহারে বলা হয়েছে 'ইন্ডিয়া' জোট ক্ষমতায় এলে নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল। সেই কারণে দেওয়া হয়েছে আগাম প্রতিশ্রতিও। তবে রাজ্যে যে মুখ্যমন্ত্রী একাই লড়াই করবেন তাও তিনি আগেই জানিয়েছেন।
বৃষ্টিপাত ও চাষবাস, সেচের উন্নতিতে চাষির বর্ষার ওপর নির্ভরতা কমছে
তীব্র গরমের মাঝে গত সোমবারে বর্ষা বিষয়ে পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। জানাল, এবারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। তবে তা খারিফ শস্যের মরসুমের পক্ষে তা সুখবর। বর্তমানে সেচের প্রসারের ফলে ভারতের কৃষিজ উৎপাদন এখন আর বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ওপর ততখানি নির্ভরশীল নয়। তবে কম বৃষ্টির বছরে ফলন খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে উৎপাদন মোটামুটি বেড়েছে।
পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে এনে লাভটা কী?
রাজস্থান, ছত্তিসগড় ও হিমাচল প্রদেশ তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে কংগ্রেসের আইডিয়া ছিল সেখানে নতুন পেনশন স্কিম বাতিল করে পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনা। ক্ষমতায় আসার পর কর্নাটকেও একই পদক্ষেপের কথা ভাবছিল তাঁরা। এবারে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে ওপিএস-এর কোনও উল্লেখ নেই। তার মানে কি, এ নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা চলছে?
ইরানের জনতা খুশি তো? পশ্চিম এশিয়ায় ফের ক্ষমতা জাহির
ইজ়রায়েলের উপর মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এ ঘটনায় পশ্চিম এশিয়ায় তেহরানকে শক্তিশালী হিসেবে প্রমাণ করল। পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় নিরাপত্তার অন্যতম সমস্যা হিসেবেও চিহ্নিত করল। হেজবুল্লাহ থেকে হুথি সশস্ত্র বাহিনীকে ইরান নিজের স্বার্থে পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তি তৈরিতে মদত জোগাচ্ছে।
শিয়রে যে শমন, রাজনৈতিক দলগুলো তা জানে?
২০২৪-এর ‘ডুম্স ডে ক্লক’ টিকটিক করে জানান দিচ্ছে ধরাধাম থেকে মনুষ্য-প্রজাতির বিলুপ্তির প্রহর সমাসন্ন। পৃথিবীর বিনাশ প্রায় অবশ্যম্ভাবী বলে ‘ডুম্স ডে ক্লকের’ বিপদঘন্টি বাজানো। সব ক’টিই ‘গ্লোবাল ক্যাটাস্ট্রফিক রিস্ক’ ‘জিসিআর’-এর সঙ্গে পাঞ্জা কষে একমাত্র রাষ্ট্রই পারে মানুষকে অভূতপূর্ব বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে। রইল বিস্তারিত আলোচনা।
রোজকার সাংসারিক কাজের মধ্যে অন্যতম হল সুপারমার্কেটে ঘুরে বেড়ানো। তবে তার মধ্যে বিপুল আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে। তা বেশির ভাগের নজরে পড়ে না। তাকে সাজানো রং বে রংএর জিনিসে এক-এক বার নজর ফেরালেই চোখে পড়ে যায়, আর সেখানেই অনুভূতি প্রবল জাগে ইন্দ্রিয়ের।
‘ইকো-অ্যাংজ়াইটি’, পৃথিবীর এক নতুন অসুখ
দারিদ্র, সম্পর্ক, যুদ্ধ, দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার কারণে বাড়ে মানসিক দুশ্চিন্তা। এবারে এই তালিকায় নবতম সংযোজন ‘ইকো- আ্যংজ়াইটি’। বর্তমানে দাবানল, বন্যা, খরা বিগত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের ঘটনা আরও বাড়বে।
বিপন্ন পৃথিবী? ইরান-পশ্চিম এশিয়ায় বড় সংঘাতের ইঙ্গিত?
ইজ়রায়েলের অসামান্য দক্ষতায় ইরানের হামলা ঠেকিয়ে দিল ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা। এদিন ইরানের ছোড়া ৩০০টি ড্রোন, ক্রুজ় মিসাইল ও ব্যালিস্টিক মিসাইলের ৯৯% তারা সফল ভাবে রুখে দিয়েছে তাঁরা। এই হামলা হয়ে উঠেছএ ‘ঐতিহাসিক’। ইজ়রায়েলের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ ও কৌশলে লড়েছে ইরান। ইউক্রেনের যুদ্ধও তৃতীয় বছরে পৌঁছেছে।
বৈশাখের কাঠফাটা গরমের মাঝেই কালবৈশাখীর দুরন্ত ঝড়ই কি আবর্জনা দূর করার একমাত্র উপায়? কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বৈশাখের ধরা-বাঁধা আগমনী গানটি বেঁধেছিলেন রূপকার্থে। মানে আক্ষরিক ভাবেই উৎসবে, রাজদ্বারে ও শ্মশানে বাঙালি যাঁর দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়। বঙ্গবর্ষের প্রথম দিন উদযাপনে প্রার্থনা করেছিলেন যে অগ্নিস্নানে যেন শুচি হয় ধরা।
সামনেই লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক মহলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মহারাষ্ট্র। কারণ লোকসভার আসনসংখ্যার নিরিখে এটি সব থেকে বড় রাজ্য। পাশাপাশি এই রাজ্যে চলতি বছরের শেষেই আবার রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে লোকসভা নির্বাচনের উপরই অনেকটা নির্ভর করছে এই রাজ্যে কোন দল সরকার গড়ে তুলবে। এ ছাড়াও এই রাজ্যের ক্ষেত্রে রয়েছে বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে নতুন কোনও ব্যাপার নয়। এর ফলে ক্রমাগত বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে ভারতীয়দের। বাড়ছে বন্যার সংখ্যা, বদলে যাচ্ছে বৃষ্টির ধরন ও বাড়ছে তাপপ্রবাহ। এই সব কিছুর প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যের উপর। আইপিসিসি রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী বছরগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তন আরও বিপদে ফেলবে ভারতীয়দের। তবে আশার বিষয়টি হল বাস্তুতন্ত্র এখন গবেষক, নাগরিক সমাজ ও সমাজকর্মীদের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা রসসাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্যা চরিত্র ‘হর্ষবর্ধন’। তাঁর নানা রকম হাস্যকর কার্যকলাপ ও তার ব্যাখ্যা রয়েছে বাংলা সাহিত্যে। হর্ষ মানে আনন্দ এবং বর্ধন কথার অর্থ হল বৃদ্ধি। অতএব হর্ষবর্ধন শব্দের অর্থ হল আনন্দ বৃদ্ধি। এই বিখ্যাত চরিত্রের স্রষ্টা হলেন শিবরাম চক্রবর্তী। হর্ষবর্ধন, গোবর্ধন সহ লেখকের তৈরি বিভিন্ন চরিত্র আমাদের অকাতরে হাস্যরস দান করাছেন।
আগামীতে স্রেফ মিথ্যাই ইতিহাস হয়ে থাকবে?
ইতিহাসের সঙ্গে শাসকের বহু বছর ধরেই যোগাযোগ রয়েছে। তবে সেই ইতিহাস খানিকটা বিকৃত ইতিহাস, প্রকৃত নয়। তবে এক প্রকার আংশিক ইতিহাস বলা যেতেই পারে। যেমন ইতিহাস পড়তে গেলে দেখা যায় শোষিতদের থেকে রাজনৈতিক এবং শাসকের ইতিহাসই বেশি রয়েছে। ফলে একটা বিরাট অংশের চিত্র অধরাই থেকে যায় আমাদের কাছে। আবার সেই ইতিহাসও আংশিক নির্মাণ করা।
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা!
গান্ধীর ‘রামরাজ্য’কে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে? এদিকে এই রামরাজ্য ন্যায় ও সংহতি ও পারস্পরিক কল্যাণের একটা কনসেপ্ট। যা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা চলছে! তবে গান্ধীর রামরাজ্য আর রহিমরাজ্য-এর যে কোনও ফারাক নেই। নিচু তলার মানুষের প্রকৃত ক্ষমতায়ন, সুযোগ-সুবিধার সমবণ্টনের স্বপ্ন গুলিকে গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা কি চলছে। অদ্ভুত এই আঁধার কবে ঘুচবে?
৬০০ আইনজীবীর চিঠির নেপথ্যে কে?
দেশে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও পবিত্রতা রক্ষা নিয়ে ৬০০ আইনজীবী চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে। সেই চিঠির বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ৬০০ আইনজীবীদের নামগুলোতে চোখ বোলালে এক্কেবারে চকচক করছে গেরুয়া রঙ।রইল বিস্তারিত আলোচনা।
প্রচারে ভুলবেন না কি ভাবা প্র্যাকটিস করবেন?
লোকসভা ভোট সামনেই। ভোট প্রচারও চলছে রমরমিয়ে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের একাধিক আশ্বাস দিয়ে মোহিত করা ভাষণ। সব মিলিয়ে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে পরতে হয় চরম সংকটে। তা সত্ত্বেও ভোট দিতেই হবে কারণ ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোটের সময় নেতারা নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয়ে এমন গুনকীর্তন করে তা বলাই বাহুল্য।
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসির সংরক্ষণের ৫০% ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার। যদিও এখন সংরক্ষণের দাবি প্রধানত দেশের চাকরি সংকট থেকেই উঠে এসেছে। তবে সংরক্ষণ দেওয়া শুধু ভুল পদক্ষেপ নয়, বিপদও ডেকে আনতে পারে। এই প্রসঙ্গে আন্দোলন কেবল মাত্র অর্থনৈতিক ব্যর্থতার নানা কারণ।
গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সেখানে অন্তত ২০ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ খাদ্যসংকটে ভুগছেন। এর মধ্যেই গাজাবাসী আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে বোমা ও মারণাস্ত্রের ভয়াহবতায়। এই সব কিছুর জন্যই দায়ী করা হচ্ছে নেতানিয়াহুকে। এর আগে ১৯৪৩-এর অবিভক্ত বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন প্রায় অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ। এর জন্য দায়ী ছিল চার্চিল আমলের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি।
দেশে নির্বাচন এগিয়ে এলেই ইংরেজিতে ‘ড্যান্স অফ ডেমোক্রেসি’ এই শব্দবন্ধটির ব্যবহার ক্রমশ বাড়তে থাকে। তবে এর প্রত্যক্ষ বঙ্গানুবাদটি কেমন যেন শোনায়! তা হল গণতন্ত্র চতুর্দিকে তাতা থৈথৈ নেচে বেড়াচ্ছে। এর চিত্রকল্পটিও বোধ হয় খুব সুদৃশ্য নয়। চৈত্রমাসে গাজনের সন্ন্যাসীরা তেমনটিই করে থাকেন।
পরিসর তো বটে, তবু তা ‘স্থান’ নয়
রবীন্দ্রনাথের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে শুরু করে সুভাষচন্দ্র বসুর নেতাজি ভবন। আবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেক দমদম এয়ারপোর্ট, নিত্য়দিন হাজার-হাজার মানুষ এই সব জায়গা ব্যবহার করেনও নিজ নিজ প্রয়োজনে আসেন, এবং কাজ মিটিয়ে মিলিয়ে যান। সবই আসলে আমাদের দারুণ অচেনা। আমরা বেঁধে-বেঁধেই এগিয়ে চলি, কোন জায়গায় সঙ্গে কোন জায়গা থেমে থাকে না।
ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সমস্ত নাগরিকের এক পবিত্র কর্তব্য এটি, এমনটিই বলছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বর্তমানে সদ্য-ভোটাধিকারপ্রাপ্তদের মধ্যে তেমন কোনও উৎসাহ নেই প্রথমবার ভোট দেওয়া নিয়ে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দেশের ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সি নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ ভোটার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এর কারণ যদিও স্পষ্ট নয়।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিন্ডে সেনা ও অজিতের এনসিপি জোট মহাযুতির ভবিষ্যৎ স্পষ্ট নয়। তারা প্রার্থী নিয়ে একমত হতে পারেনি। গত ২৬ এপ্রিল ছিল দ্বিতীয় দফার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।এমনকী জোট মহাযুতির অন্তর্দ্বন্দ্ব থামাতে আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং অমিত শাহকে। জটিলতর অবস্থা হয়েছে ছটি দলের পক্ষেই। জোট মহাযুতিতে মূলত তিনটি বিষয়ে সংকট।
দেবীপুরের বিখ্যাত কবিরাজ জগদ্বন্ধুর পুত্র জীবনবন্ধু। তাঁরা উপাধি পেয়েছিলেন মহাশয়। এক সময় তাঁদের চিকিৎসলয়ে তিল ধারনের জায়গা হত না রোগী ও তাদের পরিবারের ভিড়ে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আরোগ্য নিকেতন’ উপন্যাসে উল্লেখ পাওয়া যায় জীবনবন্ধু মহাশয়ের। এই উপন্যাস যেই সময়ের সেই সময়ে গ্রামের মরণাপন্ন রোগীদের প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ায় পটু ছিলেন কবিরাজ জীবন মশায়।
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকতা। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের নানা প্রান্তে সাংবাদিকদেরই টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের সুযোগ ও স্বাধীনতা। এমনকী ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। তবে সভ্য সমাজের বোঝা উচিত সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে মানব সভ্যতা আদিম ধারণার বশবর্তী হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।
শুধু টেসলা কেন, চিনা লগ্নি আরও বেশি জরুরি
টেসলা সম্প্রতি ভারতে পা রাখার ছাড়পত্র পেয়েছে। তাদের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার যদি বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর আমদানি শুল্ক মাত্র ১৫ শতাংশে কমিয়ে আনে তাহলে তারা এই দেশে লগ্নি করবে। কেন্দ্র তাদের সেই দাবিকে মেনে নিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বলা ভালো শুধু টেসলাই নয়, অন্যান্য অনেক বহুজাতিক কোম্পানিই এই ছাড় পেয়েছে।
গাজা ও ইজরায়েল যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যু মিছিল বাড়ছে গাজায়। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার ইজরায়েলি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্নায় বসে ছিলেন চার দিনের জন্য। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কোনও ভাবেই যেনও গাজাকে ইজরায়েলি আক্রমণ থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না।
রাজনীতিতে এখন এত অশালীন কথা কেন?
এই বারের লোকসভা ভোট বিশেষ বলাই বাহুল্য। কারণ এ বারের ভোটের মরশুমে রাজনীতিকদের বেলাগাম মন্তব্যের প্রতিযোগিতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত রাজনীতি মানুষকে বৃহত্তর আদর্শ ও জীবনের সমৃদ্ধ পথ দেখায়। কিন্তু বিগত কয়েকটি নির্বাচনে সেই মতাদর্শের লড়াই বা রাজনৈতিক বক্তব্য সবই যেনও হারিয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে কেবল অশালীন শব্দ যা সম্ভবত আগে কখনও হয়নি।